১। ন্যূনতম বিল শোধ
অনেকেই মনে করেন, ক্রেডিট কার্ডের ন্যূনতম বকেয়া অর্থ দিলেই অতিরিক্ত চার্জের হাত থেকে বাঁচা যাবে। কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। প্রকৃতপক্ষে ন্যূনতম পরিমাণ হল বকেয়া ব্যবহারকারীদের বিলের একটি ছোট অংশ, সাধারণত যা ৫ শতাংশ হয়। এতে কেবল লেট ফি থেকে বাঁচা যায়। কিন্তু বাকি বকেয়া না মেটালে পরের মাসে মোটা হারে তার সুদ দিতে হয়। এই সুদের হার বার্ষিক ৪০ শতাংশের বেশি। তাই নির্ধারিত দিনের মধ্যে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিলেই নিশ্চিন্তে থাকা যাবে।
২। ক্রেডিট কার্ডে এটিএম থেকে টাকা তোলা
ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে এটিএম থেকে টাকা তোলা যায়। কিন্তু অনেকে মনে করেন, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও একই কাজ করা যায়। এটা ঠিক নয়। ক্রেডিট কার্ড দিয়ে এটিএম থেকে নগদ টাকা তুললে এক দিনও ‘ইন্টারেস্ট-ফ্রি’ সময় দেওয়া হয় না। সুদের হিসেব শুরু হয়ে যায় প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। তাই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নগদ টাকা তোলা এড়ানো উচিত।
৩। লাইফটাইম ফ্রি ক্রেডিট কার্ড
অনেকেই মনে করেন লাইফটাইম ফ্রি ক্রেডিট কার্ড বোধহয় সেরা। কিন্তু এটাও ভুল ধারণা। খরচের প্যাটার্ন অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ড নির্বাচন করা উচিত। অ্যামাজন পে, আইসিআইসিআই লাইফটাইম ফ্রি ক্রেডিট কার্ড দেয়। কিন্তু দূর ভ্রমণের জন্য সেটা সেরা বিকল্প নাও হতে পারে। আবার পেট্রোল, ডিজেলের বিল মেটানোর সময় জ্বালানি ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে ভালো। অর্থাৎ লাইফটাইম ফ্রি ক্রেডিট কার্ড সব জায়গায় সমান কাজে লাগে না।
৪। অব্যবহৃত ক্রেডিট কার্ড
পুরনো অব্যবহৃত ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করতে গেলে ক্রেডিট স্কোর কমে যেতে পারে। তাই শূন্য ব্যালেন্স-সহ সেটা সক্রিয় রাখাটাই হবে স্মার্ট পদক্ষেপ। এতে ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকবে।
৫। ৪০ থেকে ৫০ দিন সুদ-মুক্ত সময়
সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ দিন থাকে সুদ-মুক্ত বা ইস্টারেস্ট ফ্রি সময়। এই সময়ের মধ্যে কেনাকাটা করে বিল মিটিয়ে দিলে এক পয়সাও সুদ দিতে হবে না। তাই এই সময়টার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
No comments:
Post a Comment