থানকুনি পাতার গুণাগুণ

থানকুনি পাতার অসাধারণ সব ওষুধি গুণ
আপনার চারপাশে এমন কিছু ভেষজ আছে যেগুলো শুধু আপনার ব্যয়ই কমাবে তাই নয়, সাথে সাথে রোগ থেকেও পরিত্রাণ দিবে আপনাকে। থানকুনি এমনি একটি উপকারী ভেষজ। চিকিৎসার অঙ্গণে থানকুনি পাতার অবদান অপরিসীম।
প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বহু রোগের উপশমই হয় এই থানকুনির ভেষজ তেল থেকে। খাদ্য উপায়ে থানকুনি সরাসরি গ্রহণ রোগ নিরাময়ে যথার্থ ভূমিকা পালন করে। অঞ্চলভেদে এর বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন- থানকুনি, টেয়া, মানকি, তেতুরা, আদামনি, দোলামনি, থুলকুঁড়ি, মানামানি ইত্যাদি। এটি সাধারণত পুকুরের তীরে পাওয়া যায়।

২০১৮ সালের বহুল প্রতীক্ষিত স্মার্টফোন

২০১৭ সালে বাজারে এসেছে এমন সব স্মার্টফোন যেগুলো ডিজাইন এবং উদ্ভাবনের দিক থেকে আগের সব প্রযুক্তিকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালেও এর ব্যতিক্রম হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
এবারও নতুন নতুন সব ফিচার নিয়ে আসছেন স্মার্টফোন নির্মাতারা। আসুন জেনে নেওয়া যাক শীর্ষ মানের এমন ১৩টি স্মার্টফোনের কথা যেগুলো নতুন বছরে বাজারে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।
১. ভিভো এক্স ২০প্লাস ইউডি
চীনা স্মার্টফোন কম্পানি সম্প্রতি ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি নিয়ে এসেছিল। এবার ওই প্রযুক্তি সহ প্রথম স্মার্টফোন ভিভো এক্স ২০প্লাস ইউডিও বাজার আসছে শিগগিরই। এতে থাকবে সিনাপটিকস ক্লিয়ার আইডি ৯৫০০ ইন-স্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি স্থাপিত হবে মেইনবোর্ড এবং ওএলইডি ডিসপ্লের মধ্যে। অ্যান্ড্রয়েড ৭.১ নুগেট অপারেটিং সিস্টেম যুক্ত ফোনটির ডিসপ্লে হবে ৬.৪৩ ইঞ্চি ফুল এইইচডি প্লাস। কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৬০ প্রসেসর। সাথে ৪জিবি র্যাম এবং ১২৮জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ।
২. অ্যাপল আইফোন ২০১৮
এ বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন আইফোন বাজারে আনবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানি অ্যাপল। এই আইফোন ২০১৮-তে থাকবে ৬.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে এবং ৪জিবি র্যাম। আর আইফোন এক্স এর মতোই থাকবে ওএলইডি ডিসপ্লে।
৩. স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৯, গ্যালাক্সি এক্স
গ্যালাক্সি নোট ৮ এর পরই নতুন ফোন নিয়ে কাজ শুরু করে স্যামসাং। এ বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য এখনো ফাঁস হয়নি। তবে নোট ৯-এ এস পেন এর কাজ চেইনবদ্ধ করার জন্য স্যামসাং কাজ করছে বলে গুজব রটেছে।
এছাড়াও দক্ষিণকোরীয় এই টেক জায়ান্ট এর ফোল্ডেবল স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এক্স নিয়েও কাজ করছে বলে জানা গেছে। এতে থাকবে ৭.৩ ইঞ্চির একটি ফোল্ডেবল ডিসপ্লে।

