রোহিঙ্গা নিয়ে নিরাপত্তা কাউন্সিলের বিবৃতি আটকে দিল চীন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, নয়া‌দিগন্ত: রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের বিবৃতি আটকে দিয়েছে চীন। চীনের আপত্তির কারণে রাখাইনে সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে নিরাপত্তা কাউন্সিল আলোচনার পর বিবৃতি দিতে পারেনি। বৃটেনের উদ্যোগে এই আলোচনার সূত্রপাত হয়।

শুধু এবারই নয়, গত বছর অক্টোবরে রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে নিরাপত্তা কাউন্সিলে আলোচনা হলেও বিবৃতি আটকে দিয়েছিল চীন। চীনের আপত্তির কারণেই রুদ্ধদার এ বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়া সম্ভব হয়নি। পর্দার অন্তরালে কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশই রাখাইন ইস্যুতে বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে আলোচনা সূত্রপাতের উদ্যোগ নিয়েছিল।

গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ক্ষমতায় আসার আগে মিয়ানমার কয়েক দশক সামরিক জান্তার হাতে নিয়ন্ত্রিত ছিল। এ সময় বহির্বিশ্ব মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিকসহ নানাবিধ অবরোধ আরোপ করলেও প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীন তাদের সমর্থন দিয়ে গিয়েছিল। আন্তর্জাতিক চাপে নির্বাচনের মাধ্যমে সু চি ক্ষমতায় এলেও রাষ্ট্রের মূল কলকাঠি এখনো মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হাতেই রয়েছে।

গত শুক্রবার থেকে নতুন করে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ শুরু করেছে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনী। এবারও চলছে হত্যা, ধর্ষণ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে আগুনের লেলিহান শিখা বাংলাদেশ সীমান্ত থেকেই চোখে পড়ে। নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে জড়ো হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের বাধা দিচ্ছে। এর মধ্যেও সাড়ে ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

আইওএমের হিসাব মতে, গত অক্টোবরের পর থেকে রাখাইনে নতুন করে সহিংসতা শুরুর আগ পর্যন্ত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল।

সরকারের মতে, প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা বৈধ-অবৈধভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাস করছে। তাদের ফিরিয়ে নিতে এবং রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনে বসবাসের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

আজ বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নিরাপত্তা কাউন্সিল বুধবার মিয়ানমারের চলমান সহিংসতা নিয়ে আলোচনা করেছে। যেখানে সংঘাত ও সামরিক বাহিনীর দমন অভিযানে রাখাইন রাজ্য থেকে সাড়ে ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা কাউন্সিলের রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকের পর কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি।

তবে জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ রাইক্রোফট বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন পরিষদের সদস্যরা।

এ বৈঠক আহ্বান করেছিল ব্রিটেন।

কিন্তু রাখাইন সঙ্কটে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের জড়িত হওয়ার বিষয়ে ঘোর বিরোধিতা করেছে চীন। নিরাপত্তা পরিষদে এ আলোচনা হলেও পরবর্তীতে আর কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আগামী মাসে জাতিসঙ্ঘের বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা সমবেত হলে ইস্যুটি আলোচনায় আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রাইক্রোফট বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদ এখনও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সুচিকে সমর্থন করে। মিয়ানমার সরকার পরিচালনায় তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই তাকে সমর্থনকারী মিত্র। আমরা চাই তিনি সঠিক কথা বলুক। একটি সমঝোতার পথ বের করে আনুক। মিয়ানমারের সব মানুষের মঙ্গলের জন্য এই সমস্যা সমাধান করে উত্তেজনা প্রশমন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। জাতিসঙ্ঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আরোপিত নাগরিকত্ব ও চলাচলের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওতাইমিন। জাতিসঙ্ঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরামর্শক অং সান সু চি’র কাছে লেখা পৃথক দুটি চিঠিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

চিঠিতে ওআইসি মহাসচিব বলেছেন, রাখাইনে বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে অঞ্চলজুড়ে এক অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা অসংখ্য মানুষের ওপর প্রভাব ফেলেছে।

