জেএসসি-জেডিসির ফলাফল যেভা‌বে জান‌বেন

আজ দেওয়া হবে জেএসসি ও জেডিসির ফলাফল। মোবাইলে যেভাবে জানা যাবে জেএসসি/জেডিসির ফল :
যেকোনো মোবাইল অপারেটর থেকে ফল জানতে মেসেজ অপশনে গিয়ে JSC/JDC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর (যেমন, Dhaka বোর্ডের জন্য DHA) লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2017 লিখে 16222 নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

হাত বেশি ঘামলে কী করবেন?

হাত কি বেশি ঘামে? আর এটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন? এ সমস্যায় আপনি একা নন, অনেকেই পড়েন। ঘাম শরীরের একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। তবে অনেকের এটি অতিমাত্রায় হয়।
অতিরিক্ত হাত ঘামা কমাতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি প্রকাশ করেছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
বেবি পাওডার ব্যবহার করুন
হাতে ভালো পরিমাণে বেবি পাউডার মাখুন। যতবার প্রয়োজন এটি ব্যবহার করুন। পার্স বা ব্যাগে একটি ছোট বেবি পাউডার বহন করতে পারেন।
ব্ল্যাক টি
হাত ঘামা কমাতে ব্ল্যাক টি অনেকটাই সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা ট্যাননিক এসিড ঘামের গ্রন্থি থেকে ঘাম উৎপন্ন হতে বাধা দেয়।
একটি ভেজা ব্ল্যাক টি ব্যাগকে কয়েক মিনিট হাতের মধ্যে ধরে রাখুন। এভাবে মাঝে মাঝে করতে পারেন।
পাশাপাশি এক বোল গরম পানিতে তিন থেকে চারটি ব্ল্যাক টি ব্যাগ দিন। পাঁচ মিনিট এভাবে রাখুন। এরপর হাতকে ৩০ মিনিট ভেজান। এই পদ্ধতিও অতিরিক্ত হাত ঘামা কমাতে সাহায্য করবে।

আকিকার জন্য কি অনুষ্ঠান করতেই হবে?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫২৩ পর্বে সপ্তম দিন আকিকার অনুষ্ঠান ছাড়া সন্তানের নাম রাখা যাবে কি না, সে সম্পর্কে চট্টগ্রাম থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন আবদুল হালিম। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : সন্তান হলে তো সপ্তম দিনে আকিকা দিয়ে অনুষ্ঠান করে নাম রাখতে হয়। আমি যদি সাত দিনের দিন নাম রাখতে না পারি, আমার যদি তওফিক না থাকে, তাহলে নামটি কি অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই রাখতে হবে নাকি অনুষ্ঠান ছাড়াই নাম রাখা যাবে?
উত্তর : নাম সপ্তম দিনেই রেখে দেবেন। রাসুলের (সা.) হাদিস দ্বারা এটি প্রমাণিত হয়েছে। আপনি আপনার সন্তানের নাম সপ্তম দিনেই রেখে দেবেন। নাম রাখার জন্য অনুষ্ঠান করা শর্ত নয়, অনুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু নাম ঘোষণা করে দিলেই নাম রাখা হয়ে যাবে।
না জানার কারণে যদি সপ্তম দিন অতিবাহিত হয়ে যায়, তাহলে যেকোনো দিন নাম রেখে দিলেই হবে।

জ্বর হলে কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

জ্বর বহুল প্রচলিত একটি রোগ। জ্বর হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তবে সেটি কখন, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৪৮তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. খাজা নাজিম উদ্দীন।
বর্তমানে তিনি বারডেমের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : জ্বর হলে কত দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত?
উত্তর : রোগী যদি খুব টক্সিক না হয়, তাহলে তাড়াহুড়া করতে নেই। আবার গর্ভবতী, শিশু বা অন্য কোনো অসুখ রয়েছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে দ্রুত নিতে হবে। সাধারণত চার দিন পর চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। চার দিন হলে বোঝা যায় ভাইরাল ফিবার, নাকি অন্য কিছু। প্রথম পরীক্ষা টিসিডিসি, হিমোগ্লোবিন ইএসআর করি। লিভারের পরীক্ষা করতে হবে। আরেকটি হলো ব্লাড কালচার। আর যদি প্রস্রাবে সমস্যা হয়, ইউরিন কালচার করতে হবে। এগুলোর বেশি সাধারণত পরীক্ষা করা ঠিক না।
ডেঙ্গু জ্বর ছয় দিনের বেশি থাকে না। অনেক রকম র্যাশ ডেঙ্গুতে রয়েছে। যেটি টিপিক্যাল র্যাশ সেটি ছয় দিনের আগে সারে না। আবার চিকুনগুনিয়ার র্যাশ কিন্তু আগেই ওঠে। র্যাশ চুলকায় বেশি। চিকুনগুনিয়া আর ডেঙ্গুর র্যাশ আলাদা। দেখলেই বোঝা যায়।

