শখের বশে খামার করে কোটিপতি আ‌শিক

পরিবারের দুধের চাহিদা মেটাতে ২০১১ সালে ফিজিয়ান জাতের একটি গাভী পালন থেকেই তার পথচলা শুরু। পরে শখের বশে কিনতে থাকেন আরো গাভী। এভাবেই বাড়তে থাকে গাভীর সংখ্যা। বর্তমানে তার খামারে ৩০টি গাভী, ১০টি ষাঁড় ও সমপরিমাণ বাছুর রয়েছে। 

৭জি‌বি মাত্র ৳৯৯! বাংলা‌লিংক অফার

বাংলা‌লিংক স্পেশাল ইন্টার‌নেট বোনাস অফার! মাত্র 99 টাকায় 7GB ইন্টার‌নেট।
 বাংলা‌লিংক গ্রাহক‌দের জন্য বাংলা‌লিংক ৭  জি‌বি ইন্টার‌নেট গিফট ৭ দি‌নের জন্য!

প্রতিষ্ঠানের কর্তা অমুসলিম হলে কি সালাম দেওয়া যাবে?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

মসজিদের নিচতলায় দোকান করা কি জায়েজ?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
জুমাবারের বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫২০তম পর্বে চারতলা, পাঁচতলাবিশিষ্ট মসজিদের নিচের তলায় দোকান, বাজার বা মার্কেট করা যাবে কি না, সে সম্পর্কে পোস্তখোলা থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন মো. জামাল মোল্লা। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : আমাদের এলাকার মসজিদটি আগে একতলা ছিল। সেই মসজিদটি ভেঙে আমরা চারতলা, পাঁচতলা করার চিন্তা-ভাবনা করেছি। এখন, মসজিদ নিচতলায় না করে, চার, পাঁচতলায় করে, নিচতলায় বাজার, দোকান, মার্কেট ইত্যাদি করা যাবে কি?
উত্তর : সুন্দর প্রশ্ন করেছেন। মসজিদের নিচে দোকান করতে কোনো ধরনের বাধা নেই। মসজিদের মাসয়ালাতে যদি মসজিদ ওপরে করে থাকেন, তবে সেটি মসজিদের জন্য থাকতে হবে। দোকান, বাজার বা মার্কেটের আয় হবে মসজিদের জন্য। এগুলো থেকে প্রাপ্ত আয় আপনারা ভাগাভাগি করে নিয়ে যাবেন, বিষয়টি এমন নয়। এটি জায়েজ নেই।
মসজিদের নিচের অংশটুকু যদি মার্কেট হয়, তাহলে সেটি মসজিদের স্বার্থে হতে হবে, মসজিদের মাসয়ালাতে হতে হবে। এভাবে যদি করেন, তাহলে সেটি জায়েজ রয়েছে। এটি সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের ফতোয়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত এবং তাঁরা বলেছেন, এই কাজটি জায়েজ। কিন্তু মসজিদ থাকতে হবে ওপরে অর্থাৎ দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলায়।

গর্ভপাত করানো কি নাজায়েজ?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
জুমাবারের বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫১৯তম পর্বে গর্ভপাত করালে পাপ হবে কি না, সে সম্পর্কে ঢাকা থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন ইভা। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : অ্যাবোরশন (গর্ভপাত) করলে কেমন ধরনের পাপ হয়?
উত্তর : বাচ্চা পেটে আসার পর কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাবোরশন করেন, তাহলে তাঁর এই কাজটি কবিরা গুনাহ। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি মন থেকে তওবা না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি ক্ষমা পাবেন না। তিনি বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এই কাজটি হারাম এবং কবিরা গুনাহ।
কখনো জীবন সংকট দেখা দিলে, চিকিৎসক বললে, সেটি ওজরের বিষয় এবং সে ক্ষেত্রে সেটি ওজরের মাস’আলা হবে। এ ক্ষেত্রে তার মাস’আলাও ভিন্ন হবে।

