ঘি‌য়ের উপকা‌রিতা ব্যাপকতর

ঘি দুগ্ধজাত একটি খাবার। ঘি‌য়ের ব্যবহার যেমন নানা‌বিধ; তেম‌নি পু‌ষ্টিগু‌ণেও এ‌টি অ‌দ্বিতীয় এক‌টি খাদ্য। এ খাবারটির উপকারিতা অ‌নেক।
কা‌জেই এ খাবারটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এ লেখায় তুলে ধরা হলো ঘিয়ের কিছু উপকারিতা।

১. হজম শ‌ক্তি বাড়ায়ঃ হজমের জন্য ঘি অত্যন্ত উপকারী। ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে বাটাইরিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
২. ভিটামিন সমৃদ্ধঃ ভিটামিন এ ও ই থাকায় ঘি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
৩. উপকা‌রি কোল‌স্টেরলঃ কোলস্টেরল দু ধরনের- উপকারি ও ক্ষতিকর। ঘিতে রয়েছে উপকারি কোলস্টেরল।

গর্ভবতী হওয়ার সহজ কিছু উপায়

বিবাহ পরবর্তী জীব‌ন অর্থাৎ দাম্পত্য জীব‌নের অপ‌রিহার্য এক‌টি অংশ সন্তান জন্মদান। অ‌নে‌কেই সময়ম‌তো সন্তান জন্ম দি‌তে পা‌রেন, অ‌নে‌কে আবার সময় পে‌রি‌য়ে গে‌লেও প্রজনন ক্ষমতা কম থাকায় সন্তান ধারণ সম্ভবপর হয় না।

বি‌ভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই দেরি কিংবা অসফল হন। আর তখন দু:খ-অশা‌ন্তিতে জীবন দুর্বিষহ হ‌য়ে ও‌ঠে। এমন সম‌য় কয়েকটি উপায় অবলম্বনে গর্ভবতী হওয়ার প্রতিবন্ধকতা দূর করা যায়।

সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়া‌নোর উপায়ঃ

১. মা‌সিক চক্রকে জানুনঃ
নারীদের মাসিক চক্রের সব সময়ে গর্ভধারণ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আপনার গর্ভধারণের জন্য তাই বেছে নিতে হবে উপযুক্ত সময়। সবচেয়ে ভালো হয় মাসের মাঝামাঝি সময়ে, যখন আপনার দেহ গর্ভধারণের উপযুক্ত থাকে।

২. গর্ভধার‌ণে পজিশন কি গুরুত্বপূর্ণ?
অনেকেই সেক্স পজিশনের সঙ্গে সন্তান ধারণের সম্ভাবনার সম্পর্ক দেখেন। ত‌বে নিরাপদ সেক্স স্টাইল হ‌চ্ছে নারী নি‌চে আর পুরুষ উপ‌রে। যদিও গবেষকরা বলছেন, সে‌ক্সের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কোনো পজিশন নেই। দম্পতিরা যে পজিশনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সেই পজিশনই ভালো।

৩. সে‌ক্সের পর বিশ্রামঃ
সে‌ক্সের পর চিৎ অবস্থায় কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে- শুক্রাণু জরায়ুর ভেতরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এজন্য ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করলে ফলাফল ভালো পাওয়া যাবে।

৪. ‌নিয়‌মিত চেকআপঃ
বিভিন্ন কারণে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে প্রি-প্রেগনেন্সি চেকআপ করা যেতে পারে। আর এতে বোঝা যাবে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যা গর্ভধারণে সহায়ক হতে পারে।

৫. মানসিক চাপ কমানঃ
মানসিক চাপের কারণে শুধু মানসিক নয়, নানা ধরনের শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। আর গর্ভধারণের সমস্যাগুলো এড়িয়ে চলতে মানসিক চাপ অবশ্যই ঝে‌রে ফেলতে হবে।

৬. জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িঃ
অনেকেই দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করে গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকেন। এরপর এ ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলেও হঠাৎ গর্ভধারণ করা যায় না। এজন্য ক‌য়েক মাস দেরি হতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৭. ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগঃ
ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য ও অ্যালকোহলের কারণে শুক্রাণু উৎপাদন যেমন কমে যায়; তেমনি নারীর এসব বদভ্যাস থাকলেও গর্ভধারণে সমস্যা হয়। তাই এসব বদভ্যাস ত্যাগ করা উচিত দ্রুত গর্ভধারণ জন্য।

৮. ওজন কমানঃ
দেহের বাড়তি ওজন গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই ওজন কমানোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

৯. সঠিক ও পু‌ষ্টিকর খাবারঃ
পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হলে গর্ভধারণ সহজ হবে। এজন্য ভিটামিন, মিনারেল, ফ্যাট ও ফাইবারযুক্ত সুষম খাবার খেতে হবে।

@গর্ভধারন ক্ষমতা বৃ‌দ্ধির উপায় বা নিয়ম, #প্রজনন ক্ষমতা #সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়া‌নোর উপায় , #বাচ্চা নেয়ার নিয়ম

কুকুর তাড়া করলে যেসব উপায় অবলম্বন কর‌বেন

অ‌লি-গ‌লি, হাট-বাজার সর্বত্রই বেওয়া‌রিশ কুকু‌রের ছড়াছ‌ড়ি। কুকুর দেখ‌লেই ম‌নে অজানা আতঙ্ক! কখ‌নো আবার সাত-পাঁচ ভাব‌তেই কুকু‌রের তারা খে‌তে হয়। রাতে চলাফেরার সময় কপালে চিন্তার ভাঁজ। পাড়ার রাস্তার মুখেই কুকুরের জটলা।
ভয়ে বয়ে রাস্তা পেরিয়ে বাড়ি যেতেই আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার জোগাড়। হঠাৎ কুকুর তাড়া করলে কী করা উচিত সে বিষয়ে অনেকেই কিছুই জানেন না। একনজরে দেখে নিন, রাস্তায় কুকুরের কু–দৃষ্টি কাটিয়ে নিরাপদে চলাচ‌লের কয়েকটি উপায়।

