২১ সাল থে‌কে কম‌বে পরীক্ষা,‌ পা‌ল্টে যা‌বে বই

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি পরিবর্তন করার কাজ চলছে। পাঠ্যসূচির যেসব বিষয় নিয়ে বিতর্ক ছিল, সেসব বিষয় খতিয়ে দেখছে কমিটি। ২০২১ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত পাঠ্যবই আসবে। প্রাথমিকের শিশুদের বইয়ের সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হবে।’

এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান বলেন, ‘২০২১ সালে প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণি, ২০২২ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, সপ্তম ও নবম, ২০২৩ সালে পঞ্চম ও অষ্টম, ২০২৪ সালে একাদশ এবং ২০২৫ সালে দ্বাদশ শ্রেণির পরিবর্তিত পাঠ্যক্রমের বই পাবে শিক্ষার্থীরা। নতুন পাঠ্যক্রমে কনটেন্ট পড়ার চাপ কমিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে। পরীক্ষার নম্বর ও সময় কমিয়ে আনা হবে।’

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাক্রমে বড় পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে—মাধ্যমিক স্তর থেকে বিভাগ তুলে দেওয়া হবে। নবম শ্রেণি থেকে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ—এসব বিভাজন আর থাকছে না। নবম ও দশম শ্রেণিতে সবাইকে একই শিক্ষাক্রমে একই পাঠ্যবই পড়তে হবে। এতে একজন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তরে সব বিষয়ে জ্ঞান লাভ করবে।

মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রমে সর্বশেষ পরিবর্তন আনা হয় ২০১৩ সালের শিক্ষাবর্ষে। পাঁচ বছর পর পর পরিবর্তন আনার নিয়ম থাকলেও বাস্তবে পরিবর্তন আসছে আট বছর পর। আর প্রাথমিকে সর্বশেষ শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনা হয়েছিল ২০১১ শিক্ষাবর্ষে। ১০ বছর পর এবার ফের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এই প্রথম প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম একসঙ্গে পরিবর্তন ও সমন্বয় করা হচ্ছে। আগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম পরিবর্তনে কোনও সমন্বয় করা হতো না।  এছাড়া, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছর মেয়াদি করার বিষয়েও কাজ চলছে।

বর্তমানে প্রথম শ্রেণির আগে সরকারি স্কুলে একটি শ্রেণি আছে। আগামী দিনগুলোতে প্রথম শ্রেণির আগে সরকারি স্কুলেও দুটি শ্রেণিতে পড়তে হবে শিশুদের। আর  প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা না রেখে ধারাবাহিক মূল্যায়নের লক্ষ্যেও কাজ চলছে।

সূত্রমতে, শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের কাজ হবে কয়েকটি ধাপে। প্রথম ধাপে শিক্ষাক্রমের ত্রুটি, বিচ্যুতি ও সীমাবদ্ধতা খুঁজে বের করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে বিশেষজ্ঞরা কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা খুঁজে বের করবেন। এরপর একাধিক কর্মশালা ও গবেষণা শেষে নতুন পাঠক্রম তৈরি করা হবে। আগামী বছরের (২০২০) মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এই শিক্ষাক্রমে পরিমার্জনের কাজ চূড়ান্ত করা হবে।

বর্তমানে এনসিটিবির পাঠক্রম অনুযায়ী, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তিনটি করে পাঠ্যবই এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয়টি করে পাঠ্যবই পড়তে হয়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১৩টি পাঠ্যবই পড়তে হয়। নবম ও দশম শ্রেণিতে ২৭টি এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৩৯টি পাঠ্যবই আছে। তবে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ আলাদা থাকায় নবম, দশম ও একাদশ শ্রেণিতে সব শিক্ষার্থীকে সব বিষয়ের বই পড়তে হয় না।

মাদ্রাসায় ধর্মীয় চারটি বিষয়—কোরআন, আকাইদ ও ফিকাহ, হাদিস এবং আরবির পাঠক্রমেও পরিবর্তন আসছে।

প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘প্রাথমিকের ১০টি লার্নিং এরিয়া ঠিক রেখে কিছু বিষয় একত্রিত করে পাঠ্যবই কমিয়ে দেওয়া হবে।’ ‘উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘নৈতিক শিক্ষা ও ধর্ম, শারীরিক শিক্ষা ও চারুকলা এরকম একই বিষয়গুলোকে একত্রিত করে বই কমিয়ে দেওয়া হবে।’

কয়টি করে বই রাখা হবে জানতে চাইলে নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এই বিষয়টি কমিটি চূড়ান্ত করার পর জানা যাবে। তবে বই কমিয়ে দেওয়া হবে। শিশুদের কাছে বই যেন বোঝা না হয়, পাঠে যেন তারা আনন্দ পায়, সেদিকে গুরুত্ব দিয়েই পরিমার্জনের কাজ চলছে।’

এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান বলেন, ‘বই কমানোর চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে কনটেন্ট কমিয়ে দেওয়া। একটি বইয়ে অনেক কনটেন্ট থাকতে পারে। সমস্যা কনটেন্ট লোড নিয়ে। যে কনটেন্ট রয়েছে সেটা যে ওভারলোডেড, তা নয়। কনটেন্টের যে বিষয়গুলো যে শ্রেণিতে শেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেই বিষয়গুলো মুখস্থ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। সে কারণে ওভারলোডেড হয়ে যায়। আমরা সেগুলো মিনিমাইস করার চেষ্টা করবো। এখনও যে কনটেন্ট পড়ানো হয়, সেগুলো যে বেশি তা নয়, তবে কন্ট্রাক্ট আওয়ারসহ এখনও সিক্রোনাইজ করা আছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে—যখন যে প্রশ্নের দরকার নেই, সেই প্রশ্ন যদি করেন, তাহলে পুরো বইটি শিশুকে পড়তে হচ্ছে। অথচ ওই সময়ে তাকে বিষয়টি না জানলেও চলে, কিন্তু  তাকে বাধ্য হয়ে পুরোটা পড়তে হচ্ছে। এই জায়গায় শিশুরা সাফার করছে।’

অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান আরও  বলেন,  ‘আমরা চাইবো ধারাবাহিক মূল্যায়নে নিয়ে যেতে। পরীক্ষার লোড কমিয়ে আনতে। যাতে শিশুর অ্যাক্টিভিটিজ বেশি থাকে, কনটেন্টে মনোযোগ কম থাকে। এখন যে প্রেসারটা দেওয়া হয়—সেটা কমাতে চেষ্টা করা হচ্ছে। ’

পরীক্ষায় লোড কমানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন যেটা ১০০ নম্বরের পরীক্ষা, সেটা চলে যাবে ৫০ নম্বরে। বাকিটা চলে যাবে ধারাবাহিক মূল্যায়নে। পরীক্ষা এখন যে সময় নিয়ে হয়, সেটাও কমে যাবে। প্রথম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই এই পরিবর্তন আনা হবে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা হলো—২০৩০ সালের মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা,  উন্নত দেশে পরিণত হতে রূপকল্প ২০৪১ অর্জন এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষাক্রমের সঙ্গতি রাখা।

শীতলপা‌টি‌তে ভাগ্যবদল আয়েশা আক্তারের : Shitalpati

"শ্রীমঙ্গ‌লের আয়েশা আক্তার শীতলপাটি বি‌ক্রি করে‌ছেন ৯ মাসে ১২ লাখ টাকা"

আয়েশার অবসর সময় কাটে শখের কাজ সুঁই-সুতা দিয়ে কাপড়ে বাহারি ডিজাইন করে। ছেলে-মেয়েসহ নিজের কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। এভাবেই স্বামী-সংসার সামলে সুখেই দিন কাটছিল তার। কিন্তু ২০১৭ সালের জুলাই মাসের ১০ তারিখে হঠাৎ তার স্বামী স্ট্রোক করে মারা যান। তখন তিনি অনুভব করেন, বাকি জীবন চলার জন্য কিছু না কিছু করতেই হবে।

তখন থেকেই শুরু হয় আয়েশার সংগ্রামী জীবন। তার শখের কাজ সেলাইকে অবলম্বন করে শুরু হয় পথচলা। সেই সঙ্গে সামান্য পুঁজিতে শুরু করেন কাপড়ের ব্যবসা। দুজন নারী কর্মচারীকে নিয়ে দেন একটি টেইলার্স। নিজের তৈরি কারুকাজ করা কাপড় ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন পেজ ‘রঙিলার’ মাধ্যমে বিক্রি করতে থাকেন।

এভাবে চলতে থাকে একবছর। তারপর বাসার কাছেই একটি কাপড়ের শো-রুম দেন। তবে অনলাইন থেকে অফলাইনেই আয়েশার কাপড় বেশি বিক্রি হতে থাকে। এর বেশ কিছুদিন পর ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর ফেসবুক ভিত্তিক ই-কমার্স গ্রুপ ‘উই’তে যুক্ত হন তিনি।

এ ব্যাপারে আয়েশা বলেন, ‘উইতে দেশীয় পণ্যের এমন সুন্দর প্লাটফর্ম দেখে অনেক ভালো লাগে। সত্যি বলতে, এ গ্রুপে যুক্ত হই ক্রেতা হিসেবে। কারণ নিজে ভালো কিছু কেনাকাটা করবো এটাই ছিল উদ্দেশ্য। আস্তে আস্তে সবার পোস্ট দেখে গ্রুপকে বোঝার চেষ্টা করি। পাশাপাশি নিজেরও কিছু করার ইচ্ছে জাগে। ৩ মাস পর উইয়ের অনলাইন আড্ডায় যুক্ত হই। এতে মনে হয়, আমি কিছু একটা করতে পারবো।’