সন্তানকে কতদিন পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো যায়?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫২৩তম পর্বে বাচ্চাকে কতদিন পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে সে সম্পর্কে সিলেট থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন অন্বেষা হাসান। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমার একটি মেয়েসন্তান আছে। এই বাচ্চাকে আমি কতদিন পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়াতে পারব?
উত্তর : আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কোরআনে কারিমের মধ্যে এরশাদ করেছেন, ‘মায়েরা তাঁদের সন্তানদেরকে পরিপূর্ণ দুই বছর পর্যন্ত দুধ পান করাবেন। পরিপূর্ণ দুই বছর দুধ পান করানোই হচ্ছে বিধান। তাই দুই বছর আপনি আপনার মেয়েকে দুধ পান করাতে পারবেন।

ব্রণ দূর ক‌রে ত্ব‌কের উজ্জ্বলতা বৃ‌দ্ধি করুন

তেলতেলে ত্বক এবং ব্রণের সমস্যা দূর করতে পেঁপে বীজ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ঘরোয়া মিশ্রণ। পেঁপে বীজ এবং পাতা বেটে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। ত্বকের হারানো ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসবে।

পেঁপে বীজে‌র উপকারিতা

এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যে পেঁপে পছন্দ করেন না। সুস্বাদু এই ফলে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে। পাশাপাশি রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন ক্যারোটিন এবং প্রাকৃতিক আঁশ। কিন্তু শুধু পেঁপেতেই নয়, এর বীজেও রয়েছে অনেক গুণ। যদিও এর স্বাদ এবং গন্ধ একটু তীব্র। পেঁপের বীজ ফেনোয়েলিক এবং ফ্লেবোনয়েড উপাদানে ভরপুর। এতে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস। তাই পেঁপে এবং এর বীজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপটেন হোম রেমিডিস জানাচ্ছে কয়েকটি উপকারিতা।

জাদুটোনা করে কি বিয়ে বন্ধ করা যায়?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৭৪৮তম পর্বে মুন্সীগঞ্জ থেকে চিঠিতে জাদুটোনা করে কারো বিয়ে বন্ধ করা যায় কি না, সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন ফারিয়া আক্তার। অনুলিখনে ছিলেন মুন্সী আবদুল কাদির।
প্রশ্ন : কোনো মানুষ বা জিন-পরী কি কোনো মানুষের বিয়ে জাদুটোনা করে তালাবদ্ধ করে রাখতে পারে? অর্থাৎ বিয়ে হবে না, এমন অবস্থা করে রাখা যায়? যদি যায়, সে ক্ষেত্রে কী করা উচিত? এ পর্যন্ত ৭০ জায়গা থেকে পাত্রপক্ষ আমাকে দেখতে এসেছে, কিন্তু বিয়ে হয়নি। পরে একদিন এক জিন হুজুরের কাছ থেকে জানতে পারলাম, বিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সে জন্য বিয়ে হচ্ছে না। তার কথা শুনে আটবার জাদুটোনা কাটিয়েছি। কিন্তু কোনো ফল পাইনি। এখন আমার কী করা উচিত? দয়া করে উত্তর দেবেন? পারিবারিক ও মানসিক অশান্তিতে ভুগছি। মানুষ আমাকে নিয়ে উপহাস করে।