ত্বক উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত করতে কলার খোসা অ‌দ্বিতীয়

কলার পু‌ষ্টিগুণ সবারই জানা। ত‌বে কলার খোসার গুণ অ‌নে‌কেই জা‌নি না! কলার খোসা ত্বক দ্বিগুণ উজ্জ্বল করতে খুবই কার্যকরী।
কলার খোসায় ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন বি১২ রয়েছে, যা ত্বকে এনজাইম ও প্রোটিনের কাজ করে। এর ভিটামিন সি ত্বক পরিষ্কার করে গভীর থেকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এই খোসা আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে। আর এর আয়রন, জিঙ্ক ও ম্যাগনেসিয়াম ত্বকের দূষিত পদার্থ দূর করে ত্বককে দাগমুক্ত রাখে। যেভা‌বে কার্যকরী ফেসপ্যাক তৈ‌রি কর‌বেন:-

এ্যান্টিবা‌য়ো‌টিক ‌সেবন ও ব্যাক‌টে‌রিয়া বিষ‌য়ে অজানা তথ্য

এ‌ন্টিবা‌য়ো‌টিক (Antibiotics), যা‌কে এ‌ন্টিব্যাক‌টে‌রিয়ালও (Antibacterials) বলা হয়। এ‌টি এ‌ন্টিমাই‌ক্রোবায়াল(Antimicrobial) জাতীয় ঔষধ (Drug)। এ‌ন্টিবা‌য়ো‌টিক ব্যাক‌টে‌রিয়া (Bacteria) সংক্রামণ প্র‌তি‌রো‌ধক চি‌কিৎসায় ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্য‌মে ব্যাক‌টে‌রিয়া দমন বা এর বৃ‌দ্ধি‌কে প্র‌তি‌রোধ করা যায়।
অ্যা‌ন্টিবা‌য়ো‌টিক চি‌কিৎসার এক‌টি শেষ পর্যায়। অনেকেই রেজিষ্টার্ড চি‌কিৎস‌কের চিকিৎসাপত্র ছাড়া ভুলভাবে অ্যান্টিবায়োটিক খায়। এতে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়। যার ক্ষ‌তি সরাস‌রি মানব দে‌হে প্রভাব সৃ‌ষ্টি ক‌রে।
অ্যান্টিবায়োটিক সঠিকভাবে না খেলে ওই অ্যান্টিবায়োটিক আর পরবর্তী সময়ে ভালোভাবে ওই ব্যক্তির শরীরে কাজ করে না বা অ্যান্টিবায়োটিকটি নিজেও অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাছাড়া অনেক সময় ভুল করে বা হাত আন্দা‌জে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে থাকি। আবার খেতে খেতে মাঝপথেই অ্যান্টিবায়োটিক ছেড়ে দিই। এতে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়ে। 

বন্ধ্য‌ত্বের সমস্যা সমাধানে চি‌কিৎসা ও স‌চেতনতা

বন্ধ্যত্ব বর্তমান প্রজন্মের বহু দম্পতিদের কাছে এক বড় মাপের সমস্যা। এই সমস্যা সরাস‌রি প্রভাব ফেলে দাম্পত্য জীবনে। শুধু দাম্পত্য জীবনেই নয়- এর প্রভাবপড়ে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও। সন্তান লাভের আশায় কোনো দম্পতি কোনো প্রকার গর্ভনিরোধক উপায় অবলম্বন না করে এক বছর স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবনযাপনের পরও যখন স্ত্রীর গর্ভসঞ্চার না হয় তখন তাকে বন্ধ্যত্ব বলা হয়। স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করার এক বছরের মধ্যে সন্তান সম্ভাবনা না ঘটলে ত্রুটি স্বামী বা স্ত্রী অথবা উভয়েরই থাকতে পারে।
দেখা গেছে যে, ছয় মাস এক সাথে সহবাসের পর ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে এবং এক বছর পর ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে মহিলারা গর্ভধারণ করে থাকেন।

ডব্লিউএইচও’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের সমগ্র জনসংখ্যার

আমেরিকান এমবাসিতে চাকরি

চাক‌রির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকার আমেরিকান এমবাসি। ‘হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যাসিস্ট্যান্ট’ পদে এই নিয়োগ দেওয়া হবে।

যোগ্যতাঃ
ব্যবসা প্রশাসন, হিউম্যান রিসোর্সেস বা আইটি বিষয়ে স্নাতক পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখিত ও মৌখিক পারদর্শী হতে হবে। এ ছাড়া কম্পিউটার চালনায় জ্ঞানসম্পন্ন প্রার্থীদের আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আবেদন প্রক্রিয়াঃ
আগ্রহী প্রার্থীদের আমেরিকান সব এমবাসির ওয়েবসাইট (bit.ly/2jrGZFa) থেকে ‘ইউনিভার্সাল অ্যাপ্লিকেশন ফর এমপ্লয়মেন্ট (ইউএই)’ (ফরম ডিএস-১৭৪) ফরম সংগ্রহ করতে হবে। ফরমটি পূরণ করে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ডাকযোগে বা সরাসরি আমেরিকান এমবাসিতে পাঠাতে হবে।

