বিশ্বের গোপন ইন্টার‌নেট জগৎ _টর

Dark Web
ইন্টারনেটে আমরা যা কিছু করি তার A to Z তথ্য সামান্যই সংর‌ক্ষিত। যারা আমা‌দের ইন্টার‌নেট সেবা দি‌য়ে থা‌কে, তারা এইসব ব্য‌ক্তিগত গোপনীয় ত‌থ্য সংরক্ষ‌ণের মা‌লিক। ইন্টার‌নেট দু‌নিয়ায় আমরা যাই ক‌রি না কে‌নো তার সব খবরা-খবরই এই ইন্টার‌নেট সা‌র্ভিস প্রোভাইডার‌দের কা‌ছে থা‌কে। সরকা‌র বা ক্ষমতাসীনরা যখন প্র‌য়োজন ম‌নে ক‌রে, তখন আমা‌দের সম্পূর্ণ তথ্য ইন্টার‌নেট সেবাদাতা প্র‌তিষ্ঠানগু‌লো ক্ষমতাসীন‌দের দি‌তে বাধ্য থা‌কে।

যে‌হেতু জ্ঞা‌ন ও বু‌দ্ধির শেষ নাই, তাই সব সম্ভব‌কে অসম্ভ‌ব করারও শেষ নাই। কিছু পারদর্শী ইন্টার‌নেট ব্যবহারকারী নি‌জে‌দের প্র‌য়োজ‌নেই তথ্য যা‌তে কেউ না পায়, সেই ব্যবস্থা ক‌রে রে‌খে‌ছেন। আর এসব ব্যবস্থা‌কে বলা হয় "‌ডিপ ও‌য়েব" বা "ডার্ক ও‌য়েব"। ডিপ ওয়েব হলো ইন্টারনেটের একটা
অংশ, যা সার্চ ইঞ্জিনে যুক্ত করা হয় না।
ইন্টার‌নেট ব্যবহা‌রের আগ থে‌কেই আমরা জা‌নি যে, ইন্টার‌নে‌টে কিছু পাই‌তে, জান‌তে ও কর‌তে গে‌লে গুগল, ইয়াহু, বিং এর ম‌তো সার্চ ই‌ন্জিন ছাড়া সম্ভব নয়। কোন বিষ‌য়ে সার্চ ই‌ন্জি‌নে সার্চ দি‌লে হাজার হাজার তথ্য আমা‌দের চো‌খে ভা‌সে।

আশ্চ‌র্যের ব্যাপার হ‌চেছ যে, সার্চ ইন্জি‌নে সা‌র্চের মাধ্য‌মে যে ফলাফল আ‌সে তা ইন্টার‌নে‌টের মাত্র ১০ ভাগ। বা‌কি ৯০ ভাগ তথ্য সার্চ ই‌ন্জিনগু‌লো আমা‌দের দি‌তে পারে না। এসব অজানা তথ্য আমা‌দের কা‌ছে অধরাই থে‌কে যায়। কারন বা‌কি তথ্যগু‌লো সেই "ডার্ক ও‌য়ে‌ব"-এ সংর‌ক্ষিত থা‌কে। সেখা‌নে গুগল, ইয়াহু তো দূ‌রের কথা; ইন্টার‌নেট সা‌র্ভিস প্রোভাইডারদেরও খবরদারী করা অসম্ভব। এই ডার্ক ও‌য়ে‌ব হ‌চ্ছে অপরাধমূলক কা‌জের অবাধ চারণভূ‌মি। যা অনলাইন বা ইন্টার‌নেট আই‌নে দন্ডনীয় অপরাধ। য‌দিও সেখা‌নে ভা‌লো কিছুরও তথ্য থা‌কে ত‌বে তা সামান্যই পাওয়া সম্ভব হয়।

