রিট আর মামলার মধ্যে পার্থক্য কী? What is the Difference Between Writ and Case?


রিট আর মামলার মধ্যে পার্থক্যঃ

প্রশ্নকর্তাকে ধন্যবাদ এমন প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করার জন্য। রীট এবং মামলার বিষয়ে দেশের নাগরিক হিসেবে সবারই জানা প্রয়োজন।

সাধারণত যেকোন বিষয়ে হোক সেটা দেওয়ানী অথবা ফৌজদারী মামলা হাইকোর্টের অধিন্যস্ত দেওয়ানী/ফৌজদারী আদালতে করা হয়। শুধুমাত্র কিছু মামলা আছে যেগুলোতে সরাসরি হাইকোর্টে যেতে হয়। যেমন- কোম্পানী সংক্রান্ত মামলা, খ্রিস্টান বিবাহ সংক্রান্ত মামলা, কপি রাইট মামলা, এডমিরালটি বা সমুদ্রগামী জাহাজ সংক্রান্ত মামলা। রিট সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে যেকোন নাগরিক রিট আবেদন করতে পারেন।

রিটের বিষয়টি মামলার মত হলেও মৌলিক একটি পার্থক্য আছে। আমরা মামলা করি প্রচলিত আইনের অধীনে হাইকোর্টের অধিন্যস্ত কোর্টে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোন আইনের অধীনে উক্ত সমস্যার কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর অন্যায় করা হচ্ছে। তখন ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ জনস্বার্থে এর প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করতে পারে যাকে রীট বলা হয়। বিষয়টি পর্যালোচনা করে হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। আবার কেউ যদি মনে করেন সরকারের প্রণীত কোন আইন প্রচলিত অন্য আইনের পরিপন্থী বা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক, সে ক্ষেত্রেও আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করা যায়। যিনি মামলা করার যোগ্যতা রাখেন তিনি রীটও করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে বিষয়ে রীট করতে চান সে বিষয়ের প্রতিকার সরাসরি অন্য আইনে উল্লেখ নেই।

উল্লেখ্য, কিছু কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে রিট এবং সাধারণ মামলা দু’টিই করা চলে। রিটে খরচ কিছুটা বেশি হলেও সাধারণত দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।




Syeda Fatema Turz Zohora
‌সৈয়দা ফা‌তেমাতুজ জোহরা
ঢাকা জজ কোর্ট।

No comments:

Post a Comment