জীবন থেকে নেওয়া ক‌য়েকটি পরামর্শ আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেবে

একটি ভালো পরামর্শের চেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী আর কিছুই হতে পারে না। সঠিক সময়ে সঠিক শব্দটি শোনার মাধ্যমে আপনি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারবেন। আগে সমাধানে অক্ষম ছিলেন এমন কোনো সমস্যার সমাধানও করতে পারবেন। অথবা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ঠিক সময়ে নিজেকে মনে করিয়ে দিতে পারবেন।
এখানে এমন ১৭টি পরামর্শ তুলে ধরা হলো যেগুলো বিভিন্ন মানুষের জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। এগুলো আপনার দুনিয়াকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেবে।

১. ''আপনি যদি বিব্রত হন তা শুধুই বিব্রতকর''।
২. ''উচ্চ বিদ্যালয় শেষ হয় কিন্তু কেউই তা শেষ হওয়ার পর আর তা নিয়ে মাথা ঘামায় না।''
নিজের জন্য একটি ভবিষ্যত গড়তে শিখুন- এমনকি কলেজে থাকার সময়ও, আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে যখন আপনি সেখানে আছেন।
৩. ''নিজেকে ক্ষমা করুন''
অতীতের ব্যর্থতা নিয়ে নিজেকে তিরস্কার করলে তা বদলে যাবে না। এতে বরং আপনি আরো বেশি তিরস্কৃত হবেন। অতীতে কেন ভালো হলো না তা নিয়ে যতই মাথা ঘামান না কেন তাতে তা বদলে যাবে না। আপনি অতীতে যেমন ছিলেন তা মেনে নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সেখান আটকে থাকলে চলবে না।
৪. ''যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি ভালো কর্মনীতি রপ্ত করা শিখুন''
এটি জীবনে আপনাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
৫. ''কোনো বিষয়ে গোলমাল পাকানোর পর তার দায়িত্ব গ্রহণ করুন''
এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন।
৬. ''অন্যদের ঘিরে নিজের কোনো কিছুর পরিকল্পনা করবেন না''
নিজের কাজে নিজে করুন। কখনোই অন্যদের ঘিরে নিজের কোনো কিছুর পরিকল্পনা সাজাবেন না। আপনি যদি গান শিখতে চান, জিমে যেতে চান বা ভ্রমণে যেতে চান তাহলে নিজে নিজেই সব করুন। কেউ যদি আপনার সঙ্গী হতে চায় তাকে সঙ্গে নিন কিন্তু তাদের ওপর ভরসা করবেন না।
৭. ''আপনি আজ যা করছেন তা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি এর জন্য আপনার জীবনের একটি দিন ব্যায় করছেন।''
৮. ''আপনি যদি কোনো ভুল করে সঙ্গে সঙ্গেই তা স্বীকার করেন তাহলে লোকেও তা বেশি দিন মনে রাখবে না''
ভুল করে কখনোই অস্বীকার করতে যাবেন না। কারণ আপনি যতই তা করবেন ততই লোকে আপনাকে ভুল প্রমাণিত করতে এগিয়ে আসবেন।
৯. ''নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে অন্যদেরকে আরাম করার সুযোগ করে দেবেন না''
অন্যদেরকে উষ্ণতা সরবরাহ করার জন্য আপনার নিজের গায়ে আগুন লাগানোর দরকার নেই।
১০. ''ভয় পান! কিন্তু তারপরও কাজটি করুন!
কোনো কাজ করতে গিয়ে ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসলে চলবে না। বরং ভয় পাওয়ার পরও তা যেকোনো মূল্যে করতে হবে। ১৩ বছর বয়সী ভাই তার ৬ বছর বয়সী বোনকে সাঁতার শেখাতে নিয়ে গেছে। কিন্তু বোনটি কিছুতেই পানিতে ঝাঁপ দিতে চাইছে না। আর শুধু চিৎকার করে বলছে আমি ভয় পাচ্ছি। এমন সময় পানিতে থাকা এক বয়স্কা নারী চেচিয়ে বললেন ভয় পাও! কিন্তু তারপরও কাজটি করো!
১১. ''আপনি যদি মন থেকে কোনো কিছু করতে না চান, তাহলে তা করতে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবেন না''
স্ত্রী তার স্বামীকে নষ্ট স্টোভটি ঠিক করতে বললেন। স্বামী কিছু যন্ত্রপাতি যোগাড় করে স্ত্রীকে খুশি করার জন্য লেগে পড়লেন। কিন্তু এতে তিনি পরিস্থিতি আরো গোলমেলে করে তোলেন। এতে স্ত্রী স্বামীকে নিষ্কর্মা বলে গালি দেন! এবং বলেন, মিস্ত্রি ডেকেই তিনি তা ঠিক করিয়ে নেবেন।
এরপর ওই লোক তার ১০ বছরের সন্তানের দিকে তাকিয়ে বললেন, এটা তোমার জন্যও একটি শিক্ষা। তুমি যদি কিছু করতে না চাও তাহলে ভালো সাজার জন্য তা করতে যাবে না।
১২. ''কাউকে এই প্রত্যাশা নিয়ে বিয়ে করবেন না যে তিনি আপনার চাওয়া মতো বদলে যাবেন বা একইরকম থাকবেন''
এক নারী তার শবযাত্রায় এই কথাটি উচ্চস্বরে বলার ওছিয়ত করে গেছেন, ''কাউকে এই প্রত্যাশা নিয়ে বিয়ে করবেন না যে তিনি আপনার চাওয়া মতো বদলে যাবেন বা একইরকম থাকবেন। আর ছোটখাটো জিনিস যদি আপনাকে সুখী করতে না পারে তাহলে বড় জিনিসও আপনাকে সুখী করতে পারবে না।''
১৩. ''যেকোনো পরিস্থিতিতে খামখেয়ালি আচরণ বা আবেগ প্রকাশ করা ঠিক না''
ধরুন আপনার বন্ধুর মা মারা যাচ্ছে। এমন সময় যদি আপনি কোনো বিষয়ে আবেগ প্রকাশ করতে চান বা খামখেয়ালি আচরণ করেন তা ঠিক হবে না। এর জন্য আপনার সামনে এখনো পুরো জীবন পড়ে রয়েছে।
১৪. ''নিজেকে সঠিক প্রমাণের জন্য তর্ক করবেন না। বরং নিজেকে বুঝানোর উদ্দেশ্যে তর্ক করুন।''
১৫. ''আমরা অন্যদেরকে তাদের কর্ম দিয়ে মূল্যায়ন করি। আর নিজেদের বিচার করি আমাদের অভিপ্রায় দিয়ে।''
১৬. ''আপনি যদি ভাবেন আপনি কিছু একটা জানেন, তাহলে এমন কাউকে খুঁজে বের করুন যারা সে বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন এবং তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।''
১৭. ''কোনো কিছু নিয়ে অযথা মানসিক চাপে ভুগবেন না।''
আপনি যদি কোনো কিছু ঠিক করতে পারেন তাহলে তা করুন। কিন্তু আপনার যদি সে বিষয়ে কিছুই করার না থাকে তাহলে বিষয়টি নিয়ে অযথা মানসিক চাপে ভুগবেন না। কারণ এতে শুধু অযথাই সময় ও শক্তির অপচয় হবে।

No comments:

Post a Comment