কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধা‌নে বি‌শেষ পানীয়

কোষ্ঠকাঠিন্য বেশ অস্বস্তিকর একটি অসুখ। পেট ফোলাভাব, বমি বমি ভাব, মলত্যাগে অসুবিধা ইত্যাদি সমস্যা হয় এই সময়। সমস্যা হলে তো চিকিৎসকের কাছে যাবেনই, তবে ঘরে তৈরি একটি পানীয় খেয়ে দেখতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে এই পানীয়।

এই পানীয় তৈরি করতে লাগবে তিনটি উপাদান। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, মধু ও পানি। অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে রয়েছে অ্যাসিটোব্যাকটার নামক একটি ভালো ব্যাকটেরিয়া। এটি খাবারকে ভাঙতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। তবে এর জন্য কাঁচা ও অপরিশোধিত অ্যাপেল সিডার ভিনেগার প্রয়োজন। কাঁচা মধুর মধ্যে থাকা উপাদান ইউজেনল কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কাজ করে।

প্রস্তুত প্রণালিঃ
১. এক গ্লাস গরম পানি নিন।
২. এর মধ্যে দুই টেবিল চামচ কাঁচা অ্যাপেলসিডার ভিনেগার মেশান।
৩. এর মধ্যে দুই টেবিল চামচ কাঁচা মধু মেশান।
৪. একে ভালো নাড়ুন। মধুকে ভালোভাবে মিশতে দিন।
৫. সকালে বা দিনের যেকোনো সময় এটি পান করতে পারেন।

জীবন থেকে নেওয়া ক‌য়েকটি পরামর্শ আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেবে

একটি ভালো পরামর্শের চেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী আর কিছুই হতে পারে না। সঠিক সময়ে সঠিক শব্দটি শোনার মাধ্যমে আপনি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারবেন। আগে সমাধানে অক্ষম ছিলেন এমন কোনো সমস্যার সমাধানও করতে পারবেন। অথবা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ঠিক সময়ে নিজেকে মনে করিয়ে দিতে পারবেন।
এখানে এমন ১৭টি পরামর্শ তুলে ধরা হলো যেগুলো বিভিন্ন মানুষের জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। এগুলো আপনার দুনিয়াকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেবে।