আ‌বেদ‌নের শেষ সময়ঃ
আবেদন করার সুযোগ থাকছে ২৬ জানুয়ারি, ২০১৭ পর্যন্ত।

বিডিজবস ডটকমে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিঃ

পেনড্রাইভে ঢুক‌তে সমস্যা! সমাধান দেখুন

আপ‌নি কি পেনড্রাইভে ঢুকতে পারছেন না? অনেক সময় ভাইরাসের প্রভাবে পেনড্রাইভে ঢোকা যায় না। Pendrive is Write Protected বার্তা আসে, ফলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট হয় না। চাইলে সহজেই এর সমাধান করা যাবে।
এ জন্য ইউএসবি পোর্টে পেনড্রাইভ লাগিয়ে নিয়ে CTRL+R বোতাম একসঙ্গে চেপে রান চালু করতে হবে।
এরপর regedit লিখে এন্টার চাপুন। এবার HKEY_LOCAL_MACHINE > SYSTEM > CurrentControlSet > Control > StorageDevicePolicies পর্যন্ত যান।

কোনো কোনো কম্পিউটারে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে StorageDevicePolicies নামের কি থাকে না। না থাকলে Control পর্যন্ত গিয়ে Control-এর ওপর মাউসের ডান বোতামে ক্লিক করুন। New থেকে Key নির্বাচন করুন। এখানে StorageDevicePolicies লিখে এন্টার চাপলে সেটি তৈরি হয়ে যাবে। এবার ডান দিকে রাইট ক্লিক করে New থেকে ৩২-বিট উইন্ডোজের জন্য DWORD (32-bit) value এবং ৬৪-বিটের জন্য DWORD (64-bit) value-তে ক্লিক করে এটির নাম WriteProtect লিখে দিন। WriteProtect-এ দুই ক্লিক করে Value Data Box-এ 0 (শূন্য) লিখে ওকে চাপুন।
এবার স্টার্ট মেনুতে cmd লিখুন। cmd এলে সেটির ওপর মাউসের ডান বোতামে ক্লিক করে Run as administrator চেপে খুলুন।

এবার এখানে diskpart লিখে এন্টার চাপুন।
আবার list disk লিখে এন্টার চাপুন।
তালিকায় আপনার পেনড্রাইভ দেখালে select disk K: লিখুন।
এখানে K: হচ্ছে পেনড্রাইভের ড্রাইভ লেটার, আপনার পেনড্রাইভের ড্রাইভ লেটার জেনে নিয়ে K: এর স্থানে সেটি লিখে এন্টার চাপুন।
এবার attributes disk clear readonly লিখে এন্টার চাপুন।
আবার clean লিখে এন্টার চাপুন।
পরের বার create partition primary লিখে আবার এন্টার চাপুন।
শেষে format fs=fat 32 লিখে এন্টার চাপুন।
কম্পিউটার রিস্টার্ট করে নিয়ে পেনড্রাইভ ফরম্যাট করে নিন।

ওপরের নিয়মে কাজ না হলে আপনার পেনড্রাইভের ড্রাইভ লেটার জেনে নিন। পেনড্রাইভ কম্পিউটারে লাগিয়ে শাটডাউন করুন। আবার কম্পিউটার চালুর বোতাম চেপে দ্রুত কি-বোর্ড থেকে (F8) কি চেপে ধরুন। Advanced Boot Options দেখাবে। এখানে কি-বোর্ডের ওপর-নিচ কি ব্যবহার করে Safe Mode with Command Prompt নির্বাচন করে এন্টার বোতাম চাপুন। ফাইল লোড সম্পন্ন হলে কমান্ড প্রম্পট চালু হবে। এখানে পেনড্রাইভের ড্রাইভ লেটার K: লিখে এন্টার চাপুন। পরেরবার আবারও format K: লিখে এন্টার চাপুন। পেনড্রাইভ ফরম্যাট করতে চান কি না, সেটি জানতে Y/N কি চাপতে বলবে। তাই এখানে Y লিখে আবারও এন্টার চাপলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট হওয়া শুরু করবে।

মাউসের সহজ কিছু কাজ

ক‌ম্পিউটা‌রের অ‌বি‌চ্ছেদ্য এক‌টি ডিভাইসের নাম হ‌লো মাউস (Mouse)। এই মাউসের কাজ কি শুধু ডান আর বাম ক্লিকেই শেষ? না; আস‌লে এর বাইরেও মাউস দিয়ে অনেক মজার কাজ করা যায়। মাউ‌সের এমন কিছু কাজ নি‌চে দেওয়া হলো।

শিফট বোতাম আর মাউস ক্লিক:
সব লেখা সম্পাদনা বা ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারেই নিবন্ধের নির্দিষ্ট অংশ নির্বাচনের সুবিধা থাকে। কোনো পাতার লেখার শুধু মাঝখানের কয়েকটি লাইন নির্বাচন করতে চাইলে সেই লেখার লাইনের শুরুতে মাউসের বাম বোতাম চেপে কি-বোর্ডের শিফট বোতাম চেপে ধরুন, যেখানে

শিশুর ডায়‌রিয়া হ‌লে করণীয় কি কি?