ফলে গ্রুপের মডারেটর নিগার ফাতেমার দেশীয় পণ্যের সিলেবাস দেখে সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নিজের এলাকার এমন পণ্য নিয়ে কাজ করবেন, যা ঐতিহ্য বহন করে। তারপর ই-ক্যাবের সাবেক সভাপতি রাজীব আহমেদের পরামর্শে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শীতলপাটি নিয়ে কাজ শুরু করেন।

jagonews24

তবে কাজের শুরুটা ছিল বেশ কঠিন। কারণ করোনায় দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। তারপর পণ্যটি ছিল বিলুপ্তির পথে। ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত আয়েশার প্রায় ৪ লাখ টাকার অর্ডার আসে অনলাইনে। এভাবে দীর্ঘ ৯ মাসে তার শীতলপাটি ও শীতলপাটি দিয়ে তৈরি ফিউশনের পণ্য বিক্রি হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা।

এতে অনেক উদ্যোক্তাই শীতলপাটি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হন। তিনি শীতলপাটি দিয়ে টেবিল ম্যাট, স্যান্ডেল, টিস্যুবক্স, ওয়ালমেট, ব্যাগ, পার্স, পেনহোল্ডার, গয়নাসহ অনেক আইটেম তৈরি করে বিক্রি করেন। আমেরিকার শিকাগো ও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকেও তার শীতলপাটির অর্ডার এসেছে। খুব তাড়াতাড়িই তিনি সেসবের ডেলিভারি দেবেন।

jagonews24

আয়েশা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার উদ্দেশ্য ছিল হারিয়ে যাওয়া এ পণ্যকে সবার মাঝে ফিরিয়ে আনা। ইনশাআল্লাহ, আমি তা পেরেছি। গ্রুপ থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। সব চেয়ে বড় অর্জন হলো, আমাকে উই থেকে লোকাল প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আমার স্বপ্ন শীতলপাটি শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও জনপ্রিয় করে তোলা।’

অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসায়ী ভিসায় নাগ‌রিক সুযোগ : Australian VISA for Bangladesh

অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন হতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে বিজনেস মাইগ্রেশন ভিসাপ্রত্যাশীরা। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের স্বর্গরাজ্য বলা হয় ওশেনিয়া অঞ্চলের দ্বীপ-মহাদেশ অস্ট্রেলিয়াকে। যাবতীয় নাগরিক সুবিধা ও নিরাপত্তার জন্য দেশটি অনেকের কাছেই প্রথম পছন্দ। আর ব্যবসায়ীদের জন্য দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ নিয়ে চালু রয়েছে বিভিন্ন ভিসা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যবসায়ীদের দেশটিতে স্বাগত জানাতে নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশটি সরকার। বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের মতো এখন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও বিজনেস মাইগ্রেশনের আওতায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ নিতে পারেন অস্ট্রেলিয়াতে।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশিদের জন্যও বিজনেস মাইগ্রেশনে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ তৈরি হয়েছে দেশটিতে। দেশটির অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে ব্যবসায়িক দক্ষতার আলোকে এই অভিবাসন নীতিমালা তৈরি করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। বর্তমানে সেই নীতিমালার আওতায় প্রভিশনাল সাবক্লাস ১৮৮ ও সাবক্লাস ১৩২ ভিসার আবেদনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এ অর্থবছরে প্রায় দ্বিগুণ ভিসা প্রদানের ঘোষণাও দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। আবশ্যিক শর্ত পূরণ করতে পারলে এই ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ কাজে লাগানোর ভালো সময় এটা।

ভিসার ধরন
ভিসাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভিসা হচ্ছে সাবক্লাস ১৩২ বিজনেস ট্যালেন্ট পার্মানেন্ট ভিসা। এই ভিসা মঞ্জুর হলে আবেদনকারী সরাসরি স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের সুযোগ পান। এ ছাড়া প্রভিশনাল ভিসা অর্থাৎ প্রথমে অস্থায়ী এবং পরে স্থায়ী এ ধরনের কিছু ভিসা রয়েছে। সাবক্লাস ১৮৮ ব্যবসায়িক উদ্ভাবনী এবং বিনিয়োগ (বিজনেস ইনোভেশন অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট) এ শ্রেণিতে কয়েক ধরনের ভিসা রয়েছে। এগুলো হলো ব্যবসায়িক উদ্ভাবনী ১৮৮ এ, বিনিয়োগ ১৮৮ বি, উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ১৮৮ সি এবং প্রিমিয়াম বিনিয়োগ ১৮৮ ডি। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসায়িক উদ্ভাবনী (বিজনেস ইনোভেশন) ভিসার শর্তপূরণ কিছুটা সহজসাধ্য। যেসব ব্যবসায়ী বা বিনিয়োগকারীদের কমপক্ষে চার বছরের ব্যবসায়িক ও ব্যবস্থাপনাগত অভিজ্ঞতা আছে, তাঁরা এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে এ ভিসার মেয়াদ প্রায় চার বছরের জন্য হলেও পরবর্তীকালে ভিসা সাবক্লাস ৮৮৮-এর অধীনে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করা যাবে।

ভিসার শর্ত
ব্যবসায়িক উদ্ভাবনী সাবক্লাস ১৮৮ এ ভিসায় আবেদনের জন্য ৮ (আট) লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার অথবা প্রায় ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকতে হবে। ব্যবসা, নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি সব সম্পত্তি মিলিয়ে এ অর্থ হতে হবে, যা আবেদনকারী এবং তাঁর স্ত্রী/স্বামীর আলাদা কিংবা দুজনের একত্রে মালিকানা মিলিয়ে হতে পারে। ৫ কোটি টাকা ভিসা মঞ্জুর হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় আনার যোগ্য হতে হবে। এ ছাড়া এমন একটি ব্যবসার মালিকানা থাকতে হবে যে ব্যবসার বার্ষিক আয় কমপক্ষে ৩ কোটি টাকা। অংশীদারত্বমূলক ব্যবসার মালিকানাও গ্রহণযোগ্য, তবে সে ক্ষেত্রে ক্ষেত্রবিশেষে সর্বনিম্ন ৩০ বা ৫১ শতাংশ মালিকানা থাকার শর্ত রয়েছে। একই ধরনের অন্যান্য আবশ্যিক শর্তের সঙ্গে সাবক্লাস ১৮৮ বি বিনিয়োগ ভিসায় ব্যবসার মালিকানা থাকতে হবে ১৫ লাখ ডলার অথবা প্রায় ৯ কোটি টাকার। সব মিলিয়ে সম্পত্তির মালিকানা থাকতে হবে প্রায় ১৪ কোটি টাকার।

ভিসার পয়েন্ট
সাবক্লাস ১৮৮ এ এবং ১৮৮ বি এ দুটি ভিসায় পয়েন্ট টেস্টভিত্তিক ভিসা। অর্থাৎ এ ভিসায় আবেদন করতে আবেদনকারীকে সর্বনিম্ন ৬৫ পয়েন্ট অর্জন করতে হবে। এ পয়েন্টগুলো বয়স, সম্পত্তির পরিমাণ, ইংরেজি ভাষা দক্ষতা, শিক্ষা ইত্যাদি নানা বিষয়ের ওপর নির্ভর করে পেতে হয়। যেমন আবেদনকারীর বয়স ২৫ থেকে ৩২ বছর হলে এর জন্য ৩০ পয়েন্ট, ৩৩ থেকে ৩৯ বছরের জন্য ২৫ পয়েন্ট।

সরাসরি পার্মানেন্ট ভিসা
সাবক্লাস ১৩২ এ বিজনেস ট্যালেন্ট ভিসাটি সবচেয়ে আকর্ষণীয়; কারণ, সরাসরি পার্মানেন্ট ভিসা। এ ভিসায় উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক ইতিহাস ১৩২ এ এবং উদ্যোগমূলক মূলধন উদ্যোক্তা ১৩২ বি নামের দুটো শ্রেণি রয়েছে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল উদ্যোক্তা ১৩২ বি ভিসায় কোনো অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকার বিনিয়োগ গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হয়। এ জন্য সাবক্লাস ১৩২ এ সিগনিফিকেন্ট বিজনেস হিস্ট্রি স্ট্রিম আরেকটি সহজতর ভিসা। এ ভিসায় ১৮ কোটি টাকা টার্নওভার সম্পন্ন ব্যবসায় অংশীদারত্ব থাকার আবশ্যিক শর্ত রয়েছে। এ ছাড়া আবেদনকারীও তাঁর স্ত্রীর ক্যাশ, জায়গা-সম্পদ, স্বর্ণালকার—সব মিলিয়ে ৯ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকতে হবে।
উল্লিখিত সব ভিসার আবশ্যিক শর্তেই কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন প্রতিটি বিজনেস ভিসার আবেদনকারীকেই সর্বোচ্চ ৫৫ বছর বয়সী হওয়া যাবে। এ ছাড়া প্রতিটি ভিসার ক্ষেত্রেই মূল ভিসায় আবেদনের আগে দেশটির যেকোনো রাজ্য সরকার কর্তৃক মনোনয়ন পেতে হবে। সেই সঙ্গে বিজনেস মাইগ্রেশন ভিসায় অভিবাসন বিভাগের মনোনয়ন ও আবেদন করার আমন্ত্রণ পেতে আবেদনকারীকে অবশ্যই যথাযথ দক্ষতা নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় তাঁর আগ্রহ বা এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (EOI) ব্যক্ত করতে হবে। আবেদন করার জন্য সরকার আমন্ত্রণ জানালে তবেই এ ভিসা পেতে আবেদন করা যাবে। তবে এ ভিসায় আগ্রহীদের প্রথমে অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণ করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন অভিবাসন আইনজীবীরা।