১. ''আপনি যদি বিব্রত হন তা শুধুই বিব্রতকর''।
২. ''উচ্চ বিদ্যালয় শেষ হয় কিন্তু কেউই তা শেষ হওয়ার পর আর তা নিয়ে মাথা ঘামায় না।''
নিজের জন্য একটি ভবিষ্যত গড়তে শিখুন- এমনকি কলেজে থাকার সময়ও, আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে যখন আপনি সেখানে আছেন।
৩. ''নিজেকে ক্ষমা করুন''
অতীতের ব্যর্থতা নিয়ে নিজেকে তিরস্কার করলে তা বদলে যাবে না। এতে বরং আপনি আরো বেশি তিরস্কৃত হবেন। অতীতে কেন ভালো হলো না তা নিয়ে যতই মাথা ঘামান না কেন তাতে তা বদলে যাবে না। আপনি অতীতে যেমন ছিলেন তা মেনে নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সেখান আটকে থাকলে চলবে না।
৪. ''যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি ভালো কর্মনীতি রপ্ত করা শিখুন''
এটি জীবনে আপনাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
৫. ''কোনো বিষয়ে গোলমাল পাকানোর পর তার দায়িত্ব গ্রহণ করুন''
এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন।
৬. ''অন্যদের ঘিরে নিজের কোনো কিছুর পরিকল্পনা করবেন না''
নিজের কাজে নিজে করুন। কখনোই অন্যদের ঘিরে নিজের কোনো কিছুর পরিকল্পনা সাজাবেন না। আপনি যদি গান শিখতে চান, জিমে যেতে চান বা ভ্রমণে যেতে চান তাহলে নিজে নিজেই সব করুন। কেউ যদি আপনার সঙ্গী হতে চায় তাকে সঙ্গে নিন কিন্তু তাদের ওপর ভরসা করবেন না।
৭. ''আপনি আজ যা করছেন তা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি এর জন্য আপনার জীবনের একটি দিন ব্যায় করছেন।''
৮. ''আপনি যদি কোনো ভুল করে সঙ্গে সঙ্গেই তা স্বীকার করেন তাহলে লোকেও তা বেশি দিন মনে রাখবে না''
ভুল করে কখনোই অস্বীকার করতে যাবেন না। কারণ আপনি যতই তা করবেন ততই লোকে আপনাকে ভুল প্রমাণিত করতে এগিয়ে আসবেন।
৯. ''নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে অন্যদেরকে আরাম করার সুযোগ করে দেবেন না''
অন্যদেরকে উষ্ণতা সরবরাহ করার জন্য আপনার নিজের গায়ে আগুন লাগানোর দরকার নেই।
১০. ''ভয় পান! কিন্তু তারপরও কাজটি করুন!
কোনো কাজ করতে গিয়ে ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসলে চলবে না। বরং ভয় পাওয়ার পরও তা যেকোনো মূল্যে করতে হবে। ১৩ বছর বয়সী ভাই তার ৬ বছর বয়সী বোনকে সাঁতার শেখাতে নিয়ে গেছে। কিন্তু বোনটি কিছুতেই পানিতে ঝাঁপ দিতে চাইছে না। আর শুধু চিৎকার করে বলছে আমি ভয় পাচ্ছি। এমন সময় পানিতে থাকা এক বয়স্কা নারী চেচিয়ে বললেন ভয় পাও! কিন্তু তারপরও কাজটি করো!
১১. ''আপনি যদি মন থেকে কোনো কিছু করতে না চান, তাহলে তা করতে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবেন না''
স্ত্রী তার স্বামীকে নষ্ট স্টোভটি ঠিক করতে বললেন। স্বামী কিছু যন্ত্রপাতি যোগাড় করে স্ত্রীকে খুশি করার জন্য লেগে পড়লেন। কিন্তু এতে তিনি পরিস্থিতি আরো গোলমেলে করে তোলেন। এতে স্ত্রী স্বামীকে নিষ্কর্মা বলে গালি দেন! এবং বলেন, মিস্ত্রি ডেকেই তিনি তা ঠিক করিয়ে নেবেন।
এরপর ওই লোক তার ১০ বছরের সন্তানের দিকে তাকিয়ে বললেন, এটা তোমার জন্যও একটি শিক্ষা। তুমি যদি কিছু করতে না চাও তাহলে ভালো সাজার জন্য তা করতে যাবে না।
১২. ''কাউকে এই প্রত্যাশা নিয়ে বিয়ে করবেন না যে তিনি আপনার চাওয়া মতো বদলে যাবেন বা একইরকম থাকবেন''
এক নারী তার শবযাত্রায় এই কথাটি উচ্চস্বরে বলার ওছিয়ত করে গেছেন, ''কাউকে এই প্রত্যাশা নিয়ে বিয়ে করবেন না যে তিনি আপনার চাওয়া মতো বদলে যাবেন বা একইরকম থাকবেন। আর ছোটখাটো জিনিস যদি আপনাকে সুখী করতে না পারে তাহলে বড় জিনিসও আপনাকে সুখী করতে পারবে না।''
১৩. ''যেকোনো পরিস্থিতিতে খামখেয়ালি আচরণ বা আবেগ প্রকাশ করা ঠিক না''
ধরুন আপনার বন্ধুর মা মারা যাচ্ছে। এমন সময় যদি আপনি কোনো বিষয়ে আবেগ প্রকাশ করতে চান বা খামখেয়ালি আচরণ করেন তা ঠিক হবে না। এর জন্য আপনার সামনে এখনো পুরো জীবন পড়ে রয়েছে।
১৪. ''নিজেকে সঠিক প্রমাণের জন্য তর্ক করবেন না। বরং নিজেকে বুঝানোর উদ্দেশ্যে তর্ক করুন।''
১৫. ''আমরা অন্যদেরকে তাদের কর্ম দিয়ে মূল্যায়ন করি। আর নিজেদের বিচার করি আমাদের অভিপ্রায় দিয়ে।''
১৬. ''আপনি যদি ভাবেন আপনি কিছু একটা জানেন, তাহলে এমন কাউকে খুঁজে বের করুন যারা সে বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন এবং তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।''
১৭. ''কোনো কিছু নিয়ে অযথা মানসিক চাপে ভুগবেন না।''
আপনি যদি কোনো কিছু ঠিক করতে পারেন তাহলে তা করুন। কিন্তু আপনার যদি সে বিষয়ে কিছুই করার না থাকে তাহলে বিষয়টি নিয়ে অযথা মানসিক চাপে ভুগবেন না। কারণ এতে শুধু অযথাই সময় ও শক্তির অপচয় হবে।

