সিম রি-রে‌জিষ্ট্রেশন নি‌য়ে সহজ জ‌টিলতা

কর ও মূল্য পরিশোধসাপেক্ষে গ্রাহকরা আজ থেকেও অ‌নিব‌ন্ধিত সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পার‌বেন।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে অনিবন্ধিত সিম নিয়ে শেষ মুহূর্তে জটিলতা দেখা দিয়েছে। সিম নিবন্ধন নিয়ে বারবার মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির অবস্থান পরিবর্তন, নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্যাক্স ও মূল্য পরিশোধসাপেক্ষে অনিবন্ধিত সিম নিবন্ধনের সুযোগ, ট্যাক্স আরোপের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা না দেয়া এবং অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করতে অপারেটরগুলোর সময় প্রার্থনার কারণে এ জটিলতা দেখা দিয়েছে।

বিটিআরসির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গতকাল পূর্ব নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও সব মোবাইল সংযোগ আজ ১ জুন থেকেও একই নিয়মে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। তবে জরিমানা হিসেবে সিম প্রতি ট্যাক্স ও মূল্য পরিশোধ করতে হবে গ্রাহককে।
বিটিআরসির আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অনিবন্ধিত সিম যে ব্যবহারকারী এত দিন ব্যবহার করে এসেছেন, তিনি আগামী দুই মাস পর্যন্ত সেটি আর চালু করার সুযোগ পাবেন না। দুই মাস পর নির্ধারিত নিয়মে অর্থাৎ ১৫০-২০০ টাকা খরচ করে সিমটি আবার চালু করা যাবে।
তবে আগের নিয়ম থেকে সরে এসে বিটিআরসি গতকাল বলেছে, নির্দিষ্ট ট্যাক্স পরিশোধের মাধ্যমে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধন সম্পন্ন করে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমটি আবার চালু করা যাবে। তবে অনিবন্ধিত সিম ১৮ মাস পর যে কোন গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতে পারবে অপারেটররা।
এ ব্যাপারে বিটিআরসি সেক্রেটারি সারওয়ার আলম গতকাল শেষ‌বেলায় বলেন, ‘নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো রকমের অর্থ ব্যয় ছাড়াই ৩১ মে মধ্যরাতেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে। এরপর অনিবন্ধিত সিম বন্ধ হয়ে যাবে। আর ১ জুন থেকে অনিবন্ধিত সংযোগও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে, তবে সে জন্য সংযোগমূল্য প্রয়োজন হবে।’
তবে এ সংযোগমূল্য কিভাবে নির্ধারিত হবে এবং তা কিভাবে কালেক্ট করা যাবে সে বিষয়ে জানতে চেয়ে মোবাইলফোন অপারেটররা গতকাল সন্ধ্যায় বিটিআরসিকে একটি চিঠি দিয়েছে। সেখানে এর ব্যাখ্যা চেয়ে অপারেটররা বলছেন, ‘এটি ইমপ্লিমেন্ট (কার্যকর) করতে তাদের অনেক সময় লাগবে।’
একটি শীর্ষ মোবাইলফোন অপারেটররের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘সিম ট্যাক্স নেয়ার কথা আইন অনুসারে এনবিআরের। কিন্তু এ বিষয়ে এনবিআরের কোনো নির্দেশনা নেই। আর বিটিআরসি আমাদের এক দিন আগে মঙ্গলবার এক নির্দেশনা দিয়ে বলেছে, সিম ট্যাক্স দিয়ে রি রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এক দিনে আমরা এ মেকানিজম কিভাবে ঠিক করব!’

নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্যাক্স নিয়ে সিম নিবন্ধনে বিটিআরসির ওই নির্দেশনা মানতে আরো এক মাস সময় প্রয়োজন হবে বলেও চিঠিতে জানায় অপারেটরগুলো।
চিঠিতে আরো বলা হয়, যে সব সংযোগ রেজিস্ট্রেশন করা হবে সেগুলোর জন্য কাস্টমাররা আগেই সিম ট্যাক্স দিয়েছে। পুনরায় তাদের কাছ থেকে সিম ট্যাক্স নেয়া হলে তা ডাবল ট্যাক্সেশন হবে।

অন্য দিকে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের পক্ষ থেকে আরেকটি চিঠি দিয়ে বিটিআরসিকে অপারেটররা বলেছে, ৩১ মে (গতকাল) জিরো আওয়ারেই অনিবন্ধিত সব সিম বন্ধ করা সম্ভব হবে না। কারণ হিসেবে তারা বলছে, আউটগোয়িং লক করে দেয়া সহজ হলেও ইনকামিং বন্ধ করতে হবে ম্যানুয়ালি। এ জন্য অপারেটরদের ভিন্নতায় সময় লাগবে তিন থেকে ৫ দিন। চিঠিতে আরো বলা হয়, যদি আনরেজিস্টার্ড সিম রেজিস্ট্রেশনের অপশনই খোলা থাকে, তাহলে রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে কাস্টমারকে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হয়ে থাকে, সে কোডটি কিভাবে পাঠানো হবে?
তবে বিটিআরসি এ রকম চিঠি গতকাল পেয়েছে বলে জানালেও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি।

এ দিকে অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করে দেয়াকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদন করেছেন টেলিকম আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার অনিক আর হক। গতকাল এর শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা হয়নি। আজ ১ জুন এর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন অনিক আর হক।
তিনি বলেন, ‘এটা একটা ইউটিলিটি সার্ভিস। আপনি চাইলেই এটা ‘গায়ের জোরে’ বন্ধ করে দিতে পারেন না। আপনি কোন আইনে এটা বন্ধ করবেন সেটি গ্রাহকদের জানাননি।’
অনিক এর আগে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করার পর আদালত তা খারিজ করে দিয়েছিল।

এ দিকে মোবাইলফোন অপারেটরদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যানুসারে বায়েমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সংযোগ রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহক নিবন্ধন করেছেন। বিটিআরসির হিসাবে, মোবাইলফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ। সেই হিসেবে প্রায় আড়াই কোটি সিম অনিবন্ধিত রয়ে গেছে।

উচ্চ রক্তচাপ বিষ‌য়ে স‌চেতন হোন

উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক। এটি ধীরে ধীরে মানুষের হৃদযন্ত্র, কিডনি, চোখ ইত্যাদি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে থাকে। অনেকে অজান্তেই উচ্চ রক্তচাপ বয়ে বেড়ান। মাত্রা বেড়ে গেলে রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে।
হঠাৎ করে রক্তচাপ খুব বেশি বেড়ে মানুষের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
সাধারণত রক্তচাপ ১৮০/১২০ মিলিমিটার পারদের ওপরে উঠে গেলেই এমন আশঙ্কা তৈরি হয়। এ সময় রোগীর দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসতে পারে। পাশাপাশি মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব, শ্বাসকষ্ট, লাল রঙের প্রস্রাব হতে পারে। নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে, গর্ভকালীন খিঁচুনি বা শরীরের কোনো অংশ অবশ হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের যেকোনো লক্ষণ ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য কয়েকটি পরামর্শ:

* রক্তচাপ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে নিজে নিজে নানা ওষুধ বাড়িয়ে খেয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবেন না। জরুরি অবস্থায় রক্তচাপ কমানোর ওষুধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন। সেটা চিকিৎসকের ওপর ছেড়ে দিন।

* রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত যে ওষুধ সেবন করেন, সেটা হঠাৎ বাদ দিলে এ ধরনের বিপত্তি ঘটতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ রকম ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা বা বদলানো যাবে না।

* ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত ও খুব বেশি উচ্চ রক্তচাপের বিশেষ কারণ থাকে। যেমন: কিডনি রোগ, হরমোনজনিত রোগ, স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধের প্রতিক্রিয়া, হৃৎপিণ্ডে জন্মগত ত্রুটি, হরমোন নিঃসরণকারী টিউমার ইত্যাদি। সে ক্ষেত্রে কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি, বিশেষত যদি রোগীর বয়স কম হয়ে থাকে।

* গর্ভকালীন শনাক্ত হওয়া উচ্চ রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে প্রাণসংহারী হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ নিয়মিত মাপতে হবে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