শিশুরা অবুঝ; তাই শিশুদের প্র‌তি প্র‌য়োজন হয় বাড়‌তি যত্ন, আর অসুখ বিসু‌খে নি‌বিড় প‌রিচর্যা ও সম‌য়োপযোগী পদ‌ক্ষেপ। বি‌ভিন্ন কার‌ণে শিশু‌দের রোগ বালাই হ‌য়ে থা‌কে। যার ম‌ধ্যে অন্যতম হ‌লো ডায়‌রিয়া।
ডায়রিয়া খুব প্রচলিত রোগ হলেও সময়মতো চিকিৎসা না নিলে এ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকিও হতে পারে। শিশুদের ডায়রিয়া প্রতিরোধে মায়ের বুকের দুধ খুব জরুরি। বড়দের তুলনায় শিশুরা ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়। অনেক সময় অভিভাবকরা বুঝতে পারে না যে কোনটি ডায়রিয়া, আর কোনটি ডিসেনট্রি !

ডায়রিয়া হলে অনেক সময় এ থেকে পানিশূন্যতা হতে পারে। পানিশূন্যতা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নি‌তে হ‌বে। শিশুদের ডায়রিয়া প্রতিরোধে মা-বাবারও করণীয় আ‌ছে। শিশুদের ডায়রিয়া হলে মা-বাবারা স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানোতে সতর্ক হ‌তে হ‌বে।
বি‌শেষ কিছু কার‌ণে বড়দের তুলনায় শিশুদের বেশি ডায়রিয়া হয়। ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে বড়দের তুলনায় শিশুরা বেশি ঝুঁকিপ্রবণ। তবে এর মধ্যেও কিছু শিশু বেশি ঝুঁকিপ্রবণ হয়। শিশুর ডায়রিয়া খুব মারাত্মক অবস্থায় চলে গেলে হাসপাতালে নেওয়া প্রয়োজন। 

অ্যা‌ন্টিবা‌য়ো‌টিক সেব‌নে- কিছু জরুরি নি‌র্দেশনা

অ্যা‌ন্টিবা‌য়ো‌টিক চি‌কিৎসার এক‌টি শেষ পর্যায়। অনেকেই রেজিষ্টার্ড চি‌কিৎস‌কের চিকিৎসাপত্র ছাড়া ভুলভাবে অ্যান্টিবায়োটিক খায়। এতে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়। যার ক্ষ‌তি সরাস‌রি মানব দে‌হে প্রভাব ফেল‌তে পা‌রে।

অ্যান্টিবায়োটিক সঠিকভাবে না খেলে ওই অ্যান্টিবায়োটিক আর পরবর্তী সময়ে ভালোভাবে ওই ব্যক্তির শরীরে কাজ করে না বা অ্যান্টিবায়োটিকটি নিজেও অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাছাড়া অনেক সময় ভুল করে বা হাত আন্দা‌জে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে থাকি। আবার খেতে খেতে মাঝপথেই অ্যান্টিবায়োটিক ছেড়ে দিই। এতে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়ে। 

কবুতর পালন পদ্ধ‌তি

গৃহপা‌লিত পশু-পা‌খির ম‌ধ্যে কবুতর অন্যতম। বাংলা‌দে‌শে গৃহপালিত পাখির মধ্যে কবুতর খুবই জনপ্রিয়। গ্রাম-গঞ্জ এমনকি শহরের বাসা-বাড়িতেও আজকাল অনেকেই স‌খের পাশাপা‌শি বা‌নি‌জ্যিকভা‌বে কবুতর পালন করে। কম পরিশ্রম ও অল্প খরচে কবুতর পালন করে পরিবারের আমিষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।
অনেক বাড়িতেই হাঁস-মুরগীর মতো কবুতরও পালন করা হয়। সাধারণত পরিবারের গৃহকর্ত্রী ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা কবুতর পালনের কাজ করে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাঠের বাক্সে পুরনো পদ্ধতিতে কবুতর পালন করা যায়। তবে ইদানিং বাজারে বাচ্চা কবুতরের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উন্নত পদ্ধতিতে কবুতর পালনের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উন্নত ও আধু‌নিক পদ্ধতিতে কবুতর পালন করলে অর্থনৈ‌তিকভা‌বে লাভবান হওয়া সম্ভব।

এই লক্ষণগু‌লো দেখে বুঝে নিন, আপনি থাইরয়েডে আক্রান্ত কি না

আমাদের শরীরের মধ্যে গোপনে কোন রোগ ক্রমশ বেড়ে উঠছে, তা আমরা সবসময় বুঝতে পারি না। তার একটা কারণ, আমরা সমস্ত অসুখের লক্ষণগুলো জানি না। তাই শরীর লক্ষণের মাধ্যমে রোগের উপস্থিতি জানান দিলেও, আমরা তা বুঝতে পারি না।

থাইরয়েডঃ আমাদের ঘাড়ের সামনের দিকে যে প্রজাপতি আকৃতির গ্ল্যান্ড দেখতে পাওয়া যায়, সেটিই থাইরয়েড গ্ল্যান্ড। থাইরয়েড হরমোন আমাদের দেহের মধ্যে সজীব উৎপাদনের রাসায়নিক পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করে।
থাইরয়েড হরমোন যেমন একদিকে আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে। তেমনই থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের মাধ্যমে আমাদের শরীরের ক্ষতিও হয় অনেক ক্ষেত্রে। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কর্মহীনতার জন্য আমাদের শরীর অনেক ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যে খাবারগু‌লো