নারীরা কি মাজারে যেতে পারবে?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
জুমাবারের বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫১৯তম পর্বে মাজারে নারীদের যাওয়া জায়েজ কি না, সে সম্পর্কে চট্টগ্রাম থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন নিজাম। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : আমাদের পরিবারের অনেকেই মাজারে যান। মহিলাদের মাজারে যাওয়া জায়েজ আছে কি?
উত্তর : মাজারে যাওয়া পুরুষদের জন্য বৈধ এবং নারীদের জন্য বৈধ নয়— ব্যাপারটি এমন নয়। মাজারে যাওয়া পুরুষ এবং নারী—কারো জন্যই জায়েজ নেই, এটি হারাম। কারণ মাজারে যে কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে, সেগুলোর বেশির ভাগই শিরকী কাজ। সেখানে সিজদাহ করা হয়, পূজা করা হয়, সেখানে অনেক ধরনের আকিদা জড়িত আছে। অনেকে মনে করে মাজারে গেলে সব আশা পূরণ হয়ে যায়। অনেকে মনে করে যে মাজারে গিয়ে কবরবাসীর কাছে চাইলেই সব পূরণ হয়ে যাবে। সুতরাং এই উদ্দেশ্যে মাজারে যাওয়ার বিষয়টি মূলত নবীর (সা.) সুন্নাহ অনুযায়ী একেবারে হারাম। এটি পুরুষ, নারী সবার জন্য হারাম। যদি কেউ যান, তাহলে তিনি কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং সেটা আমরা বাস্তবে দেখতে পাই। মাজারে যারা যায়, তাদের অনেকেই সেখানে নিজেদের ইমান ধ্বংস করে বা নষ্ট করে ফিরে আসে।

যৌতুক নেওয়া কি হারাম?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
জুমাবারের বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫২০তম পর্বে যৌতুক দেওয়া-নেওয়ার ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা জানতে পোস্তখোলা থেকে টেলিফোন করেছেন মো. জামাল মোল্লা। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : যদি কোনো মেয়ের বিয়ের জন্য যৌতুক দিতে হয়, সে ক্ষেত্রে ইসলাম এটাকে সম্মতি দেয় কি?
উত্তর : যৌতুক যিনি গ্রহণ করবেন, এটি তাঁর জন্য হারাম। কিন্তু যিনি বাধ্য হয়ে যৌতুক দেবেন, এটা তাঁর জন্য হারাম নয়। বরং এক্ষেত্রে সাহায্য-সহযোগিতা করা জায়েজ, আপনি সাহায্য করতে পারবেন। যিনি যৌতুক নেবেন, তিনি শুধু গুনাহগার হবেন।

গোসলের অজু কীভাবে করতে হয়?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
জুমাবারের বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫২০তম পর্বে গোসলের অজু কীভাবে করতে হবে, সে সম্পর্কে ফেনী থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন ফাহমিদা।

প্রশ্ন : কুলি করে নাকে পানি দিয়ে সমস্ত শরীর ধুয়ে ফেললেই কি গোসলের অজু হয়ে যাবে?

উত্তর : গোসলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো অজু নেই। আমরা স্বাভাবিকভাবেই যে অজু করি, সেভাবেই আপনি অজু করবেন, শুধু পা ধোবেন না। এরপর সমস্ত শরীরে পানি ঢেলে ধুয়ে নেবেন। তাহলেই হয়ে যাবে।

গর্ভাবস্থায় বেশি বমি : করণীয়

গর্ভাবস্থায়, বিশেষ করে প্রথম তিন মাসে খাবারে অরুচি হওয়া এবং বমি ভাব হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। কখনো কখনো বমি হয়েও যায়। গর্ভধারণের পর থেকেই মেয়েদের শরীরে শুরু হয়ে যায় নানা রকম হরমোনের ওঠানামা।
বিটা হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডট্রপিন এমনই একটি হরমোন, যার মাত্রা গর্ভাবস্থায় অনেকগুণ বেড়ে যায়। সংক্ষেপে একে বলে বিটা এইচসিজি। এই বিটা এইচসিজির প্রভাবে খাওয়ায় অরুচি, মাথা ঘোরা, বমির ভাব হয়। সমস্যা যদি এ পর্যায়েই থাকে, তবে সেটা খুব গুরুতর নয়। একে বলে মর্নিং সিকনেস। তবে বমি এর বেশি হলে বিপদ।
গর্ভাবস্থায় যদি বমির মাত্রা বেশি হয়, অর্থাৎ দিনে দুই থেকে তিনবার বা আরো বেশি বমি হয়, শরীরের ওজন ৫ শতাংশের বেশি কমে যায়, এই বমির প্রবণতা যদি ২০ সপ্তাহের পরও থেকে যায়, তবে তাকে বলে হাইপার এমেসিস গ্র্যাভিডেরাম।