স্তন ক্যানসা‌রের কারণ, লক্ষণ ও চি‌কিৎসা জে‌নে নিন

স্তন ক্যানসার কেন হয়, লক্ষণগুলো কেমন? স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা কীভাবে হয়?

স্তন ক্যানসার নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন থাকেন। তবে স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা পূর্ণাঙ্গভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে করতে পারলে ফলাফল অনেক ভালো আসে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৫৪৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। বর্তমানে তিনি জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের ক্যানসার এপিডেমিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছেন।

স্তন ক্যানসারের কারণ ও লক্ষণ

স্তন ক্যানসারের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কিছু নিয়ন্ত্রণযোগ্য, কিছু নিয়ন্ত্রণযোগ্য নয়। তবে লক্ষণ বুঝে দ্রুত চিকিৎসা করতে পারলে এর ফল ভালো আসে।

প্রশ্ন : স্তন ক্যানসারের কারণ কী?
উত্তর : অবশ্যই, এই জানার বিষয়টি আমি বলতে চাই। প্রথমে জানা দরকার স্তন ক্যানসার হওয়ার কারণগুলো। দুই রকম কারণ রয়েছে। কিছু আছে আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। আমরা চাইলেই আমাদের জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনতে পারি, এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। তবে দুঃখজনকভাবে স্তন ক্যানসারের এমন কিছু ঝুঁকির কারণ রয়েছে, যেগুলোর ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই।
নারী মা হয়, এটা একটা বড় প্রাপ্তি। আবার নারী হওয়ার কারণে স্তন ক্যানসারের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। পুরুষদেরও এই ক্যানসার হয়। তবে নারীদের মধ্যে হওয়ার আশঙ্কা শতকরা শতগুণ বেশি। এর পর বয়স; বয়স যত বাড়তে থাকবে, স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি তত বাড়তে থাকবে।
পশ্চিমা বিশ্বে পঞ্চাশের পর সবচেয়ে বেশি হয়। বাংলাদেশে অজানা কারণে ৪০ থেকে ৫০ বছরের নারীদের মধ্যে এই সমস্যা সাধারণত সবচেয়ে বেশি হয়। এর কারণটা আমাদের জানা দরকার। তাই বয়স যদি বাড়তে থাকে, আমাকে সচেতন হতে হবে। তিন নম্বর হলো, খুব অল্প বয়সে যাদের ঋতুস্রাব হয় এবং যাদের খুব দেরিতে পিরিয়ডটা বন্ধ হয়, তাদের মধ্যে একটু ঝুঁকিটা বেশি। আর কিছু জিনগত কারণ আছে। বিআরসি ওয়ান ও টু নামে দুটো জিন আছে, যেগুলোর অস্বাভাবিকতার কারণে এই স্তন ক্যানসার হয়। একটু জটিল বিষয়। তাও একটু বলে রাখলাম। এগুলোর ওপর আমাদের কোনো হাত নেই। মা, খালা, বড় বোন, নানি, অর্থাৎ মায়ের দিকের কোনো নিকটাত্মীয়ের যদি স্তন ক্যানসার হওয়ার ইতিহাস থাকে, তার মধ্যে হওয়ার একটি ঝুঁকি রয়েছে। যাদের এই ঝুঁকিটা বেশি, তাকে আগে থেকে সতর্ক হতে হবে।