ডা. শরদিন্দু শেখর রায়
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

ইন্টার‌নেট সু‌বিধা থে‌কে ব‌ঞ্চিত বাংলা‌দে‌শের প্রায় ১৫ কো‌টি মানুষ

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ ভাগ অফলাইনে থাকে অর্থাৎ তাদের ইন্টারনেট সুবিধা নেই।
ঢাকায় বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১৪ কোটি ৮০ লাখ জনগণের ইন্টারনেট সুবিধা নেই।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০৫ সালের পর থেকে তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তবুও বিশ্বের ৪০০ কোটি লোক এখনো ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, অফলাইনে থাকা জনগোষ্ঠীর দিক থেকে ভারত এক নম্বরে। ভারতের ১১০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে।
চীনের ৭৫.৫ কোটি জনগণ এবং পাকিস্তানের ১৬.৫ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের বাইরে।
তবে বাংলাদেশ টেলিকমিনিউকেশন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির মতে, গত এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ৬ কোটি ১০ লাখ।

প্রতিবেদন প্রকাশের সময় উপস্থিত ছিলেন 'বিশ্বব্যাকের বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০১৬ ডিজিটাল ডিভিডেন্ডস' এর সহ-পরিচালক দীপক মিশ্র, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিআও ফান।

চার লাখ টাকা বেত‌নের চাক‌রি, কাজ গুগল কা‌রে ব‌সে থাকা !

শুধুমাত্র গাড়িতে বসে থে‌কেই মাসে বেতন চার লাখ ! অ‌বিশ্বাস্য ম‌নে হ‌লেও সত্য যে, গুগ‌ল মামার প্র‌তিষ্ঠা‌নে এটা কোন ব্যাপারই না। যে চাকরিতে বেতন মেলে প্রচুর, অথচ কাজের চাপ তেমন নেই। দেশের বাইরে এমন লোভনীয় বেতনে চাকরি দিচ্ছে গুগল।
মাস প্রতি বেতন প্রায় তিন লাখ ৭৮ হাজার টাকা, কিন্তু কাজ বলতে কেবল চুপচাপ বসে থাকা!
আবার বসে থাকার জায়গাটা অফিস নয়। বসে থাকতে হবে গাড়ির ভিতরে। গুগল কার-এর ভিতরে।
খামোখা গাড়ির ভিতরে বসে থাকার জন্য এত টাকা কেন দিচ্ছে গুগল? আসলে গুগল-এর স্বয়ংক্রিয় চালকহীন গাড়ি রাস্তায় বেরোবার আগে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে ফেলেছে। গাড়ি না হয় চালক ছাড়াই চলবে! কিন্তু, যে সব গাড়ি চালকরাই চালাবেন, তারা তাল মিলিয়ে চলবেন তো এই স্বয়ংক্রিয় গাড়ির সঙ্গে? তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এমন চাকরির প্রস্তাব এনেছে গুগল।
যে চাকরিতে বসে থাকতে হবে স্বয়ংক্রিয় গুগল গাড়ির ভিতরে। বসে বসে নজর রাখতে হবে গাড়ির গতিবিধির উপরে। বিপদে পড়লে, তবেই একমাত্র হাতে নেওয়া যাবে স্টিয়ারিং। যার জন্য ঘণ্টায় মিলবে ২০ ডলার। সপ্তাহে ৫ দিন আসতে হবে কাজে। কাজ করতে হবে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা মতো!
তবে একা নয়, প্রয়োজন মতো ২ বা ১০ জনের দলে ঠাঁই হবে। ভাল করে সব কিছু খুঁটিয়ে দেখে দিনের শেষে তৈরি করতে হবে একটা রিপোর্ট। এছাড়া, মাসে অন্তত একবার কর্মসূত্রে যেতেই হবে শহরের বাইরে। কাজের মেয়াদ চুক্তি অনুযায়ী এক কী দুই বছর!

আক্ষেপ বলতে কেবল একটাই- চাকরির জন্য আরিজোনার ফিনিক্সের বাসিন্দা ছাড়া আর কাউকে যোগ্য বলে মনেই করছে না গুগল মামা!