ঝুঁকির কারণ
বেশ কিছুর কারণে হাইপার এমেসিস গ্র্যাভিডেরামের ঝুঁকি বাড়তে পারে। যেমন : জোড়া বাচ্চা হলে, মায়ের ওজন বেশি হলে, পাকস্থলীতে এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকলে, পারিবারিক ইতিহাস থাকলে এই প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।

লক্ষণ
বমি, মাথা ঘোরা, ওজন কমে যাওয়া ছাড়াও এই ক্ষেত্রে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন : মাথাব্যথা, প্রচণ্ড ক্লান্তি, অজ্ঞান ভাব, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া, হতাশা, দুশ্চিন্তা, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, জন্ডিস, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া।

পরীক্ষা
• প্রস্রাব পরীক্ষা করে প্রস্রাবে কিটোনবডি দেখা
• রক্তে লবণের মাত্রা পরীক্ষা
• লিভার এনজাইম ও বিলিরুবিন পরীক্ষা
• থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা
• প্রস্রাবের কালচার পরীক্ষা
• রক্তের রুটিন পরীক্ষা
• পেটের আলট্রাসনোগ্রাফি

চিকিৎসা
সাধারণ বমি বা বমি ভাব হলে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই। রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে। প্রয়োজনে রোগীকে মেক্লিজিন বা অনডেনসেন্ট্রোন জাতীয় বমির ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। এগুলোও গর্ভাবস্থায় নিরাপদ। আদা খেতে পারেন। আদা এ জাতীয় সমস্যায় একটি ঘরোয়া সমাধান বলে বহুল ব্যবহৃত। তবে আরো কিছু ব্যবস্থা নিতে হতে পারে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করে শিরাপথে স্যালাইন, ইনজেকশনের মাধ্যমে বমি নিরোধক ওষুধ দিতে হবে। সাধারণ বমি নিরোধক ওষুধ কাজ না হলে স্টেরয়েড দিতে হয়। কোনোভাবে বমি ঠেকানো না গেলে কোনো কোনো সময় মায়ের জীবন বাঁচাতে অস্ত্রোপচার করিয়ে ফেলতে হয়।

ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল
রেসিডেন্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

শেখ হাসিনা বিশ্বের ৩য় সৎ সরকার প্রধান

প্যারাডাইস পেপারস আর পানামা পেপারসের পর এবার পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস, বিশ্বের ৫ জন সরকার রাষ্ট্রপ্রধানকে চিহ্নিত করেছেন, যাদের দুর্নীতি স্পর্শ করেনি, বিদেশে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, উল্লেখ করার মতো কোনো সম্পদও নেই। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ এই পাঁচজন সরকার প্রধানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্ব রাজনীতিতে যাদের সৎ ভাবা হতো, যাদের অনুকরণীয় মনে করা হতো তাদের অনেকেই কলঙ্কিত হয়েছেন পানামা পেপারস এবং প্যারাডাইস পেপারসে।

৫ টি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নেতৃত্বের সততার মান বিচার হয়েছে। প্রথম প্রশ্ন ছিল, সরকার/রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে তিনি কি তাঁর রাষ্ট্রের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করেছে? দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, ক্ষমতায় আসীন হবার পর তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদ কতটুকু বেড়েছে। তৃতীয় প্রশ্ন ছিল, গোপন সম্পদ গড়েছেন কিনা। চতুর্থ প্রশ্ন সরকার/রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ আছে কিনা। আর পঞ্চম প্রশ্ন ছিল, দেশের জনগণ তাঁর সম্পর্কে কী ভাবেন?