ওতাইমিন রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ ও রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য জাতিসঙ্ঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি ও কার্যকরভাবে ইস্যুটি সমাধান করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সু চিকে লেখা চিঠিতে মহাসচিব রাখাইন পরিস্থিতিতে ওআইসির উদ্বেগের কথা জানান। তিনি অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ, উদ্বাস্তুদের তাদের ঘরে ফিরতে দেয়া এবং মানবিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে দুর্গতদের সহায়তার অনুমতি দেয়ার জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গাদের প্রতি বৈষম্য, ন্যয়বিচার ও নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া না হলে চলমান সংকট পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে ওআইসি মহাসচিব আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

পর্নোগ্রাফি সহজেই নষ্ট ক‌রে জীবন

অনলাইনে পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতার ফলে পুরো পৃথিবী জুড়ে বহু মানুষের বিনোদনের খোরাক এখন পর্নোগ্রাফি। পর্ন সিনেমার অভিনেত্রীরা মেকআপ, লাইট ও ক্যামেরার সাহায্যে কৃত্রিম আচরণ ও সৌন্দর্য দিয়ে পূর্ণ করছেন মানুষের যৌন আকাঙ্ক্ষা। তবে এই পর্নোগ্রাফি দিয়ে খুব সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে একটি জীবন। পর্ন সিনেমার যৌন আচরণ আর বাস্তব জীবনের যৌন মিলনের মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। কিন্তু পর্নোগ্রাফির কৃত্রিম আচরণ, অনুকরণ করে যখন কেউ তা নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেন ঠিক তখনি তাকে অসুখী হয়ে পড়তে হয় এবং ব্যর্থতার গ্লানি চলে আসে নিজের জীবনে, যার প্রভাব পড়ে মানুষটির ব্যক্তিগত যৌন জীবনে।
এ সম্পর্কে পর্ন স্টার লুসি বেই বলেন- ‘পর্নোগ্রাফিতে নিখুঁত যৌন মিলন দেখা গেলেও বাস্তব জীবনে সেই নিখুঁত যৌন মিলন খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। পর্নোগ্রাফির যৌনতা শুধুমাত্র কিছুক্ষণ দর্শকদের আনন্দ দেওয়া।’
এ দিকে পর্নোগ্রাফির অনুকরণ নিয়ে আরেক পর্ন তারকা রয়ান জেমস বলেন- ‘পর্দায় ভালো লাগার জন্যই পর্নোগ্রাফির যৌন আচরণগুলো নিখুঁত ভাবে দেখানো হয়। তবে এটা কখনই ব্যক্তিগত মিলনে সুখ এনে দেবে না। ব্যক্তিগত মিলনে সুখের জন্য প্রয়োজন সঙ্গী ও নিজের ভালোলাগাকে প্রাধান্য দেওয়া।’

অ্যাজমা সমস্যা ও চি‌কিৎসা

স্বাস্থ্য বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৩৩তম পর্বে কথা বলেছেন জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেসপিরেটরি বিভাগের ইউনিটপ্রধান সহকারী অধ্যাপক রৌশনী জাহান।

অ্যাজমার জন্য শ্বাসকষ্ট, বুঝবেন কীভাবে?

শ্বাসকষ্টের একটি অন্যতম কারণ অ্যাজমা। তবে অ্যাজমার জন্য শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, সেটি বোঝার উপায় কী?