উত্তর : এটা বাস্তব কথা বলেছেন। এটি আসলেই অশান্তির বিষয়। এখন কথা হচ্ছে, জাদু করতে পারে। জাদুর মাধ্যমে কারো ক্ষতিও করতে পারে। জাদুর মাধ্যমে এ ধরনের কারো ক্ষতি করার কেউ যদি চেষ্টা করে, সেটা করাও সম্ভব; অসম্ভব নয়। জাদুর একটা প্রভাব স্বীকৃত। এটি আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কোরআনের মধ্যে বলেছেন। কিন্তু এর মাধ্যমে মানুষের তাকদিরের পরিবর্তন হয় না। এটি খেয়াল রাখতে হবে, এর মাধ্যমে তার তাকদিরের পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এটি জাদু। এর মাধ্যমে মানুষের কিছু ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। একমাত্র আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের হুকুমেই তা সম্ভব।
পরে আপনি যে কাজটি করেছেন, সেটি হলো কথিত জিন হুজুর আবিষ্কার করে নিয়েছেন। এই জিন হুজুরের কাছে যাওয়ার কারণে শেষে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যে ক্ষতি আপনার হয়েছে, তা আপনি নিজেই বলেছেন যে আপনি আটবার জাদু কাটিয়েছেন। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। এ ক্ষেত্রে ওই জিন হুজুর জাদুটোনা কাটিয়ে দেননি। তিনি এক ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। এই প্রতারণার কারণে আপনি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এখন আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে, আপনাকে সত্যিকার তওবা করতে হবে যে, এটি অন্যায় কাজ হয়েছে। কারণ এটি কুফরি কাজ। আল্লাহর রাসূল (সা.) হাদিসের মধ্যে বলেছেন,
‘সে মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর যা নাজিল হয়েছে, তার সঙ্গে কুফরি করল।’

আর ওই জিন হুজুরকে বিশ্বাস করার কোনো সুযোগই ছিল না। এই ব্যক্তির কোনো কথাই বিশ্বাসযোগ্য নয়। তার কাছে গিয়ে আপনি যে বক্তব্য বিশ্বাস করেছেন, এ বিশ্বাসটুকু কুফরি। এখন আপনাকে প্রথমে তওবা করতে হবে। এর পর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা চেয়ে বেশি বেশি করে যেসব সময়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বান্দাদের দোয়া কবুল করে থাকেন, ওই সময়ে বেশি বেশি করে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। শেষ রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করেন। ইনশাআল্লাহ আপনার যে সমস্যা রয়েছে, তা আল্লাহতায়ালা সমাধান করে দেবেন।

আমাশয় কেন হয়? এর চি‌কিৎসা কী?

আমাশয় কেন হয়?
আমাশয় একটি প্রচলিত রোগ।
প্রশ্ন : আমাশয়ে আমরা আক্রান্ত হই কেন?
উত্তর : আমাশয় হলো একটি বিশেষ ধরনের পাতলা পায়খানাজনিত রোগ। এখানে মলের সঙ্গে মিউকাস বা সাধারণ মানুষ যাকে আম বলে থাকেন অথবা রক্ত অথবা দুটোই গিয়ে থাকে। আমাশয় বা পাতলা পায়খানাজনিত বিশেষ রোগের প্রধান কারণ সংক্রমণ। বিভিন্ন রকমের সংক্রমণ হয়। জীবাণুঘটিত, পরজীবীঘটিত। এটি অপরিচ্ছন্ন খাবার, হাত ও পানীয়র মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। পাশাপাশি কিছু ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হলো সিগেলাফ্লেক্সেরি নামক এক প্রকার জীবাণু অথবা ক্যামপাইলোব্যাকটর জেজোনি নামের এক প্রকার জীবাণু। এগুলো সাধারণত আমাশয় রোগের কারণ। এটি হচ্ছে এক ধরনের সংক্রমণ। আবার রক্ত ও মিউকাস, যেটা মলের সঙ্গে যায়, সংক্রমণ ছাড়াও কিছু কিছু রোগের মধ্যে হয়। একেও আমরা আমাশয় বলি। তবে সেদিক থেকে আমাশয়কে আমরা দুই ভাগে ভাগ করি। একটি হলো স্বল্পমেয়াদি আমাশয়, আরেকটি হলো দীর্ঘমেয়াদি আমাশয়। স্বল্পমেয়াদি আমাশয় সাত দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়। আরেকটি হলো দীর্ঘমেয়াদি আমাশয়। এটি সাধারণত এক মাসের বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়। সেখানেই আমাদের সত্যিকার অর্থে চিকিৎসা নিতে হয়। সত্যিকার অর্থে রোগীকে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। দেখতে হয় আসলে আমাশয়ের কারণ কী, কেন তিনি ভালো হচ্ছেন না। সারা বিশ্বে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ রোগী এ রোগে আক্রান্ত হয়।