৪. ওয়ান প্লাস ৬
চীনা স্মার্টফোন কম্পানি ওয়ান প্লাস এর পরবর্তী প্রজন্মের ফ্ল্যাগশীপ স্মার্টফোন বাজারে আনবে চলতি বছরেই। এর নাম হবে ওয়ান প্লাস ৬। এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ফোনটি বাজারে ছাড়া হবে। এতে কোয়ালকমের সেরা প্রসেসর স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ যুক্ত করা হবে।
৫. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৯ এবং এস৯ প্লাস
আগামী মাসেই মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ২০১৮-তে ফোন দুটি বাজারে আনতে চলেছে স্যামসাং। ফোনটিতে থাকবে স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ প্রসেসর। আর এস সিরিজের আগের ফোনের মতোই এতে শুধু একটি রিয়ার ক্যামেরা থাকবে।
এস ৯ এর ডিসপ্লে হবে ৫.৭ ইঞ্চি আর এস ৯ প্লাস এ থাকবে ৬.২ ইঞ্চি ডিসপ্লে। এছাড়া এতে থাকবে বিক্সবি ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্ট এবং রিয়ার মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
৬. শাওমি এমআই মিক্স ৩
চীনা কম্পানি শাওমি এবছর তাদের সবচেয়ে দামী ফোন এমআই মিক্স ২ এর পরের ফোনটি আনবে। এমআই মিক্স ৩-এ বড় দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং বেজেলহীন প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া এতে থাকবে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ প্রসেসর এবং ৬জিবি র্যাম ও ১২৮জিবি স্টোরেজ।

৭. মটো জি ৬
গত বছর মটো জি সিরিজের ৫ নাম্বার ফোনটি বাজারে এনেছিল মটোরোলা। এবার আনছে মটো জি ৬। ফোনটির দামও কম হবে। আর নতুন অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ ওরিও অপারেটিং সিস্টেম যুক্ত করা হবে। এতে ডুয়াল রিয়ার ক্যামোর সেটআপও রাখা হবে বলে জানা গেছে। আগামী মার্চে ফোনটি ভারতের বাজারে ছাড়া হতে পারে।
৮. সনি এক্সপেরিয়া এক্সজেড প্রো
কম্পানিটির শীর্ষমানের ফোনগুলির একটি এই ফোন চলতি বছরে বাজারে ছাড়া হবে। সনির এই স্মার্টফোনটিতেই প্রথম ৩.৫ মিলিমিটারের অডিও জ্যাক যুক্ত করা হবে। এছাড়া ফোনটিতে থাকবে একটি ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট যা চার্জিং এবং গান শোনার জন্য ব্যবহার করা যাবে।
এছাড়া ফোনটিতে ১৮:৯ রেশিও এবং ৪কে রেজ্যুলিউশন এর বেজেলহীন বা ফুলস্ক্রিন ডিসপ্লে থাকবে। আরও থাকবে ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ।
৯. নোকিয়া ৯
ফোনটিতে থাকবে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ প্রসেসর। ১৮:৯ রেশিওর ৫.৩০ ইঞ্চির ফুলস্ক্রিন ডিসপ্লে। আর অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ ওরিও অপারেটিং সিস্টেম।

১০. এলজি জি৭
প্রতিবছরই এলজি মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে এর একটি ফ্ল্যাগশীপ ফোন লঞ্চ করে। এপ্রিলে এলজি জি৭ ভারতের বাজারে ছাড়া হতে পারে। এলজি জি ৬ এর মতোই এই ফোনটিতেও ফুল ভিশন ডিসপ্লে থাকবে। আর অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ ওরিও অপারেটিং সিস্টেম থাকবে।
১১. শাওমি এমআই ৭
স্পেনে অনুষ্ঠেয় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ২০১৮-তে ফোনটি উম্মোচন করা হতে পারে। এতে থাকবে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ প্রসেসর। ১৮:৯ রেশিওর ফুলস্ক্রিন ডিসপ্লে এবং ফেসিয়াল রিকগনিশন। ১৬ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা যার একটির অ্যাপারচার হবে এফ/১.৭।