বৃক্ষমান‌বের বা‌ড়ি তৈ‌রির জন্য ৬ লাখ টাকা অনুদান

মহৎ কাজ, অসাধারণ উ‌দ্যোগ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা‌লে চিকিৎসাধীন সেই ‘বৃক্ষমানব’ আবুল বাজনদারকে ৬ লাখ টাকা অর্থ সাহায্য দিয়েছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম ইউ কবির চৌধুরী। জমি কিনে বাড়ি করার জন্য এ অর্থ দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে জমির প্রাথমিক কাগজপত্রসহ ছয় লাখ টাকার চেক আবুল বাজনদার ও তার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন কবির চৌধুরী।

চিকিৎসকেরা বলছেন, সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত আবুল বাজনদারসহ এ ধরনের চারজন রোগীকে শনাক্ত করা গেছে। এরমধ্যে গণমাধ্যমের খবরে আসা ইন্দোনেশিয়ার বৃক্ষমানব মারা গেছেন গত ৩০ জানুয়ারি।

চিকিৎসকদের অনুমান, আবুল বাজনদার ‘এপিডার্মোডিসপ্লাসিয়া ভেরাসিফরমিস’ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ রোগটি ‘ট্রি-ম্যান’ (বৃক্ষমানব) সিনড্রোম নামেও পরিচিত। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এ রোগ হয়।

আবুল প্রায় ১০ বছর আগে হাঁটুর নিচের দিকে ছোট ছোট কয়েকটি কালো রঙের আঁচিল দেখতে পান। যা পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তার দুই পা এবং পরে হাতে ছড়িয়ে পড়ে। হাতের আঁচিলগুলো দ্রুত বাড়তে থাকে। এ আচিলগুলো এখন দেখতে অনেকটা গাছের শুকনো বাকলের মতো।

পাঁচ বছর ধরে আবুল কোনো কাজ করতে পারেন না। গত ৩০ জানুয়ারি তাঁকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

মমতা কাকীর জন্য শা‌ড়ি ও নি‌জের লেখা বই পাঠালেন এরশাদ কাকু

ভার‌তের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল বিজয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শাড়ি ও তার নিজের লেখা কবিতার বই উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন। দুই-একদিনের মধ্যে তার পাঠানো এই উপহার মমতার কাছে পৌছে দেবেন এরশাদের ভাইপো আহসান হাবিব।

বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদেও সঙ্গে মমতার সুসম্পর্ক রয়েছে। ঢাকা সফরে গিয়ে মমতাও এরশাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। গত বছর কোচবিহারের  দিনহাটায় জন্মভূমিতে কয়েকদিন কাটিয়ে গিয়েছিলেন এরশাদ। সেই সময় তিনি মমতার কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। এরশাদ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং তাঁর বাল্যবন্ধু প্রয়াত কমল গুহর পুত্র উদয়ন গুহর বিজয়েও শুভেচ্ছা জানিয়ে উপহার পাঠিয়েছেন। সম্প্রতি এরশাদেও ভাইপো বাংলাদেশে গেলে সেখানেই এরশাদ এই সব শুভেচ্ছাবার্তা ও উপহার ভাইপোর হাতে তুলে দিয়েছেন। ভাইপো সেগুলি কোচবিহারের দুই বিজয়ীর কাছে ইতিমধ্যেই দিয়েছেন। এবার কলকাতায় এসে তা মমতার হাতে পৌঁছে দেবেন বলে জানিয়েছেন আহসান হাবিব।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলি, বিজয় ঘোষনার দিনেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পরে শপথের ঠিক আগের দিন মমতাকে ২০ কেজি পদ্মার ইলিশ পাঠিয়েছেন হাসিনা। মমতার শপথ অনুষ্ঠানে হাসিনার দূত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