এই ৫ টি উত্তর নিয়ে পিপলস অ্যান্ড পরিটিক্স ১৭৩ টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করেছে। এই গবেষণায় সংস্থাটি এরকম মাত্র ১৭ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছেন যাঁরা শতকরা ৫০ ভাগ দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৭৩ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও সৎ সরকার প্রধান হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ৫ টি প্রশ্নে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৯০।

সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং, ৮৮ পেয়ে সৎ সরকার প্রধানদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন। ৮৭ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮৫ নম্বর পেয়ে বিশ্বে চতুর্থ সৎ সরকার প্রধান বিবেচিত হয়েছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলাবার্গ। আর ৮১ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্সের গবেষণায় দেখা গেছে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। সংস্থাটি গবেষণায় দেখেছে, বেতন ছাড়া শেখ হাসিনার সম্পদের স্থিতিতে কোনো সংযুক্তি নেই। শেখ হাসিনার কোনো গোপন সম্পদ নেই বলে নিশ্চিত হয়েছে পিপলস অ্যন্ড পলিটিক্স। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ৭৮ ভাগ মানুষ মনে করেন সৎ এবং ব্যক্তিগত লোভ লালসার উর্ধ্বে। তবে, তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদেন উল্লেখ করা হয়েছে।

বি‌শেষ শক্তি বাড়ে যেসব খাবারে!

দৈহিক শক্তি বাড়াতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন ওষুধি কৌশল এবং মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা এখন প্রায় সেকেলে হয়ে পড়েছে। আজকাল এই শক্তি বাড়াতে প্রাকৃতিকভাবেই দৈহিক শক্তি বর্ধক খাদ্যই অনেক বেশি কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয়।

তাই বিবাহিত জীবনে মিলনে ফিট থাকতে হলে আপনাকে দৈনন্দিন খাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে। কারণ সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকার পাশাপাশি দরকার স্বাস্থ্যকর দৈহিক সম্পর্ক।     অথচ প্রায়ই দেখা যায়, দৈহিক দুর্বলতার কারণে সংসারে অশান্তি হয়, এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হয়। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকলেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি নাও হতে পারেন আপনি।   

আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোনো প্রকার ওষুধের প্রয়োজন নেই, তার জন্য দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবার দাবারই যথেষ্ট। আপনার খাবার মেনুতে নিয়মিত দুধ, ডিম এবং মধু রাখুন আর নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করুন, তাহলে দৈহিক (যৌন) দুর্বলতায় ভুগবেন না।

১. ডিম:
দৈহিক দুর্বলতা দূর করতে ও উত্তেজনা বাড়াতে এক অসাধারণ খাবার ডিম। প্রতিদিন সকালে, না পারেন সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম সিদ্ধ করে খান। এতে আপনার যৌন দুর্বলতার সমাধান হবে।

২. দুধ:
যেসব খাবারে বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সবগুলোকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।  
৩. মধু:
দৈহিক দুর্বলতার সমাধানের মধুর গুণের কথা সবারই কম-বেশি জানা। তাই দৈহিক শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন। 
৪. রসুন:
দৈহিক সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। স্মরণাতীতকাল থেকেই নারী পুরুষ উভয়েরই দৈহিক উদ্দীপনা বাড়াতে এবং জননাঙ্গকে পূর্ণ সক্রিয় রাখতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজনস্বীকৃত। রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। 
৫. কফি:
কফি আপনার মিলনের ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার মিলনের মুড কার্যকর রাখে। 
৬. জয়ফল:
গবেষণায় দেখা গেছে, জয়ফল থেকে এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌগটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে আপনার যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব। 
৭. চকলেট:
ভালোবাসা ও মিলনের সঙ্গে সবসময়ই চকলেটের একটা সম্পর্ক রয়েছে। এতে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন (পিইএ) ও সেরোটোনিন। এ দুটি পদার্থ আমাদের মস্তিষ্কেও রয়েছে। এগুলো মিলনের উত্তেজনা ও দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। পিইএ’র সঙ্গে অ্যানান্ডামাইড মিলে অরগাজমে পৌঁছাতে সহায়তা করে। 
৮. কলা:
কলার রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম মানবদেহের যৌনরস উৎপাদন বাড়ায়। আর কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও। যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতেও সহায়ক। আর সর্বোপরি কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা আপনার দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে দীর্ঘসময় ধরে দৈহিক মিলনে লিপ্ত হলেও আপনার ক্লান্তি আসবে না। 
৯. ভিটামিন সি জাতীয় ফল:
দৈহিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল দৈহিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী।    
গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। এসব ফলে মধ্যে তরমুজের প্রভাব বেশি। অনেকে মিলনের উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন। 
১০. গরুর মাংস:
গরুর মাংসে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি মিলনকে আরও আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান। যেমন গরুর কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।

