দ্বিতীয় সন্তানের প্ল্যান করছেন?

প্রথম সন্তানের পর দ্বিতীয় সন্তানের ব্যাপারে একটু বেশি সময় নেয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত তো কি সবসময় সঠিক হয়? নাকি প্রথম সন্তানের এক-দুই বছরের মধ্যেই দ্বিতীয় সন্তানের জন্য তৈরি হওয়া উচিত। চিকিৎসকরা বলছেন, এই বিষয়টি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তাই দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্য মাথায় রাখুন কয়েকটি জিনিষ।

১) গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরে অনেক পরিবর্তন হয়। যদি আপনি বেশ কয়েক বছর আগে প্রথম সন্তানের জন্ম দেন, আপনার শরীরও যদি ঠিক থাকে। তবে আপনি দ্বিতীয় সন্তানের কথা ভাবতে পারেন। এই পরিবর্তনের জন্য অবশ্য়ই মানসিক দিক থেকে তৈরি থাকতে হবে। নাহলে মুশকিল হতে পারে।
২) আপনার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলও পরিবর্তন হয়। এটাই স্বাভাবিক ডিম্বানু তৈরি হওয়া কমে যেতে থাকে। এছাড়াও মিসক্যারেজের সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই এই বিষয়টা মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

৩) একটি সন্তান হওয়ার পর তাঁকে বড় করে তোলা, এই সবকিছুতেই অনেকটা খরচ হয়ে যায় আপনার। তাঁর ভাল ভবিষ্যৎ, স্কুলের খরচ সবকিছুই আপনাকে মাথায় রাখতে হয়। তাই দ্বিতীয় সন্তানের কথা ভাববেন যখন নিজেদের আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রাখাটা খুবই প্রয়োজনীও।

৪) দ্বিতীয় সন্তানের কথা যখন ভাবছেন, মনে রাখুন আপনার প্রথম সন্তানের যত্ন আপনাকেই করতে হবে। এই সময়ভাগটা কিন্তু আপনাকেই করতে হবে। তাই দুই সন্তানকে যদি সময় দিতে পারেন, তবেই দ্বিতীয় সন্তানের কথা ভাবুন। একইসঙ্গে নবজাতকের যত্ন করতে হবে।


২য় সন্তান

লাভ ম্যারেজ করেও সংসারে অশান্তি? খেয়াল রাখুন এই ৫ বিষয় : Love Marriage

প্রেমের বি‌য়ে হল শুধুমাত্র দম্পতি দ্বারা চালিত হয়। পিতামাতার সম্মতিতে বা ছাড়াই ছে‌লে-‌মে‌য়ে‌দের পছ‌ন্দে ভি‌ত্তি‌তে প্রেম বিবাহ হ‌য়ে‌ থা‌কে যা সাজানো বিবাহের বিপরীত। 

গদ্য, পদ্য, সিনেমা, গল্প। সব জায়গা থেকেই শেখা। ভালোবাসা থাকলে নাকি সব থাকে। কিন্তু এই ভালোবাসাই যদি সংসারে ঢুকে ভা‌লোবাসাহীন হয়ে দাঁড়ায়। রোজ রোজ যদি শুরু হয় অ‌বিশ্বাস, ঝগড়া, অশান্তি! তাহলে?

লাভ ম্যারেজেও আজকাল সমস‌্যা দেখা যায়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অশান্তির সূত্রপাত। দুজনে একেবারেই দু'চোখের বিষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে, সামলে রাখা যায় আপনার সম্পর্ক ও সংসারকে।

১) একঘেয়ে রুটিন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিন। চেষ্টা করুন রোমাঞ্চ ফেরাতে জীবনে। পারলে  কোথাও ঘুরে আসুন। কিংবা দুজনে আলাদা আলাদা সোলো ট্রিপে বা বন্ধুদের সঙ্গেও ঘুরতে যেতে পারেন।

২) কোনও বিষয় নিয়ে যদি মতপার্থক্য থাকে। তাহলে একজন অন্তত চুপ থাকুন। প্রয়োজনে বিতর্ক এড়িয়ে যান।
৩) মন খুলে কথা বলুন, কান খুলে কথা শুনুন। আগে থেকেই আন্দাজ করে নেবেন না ঘটনাপ্রবাহ। দেখবেন এতে অশান্তি কম হবে।
৪) নিজেদের সম্পর্কের মধ্য়ে তৃতীয় ব্যক্তিকে আসতে দেবেন না। নিজেদের সমস্যাগুলোকে নিজেরাই মিটিয়ে নিন।