আধু‌নিক দাস‌ত্বে বাংলা‌দেশ ১৬৭ দে‌শের ম‌ধ্যে চতুর্থ

ভাব‌তেও অবাক লা‌গে যে, আধুনিক দাসত্বের মধ্যে বাংলাদেশে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৩০০। এ সংখ্যা মোট জনসংখ্যার তুলনায় শতকরা প্রায় ০.৯৫ ভাগ। অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশনের 'দ্য গ্লোবাল সার্ভে ইনডেক্স'-এর এক জ‌রিপে এই বিষয়‌টি উ‌ঠে এ‌সে‌ছে।
এই জ‌রিপে বলা হয়েছে যে, দাসত্বের এমন পরিণতির দিকে বাংলাদেশের অবস্থান চার নম্বরে। এক নম্বরে রয়েছে ভারত। দুই নম্বরে চীন। তিন নম্বরে পাকিস্তান।
গ্যালাপের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ২০১৫ সালে জরিপ চালিয়ে এ সূচক তৈরি করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে বাংলাদেশে জোর করে বিয়ে দেয়ার চেয়ে জোর করে শ্রমে নিয়োজিত করার ঘটনা বেশি। জোর করে বিয়ে দেয়ার হার শতকরা ২০ ভাগ। আর জোর করে শ্রমে নিয়োজিত করার হার শতকরা ৮০ ভাগ।

জোর করে যেসব খাতে শ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে উৎপাদন খাত (২৫ ভাগ), সাধারণ শ্রম (২৫ ভাগ), নির্মাণ প্রতিষ্ঠান (২৩ ভাগ), ওষুধ শিল্পে (১৫ ভাগ) ও কৃষিকাজ (১২ ভাগ)।
জোর করে কাজে নিয়োজিত করা হয় পুরুষদের বেশি। এর মধ্যে পুুরুষের হার শতকরা ৮২.৫ ভাগ। নারী শতকরা ১৭.৫ ভাগ। তবে জোর করে বিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে নারীর ওপর বেশি প্রভাব পড়ে। শতকরা ৮৮ ভাগ নারীকে বিয়ে দেয়া হয় জোর করে। এক্ষেত্রে পুরুষের হার শতকরা ১২ ভাগ। এতে বলা হয়েছে, ১৫ বছরের নিচে শতকরা ২৯ ভাগ মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয় বাংলাদেশে। ১১ বছর বয়সের আগে বিয়ে দেয়া হয় শতকরা ২ ভাগ মেয়েকে।

এশিয়ার মধ্যে আধুনিক দাসত্বের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপন্ন দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১১তম।
ব্যাপক দারিদ্র্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ব্যাপক দুর্নীতি এই অবস্থার জন্য দায়ী। দারিদ্র্যের জন্য নারী, পুরুষ, শিশুরা দেশের ভিতরে ও বিদেশে বিপজ্জনক কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে পাচারকারীদের জন্য এসব মানুষকে দলে টানা ও তাদেরকে বিপথে পরিচালিত করার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।
২০১০ সালে বাংলাদেশের শতকরা ৩১.৫ ভাগ মানুষ বসবাস করছিলেন দারিদ্র্যসীমার নিচে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্বে এখন আধুনিক দাসত্বের শিকার হচ্ছে প্রায় ৪ কোটি ৫৮ লাখ মানুষ। বিশ্বের ১৬৭ টি দেশের ওপর এই সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।

১লা জুন থে‌কে সিম পুন:নিবন্ধ‌নে জ‌রিমানা

আগামীকাল ১লা জুন'২০১৬ ইং থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যে‌কোন সিম পুন:নিবন্ধনের জন্য টাকা লাগবে। সেই সা‌থে গ্রাহকরা কাল থে‌কেই আবারও সিম রি‌-রে‌জি‌ষ্ট্রেশ‌নের সু‌যোগ পা‌বেন।

১লা জুন থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধন করতে চাইলে এখন থেকে একজন গ্রাহককে গুনতে হবে ১৫০-২০০ টাকা।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ে সিম নিবন্ধন না করার জরিমানা হিসেবে ব্যবহারকারীদের বাড়তি এ অর্থ দিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আগের কঠোর অবস্থান কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। এত দিন বিটিআরসির সিদ্ধান্ত ছিল, আগামীকাল থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমগুলো আগামী দুই মাস পর্যন্ত জব্দ (ফ্রিজ) অবস্থায় থাকবে। অর্থাৎ যে ব্যবহারকারী এত দিন সিমটি ব্যবহার করে এসেছেন, তিনি আগামী দুই মাস পর্যন্ত সেটি নিবন্ধনের মাধ্যমে চালু করার সুযোগ পাবেন না। দুই মাস সময় পার হওয়ার পর নির্ধারিত নিয়মে অর্থাৎ ১৫০-২০০ টাকা খরচ করে সিমটি আবার চালু করা যাবে—এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