গর্ভধার‌ণের আ‌গে ও প‌রে করণীয় সম্প‌র্কে Rx

গর্ভাবস্থা শুরুর কত দিন আগে ডাক্তা‌রি পরামর্শ নিতে হবে, বা গর্ভধার‌ণের আ‌গে ও প‌রে করণীয় কি? এসব বিষয়ে এনটিভিতে কথা বলেছেন ডা. সায়লা পারভীন। বর্তমানে তিনি মহাখালী ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

গর্ভধারণের কত দিন আগে পরামর্শ জরুরি?

একটি সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার জন্য গর্ভাবস্থায় যেমন চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন, তেমনি গর্ভধারণের আগেও পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

প্রশ্ন : প্রি-প্রেগন্যান্সি কাউন্সেলিং (গর্ভ-পূর্ববর্তী পরামর্শ) বলতে কী বোঝানো হচ্ছে?
উত্তর : গর্ভধারণের অন্তত তিন মাস আগে সে চিকিৎসকের কাছে আসবে। তাকে আমরা কিছু উপদেশ দেবো, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব। তার কোনো অসুখ থাকলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে এনে তাকে গর্ভধারণ করতে বলব। কতগুলো টিকাও আমরা এর মধ্য দিয়ে দেবো, যেমন—টিটিনাসের টিকা, এমএমআর ভ্যাকসিন।
প্রশ্ন : গর্ভাবস্থার কত দিন আগে থেকে পরামর্শ জরুরি?
উত্তর : অন্তত তিন মাস আগে। ছয় মাস বা এক বছর আগে হলে আরো ভালো হয়। টিকা দেওয়ার বিষয় থাকে। ওজন যদি বেশি থাকে, সেটি সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। তার যদি কম ওজন থাকে, একে সে স্বাভাবিক করবে। তার যদি ডায়াবেটিস থাকে, উচ্চ রক্তচাপ থাকে, কিডনির রোগ থাকে, তাহলে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসে গর্ভধারণ করতে পারবে।

** গর্ভধারণের আগে মায়ের মানসিক সুস্থতা জরুরি

শিশুর বিকাশ ভালোভাবে হওয়ার জন্য মায়ের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতারও প্রয়োজন। আর সেটি প্রয়োজন গর্ভধারণের আগে থেকেই। এতে শিশুর বিকাশ ভালোভাবে হয়। একজন সুস্থ মা সুস্থ শিশু জন্ম দিতে পারেন।

প্রশ্ন : এ ক্ষেত্রে মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব আপনাদের কাছে কতখানি?
উত্তর : মা যদি বিষণ্ণতায় ভোগেন এবং তাঁর যদি অন্য কোনো মানসিক সমস্যা থাকে, তাহলে পরে বাচ্চারও সমস্যা হয়। সে জন্যই বলা হয়, গর্ভধারণের আগে শারীরিক সুস্থতার পরামর্শের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার পরামর্শ নেওয়াও প্রয়োজন। অনেক সময় মেয়েরা বিষণ্ণতায় ভোগেন, নানা ধরনের সামাজিক অস্থিরতায় ভোগেন। মানসিক চিকিৎসা এখন খুব ভালো রয়েছে। যদি তার বিষণ্ণতা থাকে, তাহলে সাইকোথেরাপি দিয়ে তাকে সুস্থ করে নিলেই ভালো হয়। এরপর গর্ভধারণ করলে শিশুর বিকাশ ভালোভাবে হয়।

** গর্ভধারণের জন্য ঝুঁকিমুক্ত বয়স কত?

গর্ভধারণের জন্য সঠিক একটি বয়স রয়েছে। এর আগে বা এর পরে গর্ভধারণ করলে মা ও শিশুর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত থেকে যায়। তাই জেনে নিন গর্ভধারণের উপযুক্ত বয়স সম্পর্কে।