১২. হুয়াওয়েই পি২০
আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (MWC) ২০১৮-তে এই ফোনটি লঞ্চ করবে চীনা কম্পানি হুয়াওয়েই। এই স্মার্টফোনে থাকবে ট্রিপল ক্যামেরা। রিয়ার প্যানেলে স্থাপিত ওই ট্রিপল ক্যামেরাতে থাকবে ৪০ মেগাপিক্সেল সেন্সর, সাথে ৫x হাইব্রিড জুম। কম্পানির নিজস্ব প্রসেসর কিরিন ৯৭০ চিপসেটে চালিত হবে ফোনটি। আর ফেসিয়াল রিকগনিশন ফিচারও থাকতে পারে।
১৩. আসুস জেনফোন ৫
গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে জেনফোন ৪ বাজারে আনে আসুস। আর এবছর আনবে জেনফোন ৫। এর বেশি কিছু জানা যায়নি ফোনটি সম্পর্কে।

গ্রামীণফোন নতুন সংযোগে দারুণ অফার (২০১৮)

গ্রামীণফোন-এর নতুন সংযোগে আকর্ষণীয় অফার

১৭ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে সকল নতুন গ্রামীণফোন প্রিপেইড (নিশ্চিন্ত), ডিজুস, একতা ১, ৩ ও বিজনেস সল্যুশন ১, ৩, ৪ (সফল), ৫, বন্ধু, গ্রামীণফোন পাবলিক ফোন এবং ভিলেজ ফোন সংযোগে নিম্নোক্ত অফারগুলো উপভোগ করতে পারবেন।

নিয়মিত সঞ্চয়ের সহজ কৌশল

যারা সফল এবং সম্পদশালী তারা বলেন, যা সঞ্চয় তা-ই আসলে সত্যিকার সম্পদ। ভবিষ্যতকে নিরাপদ করতে সঞ্চয়ের বিকল্প নেই।

সাধারণ নিয়মটি হলো, আয়ের অন্তত ১০ শতাংশ সঞ্চয় করতে হয়। বছরের শুরু থেকেই যারা সঞ্চয়ের নয়া পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন, তাদের সাধুবাদ জানাতেই হয়। কিন্তু যারা এখনও নেননি তাদের দ্রুত বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত। এটা সঞ্চয়ের কর্মসূচি। অনেকেই খরচ কুলিয়ে উঠে সঞ্চয় করতে পারেন না বলে অজুহাত দাঁড় করান। অথচ চাইলেই প্রতিদিন সহজ কিছু উপায়ে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে সেইসব উপায়ের কথা।

জাহান্নামবাসী কি কখনো জান্নাতে যেতে পারবেন?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

মোবাইল পানিতে পড়লে করণীয়

পানি ঢুকলেই সব সময় স্মার্টফোন নষ্ট হয় না। এ জন্য পানিতে স্মার্টফোন পড়ে গেলে বা পানি ঢুকলে প্রথমেই স্মার্টফোনটির ব্যাটারি খোলার পাশাপাশি সিম কার্ডটিও খুলতে হবে।


এবার ভালোভাবে পানি শুষে নিতে সক্ষম কাপড় দিয়ে সব যন্ত্রাংশ মুছতে হবে, সম্ভব হলে কেসিং খুলে পানি মোছার চেষ্টা করুন।

এরপর রো‌দে ভা‌লোভা‌বে শু‌কি‌য়ে নিন। পুরোপুরি পানি শুকানোর পর ব্যাটারি সংযোগ দিয়ে স্মার্টফোন চালু করতে হবে।

ছাগল পালন

ভূমিকাঃ এদেশে প্রাপ্ত প্রায় ২০ মিলিয়ন ছাগলের প্রায় ৯৩ ভাগ পালন করে ক্ষুদ্র এবং মাঝারী ধরণের খামারীরা। বাংলাদেশে প্রাপ্ত ছাগলের মাংস যেমন সুস্বাদু চামড়া তেমনি আন্তর্জাতিকভাবে উন্নতমানের বলে স্বীকৃত। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা অধিক এবং তারা দেশীয় জলবায়ুতে বিশেষভাবে উৎপাদন উপযোগী। এসব গুনাবলী থাকা সত্ত্বেও ছাগলের বাণিজ্যিক উৎপাদন এদেশে এখনো প্রসার লাভ করেনি। এর অন্যতম কারণ ইন্টেনসিভ বা সেমি-ইন্টেনসিভ পদ্ধতিতে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনের ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব।