৫) ভালোবাসা নিশ্চয়ই রয়েছে আপনাদের মধ্যে। খুঁজে বার করুন। প্রয়োজনে এমন কিছু কাজ একসঙ্গে করুন, যা আপনাদের দুজনেরই ভালো লাগবে।




Lovemarage, 

ঘরে বসে জন্মনিবন্ধন করবেন যেভাবে : Apply for Birth Certificate BD

একজন মানুষ জন্ম নেওয়ার পর তার প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি জন্মনিবন্ধন। সাধারণত শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন করতে হয়। স্কুলে ভর্তিসহ নানা কাজে এই জন্মনিবন্ধনই শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত সবেচেয়ে কাজে লাগে। এমনকি পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র করার জন্যও দরকার হয় জন্মনিবন্ধন সনদ।

দেশে ২০০৪ সালে জন্মনিবন্ধন আইন প্রণয়ন করলেও ২০০৬ সাল থেকে তা কার্যকর হয়। আইন অনুযায়ী কোনো শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক। তবে বয়স ৪৫ দিনের বেশি হলে অর্থের বিনিময়ে জন্মনিবন্ধন সনদ করা যায়।

যারা ব্যস্ততার কারণে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়ে জন্মনিবন্ধনের আবেদন করতে পারেন না তাঁরা চাইলেই সহজে ঘরে বসেই অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের আবেদন করতে পারেন।

অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে যেকোনো ব্রাউজার থেকে যেতে হবে https://bdris.gov.bd/br/application এই ঠিকানায়। শুরুতেই যে ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করবে তা নির্ধারণ করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। যদি বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্মনিবন্ধন আবেদন করতে চান, তবে সেটিও নির্বাচন করে দিতে হবে।

অবশ্যই খুব সতর্কতার সঙ্গে সকল তথ্য পূরণ করতে হবে। আবেদনের প্রথমে শিশুর ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। শিশুর নাম বাংলায় ও ইংরেজিতে সাবধানে লিখতে হবে। বাবা-মায়ের কততম সন্তান তা উল্লেখ করতে হবে। পুরুষ না মহিলা লিঙ্গ তা মার্ক করে নিন।

এরপর মা-বাবার বাংলা ও ইংরেজিতে নাম, তাঁদের জন্মনিবন্ধন নম্বর/জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জাতীয়তা দিয়ে আবারও পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে জন্মনিবন্ধন কার্ডটি সংগ্রহের তারিখ জানা যাবে। এভাবেই ঘরে বসে মাত্র কয়েক মিনিটেই জন্মনিবন্ধনের আবেদন করা যাবে।

আবেদনের পর পত্রটি প্রিন্ট করে নিজের সংগ্রহে রাখতে হবে। আবেদন পত্রের নম্বর সংগ্রহ করে আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক কার্যালয় (ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভা) থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে হবে। নিবন্ধক কার্যালয়ে আবেদন পত্র নম্বর বা আবেদনের প্রিন্ট কপি জমা দিলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার জন্মনিবন্ধন সনদ অনুমোদন করে প্রিন্ট করে দেবেন। এখানে বলে রাখা ভালো, ১৫ দিনের মধ্যে সনদ সংগ্রহ না করলে আপনার আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে।

যেসব কাগজপত্র লাগতে পারে জন্মনিবন্ধন করার সময়

  • শিশুর ইপিআই টিকা কার্ড
  • হাসপাতালের ছাড়পত্র
  • বাসা বাড়ির কর বা ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ
  • মা-বাবার এনআইডি কার্ড ও একটি সচল মোবাইল নম্বর
  • মা-বাবার অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ

শিশুর বয়স ৪৫ দিন পর্যন্ত জন্মনিবন্ধন করতে কোনো টাকা লাগে না। তবে ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বিলম্ব ফি ২৫ টাকা। ৫ বছর পর বিলম্ব ফি ৫০ টাকা।





অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে যেকোনো ব্রাউজার থেকে যেতে হবে https://bdris.gov.bd/br/application এই ঠিকানায়। শুরুতেই যে ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করবে তা নির্ধারণ করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। যদি বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্মনিবন্ধন আবেদন করতে চান, তবে সেটিও নির্বাচন করে দিতে হবে।

অবশ্যই খুব সতর্কতার সঙ্গে সকল তথ্য পূরণ করতে হবে। আবেদনের প্রথমে শিশুর ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। শিশুর নাম বাংলায় ও ইংরেজিতে সাবধানে লিখতে হবে। বাবা-মায়ের কততম সন্তান তা উল্লেখ করতে হবে। পুরুষ না মহিলা লিঙ্গ তা মার্ক করে নিন।

এরপর মা-বাবার বাংলা ও ইংরেজিতে নাম, তাঁদের জন্মনিবন্ধন নম্বর/জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জাতীয়তা দিয়ে আবারও পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে জন্মনিবন্ধন কার্ডটি সংগ্রহের তারিখ জানা যাবে। এভাবেই ঘরে বসে মাত্র কয়েক মিনিটেই জন্মনিবন্ধনের আবেদন করা যাবে।

আবেদনের পর পত্রটি প্রিন্ট করে নিজের সংগ্রহে রাখতে হবে। আবেদন পত্রের নম্বর সংগ্রহ করে আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক কার্যালয় (ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভা) থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে হবে। নিবন্ধক কার্যালয়ে আবেদন পত্র নম্বর বা আবেদনের প্রিন্ট কপি জমা দিলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার জন্মনিবন্ধন সনদ অনুমোদন করে প্রিন্ট করে দেবেন। এখানে বলে রাখা ভালো, ১৫ দিনের মধ্যে সনদ সংগ্রহ না করলে আপনার আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে।

যেসব কাগজপত্র লাগতে পারে জন্মনিবন্ধন করার সময়

  • শিশুর ইপিআই টিকা কার্ড
  • হাসপাতালের ছাড়পত্র
  • বাসা বাড়ির কর বা ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ
  • মা-বাবার এনআইডি কার্ড ও একটি সচল মোবাইল নম্বর
  • মা-বাবার অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ

শিশুর বয়স ৪৫ দিন পর্যন্ত জন্মনিবন্ধন করতে কোনো টাকা লাগে না। তবে ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বিলম্ব ফি ২৫ টাকা। ৫ বছর পর বিলম্ব ফি ৫০ টাকা।




অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে যেকোনো ব্রাউজার থেকে যেতে হবে https://bdris.gov.bd/br/application এই ঠিকানায়। শুরুতেই যে ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করবে তা নির্ধারণ করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। যদি বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্মনিবন্ধন আবেদন করতে চান, তবে সেটিও নির্বাচন করে দিতে হবে।

অবশ্যই খুব সতর্কতার সঙ্গে সকল তথ্য পূরণ করতে হবে। আবেদনের প্রথমে শিশুর ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। শিশুর নাম বাংলায় ও ইংরেজিতে সাবধানে লিখতে হবে। বাবা-মায়ের কততম সন্তান তা উল্লেখ করতে হবে। পুরুষ না মহিলা লিঙ্গ তা মার্ক করে নিন।

এরপর মা-বাবার বাংলা ও ইংরেজিতে নাম, তাঁদের জন্মনিবন্ধন নম্বর/জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জাতীয়তা দিয়ে আবারও পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে জন্মনিবন্ধন কার্ডটি সংগ্রহের তারিখ জানা যাবে। এভাবেই ঘরে বসে মাত্র কয়েক মিনিটেই জন্মনিবন্ধনের আবেদন করা যাবে।

আবেদনের পর পত্রটি প্রিন্ট করে নিজের সংগ্রহে রাখতে হবে। আবেদন পত্রের নম্বর সংগ্রহ করে আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক কার্যালয় (ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভা) থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে হবে। নিবন্ধক কার্যালয়ে আবেদন পত্র নম্বর বা আবেদনের প্রিন্ট কপি জমা দিলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার জন্মনিবন্ধন সনদ অনুমোদন করে প্রিন্ট করে দেবেন। এখানে বলে রাখা ভালো, ১৫ দিনের মধ্যে সনদ সংগ্রহ না করলে আপনার আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে।