আর কিছু কিছু আছে, আমরা চাইলে পরিবর্তন আনতে পারি। আমরা কিন্তু অল্প বয়সে বিয়ে কখনোই সমর্থন করি না। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করতে চাই। কারণ, জরায়ুর ক্যানসারের জন্য দায়ী অল্প বয়সে বিয়ে হওয়া। আর খুব বেশি বয়সে বিয়ে হলে, ত্রিশের পরে যদি বিয়ে ও বাচ্চা হয়, তখন স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। কাজেই আমাদের সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। যাদের কোনো কারণে সন্তান হয়নি বা বিয়ে হয়নি, তাদের মধ্যে এই ঝুঁকি একটু বেশি থাকে। তবে সবকিছু হয়তো ঠিকমতো হলো, তবে একটি ভুলের কারণে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির মধ্যে আপনি পড়ে যাবেন। সেটা হলো, বাচ্চাকে যদি আপনি বুকের দুধ না খাওয়ান। এতে দুজনের ক্ষতি। বাচ্চার ক্ষতি, তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হবে না। আর আপনার স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়বে। এই কথাগুলো আমরা বলতে চাই। যারা প্রাণিজ আমিষ ও চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খায়, আর যারা শারীরিক পরিশ্রম করেন না, এই দলের একটু বেশি মুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এতে ইসট্রোজেন ডিসেপটরের সংখ্যা বাড়ে। এর সঙ্গে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি আছে।
তাহলে কী করতে হবে? প্রাণিজ আমিষ একটু কম খেতে হবে। একটু ফলমূল ও শাকসবজি খেতে হবে। হালকা ব্যায়াম করতে হবে। আরেকটি বিষয় আছে যে অনেকেরই জরায়ুর অস্ত্রোপচার হয়ে গেছে অথবা মেনোপজের পরে সমস্যা হচ্ছে, তখন আমরা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি দিই। এটা আবার অনেক দিন একটানা থাকলে পরে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। তো, এই ধরনের কিছু কারণ আছে। এগুলোর ক্ষেত্রে আমরা একটু পরিবর্তন আনতে পারি।
প্রথমে সচেতনতা। একই সঙ্গে কীভাবে রোগটি তাড়াতাড়ি নির্ণয় করা যায়, সে বিষয়ে সচেতনতা দরকার।
স্তন ক্যানসারের লক্ষণ বুঝতে হবে। চাকা বা পিণ্ড যদি থাকে, সেটা স্তনেও হতে পারে, আবার বগলেও হতে পারে, নিচের গ্রন্থি বা কণ্ঠের হাড়ের গ্রন্থিও কিন্তু ফুলে যেতে পারে।
পাশাপাশি চামড়ার মধ্যে যদি কোনো পরিবর্তন হয়, যেমন কুঁচকানো বা ছোট ছোট গর্তের মতো, নিপল যদি ভেতরে ঢুকে থাকে (অবশ্য অল্প বয়সের মেয়েদের কিন্তু এমনি এটা হয়, এটি সমস্যা নয়, যদি অন্য কোনো সমস্যা না থাকে), আর যদি রক্ত অথবা কষজাতীয় কিছু বের হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এটুকু যদি আমরা করতে পারি। মানুষের মধ্যে যদি এর সচেতনতা আনতে পারি, তাহলে অনেক লাভ। তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে তার অস্ত্রোপচারটা অল্পতেই হবে। তার পরে রেডিও বা কেমোথেরাপি চিকিৎসায় তার কষ্ট কম হবে। ব্যয় কম হবে। এবং তার সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আমরা তো বলি, যদি প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে, সঠিক সময়ে যদি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা হয়, তাহলে ভালো হয়।