স্বল্পমেয়াদি আমাশয়ের চিকিৎসা কী
আমাশয় দুই ধরনের হয়। স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি।

প্রশ্ন : স্বল্পমেয়াদি আমাশয়ের চিকিৎসায় কী দিয়ে থাকেন?
উত্তর : স্বল্পমেয়াদি আমাশয়, যেটি সাতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। আমরা প্রথমে খুঁজে বের করি যে তার কী হলো। খুঁজে বের করে আমরা চিকিৎসা দিই। কালচার সেনসিটিভিটি আসতে অনেকদিন সময় লেগে যায়, ৪০ থেকে ৭২ ঘণ্টা। রোগীর যদি রোগটি খুব বেশি তীব্র হয়ে থাকে, তখন দ্রুত চিকিৎসা দিই। পাঁচ থেকে সাত দিন ওষুধ দিই। মেট্রোনিডাজল নামে এক প্রকার বিশেষ ধরনের ওষুধ রয়েছে, সিপ্রোপ্রক্সাসিন নামে এক ধরনের ওষুধ রয়েছে, সেগুলোর সমস্বয় অনেক সময় দেওয়া লাগে। অথবা কারণ বুঝে কেবল একটি ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করলে রোগী সাধারণত ভালো হয়ে যায়।

ডা. এ কে এম শফিকুল ইসলাম
বারডেম হাসপাতালে গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

একা জবাই করা মুরগি খাওয়া কি জায়েজ?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৯৫৮তম পর্বে একা জবাই করা হালাল কি না, সে সম্পর্কে ঢাকার লালবাগ থেকে চিঠিতে জানতে চেয়েছেন জাহিদ হাসান। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমরা যখন বাজার থেকে কোনো মুরগি ক্রয় করি, তখন বিক্রেতা অনেক সময় নিজে একা জবাই করেন। এই মুরগি খাওয়া কি হালাল হবে নাকি হারাম?
উত্তর : খুবই সুন্দর প্রশ্ন করেছেন। বিক্রেতা একা জবাই করলে নিষেধ নেই। একা জবাই করা জায়েজ। কিন্তু জবাই করার সময় তিনি আল্লাহর নামে জবাই করছেন কি না, সেটা নিশ্চিত হতে হবে। আল্লাহর নামে জবাই হলে আপনি খেতে পারেন। সেটা একা জবাই করলেও কোনো অসুবিধা নেই। জবাই করার জন্য দুজন বা তিনজন থাকা লাগবে, এমনটা শর্ত নয়।

কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনে ৫০০ জন নি‌য়োগ

সহকারী প্রকৌশলী পদে ২১ জন, সংস্থাপন অফিসার পদে ২ জন, সাধারণ পরিচর্যা অফিসার পদে ২ জন, সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক পদে ৪ জন, উপসহকারী প্রকৌশলী পদে ৫১ জন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে ৪১০ জনসহ মোট ৪৯০ জন নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ সরকারের কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন।

সহকারী প্রকৌশলী, সংস্থাপন অফিসার, সাধারণ পরিচর্যা অফিসার ও সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন। বিজ্ঞপ্তিটি পাওয়া যাবে ১১ ডিসেম্বরের ইত্তেফাক ও ১২ ডিসেম্বরের ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে।
উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগে প্রকাশ করা হয়েছে পৃথক একটি বিজ্ঞপ্তি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যাবে ১২ ডিসেম্বরের ইত্তেফাক ও ১৩ ডিসেম্বরের ডেইলি স্টার পত্রিকায়। ১৩ ডিসেম্বরের ইত্তেফাক ও ১৪ ডিসেম্বরের ডেইলি স্টারে প্রকাশিত আরও একটি বিজ্ঞপ্তিতে অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (www.badc.gov.bd) ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি তিনটি।

