পরকীয়া মূলত একটি সম্পর্ক যা অবৈধ বলেই স্বীকৃত । প্রধানত
এটা ঘটে থাকে বিবাহিত পুরুষ বা মহিলার মাধ্যমে । যখন কোন বিবাহিত
পুরুষ বা মহিলা নিজের স্বামী বা স্ত্রীকে লুকিয়ে অন্য কোন পুরুষ বা
মহিলার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তখনই পরকীয়া নামক
সম্পর্কের সৃষ্টি হয় ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরকীয়ার
চিত্রটা আসলে কেমন? বাংলাদেশে পরকীয়ার প্রেক্ষাপট কতটা অালোড়িত বা এ
ধরনের ঘটনা কতটা স্বাভাবিক? পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন কারা বেশি – নারী না
পুরুষ?
গবেষণা জানান দেয় পশ্চিমা বিশ্বে স্বামীরাই
স্ত্রীদের থেকে পরকীয়ায়..
বেশি এগিয়ে। তবে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে
পরকীয়ার চিত্র একেবারেই ভিন্ন ।স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাসহীনতার বৈজ্ঞানিক পরিমাপ করা কঠিন কাজ।
কারণ, প্রায় সব দেশেই পরকীয়া সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য আচরণ, আর আমাদের দেশেতো এটা বিশাল অমার্জনীয় অপরাধ। কোন কোন দেশে একেতো রীতিমতো অপরাধ বলেই মনে করা হয়।
বাংলাদেশে পরকীয়ার কথা কেউ স্বীকার করে না । যখন পরকীয়ার কারণে সংসার ভাঙ্গে, খুন হয়, পারিবারিকভাবে ঝগড়া_বিবাদ ও সম্পর্কের অবনতি ঘটে; তখনই কেবল পরকীয়ার ভয়াবহতা চোখে পড়ে ।
বাংলাদেশে পরকীয়া যে কতটা প্রকট অাকার ধারণ করেছে, তা কেবল পত্রপত্রিকার মাধ্যমেই জানা যায় । তবে এ দেশে পুরুষের পরকীয়ার চাইতে মহিলাদের পরকীয়ার চিত্রটাই বেশি দৃশ্যমান ।
এ পর্যন্ত পরকীয়া নামক সামাজিক ব্যাধিটি কতো মায়ের কোল খালি করেছে, কতো সন্তান তার মা_বাবাকে হারিয়েছে, কতোগুলো সোনার সংসার ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে তার সঠিক হিসাব নেই । কিন্তু এগুলো বড়ই করুণ ও এর ক্ষতিটা ধারণার বাইরে ।
পরকীয়া সম্পর্কটি ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ । অামাদের ইসলাম ধর্মেতো অারও বেশি কঠোরতা দেখানো হয়েছে ।
পশ্চিমা বিশ্বে পরকীয়ার অবস্থা কেমন, তা নিম্নের বিভিন্ন জরিপের মাধ্যমে জানা যাক ।
ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে চালানো বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় স্বামীরা স্ত্রীদের চেয়ে বেশি পরকীয়া করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এক সোশাল সার্ভেতে জানা যায়, বিবাহিতদের মধ্যে স্ত্রীকে লুকিয়ে অন্য মহিলার সাথে সেক্স করেছেন এমন পুরুষের সংখ্যা নারীদের চেয়ে দ্বিগুণ।
ব্রিটেনে একই সাথে একাধিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন ১৫% পুরুষের। অন্যদিকে, নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৯%।
ফ্রান্সের ইন্সটিটিউট অফ পাবলিক ওপিনিয়নের জনমত জরিপ বলছে, প্রায় অর্ধেক (৫৫%) ফরাসী এবং ইতালিয়ান পুরুষ স্বীকার করেছেন যে জীবনের কোন এক সময় তারা জীবনসঙ্গীকে ঠকিয়ে অন্যের সাথে সম্পর্কে করেছেন।
ঐ একই জরিপে ৩৪% ইতালিয়ান মহিলা এবং ৩২% ফরাসি মহিলা একইভাবে পরকীয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
মানুষের যৌন আচরণ সম্পর্কে জানতে কনডম প্রস্তুতকারী কোম্পানি ডিউরেক্স ৪১টি দেশে একটি বিশাল জনমত জরিপ চালায়।
এই জরিপে মোট ৩,১৭,০০০ মানুষের মতামত নেয়া হয়।
জরিপ থেকে জানা যায়, পরকীয়ার কথা স্বীকার করে এমন পুরুষের সংখ্যা তুরস্কে বেশি।
অন্যদিকে ইসরায়েলের পুরুষরা পরকীয়া করলেও সেটি স্বীকার করতে একবারেই নারাজ।.