ঘরঃ 
ছাগল সাধারণতপরিষ্কারশুষ্কদুর্গন্ধমুক্তউষ্ণপর্যাপ্ত আলো  বায়ূ চলাচলকারী পরিবেশ পছন্দ করে। গোবরযুক্তস্যাঁত স্যাঁতেবদ্ধঅন্ধকার  পুতিগন্ধময় পরিবেশে ছাগলের রোগবালাই যেমননিউমোনিয়াএকথাইমাচর্মরোগডায়রিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন জাতীয় সংক্রামক  পরজীবীয় রোগ হতে পারে। সেই সাথে ওজন বৃদ্ধির হারদুধের পরিমাণ এবং প্রজনন দক্ষতা কমে যায়।

ঘর নির্মাণের স্থানঃ 
পূর্ব পশ্চিমে লম্বালম্বীদক্ষিণ দিক খোলাস্থানে ঘর নির্মাণ করা উচিৎ। খামারের তিন দিকে ঘেরা পরিবেশ বিশেষ করে উত্তর দিকে গাছপালা লাগাতে হবে। ছাগল খামারে স্থান নির্বাচনে অবশ্যই অপেক্ষাকৃত উঁচু এবং উত্তম পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রতিটি পূর্ণ বয়স্ক ছাগলের জন্য গড়ে -১০ বর্গ ফুট জায়গা প্রয়োজন। প্রতিটি বাড়ন-বাচ্চার জন্য গড়ে  বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন। ছাগলের ঘর ছনগোল পাতাখড়টিন বা ইটের তৈরী হতে পারে। তবে যে ধরণের ঘরই হউক না কেন ঘরের ভিতর বাঁশ বা কাঠের মাচা তৈরী করে তার উপর ছাগল রাখতে হবে। মাচার উচ্চতা . মিটার ( ফুটএবং মাচা থেকে ছাদের উচ্চতা .-. মিটার (- ফুটহবে। গোবর  প্রগ্রাব পড়ার সুবিধার্থে বাঁশের চটা বা কাঠকে  সেঃ মিঃ (.৫৪ ইঞ্চিফাঁকা রাখতে হবে। মাচার নিচ থেকে সহজে গোবর  প্রগ্রাব সরানোর জন্য ঘরের মেঝে মাঝ বরাবর উঁচু করে দুই পার্শ্বে ঢালু (%) রাখতে হবে। মেঝে মাটির হলে সেখানে পর্যাপ্ত বালি মাটি দিতে হবে। ছাগলের ঘরের দেয়ালমাচার নিচের অংশ ফাঁকা এবং মাচার উপরের অংশ এম.এমফ্ল্যাক্সিবল নেট হতে পারে। বৃষ্টি যেন সরাসরি না ঢুকে সে জন্য ছাগলের ঘরের চালা -. মিঃ (.২৮-.৭৭ ফুটঝুলিয়ে দেয়া প্রয়োজন। শীতকালে রাতের বেলায় মাচার উপর দেয়ালকে চট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। শীতের সময় মাচার উপর ১০-১২ সেঃ মিঃ (- ইঞ্চিপুরু খড়ের বেডিং বিছিয়ে দিতে হবে। বিভিনড়ব বয়সের এবং বিভিনড়ব ধরণের ছাগলকে ভিনড়ব ভিনড়ব ঘরে রাখা উচিৎ। পাঁঠাকে সব সময় ছাগী থেকে পৃক করে রাখা উচিৎ। দুগ্ধবতীগর্ভবতী  শুষ্ক ছাগীকে একসাথে রাখা যেতে পারে। তবে তাদের পৃক খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। শীতকালে বাচ্চাকে রাতের বেলা মায়ের সাথে ব্রম্নডিং পেনে রাখতে হবে। ব্রম্নডিং পেন একটি খাঁচা বিশেষ যা কাঠের বা বাঁশের তৈরী হতে পারে। এর চারপার্শ্বে চটের ব্যবস্থা দিয়ে ঢাকা থাকে।

খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ 
ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনাই খামারের অন্যতম প্রধান বিষয়। ইন্টেনসিভ এবং সেমি-ইন্টেনসিভ পদ্ধতিতে ছাগলের খাদ্যের পরিমাণ  গুনগত মান নির্ভর করে চারণ ভূমিতে প্রাপ্ত ঘাসের পরিমাণ  গুনগত মানের উপর।
  • ছাগলের বাচ্চাকে কলষ্ট্রাম (শাল দুধখাওয়ানোঃ সাধারণত ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাচ্চার ওজন .-. কেজি (গড়ে .০০ কেজিওজন হয়। বাচ্চা জন্মের পরপরই পরিস্কার করে আধা ঘন্টার মধ্যেই মায়ের শাল দুধ খেতে দিতে হবে। ছাগলের বাচ্চার প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম শাল দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। এই পরিমাণ দুধ দিনে -১০ বারে খাওয়াতে হবে। শাল দুধ বাচ্চার শরীরে এন্টিবডি তৈরী কওে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। দুই বা ততোধিক বাচ্চা হলে প্রত্যেকেই যেন শাল দুধ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ছানা সাধারণত - মাসের মধ্যে দুধ ছাড়ে। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের দুধ উৎপাদন কম হওয়ায় - ছানা বিশিষ্ট মা ছাগীর দুধ কখনো কখনো বাচ্চার প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারেনা। এক্ষেত্রে ছানাকে পরিমাণমত ৩৭-৩৮ সেঃ তাপমাত্রায় অন্য ছাগলের দুধ বা মিল্ক রিপ্রেসার খাওয়ানো উচিত। ছাগলের বাচ্চার দানাদার খাদ্য মিশ্রণ কম আঁশউচ্চ প্রোটিনউচ্চ বিপাকীয় শক্তি সম্পন্ন হতে হয়।

  • ছাগলের বাচ্চাকে দানাদার খাদ্য খাওয়ানোঃ ছাগল ছানা প্রথমে মায়ের সাথেই দানাদার খাবার খেতে অভ্যস্থ হয়। ছাগলের বাচচাকে জন্মের প্রথমে সপ্তাহ থেকে ঘাসের সাথে পরিচিত করে তুলতে হবে। সাধারণত শুরুতে মায়ের সাথেই বাচ্চা ঘাস খেতে শিখে। অভ্যস্থ করলে সাধারণত দুই সপ্তাহ থেকেই বাচচা অল্প অল্প ঘাস খায়।  সময়ে বাচ্চাকে কচি ঘাস যেমনদুর্বাস্পেনডিডারোজীপিকাটুলামসেন্টোসোমাএন্ড্রোপোগন প্রভৃতি ঘাস খাওয়ানো যেতে পারে। তাছাড়াইপিল ইপিলকাঁঠাল পাতাধইনচা ইত্যাদি পাতা খাওয়ানো যেতে পারে।
বাড়ন্ত ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ 
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের -১২ মাস সময়কালকে মূল বাড়ন্ত সময় বলা যায়।  সময়ে যেসব ছাগল প্রজনন বা মাংস উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হবে তাদের খাদ্য পুষ্টি চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। দুধ ছাড়ানোর পর থেকে পাঁচ মাস পর্যনসময়ে ছাগলের পুষ্টি সরবরাহ অত্যন্ত নাজুক পর্যায়ে থাকে।  সময়ে একদিকে ছাগল দুধ থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন  বিপাকীয় শক্তি থেকে যেমন বঞ্চিত হয় তেমনি মাইক্রোবিয়াল ফার্মেন্টেশন থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি সরবরাহও কম থাকে। এজন্য  সময়ে পর্যাপ্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ দানাদার  আঁশ জাতীয় খাদ্য দিতে হবে। ঘাসের পরিমাণ  গুনগত মান বেশি হলে দানাদার খাদ্যের পরিমাণ কমবে এবং পরিমাণ  গুনগত মান কম হলে উপরোক্ত পরিমাণ দানাদার খাদ্যেই চলবে।