জমকা‌লো শীতের মৌসুম! আর এই শীতে একটু উষ্ণতা অ‌নেক মজার। শীতকালীন আবহাওয়ায় স‌র্দি, কাঁশি, জ্বর, গলাব্যাথা প্রভৃ‌তি নিত্য‌নৈ‌মে‌ত্তিক ব্যাপার। অথচ সামান্য স‌চেতনভা‌বে জীবন-যাপন ক‌রে চল‌লেই; এসব মৌসুমী রোগ‌থে‌কে মু‌ক্তি পাওয়া সম্ভব। আবার এমন কিছু খাবার র‌য়ে‌ছে, যা নিয়‌মিত খাবার মেনু‌তে রাখলে শরী‌রে রোগ প্র‌তি‌রোধ ক্ষমতা বৃ‌দ্ধি পায়। যা শরী‌রকে রোগ থেকে দূ‌রে রা‌খে। শরীর হয় সুস্থ্য-সুন্দর ও মন থা‌কে প্রফুল্ল। তাই ডায়েটে থাক এমন কিছু, যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
শী‌তে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বে‌শি খাওয়া দরকার। কারণ এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরী‌রের বি‌ভিন্ন সংক্রমণ আটকায়।
ভিটামিন বি২, বি৬, ডি, ই ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়ার আক্রমণ ঠেকায়। আয়রন, জিঙ্ক প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। এছাড়াও রোগ প্র‌তি‌রোধ ক্ষমতা বৃ‌দ্ধি ক‌রে এমন কিছু খাবা‌রের সা‌থে

অ্যান্টাসিড খাওয়ার কিছু বিপদ জেনে নিন

সারা দি‌নের ব্যস্ততা, না হয় জীবন যাপ‌নে অ‌নিয়ম। হটাৎ বাড়‌তি কাজের ফ‌লে লাইফস্টাইলেও বদল। সময়ম‌তো না খাওয়া বা বেশিরভাগ সময় খালি পেট। তার ওপর ভাজা-পোড়া ও ফাস্টফুডের প্র‌তি আষ‌ক্তি। এর ফ‌লে শরীরে ভর ক‌রে নানান অসুখ। যা খাচ্ছেন, তাতেই অম্বল। পা‌নি খেলেও পেট ভুটভাট ক‌রে। চোঁয়া ঢেকুর। গলা-বুক জ্বালা। বুকে ব্যথা। এ থে‌কে বাঁচ‌তে, সাত-পাঁচ না ভে‌বেই হাতের কাছে থাকা অ্যান্টাসিড খে‌য়ে নিই। এভা‌বে এন্টা‌সিড খাওয়ার ফ‌লে অ‌নেক সমস্যার সৃ‌ষ্টি হ‌তে পা‌রে। জানেন কি কী বিপদ ডেকে আনছেন?

অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে কিডনির। আর কিডনি দফারফা মানে হুট করে খুলে যাচ্ছে আরও বড় কোন অসুখের দরজা। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকেরা। অ্যান্টাসিড কীভাবে ক্ষতি করছে কিডনির? কী রয়েছে অ্যান্টাসিডে? শুধু কিডনিই নয়, অ্যান্টাসিডে ক্ষতি গোটা শরীরের। চিকিৎসকদের দাবি, অ্যান্টাসিডে রয়েছে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট। যা কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয়। শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালসিয়াম কার্বোনেট অম্বল কমানোর চেয়ে বাড়িয়ে দেয়।

* অ্যান্টাসিডের অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইডও কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয়। কিডনির সমস্যা থাকলে তো বিপদ সাংঘাতিক। রক্তে ফসফেটের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকী ডেকে আনতে পারে অ্যালঝাইমার্স রোগ।

* ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রক্সাইড ও ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইডের কারণে ডায়েরিয়া প্রকট হয়। কিডনির সমস্যা থাকলে তো মারাত্মক বিপদ।

* অ্যান্টাসিডে থাকে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট। রক্তে নুনের প্রকৃতিটাই বদলে দেয়। অ্যান্টাসিডের বিসমুঠ নুন এন্সিফ্যালোপ্যাথি ঘটাতে পারে। মস্তিষ্কের মারাত্মক রোগ। যার অন্য নাম ডিমেনশিয়া।

* অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড মিল্ক অ্যালকালি সিনড্রোম ঘটায়। অর্থাৎ রক্তে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম পৌছানো। যা কিডনি ফেলিওরের জন্য যথেষ্ট।

* দিনের পর দিন অ্যান্টাসিড ব্যবহারে ঘটতে পারে হার্ট অ্যাটাক। দীর্ঘস্থায়ী মাথার যন্ত্রণা এবং হাড়ের রোগ হতে পারে। পেশির ক্ষতি করে। আলসার এবং পাকস্থলীর ক্যানসারের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

তাই অম্বল হলেই যথেচ্ছ অ্যান্টাসিডের ব্যবহার নয়। গোড়া থেকে নির্মূল করতে হবে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা। বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। না হলে কিডনির সমস্যা অ‌তি নিক‌টে।

মাইগ্রেন সমস্যায় অয়েল ম্যাসাজ

মাই‌গ্রেনের ব্যাথা সাধারণত শারী‌রিক ও মান‌সিক কার‌ণে হ‌য়ে থা‌কে। মাইগ্রেনের ব্যাথার শিকার হয়‌নি! এমন সুস্থ্য মানুষ পাওয়া অসম্ভব এক‌টি ব্যাপার। মাই‌গ্রেনের ব্যাথা প্রধানত মানসিক চাপ, দুর্গন্ধ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, ধূমপান প্রভৃতি কারণে সৃ‌ষ্টি হয়। মাই‌গ্রেনের ব্যাথায় অব‌হেলা না ক‌রে অ‌ভিজ্ঞ কোন চি‌কিৎস‌কের সরণাপন্ন হওয়া জরুরী। ত‌বে প্রাথ‌মিকভা‌বে এই ব্যাথা প্রশম‌নে কিছু অ‌য়েল ব্যবহার করা যে‌তে পা‌রে। নি‌ম্নে জে‌নে নিন এমন কিছু এসেনশিয়াল অয়েলের কথা। যা মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে মু‌ক্তি দি‌তে পা‌রে।