প্রশ্ন : স্তন ক্যানসা‌রের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা মানে কী?
উত্তর : অনেক চিকিৎসক মিলে এই চিকিৎসা করেন। টিউমারের আকার কত বড়, গ্রন্থি কত বড়, শরীরের অন্য কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে কি না—এগুলো সবকিছু দেখে চিকিৎসকরা একটি পরিকল্পনা করেন, এই রোগীর এই এই চিকিৎসা লাগবে। সমন্বয় লাগতে পারেন। রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, অস্ত্রোপচার লাগতে পারে। আবার হরমোনও খেতে হয় অনেককে। এখন আমরা অস্ত্রোপচার করে দিলাম, টিউমার নেই। এখন সে বাড়িতে চলে যেতে পারে।
প্রশ্ন : রোগীদের এ সময় কাউন্সেলিং দেওয়া কতটা জরুরি?
উত্তর : চিকিৎসকদের একটি প্রাথমিক দায়িত্ব হলো চিকিৎসার পাশাপাশি এটি দিতেই হবে। এগুলো নিয়ে সব পর্যায়ে সচেতনতা দরকার। আমরা এই জিনিসকে সামনে আনতে চাই। আর চিকিৎসার বিষয়ে আমরা বলি যে প্রাথমিক অবস্থায় যদি ধরা পড়ে অল্প চিকিৎসায়, সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। খরচ কম, শারীরিক কষ্ট কম।
লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগেই যদি আমরা একটু সচেতন হই, স্ক্রিনিং করতে পারি। একটি ম্যামোগ্রাম, আমাদের দেশে এটি এতটা নেই। আমাদের দেশে আলট্রাসনোগ্রাম দিয়েও একটু পূরণ করা যায়, আরেকটি হলো ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন। ডাক্তারকে দিয়ে স্তন পরীক্ষা করা। তারও আগে নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা। এটি প্রত্যেক নারী করবেন। ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার সাত দিনের মধ্যে একটি দিন ঠিক করবেন, প্রতি মাসে ওই একই দিনে করবেন। এ বছর চতুর্থবারের মতো ১০ অক্টোবর স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে। সারা অক্টোবর আমরা কাজ করেছি। আমরা মানুষের মধ্যে আগের থেকে অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি। সবাই যদি এই বিষয়টি ধারণ করতে পারি, খুব তাড়াতাড়ি স্তন ক্যানসারের বিষয়ে রোগীরা আরো সচেতন হবে।

কোন সমস্যায় কীসের রস খেলে উপকার পাবেন, জেনে নিন

বি‌ভিন্ন শারী‌রিক সমস্যা থে‌কে প‌রিত্রান পে‌তে ফল বা সব্জির রসের উপকারিতার কথা আর নতুন করে কিছুই বলার নেই। ছোট শিশু থেকে বয়স্ক, যে কোনো বয়সের, যে কোনো সমস্যার জন্যই রয়েছে ফল, সব্জির রসের নানা রকম টোটকা। জেনে নিন এমনই কিছু সমস্যায় কোন কীসের রস খেলে উপকার পাবেন।

নার্ভাসনেস: এই সমস্যায় অল্পবিস্তর সকলেই ভোগেন। কারো কারো ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেক বড় আকার ধারণ করে। গাজর, সেলেরি ও বেদানার রস এই সমস্যা দূর করতে পারে।

ঠান্ডা লাগা: মৌসুম বদলের সময় ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। সারা বছর সকালে গাজর, আনারস, আদা ও রসুনের রস খেলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।

ক্লান্তি: কাজের চাপ, স্ট্রেসের কারণে দিনের শেষে ক্লান্তি, সকালে ঘুম থেকে উঠার সমস্যায় এই প্রজন্মের সকলেই অল্পবিস্তর ভোগেন। এই সমস্যার সমাধানে গাজর, বিট, কাঁচা আপেল, লেবু ও পালং শাকের রস খান।

