ক্ষুদ্র ঋণ-Micro-credit



বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র বিমোচনে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছে। এছাড়াও নারীর ক্ষমতায়ন, পল্লী উন্নয়ন, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, ক্ষুদ্র ব্যবসার প্রসারে ক্ষুদ্র ঋণ অবদান অনস্বীকার্য। বিভিন্ন এনজিও গুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারও জনগনের জন্য ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প চালু করেছে। এনজিও, গ্রামীণ ব্যাংক, সরকারি বেসরকারি ব্যাংকসমূহ, মন্ত্রণালয়ের বিশেষায়িত প্রকল্প্রের আওতাধীন বাংলাদেশে নানা ধরণের ক্ষুদ্রঋণ চালু আছে। ক্ষুদ্রঋণ খাতে নিয়জিত আছে সর্বমোট ২৪৮০ কোটি টাকা (গ্রামীণ ব্যাংকের ৭২০ কোটি টাকা সহ) এবং সর্বমোট গ্রাহকের সংখ্যা কোটি ৫০ লাখ (গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৪
লাখ গ্রাহকসহ)

ক্ষুদ্রঋণ খাতে ঋণ সেবাকে ৬টি ভাগে ভাগ করা যায়:
1.      সাধারণ ক্ষুদ্রঋণ - ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য
2.      ক্ষুদ্র সংস্থা ঋণ
3.      অতি দরিদ্র ঋণ
4.      কৃষিঋণ
5.      মৌসুমি ঋণ
6.      দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ঋণ

৫০,০০০ টাকার নিচে ঋণকে সাধারনত: "ক্ষুদ্রঋণ" ধরা হয়ে থাকে, এর উপরের যেকোনো পরিমান ঋণকে ক্ষুদ্র সংস্থা ঋণ ধরা হয়।

আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ খাত বেশ সহনশীল ছিল এবং জাতীয় অর্থনীতিতে এখনও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ খাত এখন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ প্রগতিশীল। ২০১১ সালে ক্ষুদ্রঋণ খাত থেকে % জিডিপি-তে যোগ হয়েছে। শুধুমাত্র নিবন্ধনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মোট প্রদত্ত ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২০% (১৪৫০ কোটি থেকে ১৭৩৮ কোটি টাকা, জুন ২০১০ থেকে জুন ২০১১ পর্যন্ত) যা কোটি লক্ষ দরিদ্র গ্রাহকের কাছে প্রদান করা হয়।জুন ২০১০ থেকে জুন ২০১১ এর ভিতর সঞ্চয়ের পরিমাণ বেড়েছে ২৩.২৫%, যার পরিমাণ ৬৩৩ কোটি। ২০১০ এর গ্রাহক সংখ্যা ছিল ২৬১ লক্ষ, যাদের ৯৩% ভাগই ছিল মহিলা।

তথ্যসূত্র: ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ

 

প্রধান ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমুহ

গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ


সাথেই থাকুন...


আরও কিছু পোষ্ট :



Search Related: বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ, দারিদ্র বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ, নারীর ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্র ঋণ, পল্লী উন্নয়নে ক্ষুদ্র ঋণ, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ক্ষুদ্র ঋণ, ক্ষুদ্র ব্যবসার প্রসারে ক্ষুদ্র ঋণ, বাংলাদেশ সরকার ক্ষুদ্র ঋণ, এনজিও, গ্রামীণ ব্যাংক, সরকারি বেসরকারি ব্যাংকসমূহ

No comments:

Post a Comment