ছাগলের ওজন (কেজি)
দানাদার খাদ্য দৈনিক সরবরাহ (গ্রাম)
ঘাস সরবরাহ/চরানো (কেজি)
১০০
.
১৫০
.
২০০
.
১০
২৫০
.
১২
৩০০
.
১৪
৩৫০
.
১৬
৩৫০
.
>১৮
৩৫০
.

প্রজননক্ষম পাঁঠার খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ 
পাঁঠার খাদ্য ব্যবস্থাপনা বাড়ন্ত ছাগলের মতই। তবে প্রজননে সহায়তার জন্য প্রতিটি পাঁঠাকে দৈনিক ১০ গ্রাম ভিজানো ছোলা দেয়া প্রয়োজন। একটি পাঁঠা ১০ মাস থেকে  বছর পর্যন্ত প্রজননক্ষম থাকে। কোনভাবেই পাঁঠাতে বেশি চর্বি জমতে দেয়া উচিত নয়। ২৮-৩০ কেজি ওজনের পাঁঠার জন্য দৈনিক ৪০০ গ্রাম পরিমাণ দানাদার খাবার দেয়া প্রয়োজন।

দুগ্ধবতী  গর্ভবতী ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ 
দুগ্ধবতী ছাগল তার ওজনের - শতাংশ হারে শুষ্ক পদার্থ খেয়ে থাকে। একটি তিন বছর বয়স্ক ২য় বার বাচ্চা দেয়া ছাগীর গড় ওজন ৩০ কেজি হারে দৈনিক .-. কেজি শুষ্ক পদার্থ খেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে -. কেজি পরিমাণ শুষ্ক পদার্থ ঘাস থেকে (- কেজি কাঁচা ঘাসবাকি .-. কেজি শুষ্ক পদার্থ দানাদার খাদ্য থেকে দেয়া উচিত। যেহেতু ছাগী বাচ্চা দেয়ার .. মাসের মধ্যে গর্ভবতী হয় সেজন্য প্রায় একই পরিমাণের খাবার গর্ভাবস্থায়ও ছাগলকে দিতে হবে।

সারণী-ছাগলের দানাদার খাদ্যের সাধারণ মিশ্রণ (%)

গম/ভূট্টা ভাঙ্গা/চাল
১২.০০
গমের ভূষি/আটা কুড়া
৪৭.০০
খেসারী/মাসকালাই/অন্য ডালের ভূষি
১৬.০০
সয়াবিন খৈল
২০.০০
শুটকি মাছের গুড়া
.৫০
ডাই-ক্যালসিয়াম ফসফেট
.০০
লবণ
.০০
ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স 
.৫০
মোট
১০০.০০

ছাগলের চরানোঃ 
ঘাস সরবরাহের জন্য নেপিয়ারস্পেনডিডাপিকাটুলুমরোজীপারাজার্মান ইত্যাদির চাষ করা যেতে পারে। মাঠের চারপার্শ্বে ইপিল ইপিল গাছ লাগানো যেতে পারে। তাছাড়া বর্ষাকালে চারণ ভূমিতে ঘাসের সাথে মাসকালাই ছিটিয়ে দিলেও ঘাসের খাদ্যমান অনেক বেড়ে যায়। শীতকালে অনেক সময় পর্যাপ্ত ঘাস পাওয়া যায় না। এজন্য  সময়ে ছাগলকে ইউএমএস (ইউরিয়া %, মোলাসেস ১৫%, খড় ৮২%)-এর সাথে এ্যালজির পানি খাওয়ানো যেতে পারে।