লেখক: অভিবাসন আইনজীবী, 
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া। kawsar.khan.au@gmail.com

হাঁসের খামার ক‌রে সফল আবুল কালাম আজাদ

হাঁসের খামার গড়ে চমক সৃষ্টি করেছেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের মধ্য উমানন্দ জামতলা বাজারের চায়ের দোকানদার আবুল কালাম আজাদ। গত দুই বছরে শুধু নিজে স্বাবলম্বী হননি, প্রেরণা যুগিয়েছেন অন্যদের মাঝেও। সেই সাথে পাল্টে গেছে তার অভাবের জীবন। 
জামতলা বাজারের চায়ের দোকানি আবুল কালাম আজাদ টিভি ও ফেসবুকে হাঁস লালন পালন করার দৃশ্য দেখে খুবই অনুপ্রাণিত হন। এরপর অল্প অল্প করে জমাতে থাকেন টাকা। দু’বছর আগে চায়ের দোকানের ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে জমানো প্রায় এক লক্ষ টাকা নিয়ে শুরু করে উন্নত জাতের হাঁস পালন।

প্রথমে ২৫/৩০টি হাঁস দিয়ে শুরু করেন খামারের স্বপ্ন। সেই শুরু আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আবুল কালাম আজাদকে। এরপর গত দু’বছরে ছোট বড় মিলিয়ে তার খামারে বর্তমান প্রায় ৬ হাজারের অধিক হাঁস রয়েছে। খামারে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে তা বিক্রি করছেন। ডিম পাড়া হাঁস রয়েছে ১০০টি। পাশাপাশি দু’শতাধিক দেশীয় মুরগী পালন করার পাশাপাশি মুরগির বাচ্চাও উৎপাদন করছেন তিনি।
দুই দিনে এক লট অর্থাৎ ১২শ হাঁসের বাচ্চা উৎপাদনে তার খরচ হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। আর বিক্রি করেন প্রায় ৩৫ হাজার টাকায়। খরচ বাদ দিয়ে সব মিলিয়ে মাসে আয় হচ্ছে দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা।
আবুল কালাম আজাদ প্রথমে ১৫ হাজার টাকায় ২টি পুকুর দুই বছরের জন্য লীজ নেয়। সেই পুকুরে হাঁস পালনের পাশাপাশি সেখানে মাছ চাষ করছেন। ফলে মাছও বিক্রি করতে পারছেন। সেই সাথে হাঁসেরও খাবার জুটছে।

অভাবের সংসারে ১০জনের ভরণ পোষণ মেটাতে হিমশিম খেতে হতো আবুল কালাম আজাদকে। হাঁস-মুরগির খামার করে অনায়সে সংসারের অভাব দূর করার পাশাপাশি স্বচ্ছলতায় ফিরেছেন তিনি। তার খামারে এখন রয়েছে উন্নতজাতের খাকি ক্যাম্বল, জেনডিন, রানাডা ও ব্ল্যাকো জাতের হাঁস। তার এই খামারের আয় ও উন্নতি দেখে প্রতিবেশীরা খুবই খুশি।
তবে এই খামারীর অভিযোগ উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা না পাওয়ায় পাশ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার সুদরগঞ্জ উপজেলা থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। এতে করে কিছুটা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে এই খামারিকে। এছাড়াও করোনার মধ্যে প্রায় ৪ শতাধিক হাঁস-মুরগী মারা গেছে।
খামারি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘চায়ের দোকান করার সময় টেলিভিশন, মোবাইল ও ফেসবুকে সরকার খামারের উপর খুব উৎসাহ থেকে আমি খামার শুরুর স্বপ্ন দেখি। সেই থেকে চায়ের দোকান না করে হাঁসের খামার করার সিদ্ধান্ত নেই । স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জমানো এক লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে চায়ের দোকান বাদ দিয়ে শুরু করি খামার। বাড়তি শ্রমিক কাজ না করলেও পরিবারের স্ত্রী, সন্তান এবং পুত্রবধুরাও সহযোগিতায়  করছেন।বর্তমানে এই খামার থেকে ৬/৭ লাখ টাকা পুঁজি  হয়েছ’।
স্থানীয় মো. নুুরবক্ত মিয়া জানান ‘আবুল কালাম আজাদ ভাই গ্রামে খামার করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। অনেক বেকার যুবক তার খামার দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। চাকুরীর পিছনে না ছুটে অল্প পুঁজিতেই এ ধরণের খামার তৈরী করে বেকার ছেলেমেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়ানো সম্ভব বলে আমি মনে করি’।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো.আব্দুল হাই জানান, ‘স্বল্প পুঁজি নিয়ে আবুল কালাম আজাদ যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, তেমনিভাবে বেকার যুবকরাও যদি এগিয়ে আসে তাহলে আমিষ জাতীয় খাদ্য পরিপূর্ণ হবে। পাশাপাশি দারিদ্র্য দূরীকরণ হবে। এছাড়াও জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ হতে সহযোগিতার করা হবে’।

টিকটকে ঘুমিয়ে টাকা আয়! Earn Money from Tiktok

টিকটকে সারারাত লাইভস্ট্রিমিং করছেন কয়েকশো টিকটক ইউজার। তাও আবার ঘুমন্ত অবস্থায়। ব্রিয়ান হেক্টর, ১৮ নামের এক ইউজার গত সপ্তাহে এমনই একটি ভিডিও করেন। এরপর সকালে উঠে দেখেন কয়েক হাজার মানুষ তার টিকটক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে টিকটক মারফত কয়েন ডোনেট করেছে তাকে। হেক্টর জানিয়েছেন, “আমি সকালে উঠে লাইভ বন্ধ করি। এরপরই দেখি ৩৪৭,০০০ জন ফলোয়ার্স হয়ে গিয়েছে। ১০ ডলার কয়েন পেয়েছি”।

প্রসঙ্গত, টিকটক লাইভে একটি ফিচার রয়েছে, ডিজিটাল কয়েন। যত কয়েন পাবেন আপনি, সেই কয়েন আবার টাকায় পরিণত করা যাবে। ওসকার রিয়াস নামের এক ইউজারও টিকটকে লাইভ স্ট্রিমিং করে ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি ঘুম থেকে উঠে লাইভ বন্ধ করার পর দেখেন, ৬০০০ নতুন ফলোয়ার্স হয়েছে তার। কিন্তু পরবর্তী কালে লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্ত ফলোয়ার্স চলে যায়। ১৮,৬০০ থেকে ফলোয়ার্স পৌঁছে গিয়েছে ১২,০০০ জনে। ওসকার জানায়, “আমি জানিনা সঠিক, যারা নতুন এসেছিলেন তারা কি শুধুমাত্র ঘুমন্ত স্ট্রিমিং দেখার জন্যই আমাকে ফলো করেছিলেন!”

স্টিফেন নামের এক ইউজারও জানায় তার রাতের লাইভ স্ট্রিমিংয়ে প্রায় ১ মিলিয়ন লাইক পড়েছে। লাইভে যাওয়ার আগে, টিকটক স্লিপ- স্ট্রিমার্স মারফত কিছু প্রচার মূলক ভিডিও পোস্ট করতে হয় ফিডে। যেখানে উল্লেখ থাকে রাতে স্লিপ স্ট্রিম শুরু করতে চলেছে ইউজার। এরপরই, ফোনটিকে রেখে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিয়ে লাইভ বাটন প্রেস করে দেয়।

উল্লেখ্য, লাইভ চলার সময় যদি সেখানে কেউ চ্যাট করে কথোপকথন করে, লাইভ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তার কোনো অস্তিত্ব থাকে না। স্টিফেন মনে করছে, অনলাইন বন্ধুদের খোঁজার জন্যই এই সময় একাধিক ইউজার এসে জমায়েত হয়। যেহুতু কিছু সেভ থাকে না, তাই বোঝা মুশকিল ঠিক কী কথোপকথন হয়েছে।

রায়েস নামের এক ইউজার জানিয়েছেন, লাইভ স্ট্রিমিং চলাকালীন তার ঘুম ভেঙে যায়। তখন প্রায় ৬০০ জন চ্যাট করছিল। বেশ কয়েকজন কমেন্টে বলে ওঠেন, ‘সে কী কান্ড, উনি উঠে গিয়েছেন”। ইউজাররা নিজেদের মধ্যে গ্রুপ চ্যাট করছিল।

জয়ী ফে, ২৪ নামের এক ইউজার জানায়, “সারা রাত ড্রাইভ করছিলাম। সে সময় টিকটকে স্লিপ স্ট্রিমিং শুরু করি। সকালে লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করার পর দেখতে পাই ৫০ ডলার ডিজিটাল কয়েন পাঠিয়েছে আমাকে”।

মালয়েশিয়ার সফল উদ্যোক্তা বাংলাদেশি সানা

বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সানা বিনতে রহমান। তিনি বাংলাদেশের পুরান ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বেড়ে ওঠা সেখানেই। বিক্রমপুরের মালয়েশিয়া প্রবাসী এসএম মোয়াজ্জেম হোসেন নিপুর সাথে ২০০৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর প্রবাসী ব্যবসায়ী স্বামীর সঙ্গে চলে যান মালয়েশিয়া। তার সফলতার গল্প শোনাচ্ছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত-

