বিয়েকে ঈমানি দাবি হিসেবে উল্লেখ করেছে ইসলাম। ইসলামের দৃষ্টিতে সুস্থ, সবল ও সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য বিয়ে করা আবশ্যক।
বিয়ের জন্য নারীর চারটি গুণ দেখতে বলেছেন রাসূল সা.
রাসূল (সা.) বলেন, ‘নারীদের চারটি গুণ দেখে বিয়ে করো : তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য ও তার দ্বীনদারী। তবে তুমি দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দেবে। নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০৯০)
যেহেতু বিয়ের মাধ্যমে মানুষ জীবনসঙ্গী নির্বাচন করে, তাই ইসলামী শরিয়ত বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর সাক্ষাৎকে বৈধ করেছে। বরং তাতে উৎসাহিত করেছে। যেন দাম্পত্যজীবনে অতৃপ্তি থেকে না যায়।
কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা বিয়ে করো সেই স্ত্রী লোককে, যাদের তোমাদের ভালো লাগে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩)
হজরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) বলেন, আমি জনৈক নারীকে বিয়ের প্রস্তাব করলাম। রাসূল (সা.) আমাকে বললেন, ‘তুমি কি তাকে দেখেছ? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তাকে দেখে নাও। কেননা এতে তোমাদের উভয়ের মধ্যে ভালোবাসা জন্মাবে।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ৩১০৭)
অন্যত্র রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের নিকট কোনো পাত্র বিয়ের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমাদের যদি পছন্দ হয়, তাহলে তার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করো। অন্যথা জমিনে বড় বিপদ দেখা দেবে এবং সুদূরপ্রসারী বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১০৮৪-৮৫)
অনেকেই বিয়ের সময় পাত্রীর সৌন্দর্য ও সম্পদকে বিবেচ্য বিষয় হিসেবে দেখে। এ ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি চোখে পড়লে মেয়ে ও তার পরিবারের সামনেই মন্তব্য করতে থাকে। যাতে মেয়ের পরিবার কষ্ট পায়, মনঃক্ষুণ্ন হয়। যেমন- মেয়ে কালো, চোখ সুন্দর না, ঠোঁট মোটা ইত্যাদি ইত্যাদি। ইসলাম এভাবে মন্তব্য করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে আত্মিক ও ঈমানের সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিতে বলেছেন।
No comments:
Post a Comment