চাকরীর এই দুর্দিনে ব্যবসা করে ভালো উপার্জন করা সম্ভব। তবে নতুন ব্যবসা শুরু করার আগে যেটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটি হলো মূলধন। কিন্তু আজকের এই নতুন ব্যবসায় মাত্র ৫ হাজার টাকায় শুরু করতে পারেন। আর তাতেই আপনি লাভের মুখ দেখবেন। পুরো আইডিয়া পেতে পুরো প্রতিবেদন পড়বেন, ও অন্যদের শেয়ার করে আমাদের উৎসাহ দেবেন।
সামান্য কিছু পুঁজি বিনিয়োগ করে ব্যবসার মাধ্যমে লাখপতি হয়ে যেতে পারেন। নতুন ব্যবসা করতে গেলেই প্রথমেই যে বিষয়টি মাথার মধ্যে আছে তা হল পুঁজি। মোটা টাকার বিনিয়োগ ছাড়া ব্যবসায় লাভ করা কঠিন। যেকোনো নতুন ব্যবসা করতে গেলেই একটা বিরাট পরিমানে মূলধনের প্রয়োজন পড়ে। তারপর সেই ব্যবসা শুরু করলে সেখান থেকে কতখানি লাভ হবে, তার নিশ্চয়তা থাকে না।
কারণ বর্তমানে ব্যবসায় প্রচুর প্রতিযোগিতা। এরকম একটা সময়ে এমন একটি নতুন ব্যবসার সন্ধান দেওয়া হবে, যেখানে সামান্য টাকা বিনিয়োগ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। সারা বিশ্ব জুড়েই এই ধরনের আর্থিক পরিস্থিতি চলছে। সেখানে ভারতবর্ষে সেই অবস্থা আরো খারাপ। সরকারি বা বেসরকারি যে কোনো ক্ষেত্রেই কর্মসংস্থান প্রায় নেই বললেই চলে।
নতুন ব্যবসার আইডিয়াঃ
সরকারের কথা বাদ দিলে বেসরকারি বহু ক্ষেত্রেই নিয়মিত কাজ করার পরেও সঠিক সময়ে বেতন মিলছে না। বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বর্তমানে দেশ জুড়ে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে। এই রিপোর্ট সামনে এসেছে। ফলে যখন চাকরির বাজার খুবই খারাপ, সেই সময় বেঁচে থাকার জন্য কিছু করার প্রয়োজনীয়তার কথা চিন্তা করলেই সামনে উঠে আসে ছোটখাটো কোনো ব্যবসা করা। যার মাধ্যমে অন্ততপক্ষে দিন গুজরান করা সম্ভব।
কিন্তু এমন কোন ছোটখাটো ব্যবসা করবেন, যেখানে সামান্য পুঁজি বিনিয়োগ করেই দৈনন্দিন জীবন যাপন করা যেতে পারে। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন, প্রতিদিন দেশজুড়ে প্রায় সমস্ত মানুষ অব্যবহৃত জিনিস ফেলে দিচ্ছেন। অর্থাৎ তা বর্জ্য হিসাবে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই প্রতিদিন একটা বিরাট পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ জমা হয়ে যায়। প্রতিবছর সারা বিশ্বে মানুষের ফেলে দেওয়া বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ ২ বিলিয়ন বা ২ কোটি টন।
সেখানে আমাদের দেশে ফেলে দেওয়া বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ কয়েক মিলিয়ন টন। এবার এত পরিমানে বর্জ্য পদার্থ দিয়ে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিস তৈরি করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে একদিকে যেমন বর্জের রিসাইক্লিং এর মাধ্যমে নতুন জিনিস তৈরি করা যাবে, পাশাপাশি পরিবেশ আরো সুন্দর হয়ে উঠবে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, বর্জ্য পদার্থের মাধ্যমে ব্যবসা করা যায়। যে ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। কিন্তু কিভাবে শুরু করা যেতে পারে?
সে ক্ষেত্রে ফেলে দেওয়া বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে সেগুলোকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করে সৌখিন জিনিস তৈরি করতে হবে। যে জিনিস ইউনিক হবে, দৃষ্টিনন্দন হবে। দেখা গিয়েছে, বর্জ্য পদার্থকে ব্যবহার করে তারপর সেখানে শিল্পের ছোঁয়া লাগিয়ে এক অসাধারণ উপাদান তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। যার চাহিদা প্রচুর এবং এই জিনিসগুলির বাজার পেতে খুব একটা সমস্যা হয় না। তবে নিজের ইউনিক আইডিয়াকে নতুন ব্যবসার কাজে লাগিয়ে নিত্যনতুন পরিকল্পনার মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ দিয়ে সুন্দর জিনিস তৈরি করতে হবে।
তারপর সেই জিনিসগুলোর ছবি তুলে বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে আপলোড করতে হবে। সেখান থেকেই অনলাইনে ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। এর জন্য দোকান ঘরের প্রয়োজনীয়তা নেই। অনলাইনে ক্রেতাদের চাহিদা বাড়লে এই নতুন ব্যবসা করে একটা বিরাট পরিমাণে টাকা আয় করা সম্ভব। এবার আপনিই পরিকল্পনা করুন এই নতুন ব্যবসায় কোন ধরনের ব্যবহৃত মাল দিয়ে শুরু করবেন।
No comments:
Post a Comment