শরীর সুস্থ্য রাখতে অপ‌রিহার্য কিছু ভিটামিন ও তার উৎস

সুস্থ্য শরীর, সুন্দর মন। দেহ‌কে সুস্থ্য ও সবল রাখার জন্য আমরা প্র‌তি‌দিন কত কিছুই না ক‌রি! কারণ শরীর চাঙ্গা থাক‌লে সারা‌দি‌নের কা‌জেক‌র্মে প্রাণচাঞ্চল্য হ‌য়ে ওঠে। তাই শরীর সুস্থ্য রাখ‌তে কিছু ভিটা‌মিন গুরুত্বপূর্ণ ভূ‌মিকা রা‌খে। বি‌শেষ ক‌রে মে‌য়েরা তা‌দের শরীর চাঙ্গা রাখতে এইসব ভিটামিন খান।
কখনো স্লিম হতে গিয়ে বাদ পড়ছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন। এর ফ‌লে অ‌নেকের মুখেই অল্প বয়সেই বলিরেখার ছাপ প‌ড়ে। এছাড়াও দেখা দেয় বি‌ভিন্ন সমস্যা, চল‌তে ফির‌তে অস্ব‌স্থি! তাহলে প্র‌তি‌দিন কী কী ভিটামিন না নিলেই নয়? প্রেগন্যান্সিতেই বা কোন ভিটা‌মিন জরুরি? নারীদের কখন কোন ভিটামিন নেয়া আবশ্যিক? কোন খা‌দ্যে কোন ভিটা‌মিন? মানব শরী‌রে কোন ভিটা‌মিন কি কাজ ক‌রে?
চলুন দেখে নেয়া যাক এমন ক‌য়েক‌টি ভিটামিন:-

ভিটামিন এ (A)
‘বিটা ক্যারোটিন’ শরীরে পরিবর্তিত হয়ে তৈরি হয় ভিটামিন-এ। চোখের দৃষ্টি ঠিক রাখতে, ত্বক ভাল রাখতে ও নরম টিস্যুর উৎপাদনে ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাপ্রিকট, গাজর, পেয়ারা, কলা, পেঁপে, পিচ, কুমড়ো, লাল লঙ্কা, পালংশাক, টম্যাটোতে থাকে ভিটামিন-এ।

ভিটামিন সি (C)
ভিটামিন সি-তে থাকে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, যা শরীরের বিভিন্ন ক্ষত, সংক্রমণ সারাতে কাজ করে। শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে, স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে, মনঃসংযোগ বৃ‌দ্ধি করে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিলে বা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন সি অথবা অ্যাসকরবিক অ্যাসিডের মাত্রা শরীরে কমে যেতে থাকে। ব্রকোলি, আঙুর, কিউই, কমলালেবু, আলু, স্ট্রবেরি ও টম্যাটো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।

ভিটামিন ই (E)
ভিটামিন ই নারীদের ক্ষেত্রে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। সানফ্লাওয়ার অয়েল, মার্জারিন, কর্ন অয়েল, কড লিভার অয়েল, পিনাট বাটার, হ্যাজেলনাট ও গমে ভিটামিন ই থাকে।

ভিটামিন কে (K)
বয়স্ক নারীদের হাড় শক্ত রাখতে ও রক্ত জমাট হওয়া আটকাতে ভিটামিন কে খুব ভালো। সয়াবিন অয়েল, ব্রকোলি, সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, ফিশ অয়েল ভিটামিন কে সমৃদ্ধ।

ভিটামিন বি৬ (B6)
ভিটামিন বি৬-কে বলা হয় পেরিডক্সিন। নার্ভের কাজ ঠিক রাখতে, শরীরে খাবারকে এনার্জিতে পরিবর্তিত করতে অর্থাৎ মেটাবলিজমের ক্ষেত্রে এই ভিটামিন প্রয়োজনীয়। নারীদের সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা ঠিক রাখতে, ডিম্বাণু উৎপাদনে কাজ করে এই ভিটামিন। তবে বেশি মাত্রায় এই ভিটামিন শরীরে গেলে ক্ষতিও হয়। মাছ, আলু, অ্যাভোগাডো, কলা, বিনস, মাংস, ওটমিল, দানাশস্য ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ।

ভিটামিন বি১২ (B12)
শরীরের মেটাবলিজম ঠিক রাখার পাশাপাশি, লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে এই ভিটামিন জরুরি। চিজ, ডিম, মাছ, মাংস, দুধ ও দই থেকে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। অ্যানিমিয়া থাকলে এবং নিরামিষ ডায়েটে অভ্যস্ত হলে শরীরে এই ভিটামিনের অভাব দেখা যায়।

ভিটামিন ‌বি১ (B1)
কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটের মেটাবলিজমের ক্ষেত্রে কাজ করে। যত বেশি ক্যালোরি শরীরে ঢুকবে এটি বেশি দরকার হয়। যারা বেশি অ্যালকোহল খান তাদের B1-এর অভাব হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। ভিটামিন বি১ পাওয়া যায় বিনস, দানাশস্য, যব থেকে।

ভিটামিন ‌বি২ (B2)
হেলদি ব্লাড সেল তৈরি করতে, এনার্জি বাড়াতে, হজম শক্তি ঠিক রাখতে, চোখ ও ত্বক ভালো রাখতে দরকার ভিটামিন বি২। দুগ্ধ জাতীয় খাবার, মাংস, ডিম, সবুজ সবজি, বাদাম এই ভিটামিন সমৃদ্ধ