প্রশ্ন : অ্যাজমার জন্য যদি শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে বোঝার কি কোনো উপায় রয়েছে, আসলে এটি অ্যাজমার জন্য হয়েছে?
উত্তর : অবশ্যই। আবার কিছু কিছু রোগীর ইতিহাস নিয়ে জানতে পারি। যেখানে অ্যাজমার সমস্যা হয়, সেখানে পরিবারে কারো না কারো অ্যালার্জির রোগ থাকে। কারণ, অ্যাজমা অ্যালার্জিজনিত রোগ। কেন? এর কারণ জানা যায়নি। তবে অতিসংবেদনশীল শ্বাসতন্ত্রের কারণে এটি হয়ে থাকে। পরিবারে যখন থাকে, তাকে আমরা বলি এটোপিক অ্যাজমা। সে ক্ষেত্রে তার একটি ইতিহাস পাওয়া যায়। তার একটি চামড়ার রোগ থাকে অ্যালার্জিজনিত কারণে, অ্যালার্জি কনজাংটিভাইটিস। চোখ লাল হয়ে যায়, চুলকায়। চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে। আরেকটি যেটি হয়, অ্যালার্জির কারণে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হতে পারে। অনবরত ধোঁয়া, ধুলাবালির সংস্পর্শে এলে হাঁচি হতে পারে। নাক দিয়ে পানি ঝরতে থাকে, এগুলো একটি অন্যতম উপসর্গ। এ ছাড়া তার অ্যালার্জিক একজিমা হতে পারে।
শ্বাসকষ্টের একটি বিশেষ সমস্যা থাকে। একে আমরা বলি ভেরিয়েবল, অর্থাৎ অত্যন্ত পরিবর্তনশীল। কখনো কখনো খুব বেড়ে যায় অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে এলে। যখন অ্যালার্জেন নিয়ন্ত্রণে থাকে না, তখন অনেক বেড়ে যায়। সাধারণত এসব দেখে বোঝা যায় অ্যাজমার কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।

অ্যাজমার ক্ষেত্রে ইনহেলারের ভূমিকা কী?

অ্যাজমার চিকিৎসায় ইনহেলার একটি কার্যকর চিকিৎসা।

প্রশ্ন : ইনহেলারের ভূমিকা অ্যাজমার ক্ষেত্রে কী রকম?
উত্তর : এখানে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের জন্য রোগীকে যদি ভালো থাকতে হয়, উপসর্গমুক্ত থাকতে জীবনটা চালনা করতে হয়, তাহলে কিন্তু কিছু নিয়ম মানতে হবে। যেহেতু অ্যালার্জেনজনিত কারণে এটি সংবেদনশীল রেসপেরিটরি ট্র্যাক্টে আক্রমণগুলো সৃষ্টি করে, অ্যাজমা রোগীর শ্বাসকষ্টগুলো বাড়িয়ে দেয়, তার জন্য প্রধান যে চিকিৎসা, সেটি হলো ইনহেলার ব্যবহার করা। এর মাধ্যমে ধুলা সরাসরি শ্বাসতন্ত্রে চলে যাচ্ছে। এখানে অতিদ্রুত কাজটা করছে। তবে কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
প্রশ্ন : সে ক্ষেত্রে তাদের তখন কীভাবে পরামর্শ দেন?
উত্তর : রোগীরা আসলেই ইনহেলার নিতে ভয় পায়। তবে সুখবর হলো, এখন অনেকটা কমে এসেছে। এর কারণ হলো হয়তো বা প্রচার হচ্ছে, ডাক্তারের কাছে গিয়ে জেনে আসছেন। তখন জেনে যাচ্ছেন। কারণ, আমরা যেটা করি অ্যাজমার চিকিৎসার সঙ্গে এটাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে। ইনহেলার নেওয়ার পদ্ধতি ঠিকমতো জানতে হবে। কয়েক ধরনের ইনহেলার রয়েছে। একটি হলো রিলিভার, আরেকটি হলো কনট্রোলার। এটি রোগীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং মনে করিয়ে দেওয়া হয়, যখন রোগী কোথাও বেড়াতে যাবে, অন্যান্য জিনিসের আগে তার ব্যাগের মধ্যে অবশ্যই ইনহেলার নিতে হবে। এখন আমার মনে হয়, রোগীরা সেটা গ্রহণ করছে। নিয়ন্ত্রিত অ্যাজমার বিষয়ে সবাই জানতে পারছে।

অ্যাজমার চিকিৎসা কী

অ্যাজমা শ্বাসতন্ত্রের একটি সমস্যা। বিভিন্নভাবে এর চিকিৎসা করা হয়। সাধারণত এটি নিরাময়যোগ্য নয়, নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ।