যেসব কাগজপত্র লাগতে পারে জন্মনিবন্ধন করার সময়

  • শিশুর ইপিআই টিকা কার্ড
  • হাসপাতালের ছাড়পত্র
  • বাসা বাড়ির কর বা ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ
  • মা-বাবার এনআইডি কার্ড ও একটি সচল মোবাইল নম্বর
  • মা-বাবার অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ

শিশুর বয়স ৪৫ দিন পর্যন্ত জন্মনিবন্ধন করতে কোনো টাকা লাগে না। তবে ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বিলম্ব ফি ২৫ টাকা। ৫ বছর পর বিলম্ব ফি ৫০ টাকা।



Apply Birth Certificate registration bd 2024-25, Apply for Birth Certificate bd, জন্ম সনদ তৈরি: জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে? (2024- 2025)

ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা : Benefits of eating isubgul husk

ইসুবগুলের ভুসির রয়েয়ে অনেক উপকারিতা। অনেকেই পেট পরিষ্কার রাখার জন্য এটি নিয়মিত খেয়ে থাকেন। তবে শুধু পেট পরিষ্কার রাখাই নয়, ইসুবগুল খেলে আরও অনেক উপকারিতা মিলবে। আপনি যদি নিয়মিত খাবারের তালিকায় ইসুবগুলের ভুসি রাখতে পারেন তাহলে অনেকগুলো উপকার পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা-

পুষ্টি

ইসবগুলের ভুসিতে থাকে অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান। এই উপকারী উপাদানগুলো শরীরের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। ১ টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে ৫৩ শতাংশ ক্যালোরি, ১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৫ গ্রাম শর্করা, ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন। এতে কোনো ধরনের ফ্যাটের উপস্থিতি থাকে না। ইসবগুল খাওয়ার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটি খেলে শরীরে কোনো ধরনের সমস্যা হয় না। ইসবগুল প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ করে ৩ বার খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এটি পানির সঙ্গে গুলে খেলে বেশি উপকার পাবেন।

প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে

অনেকের প্রস্রাবের সমস্যা থাকে। তাদের ক্ষেত্রে উপকারী একটি খাবার হলো ইসবগুল। নিয়মিত ইসুবগুলের ভুসি খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমবে। ইসবগুলের ভুসি আখের গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। প্রতিদিন সকাল ও বিকালে ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। এই সমস্যার কারণে শরীরের ভেতরে নানা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এর সমাধানের জন্য ইসবগুলের ভুসি নিয়মিত খেতে পারেন। এই ভুসি পাকস্থলীতে যাওয়ার পরে ফুলে যায়। ফলে তা পেটের বর্জ্য বের করে দিতে সাহায্য করে।

গ্যাস্ট্রিক দূরে রাখে

আমাদের দেশে আরেকটি পরিচিত সমস্যা হলো গ্যাস্ট্রিক। এই সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অসতর্কতা হতে পারে এর বড় কারণ। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার কাজেও সহায়ক একটি খাবার হতে পারে ইসুবগুলের ভুসি। এই ভুসি খেলে তা পাকস্থলীর দেওয়ালকে বাঁচিয়ে রাখে, অ্যাসিডের জন্য ক্ষয়ে যেতে দেয় না। যে কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূরে থাকে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে

ডায়রিয়া প্রতিরোধে কাজ করে ইসুবগুলের ভুসি। ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিলে দইয়ের সঙ্গে ইসুবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর সংক্রমণ সারাতে কাজ করে। অপরদিকে ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে। যে কারণে ডায়রিয়া দ্রুতই সেরে ওঠে।

হার্ট ভালো রাখে

হার্ট ভালো রাখার জন্য নিয়মিত খেতে হবে ইসবগুলের ভুসি। এই খাবারে থাকে ফাইবার। নিয়মিত ইসুবগুলের ভুসি খেলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। যে কারণে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা সহজ হয়। এটি খাদ্য থেকে কোলেস্টেরল শোষণেও বাধা দেয়। তাই হার্ট ভালো রাখা সহজ হয়।


ইসুবগুলের ভুসি খেলে কী হয়?