নিয়াসিন বা বি৩
নিয়াসিন হল ভিটামিন বি৩। হার্টের সমস্যা এড়াতে, রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে, ধমনীতে রক্ত চলাচল, হজমশক্তি ও নার্ভ ফাংশন ঠিক রাখতে এর দরকার হয়। গাজর, বিনস, সবুজ সবজিতে এই ভিটামিন পাওয়া যায়।

ভিটামিন ডি (D)
যদিও এটাকে বলা হয় ভিটামিন, কিন্তু এটি কাজ করে হরমোনের মতোই। শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের জোগান দিয়ে হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে। যখন শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব দেখা যায়, তখন হাড় থেকে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস শরীর নেয়। ফলে দেখা যায় হাড় ক্রমশই নরম হতে থাকে। যা থেকে হয় অস্টিওপোরোসিস। ভিটামিন ডি-এর অভাব মেটাতে খান ডিম, মাছ। ভিটামিন ডি-র সবচেয়ে ভালো উৎস সূর্যা‌লোক বা রোদ। তবে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর বিশেষ করে নারীদের ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পর ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

ফোলেট (ফলিক অ্যাসিড)
গর্ভস্থ সন্তানের সুস্থ মস্তিষ্ক ও শিরদাঁড়া তৈরি করতে প্রয়োজন ফলিক অ্যাসিড। কোষে ডিএনএ ও আরএএএ তৈরি করতেও সাহায্য করে এবং ডিএনএ-র পরিবর্তন আটকে ক্যানসার প্রতিরোধ করে। প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে অ্যানিমিয়া রোধ করে এই ভিটামিন। প্রেগন্যান্ট নারীদের জন্য ফলিক অ্যাসিড অত্যন্ত জরুরি। পালংশাক, সবুজ সবজি, স্ট্রবেরি, রাজমা, কালো বিনস, দানাশস্য, ডিম ও মেটে ফলিক অ্যাসিডযুক্ত।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হল সেই সকল উপাদান, যেগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মধ্যে পরে ‘ভিটামিন এ’, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই। শরীরের রোগ প্রতিরোধের সঙ্গে বয়স ধরে রাখতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভূমিকা অনবদ্য। এ ছাড়া যে কোনো ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে বাঁচায়।

সাইনাসের সমস্যার ঘ‌রোয়া সমাধান

যে কোন ঋতুর শুরু‌তেই সাইনা‌সের প্র‌কোপ বে‌ড়ে যায়। ত‌বে বর্তমান সময়ে এই সাইনাস সমস্যা প্র‌ত্যেক ঘ‌রে ঘ‌রে। সাইনাস কখনও সকাল ১০ পর্যন্ত ঘন কুয়াশা, কোনও দিন মেঘলা, কখনও ঠান্ডা হাওয়া। একেক দিন আবহাওয়ার মুড এখন একেক রকম। মওসুম বদলের এই সময় বেশ ভোগায় সাইনাসের সমস্যা। আর অ্যান্টিবায়োটিকে সাময়িক রেহাই পাওয়া গেলেও গোটা মওসুমে সুস্থ থাকতে ভরসা রাখুন ঘরোয়া যত্নে।

সাইনাসের ৫ ঘরোয়া চি‌কিৎসা:-

ফ্লুইড
ডায়েটে রাখুন ফল, সব্জির রস, স্যুপ, ডাল। প্রচুর পরিমাণ জল খান। এতে সর্দি কম জমবে।

অয়েল মাসাজ
তিল, ইউক্যালিপটাস, ল্যাভেন্ডার বা মেন্থল তেল মাসাজ করলে আরাম পাবেন।

মধু ও লেবুর রস
এই জুস ভিটামিন সি-র উৎকৃষ্ঠ উৎস। শীত কালে রোজ খান। সাইনাসের সমস্যা দূরে থাকবে।

ফল ও সব্জি
ডায়েটে রাখুন ভিটামিন সি যুক্ত ফল ও সব্জি। যা সাইনাস প্যাসেজ থেকে মিউকাস পরিষ্কার করে সমস্যা কমাতে পারে।

স্টিম ইনহেলেশন
ছোট প্যানে জল গরম করুন। মাথায় তোয়ালে চাপা দিন। ১০-১৫ মিনিট টানা গরম জলের ভাপ নিন। এতে সাইনাস প্যাসেজ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

শিশু‌কে অ্যা‌ন্টিবা‌য়ো‌টিক প্র‌য়োগ ও ডায়‌রিয়া বিষ‌য়ের চি‌কিৎসাপত্র

শিশুরা অবুঝ; তাই শিশুদের প্র‌তি প্র‌য়োজন হয় বাড়‌তি যত্ন, আর অসুখ বিসু‌খে নি‌বিড় প‌রিচর্যা ও সম‌য়োপযোগী পদ‌ক্ষেপ। বি‌ভিন্ন কার‌ণে শিশু‌দের রোগ বালাই হ‌য়ে থা‌কে। যার ম‌ধ্যে অন্যতম হ‌লো ডায়‌রিয়া। আবার বি‌ভিন্ন শিশু রোগে অ‌ভিভাবকরা প্রায়ই ডাক্তা‌রের ব্যাবস্থাপত্র ছাড়াই অ্যা‌ন্টিবা‌য়ো‌টিক প্র‌য়োগ ক‌রে থা‌কে। এটা মো‌টেও গ্রহন‌যোগ্য নয়। অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার খুব বুঝে শুনে করা প্রয়োজন। যে কোনো রোগের ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার ঠিক নয়।