সেখানে তিনি ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি অব মালয়েশিয়া (ইউটিএম) থেকে ২০১১ সালে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের ওপর ৩ বছর মেয়াদী (বিএসসি) ডিপ্লোমা শেষ করেন। এরপর ২০১৪ বোটানিকাল অর্গানিক স্কিন কেয়ার কনসালটেন্সির ওপর দুই বছর মেয়াদী আরও একটি ডিপ্লোমা করেন।

jagonews24

সানা বিনতে রহমান বিয়ের পর থেকেই চৌদ্দ বছর ধরে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে থাকেন। তিনি সেখানে স্বামী-সন্তান সামলে ব্যবসা করছেন। সেই ব্যবসায় তিনি সাফল্যের দেখাও পেয়েছেন।

jagonews24

হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সানা বলেন, ‘আমি নিজেই বিভিন্ন ভেষজ উপাদান দিয়ে এ স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টগুলো তৈরি করে থাকি। এগুলো আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। আমার তৈরি করা প্রোডাক্টগুলো ইতোমধ্যেই মালয়েশিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’

তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার পাই। এ ছাড়াও আমার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনেককেই স্কিন অ্যাডভাইস দিয়ে থাকি। আমি চাই, আমার প্রোডাক্টগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিতে। আমি এখন সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’

jagonews24

সানা বলেন, ‘শখের বসে প্রথমে এ ব্যবসা করি। চিন্তা করেছি, প্রবাসে ঘরে বসে সময়টা যাচ্ছে না। যেহেতু কাজটি জানি। তাই করোনাকালীন সানা বিউটি নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলি। প্রোডাক্টগুলোর গুণাগুণ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিতে থাকি। অনেক প্রবাসী ভাই-বোন আমার প্রোডাক্টগুলো পেয়ে ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসীদের অনুপ্রেরণায় আমার কাজে আরও উৎসাহ পেলাম। প্রতিটি মানুষ চায় ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক, নিজের রূপ-সৌন্দর্য ধরে রাখুক। প্রবাসীদের ভালোবাসায় আরও সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’

সানা মনে করেন, প্রবাসে প্রতিটি নারী ঘরে বসে না থেকে কিছু একটা করুক। প্রবাসীরা ভালো থাকুক সব সময়। এটাই তার প্রত্যাশা।

করোনা ভাইরাস : আমার হাতেই আমার সুরক্ষা | Corona Virus : My Protection i...

BGB Job Circular 2020 : বিজিবি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২০ (৯৬তম ব্যাচ)



বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২০। বিজিবি’র ৯৬তম ব্যাচে ‘সিপাহী (জিডি)’ পদে পুরুষ ও মহিলা নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা এসএমএস-এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।

ফ্রিল্যা‌ন্সিং‌য়ে ক্যা‌রিয়ার গড়ুন সহ‌জেই Outsoursing Career in Bangladesh

জনসংখ্যার চা‌পে কর্ম এখন সংকু‌চিত। দে‌শে দে‌শে বেকার‌ত্বের হার অত্য‌ধিক বৃ‌দ্ধি পে‌য়ে‌ছে। ত‌বে আশার আ‌লো হি‌সে‌বে দেখা দি‌য়ে‌ছে মুক্ত‌পেশা বা আউট‌সো‌র্সিং। পৃথিবীজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে কাজের কোনো অভাব নেই। বিভিন্ন দেশে তাই গড়ে উঠেছে ফ্রিল্যান্সার। বাংলাদেশও এর ব্য‌তিক্রম নয়। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় স্থান দখল করে আছে। প্রথম দিকে এ দেশের তরুণরা স্ব-উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং করলেও এখন সরকারের সহায়তা মিলছে। বাংলাদেশে বিদেশি ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিও নিয়োগ করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এখন অপার সম্ভাবনাময় একটি খাত।

অর্থনীতিতে  ফ্রিল্যান্সিংয়ের অবদান
২০১২ সালে ৩৬৫ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছেন বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা। ২০১৫ সালে সর্বমোট ৪৪৩ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের কাজ আউটসোর্স হবে। আমরা যদি এর ১০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিতে পারি তাহলে সেটা প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার এবং ৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিলে সেটা হবে প্রায় ২৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা কিনা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বর্তমানের সবচেয়ে বড় খাতকেও অতিক্রম করবে।

ফ্রিল্যান্সিং কী?
উন্নত বিশ্বের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো যখন ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অন্য একজনকে দিয়ে সম্পন্ন করানো হয়, তাকেই ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং হিসেবে অভিহিত করা হয়। এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট বেশ জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে। এসব ওয়েবসাইটে কয়েক লাখ লোক ফ্রিল্যান্সিং করছে বিভিন্ন কাজের। এই ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ নিয়ে যিনি কাজ করবেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করানোর ভূমিকাটি পালন করে। আর এখন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই মাসিক বেতনভুক্ত কর্মচারী রাখার চেয়ে চুক্তিভিত্তিতে কাজ করাতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। এতে করে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দিষ্ট অংকে, নির্দিষ্ট সময়ে কাঙ্ক্ষিত কাজটি আদায় করতে পারে। অন্যদিকে কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি না করেও অনলাইনের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের দেয়া কাজের ওপর আলোচনা করে ঘরে বসেই কাজটি করে দিতে সক্ষম হয় ফ্রিল্যান্সাররা। বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তাদের অধিকাংশ কাজই ফ্রিল্যান্সিং হিসেবেই করিয়ে নিচ্ছেন। আমেরিকা-ইউরোপের যেসব প্রতিষ্ঠান তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে কাজ করে, তারা তাদের প্রায় সব কাজই অনলাইনের কর্মীদের দিয়ে করিয়ে নিয়ে থাকে।

কি কি কাজ করা যায়?
কম্পিউটারে করা যায় এমন প্রায় সব ধরনের কাজের জন্যই তৈরি হয়েছে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এসব মার্কেটপ্লেসে যেসব কাজ পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, ইন্টারনেট মার্কেটিং, প্রেজেন্টেশন, মাল্টিমিডিয়া, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ইলাস্ট্রেশন, কার্টুন, পেইন্টিং, স্কাল্পটিং, মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন, বিক্রয়, জনসংযোগ, ইঞ্জিনিয়ার, ক্যাড, আর্কিটেকচার, নেটওয়ার্কিং, হার্ডওয়ার ডেভেলপ, লিগ্যাল সার্ভিস, ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং, কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন, প্রোগ্রামিং, ডাটাবেজ, লেখা, সম্পাদনা, অনুবাদ, টেলিমার্কেটিং, স্ট্র্যাটেজি কনসাল্টিং, ভিডিওগ্রাফি, ডকুমেন্টারি, ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং, ব্রডকাস্টিং, ভিডিও এডিটিং, মিউজিক তৈরি ইত্যাদি। এসব পেশাই অনলাইন আউটসোর্সিংয়ে উল্লেখযোগ্য পেশা। এসব পেশার ওপর বহু কাজ পাওয়া যায় অনলাইনে।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য করণীয়
সত্যিকারের ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে আপনার দরকার যে কোনো একটি কাজের দক্ষতা অর্থাৎ কাজটি এমনভাবে শিখতে হবে যাতে করে আপনি সারা বিশ্বের সব ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারেন। আর তা না হলে দু-একটা কাজ পেলেও যে কোনো সময় ছিটকে পড়বেন। ভার্সিটি পরীক্ষায় যেমন যে কোনো বিষয়ের খুঁটিনাটিসহ ভালোভাবে বুঝতে হয় ফ্রিল্যান্সিংটা তাই। কারণ ভার্সিটির মতোই এখানে প্রতিযোগিতা দিয়ে কাজ অর্জন করে নিতে হয়।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ কোথায় পাওয়া যাবে?
ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এসব সাইটকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। প্রথম সা‌রির কিছু আউটসোর্সিংয়ের ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলঃ www.upwork.com, www.freelancer.com, www.99designs.com, www.themeforest.net, www. outsourcexp.com, www. mochimedia.com,www.joomlancers.com ইত্যা‌দি। এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং লিখে সার্চ দিলেও অনেক ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া যাবে।

সত্য মিথ্যা যাচাই ছাড়া ইন্টারনেটে কোনো কিছু শেয়ার বা পোস্ট করবেন না_Stop Fake News

করোনা থেকে রক্ষায় বিজ্ঞানী ড. বিজনের ঘরোয়া চিকিৎসা Dr. Bijon Shill Advice


ড. বিজন কুমার শীল

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে পুরো মানবজাতিই এখন চরম বিপর্যয়ে। বাংলাদেশও এই মহামারির আঘাতে বিপর্যস্ত। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে আতঙ্কিত না হয়ে হাতের নাগালেই পাওয়া যায় এমন কিছু পদ্ধতি ও ওষুধ গ্রহণের উপায় জানিয়েছেন বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল।

