খরগোশ পালন পদ্ধতি (Rabbits Farming)

খরগোশ (Rabbit) তৃণভোজী, শান্ত ও নিরীহ স্বভাবের প্রাণি। অল্প জায়গায় স্বল্প খাদ্য এবং স্বল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে খরগোশ পালন করা যায়। তবে যথাযথ জ্ঞানের অভাবে, অনেকেই সঠিক ভাবে খরগোশ পালন করতে পারে না। শখের পাশাপাশি ব্যবসায়িক কারণে খরগোশ পালন করলেও সঠিক পদ্ধতি জেনে রাখা উচিত। খরগোশের মাংসের প্রোটিন, এনার্জি, খনিজ এবং ভিটামিনের পরিমাণ অন্যান্য সকল প্রজাতির জীবজন্তুর মাংসের চেয়ে বেশি এবং কোলেস্টেরল ফ্যাট ও সোডিয়াম কম থাকে। এছাড়া এদের মাংস সুস্বাদু ও সহজে হজম হয় এবং সকল ধর্মের মানুষের জন্য গ্রহণযোগ্য। এখনো বাংলাদেশে খরগোশ পালন ব্যাপক আকারে হয়ে ওঠেনি। তবে বাণিজ্যিকভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খরগোশ পালন অনেক লাভজনক। তাই, সারা বিশ্বে বাণিজ্যিকভাবে খরগোশের প্রজনন ও উৎপাদন করা হয়।

খরগোশ পালন বেকার যুবক, মহিলা ও ভূমিহীন কৃষকের দারিদ্র বিমোচন এবং কর্মসংস্থানের অন্যতম একটি পেশা হতে পারে। এসব কারণে দেশে প্রাণীজ আমিষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দারিদ্র বিমোচনে সংশিষ্ট সকলের খরগোশ পালনের জন্য এগিয়ে আসা উচিত। 

যেখানে পাবেনঃ 

ব্যবসায়ীরা খামারে গিয়ে খরগোশ কিনে থাকেন। বাচ্চার বয়স এক থেকে দেড় মাস হলেই বিক্রির উপযোগী হয়। তবে চার থেকে ছয় মাস বয়সী বাচ্চার দাম বেশি পাওয়া যায়।

ঢাকার কাঁটাবন, মিরপুর, কাপ্তান বাজারসহ বিভিন্ন পশু-পাখি ও অ্যাকুরিয়ামের দোকানে পাওয়া যায়। ঢাকার বাইরে গাজীপুরের টঙ্গী মার্কেট, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়ও পাওয়া যায়। এছাড়া চট্টগ্রাম, সিলেট, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, নেত্রকোণাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে কিনতে পাওয়া যায়।


খরগোশের প্রজাতিঃ 

বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজাতির খরগোশ পাওয়া যায়। তম্মধ্যে রয়েছে ডার্ক গ্রে (দেশী), ফক্স, ডাচ, নিউজিল্যান্ড লাল, নিউজিল্যান্ড সাদা, নিউজিল্যান্ড কালো, বেলজিয়াম সাদা এবং ছিনছিলা উল্লেখযোগ্য।

বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, অল্প বয়স্ক খরগোশের মাংস বেশি বয়স্ক খরগোশের মাংসের তুলনায় উন্নতমানের হয়। আবার স্ত্রী খরগোশের মাংসের তুলনায় পুরুষ খরগোশের মাংস তুলনামূলক উন্নত মানের হয়ে থাকে। বয়স হলে মাংসে কোলেস্টেরল এবং লিপিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং প্রোটিনের পরিমাণ কমে যায়। অন্য দিকে স্ত্রী খরগোশের মাংসে লিপিড, ফ্যাট এবং কোলস্টেরল এর পরিমাণ বেশি থাকে।


খরগোশের প্রজনন (Breeding of Rabbits)

খরগোশ সাধারণত ৫-৬ মাস বয়সেই প্রথম প্রজননক্ষম হয়। গর্ভবতী খরগোশ ২৮-৩৪ দিনের (জাতভেদে) মধ্যে বাচ্চা দেয় এবং বাচ্চার ওজন খরগোশের শারীরিক ওজনের উপর নির্ভরশীল এবং ইহা সাধারনতঃ দৈহিক ওজনের ২% হয়। খরগোসের দুগ্ধ-দান কাল সময় ৬-৮ সপ্তাহ এবং এই সময় ওজন হলো ৮০০-১২০০ গ্রাম। খরগোশ প্রতিবারে ২-৮ টি বাচ্চা প্রদান করে এবং একবার বাচ্চা দেয়ার ১ মাস পরেই আবার বাচ্চা দিতে পারে।

