চাক‌রি‌তে 'জেলা কোটা'র নতুন হার

"সর্বোচ্চ ঢাকা, সর্বনিম্ন বান্দরবান"

সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, বিভিন্ন করপোরেশন ও দপ্তরে সরাসরি নিয়োগে জেলার জনসংখ্যার ভিত্তিতে জেলাওয়ারি পদ বিতরণের হার (কোটা) নতুন করে নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১১ সালের আদমশুমারির পরিসংখ্যার অনুযায়ী এই হার নির্ধারণ করে পরিপত্র জারি করেছে।
আগে ২০০১ সালের আদমশুমারির পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ২০০৯ সালে ২০ ডিসেম্বর জেলাওয়ারি কোটার হার নির্ধারণে করে দিয়েছিল সরকার।
জনসংখ্যা অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে ঢাকা জেলার জনগণ সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলার মানুষ সব থেকে কম শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ কোটা পাবেন।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে আদমশুমারির নতুন রিপোর্ট প্রকাশ হওয়া, বিভিন্ন জেলার জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি এবং নতুন করে দুটি বিভাগ সৃষ্টি হওয়ায় জেলাওয়ারি পদ বিতরণের শতকরা হার সংশোধন করা হয়েছে।
জেলাওয়ারি পদ বিতরণের শতকরা হার নতুন করে নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত আগের পরিপত্র বাতিল করেছে সরকার।

কোন জেলার কত কোটা

ঢাকা বিভাগ : ঢাকা ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ, গাজীপুর ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ, মানিকগঞ্জ শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ, মুন্সীগঞ্জ এক শতাংশ, নারায়ণগঞ্জ ২ দশমিক ০৫ শতাংশ, নরসিংদী ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, ফরিদপুর ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, গোপালগঞ্জ শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ, মাদারীপুর শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ, রাজবাড়ী শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ, শরিয়তপুর শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ, কিশোরগঞ্জ ২ দশমিক ০২ শতাংশ এবং টাঙ্গাইল ২ দশমিক ৫০ শতাংশ কোটা পাবে।

ময়মনসিংহ বিভাগ : ময়মনসিংহ ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, জামালপুর ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, নেত্রকোণা ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং শেরপুর জেলা শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ কোটা পেয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগ : চট্টগ্রাম ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, বান্দরবান শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ, কক্সবাজার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ব্রাহ্মবাড়িয়া ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ, চাঁদপুর ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ, কুমিল্লা ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ, খাগড়াছড়ি শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ, ফেনী এক শতাংশ, লক্ষ্মীপুর ১ দশমিক ২০ শতাংশ, নোয়াখালী ২ দশমিক ১৬ শতাংশ, রাঙ্গামাটি শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ কোটা পেয়েছে।
রাজশাহী বিভাগ : রাজশাহী ১ দশমিক ৮০ শতাংশ, জয়পুরহাট শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ, পাবনা ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ, সিরাজগঞ্জ ২ দশমিক ১৫ শতাংশ, নওগাঁ ১ দশমিক ৮১ শতাংশ, নাটোর ১ দশমিক ১৮ শতাংশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং বগুড়া জেলা ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ কোটা পাবে।
রংপুর বিভাগ : রংপুর ২ শতাংশ, দিনাজপুর ২ দশমিক ০৮ শতাংশ, গাইবান্ধা ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ, কুড়িগ্রাম ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ, লালমনিরহাট শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ, নীলফামারী ১ দশমিক ২৭ শতাংশ, পঞ্চগড় শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ, ঠাকুরগাঁও শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ কোটা পেয়েছে।
খুলনা বিভাগ : খুলনা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ, যশোর ১ দশমিক ৯২ শতাংশ, ঝিনাইদহ ১ দশমিক ২৩ শতাংশ, মাগুরা শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ, নড়াইল শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ, বাগেরহাট ১ দশমিক ০২ শতাংশ, সাতক্ষীরা ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, চুয়াডাঙ্গা শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ, কুষ্টিয়া ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং মেহেরপুর জেলা শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ কোটা পেয়েছে।
বরিশাল বিভাগ : বরিশাল ১ দশমিক ৬১ শতাংশ, ভোলা ১ দশমিক ২৩ শতাংশ, ঝালকাঠি শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ, পিরোজপুর শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ, বরগুনা শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ এবং পটুয়াখালী ১ দশমিক ০৭ শতাংশ কোটা পেয়েছে।
সিলেট বিভাগ : সিলেট ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ, মৌলভীবাজার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, সুনামগঞ্জ ১ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং হবিগঞ্জ জেলা ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ কোটা পেয়েছে।

No comments:

Post a Comment