বাত: শরীরচর্চা অভাব ও অনিয়মিত খাওয়া দাওয়ার কারণে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতের সমস্যা দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক। বয়স কম থাকতেই রোজ গাজর, সেলেরি, আনারস, লেবুর রস খেলে বয়সকালে এই সমস্যা এড়াতে পারবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য: সকালে উঠে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই সমস্যা দূরে রাখতে রোজ খান গাজর, আপেল ও টাটকা বাঁধাকপির রস।
স্মৃতিশক্তি: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি কমে আসার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। নিয়মিত বেদানা, বিট ও আঙুরের রস এই সমস্যা দূর করতে পারে।

অ্যাস্থমা: মৌসুম বদলের সময় অ্যাস্থমার প্রকোপ খুবই স্বাভাবিক সমস্যা। সুস্থ থাকতে রোজ গাজর, পালং শাক, আপেল, রসুন ও লেবুর রস খান।
মাথা যন্ত্রণা: মাইগ্রেনের সমস্যা যারা ভোগেন অনেক সময়ই তাদের যন্ত্রণায় মাথা ছিঁড়ে যাওয়ার অবস্থা হলেও কোনও কিছুতেই রেহাই মেলে না। এই সময় আপেল, শশা, কেল, আদা ও সেলেরির রস খেলে আরাম পাবেন। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন নিয়ম করে এই রস খেলে মাইগ্রেনের প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে যাবে।

হ্যাংওভার: উৎসবের মৌসুম পার্টি লেগেই থাকে। তার সঙ্গে জুড়ে যায় পরদিন হ্যাংওভারের সমস্যা। হ্যাংওভার কাটাতে খান আপেল, গাজর, বিট ও লেবুর রস।

আলসার: যদি আলসারের সমস্যা থাকে আপনার তাহলে রোজ গাজর, বাঁধাকপি ও সেলেরির রস খেলে উপকার পাবেন।

স্ট্রেস: কলা, স্ট্রবেরি ও নাসপাতির রস রোজ খেলে স্ট্রেস থাকবে দূরে।

কিডনি ডিটক্স: যদি কিডনি ডিটক্স করতে চান তাহলে তরমুজ, শশা, কিলোন্ট্রো ও গাজরের রস খান।

পেশি বাড়াতে যা যা খা‌বেন

পেশি বাড়াতে প্রয়োজন সঠিক খাবার-দাবার। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ব্যায়ামের পরপর যে খাবার খাবেন, সেটি পেশির বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সম‌য়ের খাবারগু‌লো হ‌ওয়া প্র‌য়োজন পেশির বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত।
খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের অভাব হলে পেশির শক্তি ব্যাহত হয় এবং বৃদ্ধি কম হয়। এ ছাড়া শরীরে চর্বি হবে না, তবে পেশি ঠিকই বৃদ্ধি পাবে—এমন খাবারই নির্বাচন করা উচিত।

জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।

ডিমঃ ডিমের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড ও প্রোটিন। এ জন্য এটি দ্রুত পেশি বাড়াতে কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। এ ছাড়া ভিটামিন বি, কে, ই, এ রয়েছে ডিমের ভেতর।

দুধঃ দুধের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন। এ ছাড়া এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। পেশিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। ব্যায়ামের পর দুধ খাওয়া ভালো।

কাঠবাদামঃ কাঠবাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই, প্রোটিন ও আঁশ। পেশি ভালোভাবে তৈরির জন্য এই বিষয়গুলো খুব জরুরি।

মুর‌গির গোশতঃ পেশির বৃদ্ধির জন্য মুরগির বুকের গোশত খুব উপকারী খাবার। মুরগির গোশ‌তের মধ্যে রয়েছে জিংক, সেলেনিয়াম, আয়রন, নায়াসিন ও ভিটামিন বি৬।

পালংশাকঃ শরীর সুস্থ রাখতে পালংশাক খুব উপকারী। সম্প্রতি গবেষণায় বলা হয়, পেশির মাংস বাড়াতে পালংশাক বেশ ভালো উপাদান। এর মধ্যে ক্যালসিয়াম রয়েছে।

মি‌ষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলুর মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। রয়েছে আঁশ, ভিটামিন। ব্যায়ামের পর মিষ্টি আলু খাওয়া ভালো বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