তবে আগের নিয়ম থেকে সরে এসে বিটিআরসি বলছে, নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধন সম্পন্ন করে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমটি আবার চালু করা যাবে। এ জন্য দুই মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। গতকাল সোমবার বিষয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরদের জানিয়ে এ–সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

ইউটিউব থেকে আয়ের নতুন প্লাট‌ফর্ম

গুগল অ্যাডসেন্সের নানান সমস্যা সমাধানকল্পে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ইউটিউব পাবলিশারদের জন্য ইউটিউব পার্টনারশিপ নেটওয়ার্ক চালু করেছে ক্রিয়েটর এমসিএন (www.creatormcn.com)। 

এই সাইটে ইউটিউব পাবলিশারদের জন্য রয়েছে বিশেষ বিশেষ সুবিধা। যার মাধ্যমে গুগল অ্যাডসেন্সের টাকা উত্তোলন করতে কোনও অ্যাড্রেস পিন ভেরিফিকেশন লাগবে না। এমনকি সর্বনিম্ন এক ডলার হলেও ৭টি পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে পাবলিশাররা উপার্জিত অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। 

এখানে সংযুক্ত ইউটিউব চ্যানেলসমূহে হাই সিপিএম বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের দ্বারা ইউটিউব চ্যানেলের ইনকাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে ইউটিউব সার্টিফাইড ভেরিফাইড চেক মার্ক চ্যানেল অনুমোদন করা যাবে। 

বাংলা ভাষাভাষী ইউটিউব পাবলিশাররা প্ল্যাটফর্মটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন www.fb.com/creatormcn ফেসবুক ফ্যান পেজে। এই প্ল্যাটফর্মটির দ্বারা কারো চ্যানেলের ভিউ, সাবস্ক্রাইবার ও ইনকাম বাড়াতে এই লিঙ্কের https://goo.gl/BtSnNu মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারেন।  

অনলাইনে আ‌য়ের বি‌ভিন্ন উপায়

বি‌শ্বের কিছু ফ্রি মু‌ভি ডাউন‌লোড সাইট

Now a days, everyone loves to watch movies. The days are gone when the movie theater was the only source to watch movies. Now you can watch movies on your desktop or laptop easily either it is online or offline. 
Online movie streaming is a trend nowadays, but for online movie streaming, you need to have a good and stable internet connection. In this situation, downloading movies are the best idea. There are also some other benefits of downloading movies as you can share your movies with your friends, your movie will store on your computer hard disk so that you can watch them anytime.

Top 5 Best Free Movie Download Sites 2016 to Download Free Full Movies.

As the demand for free movie download sites is increasing day by day. But the truth is most of the sites are fake and not safe. Beware of such self claimed free movie download site as some of them inject malware to your PC, which may cause problem to your computer. So, I have collected top 5 free best movie download sites from where you can download movies for free.

Top 5 Best Free Movie Download Webites.
Below is the list of 5 best movie download sites from where you can download movies for free and safe.

1. My Download Tube
My Download Tube is one of the best movie download sites that offers a huge collection of free movies to download. They also update and add new movies almost every day. Most of the movies can be downloaded at 720p and 1080p which is great.
My Download Tube is not just limited to English movies, it supports movies from lots other countries. Here at My Download Tube, you can find movies from almost all the popular genres like Action movies, Drama movies, Comedy movies, Adventure movies, Horror movies, Documentary movies, Sci-Fi movies and some other movies.

2. FreeMovieDownload6.com
Free Movie download is the best movie download site in term of its simplicity and productivity. This site was formerly known as Httpfilm. Here you can get both new and old movies from all categories including Action movies download, Animation movies download, Drama download, Comedy movies download, Crime movies download, Romance ad so on.
Downloading movies on this site is quite easy and straightforward.

