কারারক্ষী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

এসএসসি পাসেই কারারক্ষী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কারা অধিদপ্তর। এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে ১৬ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

কারারক্ষী (পুরুষ ও মহিলা) পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কারা অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তিটি ছাপা হয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারির কালের কণ্ঠে (পৃ. ১৭)। বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যাবে www.prison.gov.bd/notice-board/recruitments ওয়েবঠিকানা।


আবেদনের যোগ্যতা
এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই আবেদন করা যাবে কারারক্ষী পদে। পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতা কমপক্ষে ১.৬৭ মিটার, বুকের মাপ ৮১.২৮ সেমি ও ওজন কমপক্ষে ৫২ কেজি হতে হবে। মহিলা প্রার্থীদের বেলায় উচ্চতা কমপক্ষে ১.৫৭ মিটার, বুকের মাপ ৭৬.৮১ সেমি, ওজন কপমক্ষে ৪৫ কেজি হতে হবে। বাংলাদেশের নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। তালাকপ্রাপ্ত হলে আবেদন করা যাবে না। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকারীদের জন্য এই নিয়ম শিথিলযোগ্য।
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে সাধারণ প্রার্থীদের বয়সসীমা ১৮ থেকে ২১ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর।
কারারক্ষী (মহিলা) পদে আবেদন করতে পারবেন শুধু ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, সিলেট, সুনামগঞ্জ, খুলনা, যশোর, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, ভোলা, বরগুনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার প্রার্থীরা। জেলা কোটা পূরণ হওয়ায় কারারক্ষী (পুরুষ) পদে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, বাগেরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। নিজ জেলা ছাড়া অন্য কোনো জেলা থেকে আবেদন করা যাবে না।

আবেদনের নিয়ম
যেকোনো টেলিটক নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে আগামী ১৬ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে BDJ SSC Board Keyword SSC Roll SSC Pass Year Home District Code Upazilla Name লিখে  পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ : BDJ DHA 499927 2017 49 DAMUDDYA মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন করলে জেলা কোডের পরে FF লিখতে হবে। এসএসসির বোর্ডের জায়গায় বোর্ডের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখতে হবে। যেমন, এসএসসি বোর্ড ঢাকা হলে DHA লিখতে হবে। জেলার কি ওয়ার্ডের তালিকা পাওয়া যাবে বিজ্ঞপ্তিতে। যাছাই-বাছাই শেষে প্রার্থীদের দেওয়া হবে পিন নম্বরসহ একটি ফিরতি এসএমএস। পরে BDJYES PIN Number Mobile Number লিখে ফের এসএমএস পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
আবেদন ফি বাবদ ১১০ টাকা। তবে এসএমএস চার্জসহ ১২১ টাকা ব্যালেন্স থাকতে হবে। ফি কেটে রাখার পর রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ একটি এসএমএস পাঠানো হবে। রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ এসএমএসটি সংরক্ষণ করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দেওয়া যাবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

পরীক্ষার সময়সূচি
কনফারমেশন পাওয়া সবাইকেই ২১ ফেব্রুয়ারির পর মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার দিনক্ষণ ও স্থান জানিয়ে দেওয়া হবে।

লাগবে যা যা
শারীরিক পরীক্ষার সময় সঙ্গে আনতে হবে নমুনা ফরমের আদলে পূরণ করা আবেদনপত্র। এটি পাওয়া যাবে কারা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে। সঙ্গে নিতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানপ্রধানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, চেয়ারম্যান, মেয়র বা কমিশনারের দেওয়া নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি এবং প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা সত্যায়িত চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। প্রার্থীর নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে মা-বাবার জাতীয় পরিচত্রপত্রের মূল কপি দেখাতে হবে। কোটায় আবেদন করলে জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। কাগজপত্রের মূল কপি ও এক সেট সত্যায়িত ফটোকপি সঙ্গে নিতে হবে।

পরীক্ষার ধরন ও প্রস্তুতি

সহকারী কারা মহাপরির্দশক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, প্রথমে শারীরিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। 
উচ্চতা, ওজন, বুকের মাপ, রক্তচাপ, দৃষ্টিশক্তি ঠিক আছে কি না দেখা হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে প্রার্থীদের একই দিনে অংশ নিতে হবে লিখিত পরীক্ষায়। ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার সময় দেড় ঘণ্টা। উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। মৌখিক পরীক্ষা হবে ৩০ নম্বরের। কারা সদর দপ্তরে কারারক্ষী পদে কর্মরত মো. শফিউল্লাহ বলেন, ‘শারীরিক পরীক্ষায় টিকে গেলে কারারক্ষী পদে নিয়োগের বিষয়টি সহজ হয়। পরের ধাপগুলো তেমন কঠিন নয়। আমার সময়ও তাই হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন করার পর মাঠে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ডেকেছিল। উচ্চতা বেশি হলে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।’ তিনি আরও জানান, লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান থেকে। নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্য থেকেই সাধারণত প্রশ্ন আসে। পাঠ্য বইয়ের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো পড়লেই হবে। বাংলায় আলোচিত গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। ইংরেজিতে দেখতে হবে গ্রামার। গণিতে সাধারণত বীজগণিত থেকে প্রশ্ন আসে। সাধারণ জ্ঞানের জন্য নজর রাখতে হবে সমসাময়িক ঘটনাবলির ওপর। মৌখিক পরীক্ষায় কারারক্ষী বাহিনীকে নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে। দেখা হয় উপস্থিত বুদ্ধিমত্তাও। উভয় পরীক্ষায় আলাদাভাবে পেতে হবে ৪৫ শতাংশ নম্বর।

মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে নেওয়া হয় মেডিক্যাল পরীক্ষা। চুড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের দেওয়া হয় ৬ মাসের প্রশিক্ষণ।

বেতন ও সুযোগ-সুবিধা
চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত একজন কারারক্ষী জাতীয় বেতন স্কেলে ২০১৫ সাল অনুযায়ী ৯০০০-২১৮০০ টাকা স্কেলে বেতন পাবেন। এ ছাড়া নিয়ম মোতাবেক পাবেন সরকারি সব সুবিধা। একজন কারারক্ষী পদোন্নতি পেয়ে সহকারী প্রধান কারারক্ষী, প্রধান কারারক্ষী, সর্বপ্রধান কারারক্ষী ও সার্জন ইন্সপেক্টর পর্যন্ত হতে পারেন।

যোগাযোগ
পরীক্ষাসংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে ০১৭৬৯৯৭০৭০৭ অথবা ০১৭৬৯৯৭১৭৭২ (৯টা থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত) নম্বরে। যোগাযোগ করা যাবে কারা অধিদপ্তর, ৩০/৩ উম্মেশ দত্ত রোড, বকশিবাজার ঢাকা-১২১১ ঠিকানায়।
ওয়েব : www.prison.gov.bd

No comments:

Post a Comment