👉 প্রজননের জন্য একটি ৫-৬ মাসের স্ত্রী খরগোশ ও একটি ১ বছরের পুরুষ খরগোশ ব্যবহার করতে হবে। 

👉 প্রজননের জন্য ব্যবহৃত খরগোশ দুটি যেন সঠিক ওজনের এবং শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ হয় । 

👉 পুরুষ খরগোশটিকে প্রজননের জন্য সপ্তাহে ৩-৪ বারের বেশী ব্যবহার করা যাবেনা। 

👉 খরগোশ দুটির খুব ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে।


যদি খরগোশ একসঙ্গে ৬-৮টি বাচ্চা দেয় তাহলে এই সময় প্রথম দশ দিন বাচ্চাগুলোর বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। যেমন- মা খরগোশ হতে দুধ খেতে সাহায্য করা, প্রয়োজনে ফিডারে করে দুধ খাওয়ানো, ভাতের মাড় বা দুধে বিস্কুট ভিজিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। প্রথম দশ দিন নরম কাপড় দিয়ে বাচ্চাগুলোকে অবশ্যই ধরতে হবে।


খরগোশ পালনের সুবিধাঃ 

👉  খরগোশ দ্রুত বর্ধনশীল প্রাণি। 

👉  খরগোশ একসাথে ২-৮টি বাচ্চা প্রসব করে। 

👉  সুস্থ খরগোশ একমাস পরপর বাচ্চা প্রসব করে। 

👉  রোগ-বালা কম। 

👉  মাংস উৎপাদনে পোল্ট্রির পরেই খরগোশের অবস্থান। 

👉  অল্প জায়গায় তুলনামুলক কম খাবারে পালন করা যায়। 

👉  কম খরচে বেশি উৎপাদন সম্ভব। 

👉  খরগোশের মাংস বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। 

👉  রান্না ঘরের উচ্ছিষ্ট, ঘাস ও লতা-পাতা খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। 

👉  হোটেল, রেস্তোরাঁ বা ভোজসভায় এর মাংসের অনেক কদর।


খরগোশ পালনের অসুবিধাঃ

👉  উৎপাদিত দ্রব্যের বাজারজাতকরণে সমস্যা। 

👉  খরগোশের মাংস সবাই খেতে চায় না। 

👉  খরগোশ অসুস্থ হলে বাঁচানো সম্ভব হয় না। 

👉  খরগোশের ইউরিনে ভীষণ গন্ধ থাকে। 

👉  বাচ্চার যত্নে বিশেষ করে প্রথম ১০ দিন সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।


যেভাবে পালন করবেনঃ বাড়ির ছাদ, আঙিনা বা বারান্দায় ছোট আকারের শেড তৈরি করে খরগোশ পালন করা যায়।


লিটার পদ্ধতিঃ কমসংখ্যক খরগোশ পালনের জন্য এ পদ্ধতি উপযোগী। এর জন্য মেঝে কংক্রিটের হওয়া উচিত। খরগোশ মাটি খুঁড়ে গর্ত বানায়। লিটার পদ্ধতিতে মেঝের ওপর ৪-৫ ইঞ্চি পুরু করে তুষ, কাঠের ছিলকা অথবা ধানের খড় ছড়িয়ে দিতে হবে। এ পদ্ধতিতে খরগোশ পালন করতে হলে একসাথে ৩০টির বেশি খরগোশ পালন করা ঠিক নয়। পুরুষ খরগোশ আলাদা ঘরে রাখতে হবে। কারণ খরগোশ সামলানো খুব কঠিন। শুধু প্রজননের জন্য পুরুষ খরগোশকে স্ত্রী খরগোশের কাছে ১০-১৫ মিনিট ছেড়ে দিতে হবে।