প্রশ্ন : যখন বোঝেন রোগী অ্যাজমায় ভুগছে, তখন পরামর্শ কী কী থাকে। সেই ক্ষেত্রে কী কী চিকিৎসাপদ্ধতি গ্রহণ করেন।
উত্তর : অ্যাজমার চিকিৎসা একটু সময়সাপেক্ষ। কারণ, অ্যালার্জেনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে একটু ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। এখানে ফার্মাকোলজিক্যাল এবং নন ফার্মাকোলজিক্যাল দুটো মাধ্যমেই আমরা রোগীকে চিকিৎসা করে থাকি। ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে কতগুলো পরামর্শ দিই। অ্যাজমা চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য একটা পরিকল্পনা দিয়ে দিই। সেখানে ওনারা তার অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না নিজেই ‘সেল্ফ এসেসমেন্ট’ করতে পারে। অ্যালার্জেন নির্ণয় করার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা রয়েছে। তবে অ্যাজমার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তার মধ্যে আমরা যেগুলো অ্যালার্জেন দিয়ে পরীক্ষা করি, সেগুলো নাও থাকতে পারে। রোগীকে আমরা বলি, আপনি কি বুঝতে পারেন যে কী করলে এমন হয়। অনেক সময় খাবারে হতে পারে। এ ছাড়া খুব ঠান্ডায় সমস্যা হয়। ধুলাবালিতে যাওয়া ছাড়াও রোগী যখন খুব ঘেমে যায়, প্রচণ্ড ঘাম নিয়ে হঠাৎ করে যখন ঠান্ডা পানি পান করেন, তখনো কিন্তু অ্যাজমার অ্যাটাকটা বেড়ে যায়। এসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রশ্ন : আপনাদের কাছে গেলে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা শুরু করেন কীভাবে।
উত্তর : তাদের যখন রোগের পরীক্ষা করি, কিছু কিছু জিনিস আমরা দেখতে পাই। তখন আমরা সন্দেহ করি যে রোগীটির অ্যাজমা হতে পারে। তার কাশি হয়, এর সঙ্গে শাঁ শাঁ শব্দ হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে তার শ্বাসকষ্ট হয়। আমরা দেখি তার অ্যাজমার ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে কি না। পারিবারিক ইতিহাস থাকলে তখন তার কিছু পরীক্ষা করে নিই। পিক ভ্যারিব্যালিটি পরীক্ষা করি, পাইরোমেট্রি করি। শ্বাসকষ্টের অবসট্রাকশনের ধরন সেটি আমরা বুঝতে পারি।
প্রশ্ন : অ্যাজমার ধরন বোঝার প্রয়োজনীয়তা কী? সেটি কি চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা পালন করে?
উত্তর : রোগ যত তাড়াতাড়ি নির্ণয় হবে, তত তাড়াতাড়ি আমরা তার চিকিৎসা শুরু করতে পারব। তার ফুসফুসের জটিলতাকে দূর করতে পারব। একে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। কারণ, আমরা জানি, অ্যাজমা নিরাময়যোগ্য নয়, নিয়ন্ত্রণযোগ্য। এটা নিয়ন্ত্রণে থাকলে পুরোপুরি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব।

শ্বাসতন্ত্রজনিত কী কী কারণে শ্বাসকষ্ট হয়?

শ্বাসতন্ত্রজনিত বিভিন্ন কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে, যেমন : ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা, সিওপিডি, কাশি ইত্যাদি। এসব কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা হয়।

প্রশ্ন : শ্বাসতন্ত্রজনিত কী কী কারণ রয়েছে, যার জন্য শ্বাসকষ্ট হতে পারে?
উত্তর : শ্বাসকষ্ট শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার অন্যতম প্রধান একটি উপসর্গ। ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা এর মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া রয়েছে সিওপিডি। আরো যেগুলো রয়েছে, তার মধ্যে কাশি একটি প্রধান সমস্যা। সেটা নতুন কাশি হতে পারে বা অনেক দিনের পুরোনো কাশি হতে পারে। এসব কারণে সাধারণত শ্বাসকষ্ট হয়।

শাহবাগের ইমরান-বুদ্ধিজীবী বাম নেতারা কোথায়?