যদিও বিভিন্ন রোগের নিরাময়ে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অনেক বাবা-মা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করেন এবং ঠিকমতো কোর্সও পূরণ করেন না। এতে হিতে বিপরীত হয়।
আবার অনেক সময় খুব ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে মা-বাবারা অ্যান্টিবায়োটিক দিতে ভয় পান। এ‌টিও সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।

শিশুর ডায়‌রিয়াঃ ডায়রিয়া খুব প্রচলিত রোগ হলেও সময়মতো চিকিৎসা না নিলে এ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকিও হতে পারে। শিশুদের ডায়রিয়া প্রতিরোধে মায়ের বুকের দুধ খুব জরুরি। বড়দের তুলনায় শিশুরা ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়। অনেক সময় অভিভাবকরা বুঝতে পারে না যে কোনটি ডায়রিয়া, আর কোনটি ডিসেনট্রি !
ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে বড়দের তুলনায় শিশুরা বেশি ঝুঁকিপ্রবণ। তবে এর মধ্যেও কিছু শিশু বেশি ঝুঁকিপ্রবণ হয়। শিশুর ডায়রিয়া খুব মারাত্মক অবস্থায় চলে গেলে হাসপাতালে

টেলিটক বন্ধ সিম অফার

টেলিটক এর বন্ধ থাকা সিমে ফিরে আসলেই মাত্র ৯ টাকা রিচার্জে আপনি পাবেন ৯ জিবি ইন্টারনেট ও ২০ মিনিট টকটাইম। আর স্পেশাল কলরেট অন-নেট আধা পয়সা প্রতি সেকেন্ড আর অফ নেটে ১ পয়সা প্রতি সেকেন্ডতো থাকছে!
‌ফি‌রে আস‌লেই জামাই আদর!

টেলিটক বন্ধ সিমে ৯ টাকা রিচার্জে ৯জিবি ইন্টারনেট এবং সাশ্রয়ী কল‌রেট ফ্রী!

পেয়ারার পাতার উপকা‌রিতা বা গুণ

পেয়ারার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, লাইকোপেন। সাধারণ পেয়ারার পাতায় র‌য়ে‌ছে অসাধারণ অনেক গুণ। যা মানু‌ষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দারুণভা‌বে কাজ ক‌রে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডাইজেস্ট জানিয়েছে পেয়ারার পাতার কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্যকর গুণের কথা।
১. পেয়ারা পাতার চা নিয়মিত খেলে রক্তের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। এটি ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে কাজ করে। তাই পেয়ারা পাতা ডায়‌বে‌টিস হ্রা‌সের এক‌টি উপকরণ।
২. পেয়ারা পাতার চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য এটি ডায়রিয়া ও ডিসেনট্রি কমাতে কাজ করে।
৩. কফ ও ব্রঙ্কাইটিস কমাতেও পেয়ার পাতার চা বেশ কার্যকর।
৪. পেয়ারা পাতার চা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি চর্বি কমাতে কাজ করে এবং পেট ভরা ভরা ভাব রাখে। এতে ওজন কমে।
৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত পেয়ারার পাতার চা পান করা ভালো। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে কাজ করে।
৬. পেয়ারা পাতার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য এটি পাকস্থলীর সমস্যারোধে ভালো কাজ করে। এটি ফুড পয়জনিং রোধেও উপকারী।
৭. পেয়ারার পাতা পানিতে ফুটান। একে ঠান্ডা হতে দিন। এরপর পানিটি মাথায় ম্যাসাজ করুন। চুল পড়া প্রতিরোধ হবে।

হৃদপিণ্ড সুস্থ্য রাখার উপায়

হৃদপিণ্ড দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। যা সবসময় রক্ত সঞ্চালন করে আমাদের জীবিত রাখে। সুস্থ্য হৃদপিণ্ড সুস্থ্য জীবনের জন্য অপরিহার্য। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তার ধকল সইতে হয় হৃদপিণ্ডকে। এর ফলে নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগে মৃত্যুর ৫০ শতাংশ হয়ে থাকে হৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার বিভিন্ন রোগের কারণে। রক্ত প্রবাহের আলোড়ন ও প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টির জন্য শিরার অভ্যন্তর ভাগের কোনো অংশ বিনষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিশেষ কিছু খাবার শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সাহায্য করে হার্ট সুস্থ রাখে। নিম্নে ওইসব খাবারের নাম দেয়া হলঃ

জলপাইয়ের তেল
জলপাইয়ের তেল কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে থাকা ম্যানুস্যাচুরেটেড চর্বি খারাপ কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করে ও শিরায় রক্ত জমাট বাঁধায় বাধা দেয়।

রসুন
রসুন উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া হৃৎপিণ্ডের শিরার জমে যাওয়া রক্ত প্রবাহিত করে।

ডালিম
ডালিম একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি শিরার শক্ত হয়ে যাওয়া সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে এবং শিরার রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।

মাছ
যেসব মাছের ওমেগা তিন ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যেমন : স্যালমন, টুনা ইত্যাদি। এগুলো খাবারে জমাট বাঁধা রক্ত প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে।

টমেটো
টমেটোর মধ্যে লাইকোপেন রয়েছে। যাদের শরীরে লাইকোপেন ভালো মাত্রায় থাকে, তাদের হৃৎপিণ্ডের শিরার সমস্যা কমে যায়। এছাড়া টমোটো হৃৎপিণ্ডের শিরাকে শক্ত হতে দেয় না।

#হৃৎপিণ্ড #হৃদপিণ্ড #সুস্থ্য রাখার #উপায়