3. 300MB Movies 4U
300MB Movies 4U is one of the best movie downloading sites for those who have limited internet plan. At 300MB Movies 4U you can download high quality movies by spending less data. It’s a good movie download site to download Hollywood and Bollywood movies for free. Here you can find movies from all important genres including Action, Drama, Comedy, Thriller and other movies download.

4. Gingle.in
Gingle is the best movie download site for all Indian people because here you can download Bollywood, Hollywood and Tamil movies for free. This is also one of the best HD movie download sites, here you can get movies with various qualities like Blu-ray or DVD etc.

5. Ganool.com
Ganool is another popular movie downloading site from where you can download movies for free. The design of this site is straight forward and easy to navigate. You can browse your movies by different categories, or you can also use the search bar for searching movie. Other than movies Ganool also provides TV series, Anime and Various games for free.
If you don’t find any movie on Ganool then you can simply request for the movie and they will upload it to their database.

# free movies download, english movies download, full length movies download sites, free movies download sites, easy to download movies, movies download site, movie, download, full length, free, high quality

সহ‌জেই ডাউন‌লোড করুন ইউ‌টিউব ভি‌ডিও

ফ্রি ভি‌ডিও দেখ‌তে ইউ‌টিউবের বিকল্প নেই। শুধু ভিডিও দেখা নয়, এখা‌নে ফ্রি‌তে যে কোন ভিডিও ডাউন‌লোড ও আপ‌লোডও করা যায়। ত‌বে ইউ‌টিউ‌বের ভি‌ডিও ডাউন‌লোড কর‌তে গে‌লে সামান্য বিড়ম্বনার সৃ‌ষ্টি হয়।

ইউ‌টিউ‌বের ভি‌ডিও ডাউন‌লো‌ডের জন্য ভি‌ডিও ডাউন‌লোডার সফটওয়্যা‌রের প্র‌য়োজন হয়। ইউটিউব থেকে কোনো ভিডিও ডাউনলোড করতে গিয়ে অনেকেরই ধৈর্যহানির মতো ঘটনা ঘ‌টে থা‌কে। বিভিন্ন কারণে হয়তো আপনি ডাউনলোডের পর্যাপ্ত গতি পাচ্ছেন না। বা ডাউনলোডার দিয়ে ডাউনলোড করতে হচ্ছে। তবে অনেক সহজেই আপনি ডাউনলোডার ছাড়াই কিছু পদ্ধ‌তি প্র‌য়ো‌গের মাধ্য‌মে ছ‌বি, গান বা ভিডিও ডাউনলোড করতে পারেন। জেনে নিন তারই দুইটি উপায় বা পদ্ধ‌তি।

১*১। প্রথমে ইউটিউবে (www.youtube.com) যান। সার্চ অপশ‌নে আপনার পছন্দের গান বা ভিডিও সার্চ করে তা ওপেন করুন।

১*২। সেই গান বা ভিডিওটি আসার পর ইউআরএল বা‌রের (যেমন_ http://www.youtube.com/watch1ng-DearBangla24-MR7-এই ধর‌ণের হ‌বে) লিংকটা‌তে গিয়ে youtube শব্দটির শেষ তিনটি লেটার (ube) কে‌টে দি‌য়ে ইন্টার কি চাপুন। (ube ডি‌লিট বা কে‌টে দেয়ার পর এ রকম হ‌বে_ http://www.yout.com/watchingDearBangla24MR7) ইন্টার কি চাপার সঙ্গে সঙ্গে আপনি চলে যাবেন yout.com-এ।

১*৩। এরপর একটা নতুন পেজ ওপেন হ‌বে। এখা‌নে ভিডিও বা গানের বি‌ভিন্ন ফরম্যাটের (mp3/mp4/avi) একটি অপশন আসবে। সেই সা‌থে ভি‌ডিওর কোয়ালিটির অপশনও থাকবে। এর ঠিক নীচে লাল রঙের একটা ডট থাকবে। আপনার পছন্দমতো অপশনগুলো সি‌লেক্ট করে ডটের স্থানটিতে ক্লিক করলেই গান বা ভিডিও ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।

এবার ইউ‌টিউব ভি‌ডিও ডাওন‌লো‌ডের দ্বিতীয় উপায়‌টি জানা যাক।

২.১। পূ‌র্বের ম‌তো (১.১) ক‌রে আপনার কা‌ঙ্খিত ইউ‌টিউব ভি‌ডিওর‌ ইউআরএল বা‌রে গি‌য়ে,  www. পর্যন্ত কে‌টে দি‌য়ে (www. এর জায়গায়) ss লিখে এন্টার চাপুন। (এরকম হ‌বে http://ssyoutube.com/.....)

