কলা গাছের কান্ড থেকে বিপুল আয়, এই ব্যবসার খুঁটিনাটি জানুন

এই কাণ্ডকেই যদি জৈব সারে পরিণত করে বিক্রি করা হয় তবে ভালো মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।

বর্তমান যুগে মানুষ নিজের শরীরকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে অনেক কিছু করে থাকে। তাই পুষ্টিকর খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে সবাই। মানুষ এমন পণ্য খাওয়ার চেষ্টা করে, যার মধ্যে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার কম করা হয়েছে। এমতাবস্থায় চাষাবাদের সময় রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করে ফসল ফলানো হলে মানুষের কাছে এই ফসল বেশি গ্রহণযোগ্য হবে। আমাদের আজকের আলোচিত বিষয়টিও এমন ধরনের কৃষি ও জৈব সার সম্পর্কিত।


অনেক সময় কলার কান্ডকে অকেজো মনে করে কেটে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই অকেজো মনে হওয়া কলার কান্ড যদি হয়ে ওঠে আয়ের উৎস! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কলার কান্ড থেকে জৈব সার তৈরি করা যায় এবং এই সার বাজারে বিক্রি করে ভালো লাভ করাও সম্ভব। কলার চাষ করা কৃষকরা সাধারণত এই গাছের কান্ডকে অকেজো মনে করে কেটে ফেলে দেয়, যা পরিবেশ ও মাটি উভয়ের উপরই প্রতিকূল প্রভাব ফেলে। যার ফলে মাটির উর্বরতা কমে যায়। কিন্তু এই কান্ডকেই যদি জৈব সারে পরিণত করে বিক্রি করা হয় তবে ভালো মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।


কীভাবে এই সার তৈরি করা হয়? 

প্রথমত, একটি গর্ত খনন করে তাতে কলার কান্ডটি রাখতে হবে। কাণ্ডটির সঙ্গে গর্তে রাখতে হবে গোবর ও আগাছা। এরপর ওই গর্তে পচনশীল স্প্রে করতে হবে। পচনশীল স্প্রে করার ফলে কান্ড এবং অন্যান্য উপাদান পচে গিযে জৈব সারে পরিণত হবে যা কৃষকরা তাদের ক্ষেতে ব্যবহার করে রাসায়নিকমুক্ত ফসল ফলাতে পারবে। এছাড়া এটি বাজারে বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। আজকাল সরকার রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সারের ব্যবহার করার কথা বলছে। জৈব সার তৈরি করতে খুব বেশি খরচ হয় না। তাই এই সার থেকে আয় ও নিট মুনাফা প্রায় একই হতে পারে।


সরকার জৈব সার ব্যবহার করার বিষয়ে কী বলছে? 

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মানুষকে জৈব সার ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত করছে। এই সারের কত গুণ রয়েছে, সেই সম্বন্ধে জানানো হচ্ছে কৃষকদের। এবিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। জৈব সার ব্যবহার করার জন্য মাটির উর্বর শক্তি বজায় থাকার পাশাপাশি রাসায়নিকমুক্ত খাদ্য খাওযার ফলে মানুষের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

No comments:

Post a Comment