প্রশ্ন : গর্ভধারণের ক্ষেত্রে প্রথমেই কোন জিনিসটিকে গুরুত্ব দিতে বলেন? বা পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি আগে দেখেন?
উত্তর : প্রথমে আমরা দেখি বয়সটা কত। ১৮ থেকে ৩০-এর মধ্যে দিতে হবে। এর মধ্যেই উচিত পরিবার পূর্ণ করে ফেলা। দেখা যায়, মায়ের ঝুঁকি বেড়ে যায়, বাচ্চার অস্বাভাবিকতা অনেক বেড়ে যায়। ১৮ বছরের আগে হলে মায়ের মৃত্যুহার, শিশুর মৃত্যুর হার বেশি হয়। জটিলতাও বেশি হয়। বয়স এই ক্ষেত্রে বড় একটি বিষয় হিসেবে কাজ করে।
আবার অনেকে আছে যে বাচ্চা নিতেই চায় না। বলে ক্যারিয়ার তৈরি করব। ক্যারিয়ার তৈরি করতে গিয়ে দেখা যায় তার অস্বাভাবিক হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। দেখা যায়, তার ডায়াবেটিস হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য বিষয় রয়েছে।
প্রশ্ন : সবচেয়ে ঝুঁকিমুক্ত বয়স কত?
উত্তর : সবচেয়ে ঝুঁকি ছাড়া বয়স হলো ১৮ থেকে ৩০।

** গর্ভধারণের আগে পরামর্শ কেন জরুরি?

শুধু গর্ভাবস্থাতেই নয়, গর্ভধারণের আগেও পরামর্শ জরুরি। এতে মা ও শিশু উভয়েই ভালো থাকে এবং অনেক ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। তবে আমাদের দেশে এই পরামর্শ নেওয়ার হার অনেক কম, যেটা বাড়ানো প্রয়োজন।

প্রশ্ন : এখন পর্যন্ত গর্ভধারণের আগে পরামর্শের প্র্যাকটিস আমাদের দেশে খুব বেশি নেই। গর্ভধারণের আগে পরামর্শের গুরুত্ব কতখানি?
উত্তর : গর্ভধারণের আগে পরামর্শের গুরুত্ব অনেক। যদি ডায়াবেটিস থাকে, যদি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে সে বাচ্চা নেয়, তাহলে বড় বড় অস্বাভাবিকতা হতে পারে। তাই আগে থেকেই পরামর্শ নিতে হবে। মায়েরও অনেক সময় রক্তপাত বেশি হতে পারে। সে সময় সংক্রমণ হতে পারে। এরপর থাইরয়েডের সমস্যা হয়, হাইপো বা হাইপোথাইরয়েডের সমস্যা হয়, এটাও নিয়ন্ত্রণ করে নিলে দেখা যায় বাচ্চার কনজেনিটাল এনোমালি হয় না। অস্বাভাবিক সন্তান জন্ম নেয় না। এগুলো নির্ণয় করে চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে সন্তান জন্ম দিয়ে সুস্থ সন্তানের আশা করা যায়। আর তাই গর্ভধারণের আগে পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