তারাবির নামাজের নিয়ম, রাকাত, নিয়ত ও দোয়া

প‌বিত্র মা‌হে রমজান মা‌স বান্দার আত্মশু‌দ্ধি ও মহান আল্লাহর নৈকট্য লা‌ভের পথ সহজীকরণের মাস। অন্যান্য মা‌সের তুলনায় এ মা‌সে ইবাদত ব‌ন্দেগীর অ‌শেষ সওয়াব লাভ করা সম্ভব। ক‌রোনা ভাইরা‌সের কার‌ণে এ বছর অ‌নে‌কে বাসায় থে‌কে নামাজ আদায় কর‌ছেন। এর ম‌ধ্যে অন্যতম হ‌লো তারা‌বির নামাজ। তারাবির নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা। বাংলাদেশে তারাবির নামাজের দুটি পদ্ধতি প্রচলিত। একটি খতম তারাবি আর অন্যটি সূরা তারাবি। খতম তারাবির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কুরআন পাঠ করা হয়। খতম তারাবির জন্য কুরআনের হাফিযগণ ইমামতি করেন। সূরা তারাবির জন্য যেকোন সূরা বা আয়াত পাঠের মাধ্যমে সূরা তারাবি আদায় করা হয়।

করোনাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ৭ সহজ পথ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের নিয়মগুলো আমরা সবাই মোটামুটি জানি। যেমন: বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, ৩ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা, মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি। এই নির্দেশনাগুলো অবশ্যই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে মানুষ এসব নির্দেশনা কতটুকু সঠিকভাবে মানছে বা আদৌ কত দিন মেনে চলতে পারবে, তা বলা মুশকিল।

আসন্ন দিনগুলোয় আমাদের অনেকেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারি। তাই আমাদের এখন ভাবতে হবে, যদি আমরা এ রোগে আক্রান্ত হই, তাহলে আমাদের শরীরকে কীভাবে সেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করব, যেন বিশ্বের অধিকাংশ করোনায় আক্রান্ত মানুষের মতো আমরাও দ্রুত সুস্থ হতে পারি।

বিশ্বের সেরা সিনেমাগুলো দেখাবে ইউটিউব Youtube Free Film Festival

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রুখতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে লকডাউন চলছে। বাইরে চলাফেরায়ও আরোপ করা হয়েছে বি‌ধিনিষেধ। এজন্য বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরেই বন্দি থাকতে হচ্ছে মানুষকে। এই ঘরবন্দি জীবন কিছুটা হলেও সহজ করতে দারুণ পদক্ষেপ নিয়েছে ইউটিউব। ১০ দিন বিনামূল্যে বিশ্বের সেরা ছবিগুলো দেখাবে গুগলের জায়ান্ট ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম  ইউটিউব।

Home Based Data Entry Operator Job Circular : ইন্টেলিজেন্ট ইমেজ ম্যানেজম...

বাংলাদেশ বিনিয়োগ
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত ইন্টেলিজেন্ট ইমেজ ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডে
হোম বেজড ডাটা এন্ট্রি অপারেটরপদে ২৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২৫
এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।


বিনামূল্যে ডিজিটাল হেলথ করোনা বীমা : Free Corona Insurance in Bangladesh

১ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে করোনা বীমার সুবিধা দিচ্ছে নো‌বেল জয়ী ড.
মুহাম্মদ ইউনূসের
গড়া প্রতিষ্ঠান Digital Health (DH)

লো প্রেশারে করণীয় : Low Blood Pressure in Bangla

রক্তচাপ কমে যাওয়া, লো প্রেশার, লো ব্লাড প্রেশার কিংবা নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। এ নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ হচ্ছে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। যখন  রক্তচাপ এরচেয়ে কমে যায় তখনই লো ব্লাড প্রেসার হয়েছে বলা হয়। লো ব্লাড প্রেসার খুবই সাধারণ একটি সমস্যা যা হাইপোটেনশন নামেও অ‌ধিক পরিচিত।

এ বিষয়ে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মু. সালাউদ্দিন বলেন, সাধারণত সিস্টোলিক রক্তচাপ ৯০ মি. মি. মার্কারি ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ মি. মি. মার্কারির নিচে হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলা হয়। প্রেশার যদি খুব বেশি নেমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃৎপিণ্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না। ফলে অসুস্থতা দেখা দেয়। তাই প্রেশার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। আমাদের শরীরের জন্য উচ্চ রক্তচাপের মতো নিম্ন রক্তচাপ অর্থাৎ লো ব্লাড প্রেশারও ক্ষতিকর। অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো ব্লাড প্রেশার হতে পারে।

বিনামূল্যে করোনা বীমা সুবিধা পা‌বে ১ লাখ মানুষ Corona Bima

১ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে করোনা বীমার সুবিধা দিচ্ছে নো‌বেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের Digital Health (DH)।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত খরচ বহন করতে ডিজিটাল হেল্থ (ডিএইচ) বুধবার থেকে একটি নতুন বীমা কর্মসূচি চালু করছে। এটি শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস প্রবর্তিত একটি গ্রামীণ সামাজিক ব্যবসা কোম্পানি, যা টেলিনর হেল্থ নামে চার বছর ধরে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। এর সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বর্তমানে ৫০ লাখেরও বেশী।
মঙ্গলবার ইউনুস সেন্টার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।

বিজ্ঞ্তিতে আরও জানানো হয়, নতুন এই সেবাটির নাম “করোনা বীমা” (Corona Insurance) যা অনলাইনে ১ লাখ নিবন্ধনকারীকে “আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে” বিনা খরচে বীমা সুবিধা দেবে। করোনা বীমা কারো করোনা টেস্ট রেজাল্ট “পজেটিভ” এলে তাকে ২ হাজার টাকা প্রদান করবে যাতে তিনি ‘হোম আইসোলেশনে’ যেতে পারেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে ৫ হাজার টাকা দেবে। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তিকে জীবন বীমা “কভারেজ” হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

কভারেজের মেয়াদ হবে নিবন্ধনের তারিখ থেকে দুই মাস এবং তা কার্যকর হবে নিবন্ধনের মুহূর্ত থেকে। সেবা গ্রহীতা ব্যক্তিদের প্রদত্ত সর্বমোট কভারেজের পরিমাণ হতে পারে বেশ বড় অংকের।  

এই অফারটি ১১ জুন ২০২০ পর্যন্ত অথবা এর পূর্বেই ১ লাখ নিবন্ধন সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এরপর নতুন আর কোনো নিবন্ধন গ্রহণ করা হবে না।  

করোনা বীমার অধীনে প্রদত্ত সুবিধাদি নিবন্ধনের সময় থেকে কার্যকর হবে এবং তা পরবর্তী দুই মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

অর্থাৎ কেউ চলতি বছরের ১১ জুন নিবন্ধন করলে তিনি ১০ আগস্ট পর্যন্ত এই অফারের সুবিধা পাবেন। নিবন্ধনের জন্য https://care.dh.health/insurance এই ওয়েব সাইটে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়।   

এই কর্মসূচিতে যারা নিবন্ধন করবেন তাদেরকে করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য সময়ে সময়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও ও পরামর্শ পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল হেলথ (ডিএইচ) ২৮ মার্চ একটি অনলাইন-ভিত্তিক করোনাভাইরাস সিম্পটম চেকার চালু করেছে (https://coronachecker.dh.health/) যে-কেউ বিনা খরচে যার সুবিধা নিতে পারে। চালুর প্রথম পাঁচ দিনেই ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৯০ জন ডিএইচ করোনা সিম্পটম চেকারের প্রশ্নপত্র সম্পূর্ণ করেছেন যেখানে প্রতিটি পরীক্ষায় সময় লেগেছে গড়ে মাত্র ৩ মিনিট ৪১ সেকেন্ড। চেকারে যাদের ঝুঁকি উচ্চমাত্রার বলে শনাক্ত হয়েছে তাদেরকে বাংলাদেশ সরকারের কোভিড হেল্পলাইন ৩৩৩ ও ১৬২৬৩ -এ যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

করোনার বিরুদ্ধে এই ১ লাখ বিনামূল্যের বীমা পলিসি স্পন্সর করছে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট।  

এ বিষয়ে ডিজিটাল হেলথ -এর প্রধান নির্বাহী সাজিদ রহমান বলেন, “এটা অনেকটা স্বস্তিদায়ক যে, রোগীদের অধিকাংশই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন বলে জানা যাচ্ছে। তারা খুব সাধারণ চিকিৎসাতেই জ্বর ও গলা ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে প্রতিটি ব্যক্তি ও পরিবারের জন্যই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেয়াটা জরুরি। আমরা আশা করছি যে, আমাদের সিম্পটম চেকার, করোনা বীমা এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা মানুষের দুশ্চিন্তা লাঘবের পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উপর সৃষ্ট বাড়তি চাপ হ্রাসেও সহায়তা করবে। ”

ক‌রোনা ভাইরাস: জেলা ভি‌ত্তিক আক্রান্তের সংখ্যা? Corona Virus Update Today

বাংলাদেশে সোমবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দুই হাজার ৯৪৮ জন। যা দিয়ে দেশে আক্রান্তের হার একদিনের ব্যবধানে চার শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২০ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ (২০.০৩%)। এখন দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বেড়ে চলেছে।

সোমবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইডিসিআর) দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনা আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ৪৯২ জন। এই সময়ের মধ্যে মারা গেছে নতুন করে ১০ জন। আর কোভিড-১৯ আক্রান্ত এই সকল মানুষ ছড়িয়ে আছে দেশের প্রায় ৫৩টি জেলায়। নতুন করে কোনো জেলায় সংক্রমণ ধরা না পড়লেও আক্রান্ত জেলাগুলোতে ব্যাপক হারে বেড়েছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় তালিকায় শীর্ষে এখনো ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ। শুধু ঢাকা বিভাগে সর্বমোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৮৬৯ জন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৯৭৪, নারায়ণগঞ্জে ৩৮৬, গাজীপুরে ১৭৩, কিশোরগঞ্জে ৭৭, মাদারীপুরে ২৫, মানিকগঞ্জে ৬, মুন্সীগঞ্জে ৩৩, নরসিংদীতে ১০৫, রাজবাড়ীতে ৭, ফরিদপুরে ৪, টাঙ্গাইলে ১০, শরীয়তপুরে ৭, গোপালগঞ্জে ২১, ঢাকার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ৪০ জন করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় ৩৯, কক্সবাজারে ১, কুমিল্লায় ১৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১, লক্ষ্মীপুরে ২১, বান্দরবান ১, নোয়াখালীতে ৩, ফেনী ২, চাঁদপুরে ৮ জন সহ মোট ১০৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। রংপুরের বিভাগের গাইবান্ধায় ১২, নীলফামারীতে ৯, লালমনিরহাটে ২, কুড়িগ্রামে ২, দিনাজপুরে ১০, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬, রংপুর জেলায় ৫, পঞ্চগড়ে ১ জন সহ মোট ৪৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুরে ২০, নেত্রকোনায় ১৪, শেরপুরে ১১, ময়মনসিংহ জেলায় ২১ জন সহ মোট ৬৬ জন। আর বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলায় ২১, বরগুনায় ১০, পটুয়াখালীতে ২, পিরোজপুরে ৪, ঝালকাঠিতে ৪ জন সহ মোট ৪১ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

সিলেটের মৌলভীবাজারে ২, সুনামগঞ্জে ১, হবিগঞ্জে ১, সিলেট জেলায় ৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। এদিকে সংক্রমণ বাড়ছে রাজশাহী বিভাগেও। রাজশাহী জেলায় ৪, জয়পুরহাটে ২, বগুড়ায় ১ ও পাবনায় ২ জন সহ মোট ৯ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বাগেরহাটে একজন ও নড়াইলে দুইজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। মাত্র একদিনের ব্যবধানেই উল্লেখযোগ্য হারে রোগী সংখ্যা বাড়ছে। এখনো পরীক্ষাকৃত নমুনার সংখ্যা ২৬ হাজার ৬০৪ জন। যা মাত্র ১১ দশমিক ১২ শতাংশ।

এসিআই কোম্পানিতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি ২০২০ : ACI Formulations Limited Job Ci...

#অ্যাডভান্সড #কেমিক্যাল #ইন্ডাস্ট্রিজের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান #এসিআই #ফর্মুলেশন্স #লিমিটেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে । সারা দেশব্যাপি ‘সিনিয়র টেরিটরি অফিসার/ টেরিটরি অফিসার’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

রাসূল সা: নির্দেশিত ৫টি অব্যর্থ চিকিৎসা ও প্রতিষেধক

রাসূল সা: যেমন আমাদেরকে আখিরাতে মুক্তির পথ ও পদ্ধতি দেখিয়েছেন, তেমন বিভিন্ন রকম রোগবালাই ও অসুস্থতা থেকে নিরাপদ থাকার বহু পথ বাতলে দিয়েছেন। তিনি অনেক চিকিৎসার কথা আমাদের বলে গেছেন। আর আল্লাহ তায়ালা রাসূল সা: প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘তিনি নিজে থেকে কিছুই বলেন না। যা বলেন তা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ওহির ভিত্তিতেই বলে থাকেন।’ যার কারণে তিনি যত চিকিৎসার কথা বলেছেন, সেগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা; সেটি প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ হোক।

মধু ও কলোজিরা খেয়ে করোনা থেকে সুস্থ হলেন গভর্নর

নাইজেরিয়ার ওয়ো রাজ্যের গভর্নর সোয়ে মাকিন্দে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন। সুস্থ হওয়ার পর তিনি টুইটারে লিখেন, আমি আপনাদের দোয়ায় সুস্থ হয়ে ফিরেছি। আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

একটি হাদিসই বদলে দিতে পারে আপনার জীবন

একটি হাদিস, শুধুমাত্র একটি হাদিসই বদলে দিতে পারে আপনার জীবন। আমরা যদি এ হাদিসটি জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি, তবে জীবন সর্বাঙ্গীণ সুন্দর ও চমৎকার হয়েও উঠবে। হাদিসটি মেনে চলতে পারলে, জীবনের কোনো দুশ্চিন্তাই আমাদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারবে না।

হাদিসটি শুনবেন? এটি হলো- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যদি তোমরা চারটি গুণ অর্জন করতে পারো, তবে দুনিয়ার হারানো বস্তু নিয়ে তোমাদের দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। (৪টি গুণ হলো) আস্থা, সত্য কথা, উত্তম চরিত্র এবং খাবারে সংযম।’ (মুসনাদে আহমদ)।

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি : Sehr o Iftar Timings Calendar 2020

রমজান মাস মুসলিম জাতির জন্য অত্যন্ত পবিত্র মাস। সারা বছরের অপেক্ষার পর শান্তির বার্তা নিয়ে আসছে পবিত্র রমজান মাস।আগামী ২৫ এপ্রিল পবিত্র মাহে রমজানের রোজা শুরু হতে পারে ধরে নিয়ে এবারের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ঠিক করে দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মাঝে সাওম বা রোজা পালন ৩য়। রহমত, বরকত ও নাজাতের এ মাসে নাযিল হয়েছে পরিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন

হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের চাকরি প্রস্তুতি : CGA Job Exam Preparation

হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তরগুলোর অধীনে অডিটর পদে ৫৩৮টি ও জুনিয়র অডিটর পদে ৪৫৭টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। অডিটর পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক পাস হতে হবে।
আর উচ্চ মাধ্যমিক পাস হলেই জুনিয়র অডিটর পদের জন্য আবেদন করা যাবে।


আবেদনের শেষ সময়
৫ মে ২০২০

২০১৮ সালে নিয়োগ পাওয়া অডিটর মিজানুর রহমান নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন...

নিয়োগ প্রক্রিয়া যেভাবে
নিয়োগ পরীক্ষাগুলো সাধারণত সর্বমোট ১০০ নম্বরের হয়ে থাকে। অডিটর নিয়োগ পরীক্ষা সাধারণত দুই ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ পদ্ধতি) পরীক্ষা হয় ৭০-৮০ নম্বরের ওপর। তারপর মৌখিক পরীক্ষা হয় ২০-৩০ নম্বরের ওপর। তবে প্রার্থী বেশি হলে ক্ষেত্র বিশেষে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পরে লিখিত পরীক্ষাও নেওয়া হয়। আর জুনিয়র অডিটর নিয়োগ পরীক্ষা হয় তিন ধাপে। প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ৭০-৮০ নম্বরের ওপর।

দ্বিতীয় ধাপে হয় কম্পিউটার ব্যাবহারিক পরীক্ষা। মূলত কম্পিউটার চালনা ও বাংলা-ইংরেজিতে টাইপের গতি দেখা হয়। উভয় ভাষায় ২০টি শব্দ/মিনিট থাকলে টাইপিং পর্বে পাস করা যায়। এরপর মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে।



প্রিলিমিনারি পরীক্ষা যেভাবে
অডিটর ও জুনিয়র অডিটর—দুই পদেই সাধারণত ৭০-৮০ নম্বরের প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ পদ্ধতিতে) পরীক্ষা হয়। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ করে। আর প্রশ্নপত্রে নেগেটিভ মার্কিংয়ের বিষয়ে লেখা না থাকলে কোনো নেগেটিভ মার্কিং হবে না। পরীক্ষায় সাধারণত বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান (সমসাময়িক ঘটনাবলি, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ইত্যাদি) থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন হয় সাধারণত—বাংলা ১৫-২০, ইংরেজি ২০, গণিত ২০, সাধারণ জ্ঞানে ১৫-২০ নম্বর। এ ছাড়া বিষয়ভিত্তিক আলাদাভাবে পাস করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।



বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির পরামর্শ
বাংলা : বিগত সালের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে বাংলা অংশে সাহিত্য ও ব্যাকরণ উভয় থেকেই প্রশ্ন এসে থাকে। ব্যাকরণ অংশে ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি, সমাস, প্রয়োগ, অপপ্রয়োগ, উপসর্গ, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, পরিভাষা, সমার্থক শব্দ এবং বিপরীতার্থক শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগ্ধারা, প্রবাদ বাক্য প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। ব্যাকরণ অংশে প্রস্তুতির জন্য নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড ব্যাকরণ বইটি ভালো করে পড়া যেতে পারে। এবার আসা যাক বাংলা সাহিত্যে। এই অংশের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আপনাকে কৌশলী হতে হবে। শুরুতেই বলে রাখি, বাংলা সাহিত্যের প্রস্তুতির শুরুটাই হওয়া উচিত বিগত বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষাগুলোর সব প্রশ্ন সমাধান করার মাধ্যমে। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ওপর প্রায় একই ধরনের প্রশ্ন বারবার আসে। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প-উপন্যাস ও বিভিন্ন পত্রিকার প্রকাশ সাল ও সম্পাদকের নাম পরীক্ষায় আসে। বাজারে ভালো মানের একটি গাইড বই অনুসরণ করলে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব।