নতুন ব্যবসার প‌রিকল্পনা

ব্যবসার গ্রহণযোগ্যতা যাচাইঃ
ব্যবসা কোনো চ্যারিটি নয়, ব্যবসার প্রথম ও শেষ কথা হলো মুনাফা। নিজেকে সত্যের মুখে দাঁড়া করানো। নতুন ব্যবসা এমন হতে হবে যেন আপনি এটা করে কিছু মুনাফা অর্জন করতে পারেন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, আপনি যদি ক্রেতা হন, তবে আপনি কি আপনার এই সেবা বা পণ্যটি কিনবেন? একটু পরিসংখ্যান করুন, এই পণ্য বা সেবার পেছনে আপনার ব্যয় কত? একজন ক্রেতা কি সর্বোচ্চ মূল্য দেবে, যাতে আপনি মুনাফা করতে পারেন? আপনার পণ্য বা সেবার সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য কীভাবে পরিসংখ্যান বা প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন, তা নিয়ে একটি ভিন্ন পোস্ট লিখব। মোট কথা যাচাই করুন, আপনার এই পণ্য বা সেবা দীর্ঘ মেয়াদে আপনাকে মুনাফা দিতে পারবে কি না?

ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরিঃ
আপনার মনে হতে পারে, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ছাড়াও আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কিন্তু আর্থিক ধারণা সমন্বিত একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা আপনাকে এর গভীরে চিন্তা করার সুযোগ দেবে। এটা হবে আপনার ব্যবসায়ের জন্য একটি জীবন্ত সহায়িকা, যেটা আপনাকে গন্তব্যে পোঁছাতে সাহায্য করবে।

টাকা জোগাড়ঃ
আপনি জানেন কি, যে ধরনের ব্যবসায়ের পরিকল্পনা করেছেন, তাতে কি পরিমাণ মূলধন লাগবে? এ ছাড়া প্রথম বছর আপনার ব্যক্তিগত খরচ কোথা থেকে আসবে, তা-ও জানুন। হয়তো আপনার ব্যক্তিগত খরচ (সাংসারিক) আপনার সঞ্চিত টাকা বা চাকরি কিংবা স্ত্রীর চাকরি থেকে আসবে এবং ব্যবসা শুরুর জন্য আর্থিক বিনিয়োগ প্রয়োজন—এমন জিনিসগুলো আগে থেকেই পরিষ্কার হোন। এমন নয় যে আপনি ব্যবসা শুরু করলেন এবং পরে চিন্তা করবেন যে টাকা কোথা থেকে আসবে। সুতরাং সব আর্থিক উৎস সম্পর্কে জানুন।

পরিবারের সহযোগিতাঃ
আপনার ব্যবসায়ের শুরুটা যেন পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু হয়। তারাই আপনার ব্যবসার রেফারেল বিজনেস হিসেবে কাজ করবে। আপনার পণ্য বা সেবার গ্রাহক যেন আপনার পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব হয়, অন্যথায় আপনার ব্যবসা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিবার যেন আপনার পাশে (শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে) থাকে। তবে এমনটি করতে গিয়ে কারও ওপর জোর করবেন না

‌এছাড়াও নি‌চের বিষয়গু‌লো জে‌নে রাখা ভা‌লোঃ-

টেকনোলজি আপগ্রেডঃ
সময়ের সঙ্গে আপনার ব্যবসায় যেসব প্রযুক্তি প্রয়োজন, সেগুলো ব্যবহার করুন। প্রযুক্তিগুলো যুগোপযোগী করুন। প্রয়োজনীয় বিজনেস অ্যাপগুলো নামিয়ে নিন এবং সেগুলোর ব্যবহার শিখুন। প্রথম থেকেই নির্দিষ্ট সিআরএম যেন আপনার গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারেন ও তাদের অনুসরণ করতে পারেন।