** গর্ভধারণের আগে যা করবেন

গর্ভধারণের আগে দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। কিছু নিয়ম মানা জরুরি।
প্রশ্ন : গর্ভধারণের আগে দৈনন্দিন জীবনযাপনে কোনো পরিবর্তন আনার জন্য কোনো উপদেশ দিয়ে থাকেন কি?
উত্তর : যেমন সে যদি ঘরে বসে থাকে, আমরা বলব, একটু ব্যায়াম করেন। এতে ফিটনেস বাড়বে। নিয়মিত সে এক ঘণ্টা হাঁটবে। ওজন যদি বেশি থাকে, তাকে কমাতে হবে।
আর যদি অ্যানিমিয়া (রক্তস্বল্পতা) থাকে, তাহলে তাকে আয়রন সাপ্লিমেন্ট দিই। যেসব খাবারে আয়রন রয়েছে, সেগুলো খেতে বলি। এতে আরো যেগুলো তার অসুখ রয়েছে, সেগুলো তার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অনেক সময় দেখা যায় অসুখ নেই, তবে পরিবারে যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে জেসটেশনাল ডায়াবেটিস হওয়ার অনেক আশঙ্কা থাকে। তাদের আমরা মিষ্টি জিনিস একটু কম খেতে বলি। সে ফলমূল খাবে, শাকসবজি প্রচুর খাবে। তবে মিষ্টিটা এড়িয়ে যাবে। যেহেতু পারিবারিক ইতিহাস আছে, তার কিন্তু জেসটেশনাল ডায়াবেটিস বা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হতে পারে।
আরো কিছু কনজেনিটাল রোগ রয়েছে। যেমন হিমোফেলিয়া থাকলে মা ক্যারিয়ার থাকে। তবে সেটি অবশ্য সে রকম বোঝা যায় না। আর যদি থ্যালাসেমিয়া দুজনেই ক্যারিয়ার হয়, তাহলে তাদের আমরা বলি বাচ্চা না নিলেই ভালো হয়। কারণ, দুজনেই যদি থাকে, তাহলে দেখা যায় বাচ্চার মেজর থ্যালাসেমিয়া হবে। আর নিলেও বোনমেরু ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার কিছু সুযোগ থাকে। এরপর আরো কিছু কিছু বোনমেরু রোগ রয়েছে, এগুলোতে আমরা বলি যে না নেওয়াই ভালো।
গর্ভধারণের আগে পরামর্শের মাধ্যমে শিশু মৃত্যুহার আমরা অনেক কমিয়ে দিতে পারি। অস্বাভাবিক বাচ্চার হারও আমরা অনেক কমিয়ে দিতে পারি। পরিপূর্ণ সুস্থ থাকতে পারে। আর পোস্ট পার্টাম যে সমস্যাগুলো, সেগুলো আমরা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে পারি। এমনিতেই আমাদের দেশে শিশু মৃত্যুর হার এবং মাতৃমৃত্যুর হার এখনো অনেক বেশি হয়। সুতরাং এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।
প্রশ্ন : এ ক্ষেত্রে পরিবারের কোনো ভূমিকা রয়েছে বলে কি আপনি মনে করেন?
উত্তর : কাউন্সেলিং তো স্বামীকেও করতে হবে। তার শাশুড়ি বা অন্যান্য যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরও করতে হবে। এ দেশে অনেকেরই যৌথ পরিবার থাকে, শাশুড়ি ও ননদদেরও এনে যে মায়ের যত্ন নিলে ভবিষতে তাঁদেরই একটি শিশু সুস্থ হবে, স্বাস্থ্যকর হবে। এতে মায়ের স্বাস্থ্যও ভালো হবে। মাও বাচ্চাকে সুস্থভাবে লালনপালন করতে পারবেন। স্বামীকেও কাউন্সেলিংয়ের সময় অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে।

** গর্ভধারণের আগে নিয়ন্ত্রণ করুন ডায়াবেটিস

গর্ভধারণের আগে ডায়াবেটিস বা অন্যান্য রোগ থাকলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। না হলে গর্ভাবস্থায় কিছু ঝুঁকি হতে পারে।
প্রশ্ন : অনেক অসুখ রয়েছে, যেগুলো গর্ভকালীন হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবার অনেকের আগে থাকেই ডায়াবেটিস থাকে। এদের ক্ষেত্রে আপনারা কি পরামর্শ দিয়ে থাকেন?
উত্তর : গর্ভধারণের আগে ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে নেবে। হিমোগ্লোবিন এওয়ানসি, ব্লাড সুগার ফাস্টিং এগুলো একদম নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। ওজন বেশি থাকলে একে কমিয়ে নিয়ে এসে, বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে এরপর সে গর্ভধারণ করবে। একটি ডায়েট চার্ট তাকে দিয়ে দেওয়া হবে।
প্রশ্ন : আপনারা কী রকম সাড়া পাচ্ছেন এ ক্ষেত্রে?
উত্তর : আমরা যদি ভালোভাবে বুঝিয়ে দিই, মায়েরা অবশ্যই শোনেন। মায়েরা বিষয়টিতে সাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেন।

@Why do advices necessary for pre - pregnancy phase ?