ইংরেজি : ইংরেজি অংশ, গ্রামার ও সাহিত্য অংশ থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। তবে বেশির ভাগ প্রশ্ন গ্রামার অংশ থেকে এসে থাকে। বিগত সালের প্রশ্নগুলো থেকে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আসে Idioms and pharase, Synonyms and Anonyms, appropriate prepositions, Modals & Group verbs, Corrections, Participle, Infinitive, Gerund প্রভৃতি। এ ছাড়া গ্রামারের অনান্য গুরুত্বপূর্ণ টপিক থেকেও প্রশ্ন আসে। ইংরেজি ভিত মজবুত করে এই টপিকগুলো বেশি বেশি চর্চা করা যেতে পারে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২ ঘণ্টা ইংরেজির জন্য বরাদ্দ রাখলে ভালো ফল দেবে। আর সাহিত্য অংশ থেকে ইংরেজি সাহিত্যের যুগ বিভাগ, কিছু লিটারেরি টার্ম, বিখ্যাত গ্রন্থগুলোর লেখকের নাম প্রভৃতি থেকে বেশি প্রশ্ন এসে থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয় থেকেও প্রশ্ন মাঝেমধ্যে আসতে দেখা যায়। তবে বিগত সালের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো বেশি বেশি চর্চা করলে কমন পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জুনিয়র অডিটর নিয়োগ পরীক্ষা হয় তিন ধাপে। প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ৭০-৮০ নম্বরের ওপর। দ্বিতীয় ধাপে হয় কম্পিউটার ব্যাবহারিক পরীক্ষা। মূলত কম্পিউটার চালনা ও বাংলা-ইংরেজিতে টাইপের গতি দেখা হয়।



গণিত : গণিত অংশে মুখস্থ করার বিষয় তেমন নেই। পরীক্ষার হলে ঠাণ্ডা মাথায় উত্তর বের করতে হয়। তাই এই অংশে ভালো করতে হলে গণিতের ভিত্তিটা মজবুত করতে হবে। বুঝে বুঝে প্রতিদিন নিয়মিত গণিত অনুশীলন করতে হবে। গণিতের ভিত্তি মজবুত না থাকলে আজ থেকেই শুরু করে দিন লড়াই।

গণিতের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ২ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ রাখুন। গণিতের ভিত্তি মজবুত করার জন্য ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ইউটিউবেও গণিতের প্রস্তুতির জন্য বেশ কয়েকটি ভালো চ্যানেল রয়েছে। সেখান থেকে ভিডিও দেখেও গণিত শেখা যেতে পারে। গণিতের সূত্রগুলো লিখে পড়ার টেবিলের সামনে টানিয়ে তাতে বারবার চোখ বুলানো যেতে পারে। গণিতের ভিত্তি মজবুত হলে অল্প সময়ে এমসিকিউ গণিতের উত্তর করার জন্য শর্টকাট নিয়ম শেখা যেতে পারে।

তবে ভুলেও শুরুতে শর্টকাট নিয়ম শিখবেন না।

বিগত সালের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাস্তব সংখ্যা, লসাগু, গসাগু, শতকরা, সরল ও যৌগিক মুনাফা, অনুপাত ও সমানুপাত, লাভ ও ক্ষতি, বীজগাণিতিক সূত্রাবলি, সরল, বহুপদী উত্পাদক, সূচক, লগারিদম, কোণ, ত্রিভুজ ইত্যাদি টপিক থেকে সাধারণত বেশি প্রশ্ন আসে। সহায়ক বই হিসেবে বাজারের ভালো মানের একটি গাইড বই ও ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির একাডেমিক গণিত বইগুলো অনুশীলন করতে হবে।



সাধারণ জ্ঞান : সাধারণ জ্ঞান কয়েক ধরনের প্রশ্ন এসে থাকে। স্থায়ী সাধারণ জ্ঞান ও সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান। এ ছাড়া সাধারণ জ্ঞান অংশে দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি থেকেও প্রশ্ন এসে থাকে। সাধারণ জ্ঞানে ভালো প্রস্তুতির জন্য নিয়মিত দৈনিক পত্রিকা পড়ার বিকল্প নেই। বাজারের প্রচলিত ভালো মানের একটি গাইড বই থেকে গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো পড়তে হবে। যেমন—ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের সংবিধান, সরকারব্যবস্থা, জাতীয় সম্পদ, জাতীয় অর্জন, অর্থ বাজেট, পুরস্কার, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা, আন্তজার্তিক রাজনীতি, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন, বৈশ্বিক চুক্তি, সম্মেলন প্রভৃতি টপিক ভালো করে পড়তে হবে। বিগত সালের বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যাসহ পড়তে পারলে ভালো। এ ছাড়া অডিটর সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নও আসতে দেখা গেছে।

কম্পিউটার অংশে প্রস্তুতির জন্য মাধ্যমিকের কম্পিউটার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বই থেকে প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। আর দৈনন্দিন বিজ্ঞানের প্রস্তুতির জন্য নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বইটা থেকে প্রস্তুতি নিতে পারলে ভালো হয়। এ ছাড়া দৈনিক পত্রিকার তথ্য-প্রযুক্তি পাতা পড়লে বেশ কাজে দেবে।









আবেদন শুরুঃ ০৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখ সকাল ১০:০০ টা।
আবেদনের শেষঃ ০৫ মে ২০২০ তারিখ বিকাল ০৫:০০ টা পর্যন্ত।

আবেদনের নিয়ম
আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে http://cga.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।



নিটল টাটায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি : Nitol Niloy Job Circular 2020

১০০ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নিটল-নিলয় গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘অ্যাসেসমেন্ট অফিসার/রিকোভারি অফিসার’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই আবেদন করতে পারবেন...

এনজিওতে চাকরির প্রস্তুতি ও তথ্য (এনজিও জব সহায়িকা) : NGO Job Preparation



ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি পরিচালনাসহ নানামুখী কার্যক্রমে প্রতিবছর বড়সংখ্যক কর্মী নিয়োগ দেয় বিভিন্ন এনজিও। এসব সংস্থায় এন্ট্রি লেভেলের পদগুলোতে এইচএসসি বা স্নাতক ডিগ্রিধারী ফ্রেসার বা নতুন প্রার্থীরা সুযোগ পান। তবে ব্যবস্থাপক বা ঊর্ধ্বতন পদগুলোতে অভিজ্ঞদের প্রাধান্যই বেশি। এনজিওতে চাকরির সুযোগ কেমন, নিয়োগপ্রক্রিয়া, বাছাই পরীক্ষার প্রস্তুতি ও দরকারি তথ্য নিয়ে আজকের ভিডিও...

করোনা–আক্রান্তদের করণীয়

করোনাভাইরাস দিনকে দিন বিশ্বে ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে। এ রোগের কারণে একে একে মৃত্যুর দুয়ারে গেছেন হাজার হাজার মানুষ। মহামারি এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। দেখা যাচ্ছে, এ রোগে দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধদের মধ্যেই বেশি। চীন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বৃদ্ধদের, বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এরই মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন বয়স্ক ব্যক্তিরাই।
বয়স্কদের মধ্যে দুর্বল প্রতিরোধক্ষমতা ও স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে কোভিড–১৯ সহজেই তাঁদের আক্রান্ত করে।
 বৃদ্ধদের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের ঝুঁকিও বেশি। কেন বৃদ্ধরা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, এর সঠিক কারণ কেউই এখন পর্যন্ত বলতে পারছেন না। এটা হতে পারে বয়সজনিত কারণে। কারণ, এ সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। এ জন্য তাঁরা কোনো রোগ বা জীবাণুর সঙ্গে লড়তে পারেন না।

করোনায় মৃত ব্যক্তি থেকে ক‌রোনা ছড়ায় না: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির শরীর থেকে অন্য কারও সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে মৃতদেহ সৎকারের সময় হাতের সুরক্ষা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। গত ২৪ মার্চ Infection Prevention and Control for the safe management of a dead body in the context of COVID-19 শিরোনামের একটি নিবন্ধে তারা এসব তথ্য জানিয়েছে।

ভুল মা‌স্কের ভয়াবহ বিপদ

সাধারণ মাস্ক
দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আজ আমরাও আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে মাস্কের ব্যবহার। কিন্তু উদ্বেগজনক সত্য হচ্ছে, দেশে বর্তমানে প্রচলিত মাস্কগুলোর বেশির ভাগই চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর এবং মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দেশে মোট আমদানি করা ও উৎপাদিত মাস্কের সিংহভাগ হচ্ছে প্রচলিত নন-উভেন থার্মোপ্লাস্টিক শপিং ব্যাগের কাপড় দিয়ে। নন-উভেন থার্মোপ্লাস্টিক কাপড় হচ্ছে বর্তমান বাজারের সবচেয়ে সস্তা প্লাস্টিক। এ–জাতীয় কাপড়কে বলা হয় পিপি-ফেব্রিক্স, অর্থাৎ এটি প্রোপিলিনের পলিমার দিয়ে তৈরি। পলিথিন যেমন ইথিলিনের পলিমার, পিপি-ফেব্রিক্স তেমন প্রোপিলিনের পলিমার দ্বারা তৈরি। ফলে নন-উভেন কাপড় তৈরিতে কোনো সুতা ব্যবহার করা হয় না; এটি সরাসরি তাপ-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত হয়।