খাঁচা পদ্ধতিঃ বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ পালনের জন্য খাঁচা পদ্ধতি বিশেষ জনপ্রিয়। সে ক্ষেত্রে খাঁচার জন্য লোহার পাত দিয়ে তৈরি ৩-৪ তাকবিশিষ্ট খাঁচা বেশি উপযোগী। খরগোশের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রেখে প্রতিটি তাকে খোপ তৈরি করতে হবে।


প্রয়োজনীয় জায়গাঃ

ক. একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ খরগোশের জন্য ৪ বর্গফুট জায়গা দরকার। 

খ. পূর্ণবয়স্ক মা খরগোশের জন্য দরকার ৬ বর্গফুট (প্রসূতি ঘরসহ)। 

গ. বাচ্চা খরগোশের জন্য ১.৫ বর্গফুট দরকার।


খরগোশের খাবারঃ একটি বয়স্ক খরগোশের খাদ্যতালিকা এমন হতে হবে, যাতে ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ  প্রোটিন, ১৪ শতাংশ ফাইবার, ৭ শতাংশ মিনারেল ও ২৭০০ কিলো ক্যালরি/কেজি পুষ্টির জোগান সুনিশ্চিত হয়। খরগোশের শারীরিক সুস্থতার জন্য এবং সঠিকভাবে খরগোশ পালন পদ্ধতি মেনে এদের সবুজ শাকসবজি প্রদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি প্রাপ্তবয়স্ক খরগোশকে প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করে দানাদার খাবার দিতে হবে। বাচ্চা দিয়েছে এমন মা খরগোশকে দিনে ২৫০ গ্ৰাম করে খাবার দিতে হবে। 

ঋতু ভিত্তিক সবজি, কচি ঘাস, লতা-পাতা, গাজর, মুলা, শস্যদানা, মিষ্টি আলু, শসা, খড়কুটো, তরকারির ফেলনা অংশ, চাল, গম, ভুট্টা, ভুসি, কুড়া, খৈল, সয়াবিন, দুধ, পাউরুটি, ছোলা ইত্যাদি খড়গোশের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ঘাস ও শাক সবসময় শুকনা বা ঝকঝকে অবস্থায় দিতে হবে। ভেজানো গম বা ছোলা অল্প সেদ্ধ করে এর সাথে ভুসি মিশিয়ে দিলে ভালো হয়।

খরগোশকে খাবার দেয়ার নিয়ম ও পরিমাণঃ

👉 বয়স্ক খরগোশের জন্য প্রতিদিন ১৩০-১৪৫ গ্রাম খাবার দিতে হবে। 

👉 স্তন্যপান করানো খরগোশের জন্য প্রতিদিন ২৫০-৩০০ গ্রাম খাবার প্রয়োজন। 

👉 বাড়ন্ত খরগোশের জন্য প্রতিদিন ৯০ গ্রাম খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।

👉 কম করে কিন্তু বারে বারে কমপক্ষে দিনে ৩ বার খাবার দিতে হবে।

👉 পরিষ্কার ও তাজা খাবার দিতে হবে।

👉 নষ্ট করা খাবার সরিয়ে ফেলতে হবে।

👉 খড়গোশকে বিভিন্ন ধরণের খাবারে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে।

👉 শুকনা খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে।

👉 প্রতিদিন একই সময়ে খাবার দিতে হবে।

👉 হঠাৎ করে খাবার পরিবর্তন করা যাবে না।

👉 ক্রয়ের পূর্বে খরগোশটি কি ধরণের খাবার খায় তা বিক্রেতার কাছে জেনে নিতে হবে।


খরগোশের দাম

খরগোশ দামে সস্তা কিন্তু গুনে মানে অনন্য। ছোট বাচ্চা খরগোশ এর দাম একজোড়া ৩০০ টাকা থেকে শুরু হয় এবং আপনি চাইলে একজোড়া দেশি খরগোশের বাচ্চা ৩০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন । অপরদিকে প্রাপ্তবয়স্ক খরগোশ কিনতে গেলে আপনাকে গুনতে হতে পারে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। তবে এলাকাভেদে দাম আরো কম অথবা বেশি হতে পারে।