আবেদনের যোগ্যতা
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের নিয়োগ ও কল্যাণ শাখার উপসচিব প্রশান্ত কুমার মণ্ডল জানান, সহকারী প্রকৌশলী পদে আবেদন করতে লাগবে কৃষি, পানিসম্পদ, তড়িত্, যান্ত্রিক অথবা সিভিল প্রকৌশলে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি। দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর হলেই আবেদন করা যাবে সংস্থাপন অফিসার পদে। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে কর্মচারী ব্যবস্থাপনায় ডিগ্রিধারীদের। সাধারণ পরিচর্যা অফিসার পদে আবেদনের যোগ্যতা স্নাতকোত্তর। সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক পদে থাকতে হবে বাণিজ্য অথবা ব্যবসা প্রশাসনে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
উপসহকারী প্রকৌশলী পদে আবেদনের যোগ্যতা সিভিল, যান্ত্রিক, তড়িৎ, পাওয়ার অথবা সার্ভে প্রকৌশলে ডিপ্লোমা। এইচএসসি হলেই আবেদন করা যাবে অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে। লাগবে প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ ও বাংলায় ২০ শব্দের টাইপিং গতি।

বয়সসীমা
১৪ ডিসেম্বর তারিখে সব পদে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

পরীক্ষা পদ্ধতি
প্রশান্ত কুমার মণ্ডল জানান, অনলাইনে পাওয়া সব আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে যোগ্যদের ডাকা হবে পরীক্ষার জন্য। বিগত সময়ে বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তা, সহকারী প্রকৌশলী, উপসহকারী প্রকৌশলী অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদের নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল সাধারণত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) মাধ্যমে। আগের নিয়োগ পরীক্ষার আলোকে তিনি জানান, এসব পদে মোট ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তা, সহকারী প্রকৌশলী, উপসহকারী প্রকৌশলী পদে ৮০ নম্বরের লিখিত এবং ২০ নম্বরের মৌখিক এবং অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে ৬০ নম্বরের লিখিত, ২০ নম্বরের ব্যবহারিক ও ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।

প্রশান্ত কুমার মণ্ডল জানান, পদ অনুসারে হবে আলাদা প্রশ্নপত্র। সংস্থাপন অফিসার, সাধারণ পরিচর্যা অফিসার পদের লিখিত পরীক্ষায় ৮০ নম্বরের মধ্যে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে ২০ নম্বর করে থাকতে পারে। সহকারী প্রকৌশলী, উপসহকারী প্রকৌশলী ও সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক পদে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে ১০ নম্বর করে এবং সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টাল বিষয়ে ৪০ নম্বর থাকতে পারে।
অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৬০ নম্বর এমসিকিউ পরীক্ষা হতে পারে। এর মধ্যে বাংলায় ১৫, ইংরেজিতে ১৫, গণিতে ১৫, সাধারণ জ্ঞান ও কম্পিউটার বিষয়ে ১৫ নম্বর থাকতে পারে। এ পদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের হতে পারে ২০ নম্বরের ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং ২০ নম্বরের ভাইভা।

পরীক্ষার প্রস্তুতি
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন শেরপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী শাহ্ কিবরিয়া মাহবুব তন্ময় জানান, সহকারী প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলী পদের লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি প্রকৌশল বিষয়ক প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। দুই পদে প্রায় একই ধরনের প্রশ্ন হয়।