নাফ নদীর পানিতে ভাসছে মানবতা
স্টালিন সরকার, ইন‌কিলাব: ‘অহিংসা পরম ধর্ম’ এবং ‘জীব হত্যা মহাপাপ’ বাণী প্রচার করে গৌতম বুদ্ধ মানবতাবাদী হিসেবে জগৎসংসারে বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছেন। প্রবর্তন করেছেন বৌদ্ধ ধর্ম। সেই ধর্মের অনুসারীরা মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা করছে। এটা কোন ধরণের অহিংসার নমুনা! তাহলে কি মিয়ানমারের বৌদ্ধদের কাছে রোহিঙ্গারা ‘জীব’-এর সংজ্ঞায় পড়ে না? আরাকানের চতুর্দিকে রক্ত আর আগুনের ভয়ঙ্কর দৃশ্য। নারী-পুরুষ এমনকি অবুঝ শিশুর চিৎকারে ভারী হয়ে উঠেছে রাখাইন রাজ্যের আকাশ-বাতাস। ‘জীব হত্যা মহাপাপ’ ধর্মে রোহিঙ্গা হত্যা ‘মহাপূণ্য’!! ‘অহিংস পরম ধর্ম’ অনুসারীদের রোহিঙ্গা গণহত্যা পরম ধর্ম? বৌদ্ধের বাণী ‘সংসার ধর্ম ত্যাগ কর’ অথচ মিয়ানমারের সব বৌদ্ধই ঘর-সংসার করছে এবং মুসলিম নিধনে সবাই এক কাতারবদ্ধ!

মিয়ানমারে বৌদ্ধ সেনারা জাতিগত রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন তথা শতশত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ হত্যা করছে। একশ কিলোমিটার এলাকার বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। জীবন বাঁচাতে ছুঁটছে সীমান্তের দিকে। সহ¯্রাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারলেও আরো লক্ষাধিক নো ম্যানস ল্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে; উভয় পাশ থেকে তাদের দিকে তাক করে আছে বিজিবি ও বিজিপির বন্দুকের নল। জাতিসংঘ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বিশ্ব বিবেক নীরব। বিশ্বের দেশে দেশে মানবাধিকার রক্ষাকারী এবং গণতন্ত্রের ত্রাণ কর্তারা ঘুমিয়ে। রোহিঙ্গারা বেঘোরে মরছে অথচ আমাদের দেশের ‘মুসলমানদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ঝড় তোলা’ অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতের আল্লামা শফি হুজুর, মানুষকে নিত্য ছবক দেয়া দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাঁ সোলাকিয়ার ইমাম, মানবাধিকার রক্ষার এজেন্সিধারী শাহবাগের ইমরান এইচ সরকার, ‘সব ধর্মের মানুষ সমান’ শ্লোগানধারী বামপন্থী বিবেকবান রাজনীতিক, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতিবাদকারী রাজপথে সোচ্চার মুখচেনা নারী নেত্রী, মানবতার সেবাদানের দাবিদার এনজিওকর্মী সবাই নীরব দর্শক!

মিয়ানমারের আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলিমদের রক্ত ঝড়ছে; অথচ তাদের পাশে নেই পবিত্র দুই মসজিদ মক্কা-মদিনার খাদেম ও মুসলিম উম্মাহর অভিভাবক সউদী বাদশাহ, গ্রান্ড মুফতি থেকে শুরু করে ওআইসি কেউই! রোহিঙ্গা মুসলিমরা কি মানুষ নয়! তাদের কি বেঁচে থাকার অধিকার নেই? রোহিঙ্গা শিশুদের কি বেঁচে থাকার অধিকার নেই? নারীদের ইজ্জত আব্রু মূল্যহীন?