খরগোশের নর মাদি চেনার উপায়

মেল ফিমেল সনাক্ত করার জন্য বাচ্চা জন্মের পর ৪ মাস অপেক্ষা করতে হবে, তার আগে সম্ভব নয়। তবে যেসব মানুষ দির্ঘদিন খরগোশ পালন করেন তারা দূর থেকে দেখলেই মেল, ফিমেল সনাক্ত করতে পারেন। যৌনাঙ্গের আশপাশে একটু চাপ দিলে ছেলে খরগোশের যৌনাঙ্গ বের হয়ে আসে।

* ভালো করে খেয়াল করলে বোঝা যায় ফিমেল খরগোশের মুখমন্ডল কিছুটা শুকনো টাইপের হয় এবং মেল খরগোশের মুখ কিছুটা ভারি হবে।

* ছেলে খরগোশের বয়স যখন ৪ মাস হবে তখন টেস্টিস বা অন্ডকোষ বের হয়ে আসে। যেটা দেখে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন এটা একটা ছেলে খরগোশ।


খরগোশের রোগ ও প্রতিকারঃ

সব প্রাণিরই কম-বেশি রোগ-বালাই আছে তবে খরগোশের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে রোগ-বালাই কম। তবে অসুস্থ খরগোশকে খুব দ্রত আলাদা করতে হবে।


খরগোশ অসুস্থ কী না কী ভাবে বুঝবেন? 

👉 চোখ ফ্যাকাসে হয়ে যায়, 

👉 চুল পড়া শুরু হয়,

👉 কান খাড়া থাকে না, হেলে পড়ে,

👉 নাক, চোখ, যোনি থেকে পুষ্পিত স্রাব বের হয়,

👉 লোম শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়, 

👉 খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়, 

👉 দৌড়ঝাঁপ কমিয়ে দেয় এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে,

👉 ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়,

👉 খাদ্যের প্রতি আগ্রহের অভাব,

👉 তৃষ্ণা এবং ঘন ঘন প্রস্রাব।

খরগোশের ছবি

খরগোশের চিকিৎসা

মিক্সোমাটোসিস (Myxomatosis) এটি খরগোশের একটি প্রাণনাশক রোগ৷ আঙ্গোরা, ফ্লেমিস রাবিট, জ্যাক রাবিট ইত্যাদি প্রজাতির খরগোশের এই রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে বেশী৷ এই ভাইরাস পক্স ভাইরাস শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত৷ রোগগ্রস্ত অবস্থায় খরগোশের প্রজনন ঘটালে মুখ, নাক, ঠোঁট, কান, চোখের পাতা ইত্যাদি অঙ্গে ইডেমা হয়৷ কান দেহ থেকে ঝুলে পড়তে পারে৷ কখনও কখনও শ্বাসকষ্ট হয়৷

চিকিৎসা- এই রোগের জন্য নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নেই৷ রোগের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিত্সা করতে হয়৷ সেফালেক্সিন বা এনরোফ্লক্সাসিন জলের সাথে মিশিয়ে খরগোশকে খাওয়ানো যেতে পারে৷

প্রতিরোধ ব্যবস্থা- অসুস্থ খরগোশকে মেরে ফেলে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে৷ ফর্মালিন বা ৩ শতাংশ সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড দিয়ে খরগোশের খামার জীবাণুমুক্ত করতে হবে৷ প্রতিষেধক টীকা পাওয়া গেলে খরগোশকে টীকা দিতে হবে৷

সালমোনেল্লেসিস (Salmonellosis)- সালমোনেল্লা টাইফিমুরিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়া এই রোগের কারণ৷ এই রোগে খরগোশের দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় ও পাতলা পায়খানা হয়৷ গর্ভবতী খরগোশের গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এই রোগে খরগোশের মৃত্যুহার অনেক বেশী৷

চিকিত্সা-এনরোফ্লক্সাসিন বা সেফালোক্সিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিন নামক আন্টিবায়োটিক খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যায়৷

প্রতিরোধ ব্যবস্থা- খরগোশের খামার পরিষ্কার রাখতে হবে৷ দুষিত জল বা খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করতে হবে৷ মৃত খরগোশেকে পুড়িয়ে ফেলতে হবে৷ খরগোশের খামারটিকে ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে৷

পরজীবী ঘটিত রোগ (Parasitic diseases)- হেপাটিক কক্সিডিওসিস (Hepatic Coccidiosis) আইমেরিয়া স্টাইডি নামক পরজীবী এই রোগের কারণ৷ সাধারণত কম বয়স্ক খরগোশের এই রোগ হয়৷