বিএডিসি পটুয়াখালীর বাউফলের উপসহকারী প্রকৌশলী লিমন হোসেন জানান, বাংলা বিষয়ে সন্ধি, কারক, এককথায় প্রকাশ, শুদ্ধ করা, যতি চিহ্নের ব্যবহারসহ ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সাহিত্য থেকে প্রশ্ন আসে। ইংরেজি বিষয়ে প্রিপজিশন, ইউজ অব ভার্ব, রাইট ফর্ম অব ভার্ব, স্পেলিং কারেকশন, ন্যারেশন, ট্রান্সলেশন থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয়। গণিতে পাটীগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতি থেকে শর্ট প্রশ্ন আসে। সংস্থাপন অফিসার ও সাধারণ পরিচর্যা অফিসার পদে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্য বই থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয়। সঙ্গে সাধারণ জ্ঞানের সাম্প্রতিক সময়ের নানা ঘটনাসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোয় ভালো ধারণা রাখতে হবে। সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক পদে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও হিসাববিজ্ঞানে দখল থাকতে হবে। বিশেষ করে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বইগুলো থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
লিমন হোসেন আরো জানান, প্রকৌশলী পদের পরীক্ষায় ভালো করার জন্য সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে নিজ বিষয়ের ওপর। ইংরেজিতেও ভালো দখল থাকতে হবে। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখলে কাজে দেবে।
বিএডিসি শেরপুর অফিসে অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত মাসুদ মিয়া জানান, এ পদে বাংলা অংশে বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্য অংশ থেকে প্রশ্ন করা হয়। ইংরেজি বিষয়ে গ্রামার, গণিতে বীজগণিত ও পাটিগণিত এবং সাধারণ জ্ঞানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্য বই থেকে এ পদের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।

বেতন-ভাতা
২০১৫-এর বেতন স্কেল অনুসারে সহকারী প্রকৌশলী, সংস্থাপন অফিসার, সাধারণ পরিচর্যা অফিসার ও সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক পদে ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা স্কেলে, উপসহকারী প্রকৌশলী পদে ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা স্কেলে এবং অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা স্কেলে বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবে।

যোগাযোগ
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, কৃষি ভবন, ৪৯-৫১ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০।
ওয়েবসাইট : www.badc.gov.bd

আবেদন যেভাবে
আবেদন করতে হবে অনলাইনে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের ওয়েবসাইটে (http://badc.teletalk.com.bd) অনলাইন আবেদন ফরম পাওয়া যাবে।
এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে আবেদন ফরম পূরণ, জমাদান ও পরীক্ষার ফি জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। ফরম ও পরীক্ষার ফি জমা দেওয়ার শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা। অনলাইন আবেদন ফরমে প্রার্থীর স্বাক্ষর (৩০০ বাই ৮০ পিক্সেল) এবং ছবি (৩০০ বাই ৩০০ পিক্সেল) স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আবেদন সাবমিট করার পর অ্যাপ্লিকেন্ট কপিটি ডাউনলোড বা প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করতে হবে। সহকারী প্রকৌশলী, সংস্থাপন অফিসার, সাধারণ পরিচর্যা অফিসার, সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক ও উপসহকারী প্রকৌশলী পদে ১০০০ টাকা এবং অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে ফি ৫০০ টাকা। অনলাইনে আবেদনপত্র সাবমিটের সময় থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসে পরীক্ষার ফি জমা দেওয়া যাবে। যোগ্যদের অনলাইনে পরীক্ষার প্রবেশপত্র ইস্যু করা হবে। প্রবেশপত্র http://badc.teletalk.com.bd I www.badc.gov.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। প্রবেশপত্র ওয়েবসাইট থেকে প্রিন্ট করে নিতে হবে। এ ছাড়া প্রার্থীর মোবাইল নম্বরে জানিয়ে দেওয়া হবে পরীক্ষার কেন্দ্র, স্থান ও সময়।

স্বল্প খর‌চে প্রশিক্ষণ পাবে ৭৪৯৫ তরুণ-তরুণী

পোশাক তৈরি, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ইলেকট্রিক্যাল, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, ইলেকট্রনিকসসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৭৪৯৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। আবেদনের শেষ তারিখ ২৬ ডিসেম্বর।

পোশাক তৈরি বিষয়ে ১৬০০ জন, মডার্ন অফিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ে ৯৬০ জন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড হাউসওয়ারিং ১৮০০ জন, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং ১৩০০ জন, ইলেকট্রনিকসে ১৫৭৫ জন, ওভেন সুইং মেশিন অপারেটিং ৮০ জন, সেলসম্যানশিপে ১৫০ জন ও ক্যাটারিং বিষয়ে ৩০ জনসহ মোট ৭৪৯৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। সারা দেশে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

আবেদনের যোগ্যতা
পোশাক তৈরি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড হাউসওয়ারিং, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, ইলেকট্রনিকস ও ওভেন সুইং মেশিন অপারেটিং কোর্সে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস। এসএসসি হলেই আবেদন করা যাবে সেলসম্যানশিপ ও ক্যাটারিং কোর্সে। মডার্ন অফিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন কোর্সে আবেদনের যোগ্যতা এইচএসসি। বেকার তরুণ-তরুণী হতে হবে, বয়স থাকতে হবে ১৮-৩৫-এর মধ্যে। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের বয়স শিথিলযোগ্য।