মিয়ানমারে চলছে মুসলিম নিধন। ধর্মে রোহিঙ্গারা মুসলমান সে জন্যই হয়তো কনফুসিয়াসের চীন নিশ্চুপ; ঘুম ভেঙ্গে জেগে ওঠা শ্বেত ভাল্লুকের দেশ পুতিনের রাশিয়া নিরব; জুয়া-ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্যাম্পের আমেরিকা নিচ্চুপ; মোদীর হিন্দুত্ববাদী নীতিতে নিমজ্জিত জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম অনুসারী মহাত্মা গান্ধীর ভারতের মুখে কুলুপ, মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা দালাইলামা অন্ধ। সুচির দেশের সামরিক জান্তারা মুসলিম নিধন অভিযান নীরবতা পালনের মাধ্যমে এইসব দেশ-ব্যাক্তিরা বার্তা দিচ্ছেন রোহিঙ্গা মুসলিম নারী-পুরুষ-শিশুদের গায়ে কোনো রক্ত নেই; তাদের দায় নেই। সে জন্যই রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র দেখেও তারা নীরব। কিন্তু মুসলিমদের অধিকারের দাবিতে যারা সোচ্চার তারা নীরব কেন? আমাদের দেশের নেতানেত্রী ও মানুষের অধিকার আদায়ের ব্যাপারীরা উটপাখির মতো গর্তে মুখ লুকিয়ে আছেন কেন? দু’একটি ইসলামী দল রোহিঙ্গা মুসলিম নিধনের প্রতিবাদ করলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল- সামাজিক সংগঠন-ব্যাক্তি যেন নীরব দর্শক। সাংস্কৃতির সংগঠন, ক্লাব-পাঠাগার, শিল্পী-সাহিত্যিক নীরব কেন? কলেজ-মাদ্রাসা-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিক্ষকরা অন্ধ হয়ে আছেন।

বিশ্বের কোনো দেশে সংখ্যালগু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-ইহুদিদের ওপর ঢিল ছুঁড়লেই প্রতিবাদী হয়ে উঠেন। গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে রাস্তায় গান গেয়ে মানবতার ছবক দেন; রোহিঙ্গারা মুসলিম হওয়ায় কি তারা এখন নীরব দর্শক? সেটা না হয় বোঝা গেল। কিন্তু মানবতাবাদী বামপন্থী রাজনীতিক, মসজিদের ঈমান, অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতের নেতাকর্মীরা কি রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে গগন বিদারী কোনো মিছিল করেছে? বিশ্বের কোনো প্রভাবশালী মিডিয়ায় কি তাদের প্রতিবাদের কোনো খবর ছাপা হয়েছে?
আল-জাজিরা, বিবিসি, সিএনএন এবং বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হানাদারদের গুলির মুখে বাংলাদেশের আবালবৃদ্ধবনিতা যেমন ভিটেমাটি ছেড়ে প্রাণটুকু হাতে নিয়ে ভারতে আশ্রয়ের আশায় ছুটেছিল; সুচির অহিংসা পরম ধর্মে দিক্ষীত সেনাবাহিনীর বিভৎস হত্যাযজ্ঞ তাদের মতই জীবন বাঁচাতে আরাকান থেকে বাংলাদেশের সীমান্তের দিকে ছুটছেন রোহিঙ্গারা। তাদের আশ্রয় দিতে দিতে সেই ক্ষমতা এখন হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ। তারপরও তো রোহিঙ্গারা মানুষ। নিরস্ত্র এইসব রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হচ্ছে, নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, বাড়ি ঘর লুটপাট করা হচ্ছে, অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। রোহিঙ্গারা যদি হিন্দু ধর্মাবলম্বী হতেন তাহলে কি ভারত নীরব থাকতো? রোহিঙ্গারা যদি ইহুদি হতেন তাহলে কি আমেরিকা-ইউরোপ মুখে কুলুপ এঁটে থাকতো? রোহিঙ্গারা খ্রিষ্টান হলে কি পুতিন-ট্রাম্প খিল মেরে ঘরে বসে থাকতেন? রোহিঙ্গারা খ্রিস্টান নয়, তবু পোপ ফ্রান্সিস রোহিঙ্গা নিধনের নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অথচ সউদী বাদশাহ’র ঘুম ভাঙ্গছে না?

মিয়ানমারে বিপন্ন মানবতা। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যা অব্যাহত রয়েছে। শিশু-নারী-বৃদ্ধ কেউ রেহাই পাচ্ছে না শান্তিতে নোবেল জয়ী সুচির সামরিক বাহিনীর হাত থেকে। গ্রামের পর গ্রাম বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। জীবন বাঁচাতে মানুষ ছুঁটছে সীমান্তের দিকে। সেখানে বাঁধা পেয়ে গুমরে মরছে; আত্মনাদে আকাশ-বাসাত ভারী হচ্ছে। দৃশ্য এক ভয়ঙ্কর বিভীষিকাময় করুণ চিত্র। নাফ নদীতে ভাসছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের লাশ। রোহিঙ্গা সংকটের একটা বাস্তবসম্মত সমাধানে পৌঁছবার লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদানের জন্য ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠিত হয়। এই কমিশনে মিয়ানমারের ৬জন সদস্য রাখা হয়। বাকি ২ সদস্যের একজন লেবানন এবং আরেকজন নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। দীর্ঘ এক বছর বিরামহীন কাজ করে কমিশন প্রতিবেদন তৈরি করে। গত ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট টিন কিউ এবং শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চির কাছে তুলে দেওয়া হয়। পরের দিনই শুরু হয় রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যাযজ্ঞ।

