মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই এক আতঙ্কের নাম হয়ে গেছে ডেঙ্গু। এ নিয়ে বহু
লেখালেখি হয়েছে। মশা থেকে বাঁচার বহু গবেষণাকর্ম সাধন হয়েছে। তবুও মশাদের
তাড়ানো যেন এক অসম্ভব বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে,
প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ৩৯০ মিলিয়ন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে
বাংলাদেশ, ভারত এবং আশপাশের দেশে ডেঙ্গু বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
মশা মারার বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে। তবুও তেমন উপকার মিলছে না।
আসলে দীর্ঘমেয়াদে কোনো সমাধান আসছে না। তাই বাড়িতে কোনো সমাধান খোঁজার
জন্যে তাগাদা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মশার কামড় থেকে বাঁচতে হলে এমন ব্যবস্থা
করতে হবে যেন তাদের আনাগোনা কমে যায়। মশা তাড়ানো বা মারার জন্যে কিলিং
স্প্রে বা কয়েল অহরহ ব্যবহার করা হয়। আরো কিছু নিয়ম আছে। এদের মাধ্যমে মশা
তাড়ানোর অভিযানে সফলতা আসতে পারে বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।
এগুলো আসলে বাড়িতে
বানানো টোটকা। সত্যিকার অর্থেই বেশ কাজের। এখানে ছবির মাধ্যমে একেবারে
গাণিতীক সমীকরণের মতো টোটকা বানানোর পদ্ধতি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। মিশ্রণগুলো
তৈরি করুন এবং ডেঙ্গু থেকে নিরাপদ থাকুন। উপকরণগুলো বাজারেই মিলবে।
সুপারশপগুলোতে সহজেই খুঁজে পাবেন।
ওপরের ছবিতে দেখুন- ১০ ফোঁটা লেভেন্ডার তেল, ৩-৪ টেবিল চামচ
ভ্যানিলার নির্যাস, ২-৪ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১-২ কাপ পানি মিশিয়ে নিন।
এই মিশ্রণ বোতলে ভরে হাত-পায়ে স্প্রে করুন দিনে ২-৩ বার। মশার কামড় থাকবে
না বললেই চলে।
১০-১৫ ফোঁটা টি ট্রি ওয়েলের সঙ্গে ৩০ মিলিলিটার নারকেল তেলের মিশ্রণ বোতলে ভরে রাখুন। একইভাবে দিনে ২-৩ বার দেহে স্প্রে করে নেবেন।
২৫-৩০ মিলিলিটার নারকেল তেলের সঙ্গে ১০-১২ ফোঁটা নিমের তেল মিশিয়ে নিন। দিনে ২ বার করে দেহে স্প্রে করবেন।
২৫-৩০ মিলিলিটার নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ১৫ ফোঁটা পিপারমেন্ট ওয়েল। এটি দিনে ২-৩ বার স্প্রে করুন দেহে।
১০ মিলিলিটার লেমন ইউক্যালিপটাস ওয়েলের সঙ্গে ৯০ মিলিলিটার অলিভ বা নারকেল তেলের সঙ্গে মিলিয়ে নিন। দিনে ২-৩ বার স্প্রে করুন দেহে।
No comments:
Post a Comment