পণ্য ও বিক্রির কৌশলের ওপর নজরঃ
যত দ্রুত সম্ভব আপনার বাজার সম্পর্কে জানবেন এবং আপনার গ্রাহকের মতামত নিন। প্রতিটি সেবা ও পণ্যকে যাচাই করুন এবং প্রয়োজনে পণ্য বাজারজাতকরণ ও বিক্রির কৌশলের পরিমার্জন করুন।

নিজস্ব পণ্য হলে পেটেন্ট করুনঃ
এটা জরুরি, যাতে আপনার ডিজাইন ও আবিষ্কৃত পণ্যটি কেউ নকল করতে না পারে। দেশের প্রচলিত নিয়মে ট্রেডমার্ক বা পেটেন্টের জন্য আবেদন করবেন। প্রয়োজনে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে খসড়া তৈরি করে নেবেন।

পরামর্শকের সাহায্যঃ
আপনি যে ব্যবসা করেন, সেক্ষেত্রে সফল এমন কেউ বা একজন পেশাদার পরামর্শকের সাহায্য নিন—এমন কেউ, যে সত্যিকারে আপনার সফলতা চায় ও আপনার জন্য যার সময় আছে। পরামর্শের ফি ও অন্য শর্তাবলি আগে থেকেই আলোচনা করে নিন। অন্যান্য যেমন আপনার ব্যবসার ধরন বুঝে, পণ্য না সেবা ব্রশিয়ার, সাপ্তাহিক সেলস পেপার, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, টেলিফোন, সাইনেজ, কর্মচারী ব্যবস্থাপনা, বাজারীকরণের সরঞ্জাম ইত্যাদি

মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ক‌য়েক‌টি সহজ উপায়

'সুস্থ্য দেহ, সুন্দর মন'। ভালো স্বাস্থ্য মানে মানসিক আর শারীরিক দুই দিক থেকেই সুস্থ্য বা ঠিক থাকা। অনেকের বেলায় দেখা যায়, শরীর ঠিক থাকলেও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দেন না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন ঠিকমতো চালিয়ে নিতে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দেওয়া কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ। জীবনযাপনে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে সব মানসিক সমস্যা দূরে ঠেলে মনকে ফুরফুরে করে তুলতে পারেন। এ রকম সহজ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারেন।

১। নিয়মমাফিক চলুনঃ
দৈনিক কাজের একটি নিয়ম দাঁড় করান। সময়ের কাজ সময়ে করুন। নিয়ম মেনে খাওয়া, ঘুম থেকে জাগা বা বিছানায় যাওয়ার বিষয়টি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য দরকারি। যাঁরা নিয়ম মেনে চলেন, তাঁদের মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার হার বেশি বলেই গবেষণায় দেখা গেছে।

২। ব্যায়াম করুনঃ
মানসিকভাবে ভালো থাকতে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাটাও জরুরি। শরীরকে সক্রিয় রাখতে সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে সুখ হরমোন নিঃসৃত হয়। মানসিকভাবে হালকা বোধ করতে বা মন ভালো রাখতে নিয়মিত ব্যায়ামের চর্চা করে যান।

৩। পুষ্টিকর খাবার খানঃ
পুষ্টিমানসম্পন্ন ও সুষম খাবার খাবেন। খাবারের তালিকায় বেশি করে ফল আর সবজি রাখুন। মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত রাখে এমন খাবার, বিশেষ করে বাদাম কিংবা পালংশাকের মতো খাবার খান।

৪। যন্ত্রের ব্যবহার সীমিত করুনঃ
এখনকার সময় মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন কিংবা মনোযোগ কেড়ে নেওয়া নানা যন্ত্র রয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যতটা সম্ভব যন্ত্রের ব্যবহার সীমিত করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে মোবাইল ফোনসহ যন্ত্র ব্যবহার বাদ দিন। এমনকি দিনের বেলাতেও যন্ত্র যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

৫। সক্রিয় থাকুনঃ
সংবাদপত্র পড়ে, পাজল মেলানো, ক্রসওয়ার্ড সমাধান করার মতো নানা কাজে মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখুন। মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হবে, এমনকি শেখার দক্ষতা বাড়বে।