চিকিত্সা- সালফাকুইনক্সালিন ডেরিভেটিভ এই রোগের খুব ভাল ঔষধ৷ খাদ্যে শতকরা ০.০২৫ ভাগ হিসাবে ও পানীয় জলের শতকরা ০.০৪ ভাগ হিসাবে এই ঔষধ খরগোশটিকে খাওয়ালে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়৷

ইন্টেসটিনাল কক্সিডিওসিস (Intestinal Coccidiosis)- আইমেরিয়া সিকিওলা, আইমেরিয়া ফ্লাভেসেনস, আইমেরিয়া ইন্টেসটিনালিস, আইমেরিয়া ইরেসিডুয়া, আইমেরিয়া ম্যাগনা, আইমেরিয়া মোডিয়া, আইমেরিয়া পারফোরানস, আইমেরিয় পিরিফর্মিস- এই আটটি প্রজাতির আইমেরিয়া ইন্টেসটিনাল কক্সিডিওসিসের কারণ৷

লক্ষণ-এই রোগের প্রধান কয়েকটি লক্ষণ হল পাতলা পায়খানার সঙ্গে রক্ত আসবে, ক্ষুধামন্দাভাব, পেট ফুলে থাকবে এবং চকলেট রঙের মলত্যাগ করবে৷


খরগোশ খেলে কি মানুষ অসুস্থ হয়?

Tularemia বা খরগোশের জ্বর, একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যা প্রাণী এবং মানুষ উভয়ের সাথে সম্পর্কিত। যদিও অনেক বন্য এবং গৃহপালিত প্রাণী সংক্রমিত হতে পারে, খরগোশ প্রায়শই এ রোগের প্রাদুর্ভাবের সাথে জড়িত থাকে।


খরগোশের এর বাচ্চা মারা যায় কেন? 

২০ থেকে ৪০ দিন বয়সের খরগোশের বাচ্চা অতিরিক্ত বাইরের খাবার খেয়ে ফেললে মায়ের বুকের দুধ খায়না। এর ফলে কিছু কিছু সময় বাচ্চাগুলো গ্যাসের সমস্যা বা বাইরের খাবার খাওয়ার কারনে পেট খারাপ হয়ে মারা যেতে পারে। তাই এ সময় আপনার খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চাগুলো যেন ঠিকভাবে মায়ের বুকের দুধ খেতে পারে।










আরও পড়ুনঃ খরগোশ পালন ও পরিচর্যাপোষা খরগোশ পালন পদ্ধতি , খরগোশের যত্ন পরিচর্যা ও খাবারবেকার সমস্যার সমাধান - লাভজনক খরগোশ পালন পদ্ধতি ও আয়-ব্যয়খরগোশের খামার, Rabbit Farming, কিভাবে খরগোশ পালনের ব্যবসা শুরু করবেন (Rabbit Farming Business), খরগোশ পালনের সুবিধা (Advantages of Rabbit Farming), খরগোশ পালন বই pdf, খরগোশ পালন কি জায়েজ, খরগোশ কত দিনে বাচ্চা দেয়, খরগোশ পালনের অসুবিধা, খরগোশের বাচ্চা পালন পদ্ধতি, খরগোশের বাচ্চা কি খায়, Rabbit Care, খরগোশের যত্ন এবং ব্যবস্থাপনা, Rabbit Care and Management, Rabbit Price In Bangladesh
খরগোশের রোগ ও চিকিৎসা, খরগোশের জাত ও দাম, খরগোশ কিভাবে পোষ মানে, খরগোশ কামড় দিলে কি হয়, খরগোশ পালন বই pdf, খরগোশের বৈশিষ্ট্য, খরগোশের ডাক, খরগোশের বাচ্চা পালন পদ্ধতি, খরগোশের ঠান্ডা লাগলে কি করা উচিত, খরগোশের পাতলা পায়খানা হলে করণীয়, খরগোশের বাচ্চা মারা যায় কেন, খরগোশের খাদ্য তালিকা, খরগোশ এর ঔষধ, খরগোশ কামড় দিলে কি হয়, খরগোশ কাপে কেন, খরগোশের ডাক

No comments:

Post a Comment