২.২। এরপর নতুন পেজ আস‌বে। সেখা‌নে ১.৩ এর ম‌তো ক‌রে অপশন সি‌লেক্ট ক‌রে ডাউন‌লোড আইক‌নে ক্লিক কর‌লেই ইউ‌টিউব ভি‌ডিও ডাওন‌লোড শুরু হ‌য়ে যা‌বে।

# youtube video download, ইউ‌টিউব ভি‌ডিও ডাউন‌লো‌ডের উপায়, how to download youtube vdo, bangla, bangladesh, youtube video download, 

পাব‌লিক প্লে‌স'এ স্মার্ট‌ফোন চার্জ দেয়ায় সতর্ক হোন

পাবলিক ওয়াই-ফাই স্পটে মোবাইল ফোন সংযুক্ত করলে হ্যাকিংয়ে আশঙ্কার কথা কম বে‌শি সবার জানা কথা। কিন্তু নতুন কথা হ‌চ্ছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিচিত কোনো স্থানে মোবাইল চার্জ দিলেও হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিমানবন্দর, ক্যাফে বা কোনো জনবহুল স্থানে ডিভাইসে ইউএসবি চার্জার দিয়ে চার্জ দিলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই স্মার্টফোন হ্যাক হয়ে যেতে পারে।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি ল্যাবের গবেষকেরা বলছেন, দুর্বৃত্তরা ভাইরাস কিংবা থার্ড পার্টির অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করে রাখতে পারে, যা কম্পিউটার থেকে ইউএসবি কেবলের মাধ্যমে স্মার্টফোনে চলে যায়। মাত্র তিন মিনিটেই ওই স্মার্টফোন হ্যাক করা হয়ে যেতে পারে।

গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড দুটি প্ল্যাটফর্মেই চার্জিং অবস্থায় ডিভাইসের নাম, নির্মাতা, সিরিয়াল নম্বরসহ অনেক ফাইল চুরি করা যায়।

২০১৪ সালে গবেষকেরা ইউএসবি চার্জার হ্যাকিংয়ের বিষয়টি সম্পর্কে জানালেও প্রমাণ করতে পারেননি। তবে এবারে ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা তা করে দেখিয়েছেন।

ক্যাসপারস্কি ল্যাবের গবেষক অ্যালেক্সি কোমারোভ বলেন, নিরাপত্তা ঝুঁকি আছেই। যদি নিয়মিত ব্যবহারকারী হন, তবে ডিভাইস আইডি ধরে ওই ফোনে অ্যাড্রওয়্যার কিংবা র‍্যানসমওয়্যার ভাইরাস ঢোকানো হতে পারে। তবে দুর্বৃত্ত যদি বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে, তবে বড় পেশাদার হ্যাকারদের কবলে পড়ার আশঙ্কা অমূলক নয়।

ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা বলেন, এ ধরনের হ্যাকিং শেখার জন্য ভালো দক্ষতা থাকতে হয়। ইন্টারনেট ঘেঁটেও অনেক দুর্বৃত্ত এটা করে ফেলতে পারে।

এ সমস্যা থে‌কে যেভাবে রক্ষা পাবেন :

১. অপরিচিত কম্পিউটারের সঙ্গে ইউএসবি লাগিয়ে চার্জ দেবেন না।
২. মোবাইলে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকলে তা ব্যবহার করুন। চার্জ দেওয়ার সময় আনলক করবেন না।
৩. যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করুন।
৪. অ্যান্টিভাইরাস বিরক্তিকর হলেও এ ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে।
৫. মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ রাখুন।

@টেলিগ্রাফ