"ডার্ক ও‌য়ে‌ব"-এর দু‌নিয়ায় ঢুক‌তে ম‌জিলা ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম, অ‌পেরার ম‌তো জায়ান্ট ও‌য়েব ব্রাওজারগু‌লো সম্পূর্ণরু‌পে ব্যার্থ। তাই এই অন্ধকার জগৎ বা ডার্ক ও‌য়ে‌বে ঢুক‌তে প্র‌য়োজন হয় বি‌শেষ সফটওয়্যার বা টর ব্রাওজা‌রের। যার মাধ্য‌মে আমরা ডার্ক ও‌য়ে‌বে পদার্পণ কর‌তে পার‌বো।

বি‌ধি নি‌ষেধ থাকা স‌ত্তেও, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে মা‌র্কিন যুক্তরা‌ষ্ট্রের টর ব্রাউজার বা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে প্রতি মাসে ফেসবুক ব্যবহার করছে ১০ লাখের বেশি মানুষ। টর ব্রাউজার ব্যবহার করলে প্রাইভেসি বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকা যায় এবং ডিজিটাল কোনো ছাপ থাকে না। যার ফ‌লে আমা‌দের ব্য‌ক্তিগত তথ্য দ্বিতীয় কোন হা‌তে যায় না।
Deep Web

টর বা TOR (দ্য অনিয়ন রাউটার) হলো ডার্ক বা ডিপ ওয়েবে যাওয়ার প্রধান ওয়েব পোর্টাল। এটি ব্যবহারকারীর তথ্যকে এনক্রিপ্ট করে এবং একটি স্বেচ্ছাসেবক সার্ভারের মাধ্যমে সারাবিশ্বের নেটওয়ার্কে পাঠায়। এ পদ্ধতিতে পাঠানো তথ্য অন্যের পক্ষে পাওয়া বা উদ্ধার করা অসম্ভব। টর যে কোনো পিসিতে ব্যবহার করা যায়। ম্যাক, এমনকি আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোনের যে কোনো মোবাইল ডিভাইস দিয়েই টর ব্যবহার করা যাবে।
কিন্তু এখানে দৃশ্যমান ওয়েবের মতো কোনো কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না, কারণ এখানে গুগলের মতো কোনো সার্চ ইঞ্জিন নেই, যেটি মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু খুঁজে দেবে। এর আরেকটি বিশেষত্ব হলো - এরা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সাইটগুলোর মতো টপ লেভেল ডোমেইন ব্যবহার না করে 'শেইডো টপ লেভেল ডোমেইন' ব্যবহার করে। এ ধরনের ডোমেইনের ভেতর আছে বিটনেট, অনিয়ন, ফ্রিনেট ইত্যা‌দি। ডার্কওয়েবের ডোমেইনগুলো ডট কমের পরিবর্তে ডট অনিয়ন হয়। তাই টর ব্যবহার ছাড়া ডার্ক ও‌য়ে‌বে ঢোকা অসম্ভব।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষের বরাতে 'আইএএনএস'এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টর ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত কয়েক বছরে ছিল খুব কম। ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত টর ব্যবহার করে প্রতি মাসে মাত্র ৫ লাখ ২৫ হাজার ব্যবহারকারী ফেসবুক ব্যবহার করতেন। কিন্তু ২০১৬ এর এপ্রিল মাসের মধ্যে টর ব্যবহারকারী বেড়ে ১০ লাখেরও বেশি হয়ে গেছে।

টর ব্যবহার করার মাধ্য‌মে নাম-পরিচয় গোপন করে ওয়েব ব্রাউজিং করা যায়। তাই এ পদ্ধতিতে সরাসরি যোগাযোগের পরিবর্তে একাধিক এনক্রিপশন–ভিত্তিক ধাপ পেরিয়ে যোগাযোগ করা হয় বলে ব্যবহারকারীর সত্যিকার পরিচয় গোপন থাকে। ধারণা করা হয়, সাম্প্র‌তিক সম‌য়ে ফ্রা‌ন্সে যে ভয়াবহ হামলা সংঘ‌টিত হয়, তার প্লান ও দিক‌নি‌র্দেশনা এই ডার্ক ও‌য়েবের মাধ্য‌মে সম্পন্ন হয়। যার কার‌নে কোন প্রযু‌ক্তি ব্যবহার ক‌রেও অপরাধী‌দের সনাক্ত করা সম্ভব হয়‌নি।

