BCS
বিসিএস
Online
আবেদন
ফরম যেভাবে পূরণ করতে হয়:-
ওয়েবসাইটে ঢোকার পূর্বে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতের
কাছেই রাখুন। যেমন- ছবি ও স্বাক্ষর সাইজ করে ডেস্কটপে রাখুন, নাম,
ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য এবং সর্বোপরি সুচিন্তিত ক্যাডার চয়েস লিস্ট।
সব তথ্য কাছে থাকলে- বিসিএস আবেদনসংক্রান্ত ওয়েবসাইটের এই লিংকে bpsc.teletalk.com.bd গিয়ে Online Application for 41th BCS-এ ক্লিক করে General Cadre, Technical Cadre এবং Both Cadre—এই তিনটি অপশন থেকে কাঙ্ক্ষিত অপশনে
প্রবেশ করে ফরম পূরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। বিসিএস ফরম
পূরণে যেসব ক্যাটাগরি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত, সেগুলো হলো—
১) প্রার্থীর নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, জন্ম তারিখ— এসএসসিতে যেভাবে আছে সেভাবেই লিখতে হবে।
সার্টিফিকেটে মা-বাবা মৃত থাকলে Late লিখতে হবে, না থাকলে মৃত লেখার দরকার নেই। জন্ম
তারিখ লিখতে ভুল করলে আপনার প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে।
এছাড়াও Gender দিন, বৈবাহিক অবস্থা দিন,
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর হয়ে থাকলে YES করে
দিন। প্রতিবন্ধী হয়ে না থাকলে None করে দিন।
২) আপনার উচ্চতা ইঞ্চিতে কনভার্ট করে দেবেন।
ওজন আনুমানিক হলেই হবে (২-৪ কেজি কমবেশি হতে পারে)। মৌখিক পরীক্ষার আগে
রেজিস্টার্ড চিকিৎসক থেকে ওজন ও উচ্চতার প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে কোনো ক্যাডারের ওজন ও উচ্চতার আবশ্যিক শর্তের সঙ্গে আপনার ওজন-উচ্চতা
না মিললে সেই ক্যাডার পছন্দক্রমে রাখা ঠিক হবে না।
৩) বেকার হলে Not Employment, রাজস্ব খাতের সরকারি চাকরি হলে Regular Basis under Revenue Budget, স্বায়ত্তশাসিত
প্রতিষ্ঠানে হলে Autonomous
or Semi-autonomous Organization, বেসরকারি হলে Private Organization সিলেক্ট করুন। চাকরির ক্ষেত্রে যা-ই
উল্লেখ করেন, এর জন্য ভাইভার
সময় বিভাগীয় ছাড়পত্র, পুলিশ
ভেরিফিকেশনের ফরমে তথ্য পূরণসহ বাড়তি কিছু ফর্মালিটিজ আছে।
৪) সম্ভব হলে
বর্তমান আর স্থায়ী ঠিকানা একই দেওয়া ভালো।
পরে সুপারিশপ্রাপ্ত হলে ওই এক জায়গায়ই আপনার পুলিশ
ভেরিফিকেশন হবে। যে ঠিকানা দিলে এলাকার মানুষজন আপনাকে চিনবে, সেটা হলে আরো ভালো হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে বাবার ঠিকানা ব্যবহার
করা উচিত।
৫) পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে যেটি দেবেন, সেখানেই পরবর্তী সময়ে প্রিলিমিনারি ও
লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে (তবে মৌখিক পরীক্ষা ঢাকার আগারগাঁওয়ে কর্মকমিশন কার্যালয়ে
হবে)। পরে কেন্দ্র পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই।
৬) প্রিলিমিনারি প্রশ্ন ইংরেজিতে পেতে চাইলে ইংরেজি
ভার্সনে টিক চিহ্ন দেবেন। তবে লিখিত পরীক্ষা আপনি ইচ্ছামতো ভার্সনে দিতে পারবেন, এর জন্য টিক মার্ক দিতে হবে না। লিখিত
পরীক্ষায় এক বিষয়ের পুরো খাতা যেকোনো এক (বাংলা/ইংরেজি) ভার্সনে লিখতে হবে।
৭) ডিগ্রি বা সাবজেক্ট অপশনে আপনার ডিগ্রি বা বিষয়ের নাম
না থাকলে আদারসে গিয়ে লিখুন। তবে ডিগ্রি তালিকা থেকে অনার্স সিলেক্ট করাই ভালো (তা
না হলে অনেক সময় বিষয়ের সঙ্গে মিল থাকার পরও প্রফেশনাল ক্যাডার দেখাবে না)। যাঁরা
অ্যাপিয়ার্ড দিয়ে আবেদন করবেন, তাঁরা পরীক্ষা
শুরু ও শেষের তারিখ লিখুন। এ ক্ষেত্রে মৌখিক পরীক্ষার সময় আবেদনের সময়ের শেষ
তারিখের মধ্যে আপনার সব পরীক্ষা শেষ হয়েছিল মর্মে বিভাগীয় প্রধানের প্রত্যয়নপত্র
দিতে হবে।
৮) ক্যাডার চয়েসের সময় নিজের পছন্দের সঙ্গে আপনার
পছন্দের ক্যাডারের জন্য কতটা ফিট (ভাইভা বোর্ডে এই বিষয়টা খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়)
সেটাও চিন্তা করুন। পররাষ্ট্র ক্যাডারে পদসংখ্যা খুব কম, পছন্দ হলে এটি প্রথমেই দিতে পারেন।
অর্থাৎ চয়েসে যেটা যেখানে রাখলে ভালো, সেটা সেই ক্রমেই রাখবেন। সব ক্যাডারেরই সমান মর্যাদা; কিন্তু কাজের ক্ষেত্র অনুযায়ী ভিন্ন
ভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।
৯) আগের ছবির সাথে চেহারার যদি পরিবর্তন হয় সেক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ছবি
ব্যবহার করাই উত্তম। সম্প্রতি তোলা ৩০০ বাই ৩০০ পিক্সেলের রঙিন ছবি (ছবির সাইজ ১০০ কিলোবাইটের
বেশি হতে পারবে না) এবং ৩০০ বাই ৮০ পিক্সেলের স্বাক্ষর (স্বাক্ষরের সাইজ ৬০
কিলোবাইটের বেশি হতে পারবে না) ব্যবহার করুন। স্বাক্ষরের জায়গায় নিজের জাতীয়
পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে স্বাক্ষর দেওয়া ভালো। চূড়ান্ত সুপারিশ পর্যন্ত সব ধাপের
কাগজপত্রে একই স্বাক্ষর দেবেন।
১০) অধিক সতর্কতার জন্য আবেদনের হার্ডকপি কলম দিয়ে পূরণ
করে এরপর অনলাইনে পূরণ করতে পারেন। আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর আপনার User ID এবং Password
সংরক্ষণ করে
রাখবেন, পরে দরকার
পড়বে।
১১) আবেদন ফরম পূরণ হয়ে গেলে পূরণকৃত Applicant
Copy ও Admit Card স্বযত্নে সংরক্ষণ করে
রাখুন। পরবর্তীতে এই দুইটার প্রয়োজন অপরিসীম।
No comments:
Post a Comment