প্রশিক্ষণের মেয়াদ ও আবেদন পদ্ধতি
পোশাক তৈরি কোর্সের মেয়াদ তিন মাস। মডার্ন অফিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড হাউসওয়ারিং, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, ইলেকট্রনিকস এবং ক্যাটারিং কোর্সের মেয়াদ ছয় মাস। সেলসম্যানশিপ ও ওভেন সুইং মেশিন অপারেটিং কোর্সের মেয়াদ দুই মাস। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।
আবেদন ফরম পাওয়া যাবে www.dyd.gov.bd ওয়েবসাইটে। এ ছাড়া প্রতি উপজেলার উপ-পরিচালক, কো-অর্ডিনেটর, ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বিনা মূল্যে আবেদন ফরম সংগ্রহ করা যাবে। আবেদন ফরম পূরণ করে নিজ উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি বা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি এবং সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

বাছাই প্রক্রিয়া
জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য নেওয়া হবে সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে। পোশাক তৈরি, মডার্ন অফিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড হাউসওয়ারিং, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং ও ইলেকট্রনিকস কোর্সের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে ২৭ ডিসেম্বর। সেলসম্যানশিপ, ওভেন সুইং মেশিন অপারেটিং ও ক্যাটারিং কোর্সের সাক্ষাত্কার ২৮ ডিসেম্বর। মৌখিক পরীক্ষা এবং পরে বাছাইকৃতদের ভর্তির সময় সব মূল কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। কোনো যুব সংগঠন মনোনীত এবং নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

প্রশিক্ষণ ফি ও আবাসন সুবিধা
১ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে শুরু হওয়া এসব প্রশিক্ষণের সব খরচ বহন করবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। তবে প্রার্থীদের কাছ থেকে নামমাত্র প্রশিক্ষণ ফি নেওয়া হবে। তৈরি পোশাক কোর্সটির জন্য ৫০ টাকা, মডার্ন অফিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন এবং সেলসম্যানশিপের জন্য ৫০০ টাকা ফি দিতে হবে। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড হাউসওয়ারিং, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং এবং ইলেকট্রনিকস কোর্স ফি ৩০০ টাকা। ওভেন সুইং মেশিন অপারেটিং ফি ১০০ টাকা এবং ক্যাটারিং কোর্সের ফি ১০০০ টাকা। পুরোপুরি আবাসন সুবিধা না থাকলেও আছে বিনা ভাড়ায় যুব প্রশিক্ষণকেন্দ্রে থাকার সুযোগ। সে ক্ষেত্রে খাওয়াসহ অন্যান্য খরচ নিজেকে বহন করতে হবে।

আছে ঋণসুবিধা
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেইন জানান, কর্মমুখী এসব বিষয়ের প্রশিক্ষণ শেষে রয়েছে কর্মসংস্থানের বেশ সুযোগ। হাতে-কলমে কাজ শেখানো হয় বলে অভিজ্ঞতার দিক থেকে অন্যদের চেয়ে বেশি এগিয়ে থাকে। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তারা যেমন নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে কাজ শুরু করতে পারে, তেমনি রয়েছে চাকরির সুযোগ। তা ছাড়া প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর অসচ্ছলদের জন্য স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়। এক মাস বা কম সময়ের প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা এবং তিন বা ছয় মাসের প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রার্থীরা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা নিতে পারে। অধিদপ্তরের নিজস্ব ফান্ড থেকে দেওয়া এ ঋণের টাকা মাসিক কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।

যোগাযোগ
ভর্তি ও প্রশিক্ষণসংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে হবে নিজ জেলার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে। এ ছাড়া প্রতি উপজেলার উপ-পরিচালক, কো-অর্ডিনেটর, ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার দপ্তরে যোগাযোগ করলে পাওয়া যাবে সব তথ্য। www.dyd.gov.bd ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে ভর্তির সব তথ্য।

প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা :
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, যুব ভবন, ১০৮ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।