নাফ নদীর পানিতে ভাসছে মানবতা, মিয়ানমারের বর্বর বৌদ্ধ সেনাবাহিনীর হাতে ক’দিন পরপর রোহিঙ্গা মুসলমানরা প্রাণ হারাচ্ছেন। জীবহত্যা মহাপাপ ধর্মের বাণী যারা ছড়িয়ে দেন, লালন করেন অহিংসায় পরম ধর্ম যারা বিশ্বাস করেন বলে দাবি করেন তারাই আজ রোহিঙ্গা হত্যাকে কোন অপরাধ মনে করছেন না। কিন্তু আমাদের দেশের বিবেকবানরা নীরব কেন? রোহিঙ্গাদের বেঁচে থাকার অধিকার হরণের বিভৎস রুপ ও মর্মান্তিক চিত্র দেখে মুখে কলুপ এঁটে থাকা কি বিবেকের সঙ্গে প্রতারণা নয়? মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেয়া জঘন্য অপরাধ। সুচি বাহিনীর মানবতাবিরোধী শোষণ, অত্যাচার, জুলুম নির্যাতনের রিরুদ্ধে জনমত গঠনের উদ্যোগ নেই কেন?

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ মিয়ানমারকে দেয়া বাংলাদেশের যৌথ অভিযানের প্রস্তাবকে উদ্বেগজনক অবিহিত করে গতকাল একটি জাতীয় দৈনিকে নিবন্ধ লিখেছেন। তার মতে ‘বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া এই প্রস্তাব উদ্বেগজনক। যদিও বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এই প্রস্তাব দিল তা নয়। গত বছরের আগস্ট মাসেও বাংলাদেশ এ ধরনের যৌথ অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছিল। মিয়ানমারের নির্যাতিত বিদ্রোহীরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে যেভাবে মনে করেন বাংলাদেশকে সেভাবে বিবেচনা করলে তা কি বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক হবে? যদি মিয়ানমার বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দেয়, তবে এই অভিযানের সূত্রে তাদের নিরাপত্তা বাহিনী কি বাংলাদেশে প্রবেশের অধিকার রাখবে? এ ধরনের নিরাপত্তা অভিযানের সীমানা কীভাবে নির্ধারিত হবে?’

এটা ঠিক বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির কঠিন পরীক্ষা চলছে। আপাতদৃষ্টিতে রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যা চলছে। এটা পশ্চিমাদের ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সোমালিয়ার মত দীর্ঘস্থায়ী কোনো সহিংসতার প্লট তৈরির পরিকল্পনা নয়তো? এর পেছনে কোনো সাম্রাজ্যবাদী শক্তি কলকাঠি নয়তো? পরিস্থিতি যেটাই হোক বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দেশের বিবেকবানদের নীরবতা রহস্যজনক। নাফ নদীর পানিতে ভাসছে মানবতা। রোহিঙ্গা মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত। মানবতাবিরোধী এই অপরাধের প্রতিবাদে তো হেফাজতের আহমদ শফি, শাহবাগের ইমরান এইচ সরকার, মানবতাবাদী বামপন্থী রাজনীতিক এবং প্রগতিশীল কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীদের রাজপথে নামার কথা। পাহাড়ে সন্তু লারমাদের অধিকার নিয়ে যারা সর্বদা সোচ্চার তাদের কণ্ঠে প্রতিবাদী গানের শ্লোক বের হওয়ার কথা। কিন্তু সবাই রহস্যজনকভাবে নীরবতা পালন করছেন।