প্রজনন ব্যবস্থাপনাঃ 
একটা পাঁঠা সাধারণত/ মাস বয়সে যৌবন প্রাপ্ত হয় কিন্তু আট/নয় মাস বয়সের পূর্বে পাল দেবার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। কোন পাঁঠার শারীরিক দুর্বলতাপঙ্গুত্ব বা কোন যৌন অসুখ সমস্ত পালকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই সেদিকে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে। দশটি ছাগীর জন্য একটা পাঁঠাই যথেষ্ট। ছাগী যখন প্রমবারে (- মাস বয়সেগরম (Heat) হয় তখন তাকে পাল না দেওয়াই ভাল। এক্ষেত্রে এক/দুইটি হিট বাদ দিয়ে মোটামুটি ১১-১২ কেজি ওজনের সময় পাল দেয়া উচিত। ছাগীর হিটে আসার লক্ষণগুলো হচ্ছেমিউকাস নিঃসরণডাকাডাকি করবেঅন্য ছাগীর উপর উঠা ইত্যাদি। ছাগী হিটে আসার ১২-৩৬ ঘন্টার মধ্যে পাল দেওয়া উচিত। অর্থাৎ সকালে হিটে আসলে বিকেলে এবং বিকেলে হিটে আসলে পরদিন সকালে পাল দিতে হবে।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাঃ 
ছাগলের খামারে রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য নিয়মিত পিপিআর টিকাকৃমিনাশক ইত্যাদির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হয়। ছাগলের সবচেয়ে মারাত্ক রোগ পি.পি.আর এবং গোটপক্সের ভেক্সিন জন্মের  মাস পরে দিতে হয়। বছরে দুবার বর্ষার প্রারম্ভে (এপ্রিল-মেকৃমিনাশক এবং বর্ষার শেষে (অক্টোবর-নভেম্বরব্রডসেপ্রকট্রাম ক্রিমিনাশক যেমননেমাফেক্সরেলনেক্স ইত্যাদি খাওয়ানো যেতে পারে। তাছাড়া যকৃত কৃমির জন্য ফেসিনেক্সডোভাইন ইত্যাদি ব্যবহার করা প্রয়োজন। কোন ছাগলের চর্মরোগ দেখা দিলে তা ফার্ম থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। যে কোন নূতন ছাগল খামারে প্রবেশ করানোর আগে কমপক্ষে এক সপ্তাহ অন্যস্থানে রেখে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। খামারের সকল ছাগলকে ১৫-৩০ দিন পর পর .মেলাথায়ন দ্রবণে ডিপিং করানো (চুবানোউচিত। তাছাড়া ম্যাসটাইটিসসহ অন্যান্য সংক্রমক রোগের জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া বাঞ্ছনীয়।

বাচ্চার ব্যবস্থাপনাঃ
  • বাচ্চা বয়সে ডায়রিয়া বাচচা মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এজন্য বাচ্চাকে সব সময় পরিচ্ছন্ন জায়গায় এবং পরিমান মত দুধ খাওয়াতে হবে। ফিডার  অন্যান্য খাদ্য পাত্র সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • জন্মের পর পর বাচ্চাকে পরিস্কার করে নাভি থেকে - সেঃ মিঃ নিচে কেটে দিতে হবে।
  • যে বাচ্চার মায়ের দুধের পরিমাণ কম তাদেরকে বোতলে অন্য ছাগলের দুধ/বিকল্প দুধ (মিল্ক রিপেসারখাওয়াতে হবে।
  • শীতের সময়ে বাচ্চাকে মায়ের সাথে ব্রুডিং পেনে রেখে ২৫-২৮ সেঃ তাপমাত্রায় রাখতে হবে।
  • বাচ্চা যেন অতিরিক্ত দুধ না খায় তা লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • যেসব পাঁঠা বাচ্চা প্রজনন কাজে ব্যবহৃত হবে না তাদেরকে - সপ্তাহের মধ্যে খাসি করাতে হবে।


তথ্য আপা প্রকল্প