সংক্রামক রোগ: রাসূল সা:-এর নির্দেশনা এবং করণীয়

অধ্যাপক কর্নেল (অব:) ডা: জেহাদ খান: বিভিন্ন দেশের সরকার কর্তৃক করোনাভাইরাসে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য এ চেষ্টা, আর্থিক প্রণোদনা, অন্য দিকে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নানা রকম প্রচারণা। এই ভাইরাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক চীনকে দোষারোপ, আবার চীন ও রাশিয়া কর্তৃক চলছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে দোষারোপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটাকে মহামারী ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় ২২ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করেছে। ভবিষ্যতের অজানা আশঙ্কায় মানুষ খাদ্যদ্রব্য মজুদ করা শুরু করেছে এবং জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডাক্তার ও নার্সরাও আতঙ্কের শিকার হচ্ছেন। ঢাকা মেডিক্যালের ডাক্তার ও চিকিৎসা সহকারী একজন বিদেশফেরত রোগীকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেছেন এবং পরে সে রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। এক রোগী আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতাল থেকে নাকি পালিয়েছেন।

করোনায় নাগরিক ঐক্যের ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম

করোনা ভাইরাসে ২৪ ঘণ্টা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে নাগরিক ঐক্যের পক্ষে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম কাজ করবে।
টিমের চিকিৎসকদের মধ্যে রয়েছেন- ডা. রিফাত হাসান রনি, ডা. বুশরা সাদিয়া। তারা দুজন করোনার চিকিৎসাসেবা প্রদানে সনদপ্রাপ্ত। এ টিমের নেতৃত্ব দেবেন ডা. শোয়েব মোহাম্মদ এবং ডা. রুবাইয়া আনোয়ার।নাগরিক ঐক্যের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চিকিৎসকদের পাশাপাশি শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে। একইভাবে দেশের কয়েকটি জেলায় সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসক এবং স্বেচ্ছাসেবকদের টিম গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
নিচের নম্বরে ফোন করে ২৪ ঘণ্টা সেবা পাওয়া যাবে -
ডা. শোয়েব মোহাম্মদ (০১৭১৯-৪৩৫১৮৫)
ডা. রুবাইয়া আনোয়ার (০১৭০৬-৩৪০২৫৭)
ডা. রিফাত হাসান রনি (০১৬৮০-৭৩৩১৮৪)
ডা. বুশরা সাদিয়া (০১৮৮৪-৯০৭৭২৯)
দেশে করোনা চিকিৎসার উপকরণ যেমন পরীক্ষার কিট, ডাক্তারদের সুরক্ষা উপরকরণের অভাব থাকার পরও নাগরিক ঐক্যের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল টিম প্রয়োজনে পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ব্যবহার করে অক্সিজেন, নেবুলাইজার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ রোগীদের কাছে গিয়ে সেবা প্রদান করবে। তাদের করোনা পরীক্ষা এবং প্রয়োজন হলে সরকার অনুমোদিত হাসপাতালে ভর্তি এবং পরবর্তী চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাগরিক ঐক্যের মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগের পর যাদের কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনের পরামর্শ দেয়া হবে, তারা তা পালন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন কিনা - তা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে।

হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞ‌প্তি ২০২০ : CGA Job Circular...সর্বমোট ১৯০১ পদের বিশাল চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

মৎস্য অধিদপ্তরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২০: Fisheries BD Job Circular 2020

সাত দিনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃ‌দ্ধি করুন! Increase Immunity


প্রতিমুহূর্তে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস, ভাইরাস আমাদের দেহ আক্রমণের চেষ্টা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এই সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হওয়া দরকারি।

বারবার ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আক্রমণের শিকার হলে এবং সুস্থ হতে বেশি সময় লাগলে বুঝতে হবে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব রয়েছে। তখন এটি বাড়ানো প্রয়োজন। কিছু পদক্ষেপ নিলে কয়েক দিনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বোল্ডস্কাই জানিয়েছে সাত দিনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু উপায়।      

গ্রিন ও ব্ল্যাক টি 
গ্রিন ও ব্ল্যাক টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোয় খুব কার্যকর। তবে বেশি খাবেন না। দিনে এক থেকে দুই কাপ খান। শরীর ভালো রাখতে ক্যাফেইন (চা, কফি) জাতীয় খাবারের পরিবর্তে গ্রিন টি খান।
 
কাঁচা রসুন 
রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে এলিসিন, জিংক, সালফার, সেলিনিয়াম, ভিটামিন-এ এবং ই। এ ছাড়া রয়েছে অ্যান্টিফাংগাল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এসব বিষয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর। সাত দিনের প্রথম দিন কাঁচা রসুন খান।

দই
দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান। এটি হজমের জন্যও ভালো। তাই দই খান। তবে খালি পেটে খাবেন না। 

ওটস
এতে রয়েছে আঁশ এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। প্রতিদিন খেলে রোগকে সহজে মোকাবিলা করায় সহায়তা পাবেন। 

ভিটামিন-ডি
ভিটামিন-ডি হাড়ের জন্য ভালো। এটি হাড় মজবুত রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমরা জানি, ভিটামিন-ডি-এর ভালো উৎস হলো সূর্যের আলো। তবে খুব কড়া আলো ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। সকালের হালকা আলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 

লেবুর শরবত
ভিটামিন-সি রোগবালাইের আক্রমণ থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। এটি দেহকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফ্রি রেডিক্যালসের হাত থেকে প্রতিরোধ করে। লেবুতে রয়েছে এই ভিটামিন-সি। তাই এই সাত দিন অবশ্যই লেবুর শরবত খান। এ ছাড়া ভিটামিন-সি পেতে কমলার রসও খেতে পারেন।  

জিংক
শরীরে এনজাইমের কার্যক্রম ঠিকমতো চলার জন্য জিংক প্রয়োজন। জিংকের চাহিদা পূরণে সবুজ শাকসবজি এবং গমের আটার রুটি, শিম ইত্যাদি খেতে পারেন। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জিংক সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন। 

যে খাবারগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

বর্তমা‌ন বিশ্ব ধূক‌ছে ক‌রোনা ভাইরা‌সের আক্রম‌ণে। এই আক্রমণ থে‌কে রক্ষা পাওয়ার প্রধান উপায় শরী‌রে রোগ প্র‌তি‌রোধ ক্ষমতা বৃ‌দ্ধি করা। শরীরের সুস্থতা এবং রোগের আক্রমণে দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে টিকে থাকতে প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার রক্ষা কবচ। কিছু খাবার আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সবসময় সুস্থ রাখে।

এমন কিছু খাবারের তালিকা এখানে দেয়া হলো। দেখে নিন-

১. ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার

ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবারে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাবারে কমলা, লেবু, পেয়ারা, টমেটো, লেবু, নারকেল, পেয়ারা, কালোজামের মতো খাবার রাখুন। বিটা-ক্যারোটিন যা শরীরের বলিরেখা দূর করে এবং রক্ত পরিশোধন করে।

২. মিষ্টি আলু
গাজরের মতো মিষ্টি আলুতেও থাকে বিটা-ক্যারোটিন। মানুষের শরীরে ঢুকে এটি হয়ে যায় ভিটামিন এ। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এমনকি বুড়ো হয়ে যাওয়া ঠেকাতেও কাজ করে বিটা-ক্যারোটিন।

৩. চিকেন স্যুপ
বাসায় বানানো চিকেন স্যুপ মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারী। এতে থাকে কারনোসিন নামের একটি রাসায়নিক পদার্থ। এটি ভাইরাস জ্বরের সংক্রমণ থেকে শরীরকে বাঁচাতে ভূমিকা রাখে।

৪. রসুন
রসুন রান্না করা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। কাঁচা রসুন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাকজনিত আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিশেষ করে, ত্বকের সংক্রমণ নিরাময়ে ভালো কাজ করে রসুন। শরীরের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতেও কাজ করে এটি।

৫. আদা
খাবারের ঝাঁজ ছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টেরও ভালো উৎস আদা। ফলমূল বা সবজি থেকে পাওয়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে কাজও করে তাড়াতাড়ি।

৬. দুধ ও দই  
জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ ও দই রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। দুধ হজম না হলে দুধের তৈরি খাবার খান। দিনে অন্তত ১০০ গ্রাম দই অথবা ১ কাপ দুধ খাবার চেষ্টা করুন।

৭. কাঠবাদাম 
কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ‘ই’ যা খুবই শক্তিশালী একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি ঠাণ্ডার সমস্যা ও কাশি প্রতিরোধ করে। এর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরে শক্তি প্রদান করে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বজায় রাখে।

৮. ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার
ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার রোগ প্রতিরোধে খুব সাহায্য করে। গাজর, টোমাটো, কুমড়া বেশি করে খান। সারাদিনে ১ কাপ গাজরের জুস খেতে পারলে দারুণ উপকার পাবেন। গাজরের জুস দুধের থেকে সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর।

৯. মধু ও দারুচিনি  
মধু ও দারচিনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

১০. আমলকী  
আমলকীর সাথে অল্প আদা ও খেজুর বেটে নিন। ভিটামিন সিতে ভরপুর আমলকীর এই চাটনি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।

১১. পানি  
সারাদিনে প্রচুর পানি পান করুন। এছাড়া হারবাল চাও খেতে পারেন, কেননা তা শরীরকে নীরোগ রাখতে সহায়তা করে। সফট ড্রিঙ্ক কম খান।

১২. গ্রিন টি  
তুলসি ও গ্রিন টি দেহের জন্য দারুণ উপকারী। এগুলো অর্গানিক, ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী, হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী, ক্যালোরি অনেক কম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। গ্রিন টি খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধীব্যবস্থা শক্তিশালী হয়।