নাক বন্ধ থাকার কারণে শিশুরা ঘুমাতে পারে না, বিরক্ত হয় ও কাঁদে। আধা কাপ হালকা কুসুম গরম পানিতে চার ভাগের এক চামচ লবণ মিশিয়ে স্যালাইন ড্রপ তৈরি করুন। শিশুকে চিত করে শুইয়ে কাঁধের নিচে একটা তোয়ালে গোল করে মাথাটা খানেক উঁচু করে দিন। এবার ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ড পর পর দুই বা তিন ফোঁটা করে নাকে এই ড্রপ দিয়ে দিন। একটু পর কাত করে নাকের সর্দি বের হতে দিন এবং টিস্যু বা পাতলা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে দিন। কখনোই নাকের ভেতর টিস্যু বা কটন বাড ঢোকাবেন না।
এছাড়াও ঘরে বসেই কয়েকটি উপায়ে আপনার শিশুর ঠান্ডা বা সর্দির চিকিৎসা করতে পারবেন-
মায়ের দুধ
ঠান্ডা-সর্দিতে আক্রান্ত হওয়া শিশুর জন্য সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ হলো মায়ের দুধ। এমনকি যেকোনও রোগের জন্যই এটা উপকারী। বিশেষ করে ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের যেকোনও ইনফেকশন নিরাময়ে কাজ করে এটি। তাই ঠান্ডা-সর্দিতে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ান।
নাকের ড্রপ
ঠান্ডায় শিশুর নাক বন্ধ হয়ে গেলে নাকের ড্রপ ব্যবহার করুন। সর্দিতে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন এটা বাচ্চা জন্মের শুরুতেই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন। ড্রপ বাসায় না থাকলে আপনি নিজেও স্যালাইন ড্রপ তৈরি করতে পারবেন। এজন্য আধা চা-চামচ লবণ ও ৮ চা-চামচ পরিশোধিত গরম পানি মেশাতে হবে। তারপর সেটা ব্যবহার করতে হবে। তবে চা-চামচ ব্যবহার করার অবশ্যই সেটা জীবানুমুক্ত করে নিন।
সরিষা তেল
শিশুর ঠান্ডা-সর্দিতে গরম সরিষা তেল মালিশ করুন। এক কাপ সরিষা তেল হালকা গরম করে এতে রসুনের দুটি কোয়া মেশান। তারপর শিশুর পায়ের তলায়, বুক, পিঠ এবং হাতের তালুতে মালিশ করুন। শরীরে লেগে থাকা অতিরিক্ত তেল নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। এভাবে তেল মালিশ করলে ঠান্ডা-সর্দি থেকে মুক্তি পাবে শিশুরা।
তুলসি পাতা
ঠান্ডা-সর্দিতে তুলসি পাতা খুবই কার্যকরী। বিশেষ করে শিশুদের জন্য তুলসি পাতার রস দারুণভাবে কাজ করে। এজন্য তুলসি পাতার রস করে শিশুকে কিছুক্ষণ পর পর খাওয়ান। এতে সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
তবে মনে রাখবেন, শিশু যা করতে চায় না সেটা নিয়ে জোর করবেন না। একটা না করতে চাইলে অন্য কোনও উপায় অবলম্বন করুন। আর ঠান্ডা-সর্দি নিয়ে মোটেও অবহেলা করা যাবে না। এতে নিউমোনিয়ার মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে।
No comments:
Post a Comment