মনের গভীরে পরকীয়ার বাস
ব্রিটেনের অধিবাসীদের যৌনতা এবং জীবনযাপন পদ্ধতির ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার নাম ন্যাটসা।
এর প্রধান বিশ্লেষক ড. ক্যাথরিন মার্সার বলছেন, পুরুষদের তুলনায় নারীরা অবশ্য পরকীয়ার কথা স্বীকার করেন কম।
যৌন আচরণের প্রশ্নে নারীদের প্রকাশ যে ভিন্ন সে কারণেই এমনটা হয় বলে তিনি ব্যাখ্যা করছেন।
নিজের স্বামীকে লুকিয়ে পর পুরুষের সাথে প্রেম করেছেন, একথা তারা মোটেই প্রকাশ করতে চান না।
যৌন সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বয়সও একটা বড় ভূমিকা পালন করে বলে তিনি জানান।
``গড়পড়তা পুরুষরা তাদের চেয়ে কম বয়সী মেয়েদের সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয়।`` তিনি ব্যাখ্যা করছেন, ``ধরে নিন, যে পুরুষ তার চেয়ে কম বয়সী অবিবাহিত নারীর সাথে সম্পর্কে করছে, সে কিন্তু তার স্ত্রীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতাই করছে। কিন্তু তার কম বয়সী সঙ্গিনীর জন্য সেটা কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা হচ্ছে না।``
তবে তিনি বলেন এর ভিন্ন একটি দিকও রয়েছে। `চিট` পুরুষদের মধ্যে অনেকেই অর্থের বিনিময়ে তার যৌন চাহিদা পূরণ করে থাকে। সেটিও বিশ্বাসঘাতকতার আরেক নমুনা।
ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে চালানো বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় স্বামীরা স্ত্রীদের চেয়ে বেশি পরকীয়া করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এক সোশাল সার্ভেতে জানা যায়, বিবাহিতদের মধ্যে স্ত্রীকে লুকিয়ে অন্য মহিলার সাথে সেক্স করেছেন এমন পুরুষের সংখ্যা নারীদের চেয়ে দ্বিগুণ।
ব্রিটেনে একই সাথে একাধিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন ১৫% পুরুষের। অন্যদিকে, নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৯%।
ফ্রান্সের ইন্সটিটিউট অফ পাবলিক ওপিনিয়নের জনমত জরিপ বলছে, প্রায় অর্ধেক (৫৫%) ফরাসী এবং ইতালিয়ান পুরুষ স্বীকার করেছেন যে জীবনের কোন এক সময় তারা জীবনসঙ্গীকে ঠকিয়ে অন্যের সাথে সম্পর্কে করেছেন।
ঐ একই জরিপে ৩৪% ইতালিয়ান মহিলা এবং ৩২% ফরাসি মহিলা একইভাবে পরকীয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
মানুষের যৌন আচরণ সম্পর্কে জানতে কনডম প্রস্তুতকারী কোম্পানি ডিউরেক্স ৪১টি দেশে একটি বিশাল জনমত জরিপ চালায়।
এই জরিপে মোট ৩,১৭,০০০ মানুষের মতামত নেয়া হয়।
জরিপ থেকে জানা যায়, পরকীয়ার কথা স্বীকার করে এমন পুরুষের সংখ্যা তুরস্কে বেশি।
অন্যদিকে ইসরায়েলের পুরুষরা পরকীয়া করলেও সেটি স্বীকার করতে একবারেই নারাজ।.
মনের গভীরে পরকীয়ার বাস
ব্রিটেনের অধিবাসীদের যৌনতা এবং জীবনযাপন পদ্ধতির ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার নাম ন্যাটসা।
এর প্রধান বিশ্লেষক ড. ক্যাথরিন মার্সার বলছেন, পুরুষদের তুলনায় নারীরা অবশ্য পরকীয়ার কথা স্বীকার করেন কম।
যৌন আচরণের প্রশ্নে নারীদের প্রকাশ যে ভিন্ন সে কারণেই এমনটা হয় বলে তিনি ব্যাখ্যা করছেন।
নিজের স্বামীকে লুকিয়ে পর পুরুষের সাথে প্রেম করেছেন, একথা তারা মোটেই প্রকাশ করতে চান না।
যৌন সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বয়সও একটা বড় ভূমিকা পালন করে বলে তিনি জানান।
``গড়পড়তা পুরুষরা তাদের চেয়ে কম বয়সী মেয়েদের সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয়।`` তিনি ব্যাখ্যা করছেন, ``ধরে নিন, যে পুরুষ তার চেয়ে কম বয়সী অবিবাহিত নারীর সাথে সম্পর্কে করছে, সে কিন্তু তার স্ত্রীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতাই করছে। কিন্তু তার কম বয়সী সঙ্গিনীর জন্য সেটা কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা হচ্ছে না।``
তবে তিনি বলেন এর ভিন্ন একটি দিকও রয়েছে। `চিট` পুরুষদের মধ্যে অনেকেই অর্থের বিনিময়ে তার যৌন চাহিদা পূরণ করে থাকে। সেটিও বিশ্বাসঘাতকতার আরেক নমুনা।
আরও কিছু পোষ্ট
:
· টেলিটকের সকল ইন্টারনেট প্যাকেজ
· নামাজের কয়েকটি উপকারিতা
· হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তালিকা- Hospitals
· ওয়েব সাইট তৈরির গাইড লাইন
· Bangladeshi Passport- অনলাইন এ্যাপ্লিকেশন
· জনপ্রিয় ৫টিএ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট
bd পরকীয়া, অবৈধ সম্পর্ক,
No comments:
Post a Comment