২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে টর ব্যবহার করে ফেসবুক চালানোর সুবিধা দিতে বিশেষ ঠিকানা চালু করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুকের দাবির বিষয়টি স্বীকার করে টরের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, টর ব্যবহার করে যখন ফেসবুক সাইটে যাওয়া হয়, তখন টর ব্রাউজার ফেসবুক ডেটার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তাই ব্যবহারকারীর ডিজিটাল তথ্য গোপন থাকে। অবশ্য কেউ যদি তার নিজের অবস্থান কোনো ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়, তবে তার পরিচয় বা অবস্থান আর গোপন থাকে না।

যেসব দেশে ইন্টারনেট সেন্সর করা হয়, সেখানে মানুষ টর ব্যবহার করে। টর ব্যবহার করে সেন্সরবিহীন ইন্টারনেট ব্যবহার ও ফেসবুক ব্যবহার করতে পারে তারা। যেমন ইরানে ফেসবুক বন্ধ। সেখান থেকে অনেকেই টর ব্যবহার করে ইন্টারনেট ও ফেসবুকে ঢুকতে পারেন।

ডার্ক ওয়েবে সাধারণত গোপনে কর্মকাণ্ড চালানো হয় ব‌লে; সামরিক বাহিনী, বিপ্লবী, এমনকি রাষ্ট্রীয় প্রশাসনও ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে। এখানে গোয়েন্দারা খুব গোপনে নিজেদের ভেতর তথ্য আদান-প্রদান করতে অথবা চুরি যাওয়া তথ্য ফিরে পেতে দর কষাকষি করতে পা‌রে। বিশ্বের অনেক দেশেই ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর কড়াকড়ি রয়েছে। এজন্য ভিন্ন মতাবলম্বীরা প্রায়ই ডার্ক ওয়েবের আশ্রয় নেয়।
এছাড়াও হ্যাকার, অপরাধ জগ‌তের নেতৃত্বদানকারীরা, অ‌বৈধ ব্যাবসা প‌রিচালনা, আন্দোলনকারী, সাংবাদিকেরা নিরাপদ যোগাযোগের জন্য ‘ডার্ক ওয়েব’ ব্যবহার করেন।
আরও কিছু পোষ্ট :

·        টেলিটকের সকল ইন্টারনেট প্যাকেজ

·        নামাজের কয়েকটি উপকারিতা

·        হাসপাতাল  ক্লিনিকের তালিকাHospitals

·        ওয়েব সাইট তৈরির গাইড লাইন

·        Bangladeshi Passport- অনলাইন এ্যাপ্লিকেশন




Deep Web, how to use secret internet in bangla, কিভা‌বে গোপন ইন্টার‌নেট চালা‌নো যায়, Bangla secret internet use, Dark Web, চু‌পে চু‌পে, how to use secret facebook in bangladesh. গোপ‌নে ইন্টার‌নেট ব্যবহার,

3 comments:

  1. earn money online 2020,
    dark web earn money from dark web,darknet financial vendors reviews,deep web website reviews,dark web skrill transfer,dark web links,tor onion links,how to buy credit cards,dark web paypal transfer,paypal transfer dark web,deep web darkweb market,deepweb,dark web,dark web market,darkweb paypal,darkweb credit card,dark web cards,darkweb western union,dark web money transfer,buying cards from dark web,deep web credit card,deepweb sites.

    ReplyDelete
  2. paypal transfer dark web,dark web deep web darkweb market,deepweb,dark web,dark web market,darkweb paypal,darkweb credit card,dark web cards,darkweb western union,dark web money transfer,buying cards from dark web,deep web credit card,deepweb sites.

    ReplyDelete
  3. This is what's referred to as an "intermediate mode", because it lets you browse the web in "intermediate" mode - making it more difficult for hackers who want to break into your phone and retrieve important info.
    You can visit our website: dark web links

    ReplyDelete