করোনার টিকা পেতে নিবন্ধন করার নিয়ম Corona App Registration in Bangladesh

‘সুরক্ষা’ ওয়েব পোর্টালে প্রকাশিত সহায়িকা বলছে, করোনার টিকা ও সনদ পেতে পেরোতে হবে ছয়টি ধাপ।

দেশের মানুষকে অ্যাপের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। আজ সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে করোনার টিকাদান কর্মোদ্যোগের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো হয়। সেখানে অনলাইন নিবন্ধন করার জন্য তৈরি করা অ্যাপ কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, তা দেখানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস), তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআই কর্মসূচি যৌথভাবে এই অ্যাপ তৈরি করেছে। তবে এখনই এই অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, ২৭ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর নিবন্ধনের জন্য অ্যাপ উন্মুক্ত করা হতে পারে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর অবশ্যই দরকার হবে। যাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তিনি নিবন্ধন করতে পারবেন না, আপাতত করোনার টিকাও পাবেন না। অ্যাপ ব্যবহার করে নিবন্ধন শেষ হলে একটি কার্ড ইস্যু হবে নিবন্ধনকারীর নামে। এই কার্ড সুবিধামতো জায়গা থেকে নিবন্ধনকারী প্রিন্ট করতে পারবেন। টিকা গ্রহণের দিন ওই কার্ড কেন্দ্রে আনতে হবে। আর কোন দিন টিকা নিতে হবে, তা মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

তবে অনলাইনে নিবন্ধনের বিকল্প হিসেবে অগ্রাধিকার পাওয়া মানুষের তালিকা তৈরি করতে উপজেলা, জেলা ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

টিকা নিবন্ধনের নিয়ম
করোনার টিকা নিতে আগ্রহীদের নিবন্ধন করতে হবে ‘সুরক্ষা’ নামক ওয়েব পোর্টালে (www.surokkha.gov.bd)। অ্যান্ড্রয়েড বা অ্যাপল প্লে স্টোর থেকেও সুরক্ষা মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করেও করা যাবে নিবন্ধন।

সেখানে গিয়ে ‘নিবন্ধন’ বাটনে ক্লিক করে প্রথমে ধরন নির্বাচন করতে হবে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, জন্মতারিখ (এনআইডি অনুযায়ী) দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে নিবন্ধন করা যাবে না। ১৮ বছরের কম বয়সীরাও নিবন্ধন করতে পারবে না।

তথ্যগুলো ঠিকমতো দিলে বাংলায় ও ইংরেজিতে নাম দেখাবে। এরপর মোবাইল নম্বর দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি রোগ বা কো-মরবিডিটি থাকলে সেটা বলতে হবে। টিকা গ্রহণকারীর পেশা এবং কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট কোনো কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত কি না, সেটি বলতে হবে।

সবশেষে টিকা গ্রহণকারীর বর্তমান ঠিকানা ও কোন কেন্দ্রে টিকা নিতে ইচ্ছুক, সেটি দিলে নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।

টিকাকেন্দ্রে টিকা নেওয়া
প্রথমে টিকা কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। সুরক্ষা ওয়েব পোর্টাল বা অ্যাপের ‘টিকা কার্ড সংগ্রহ’ বাটনে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্মতারিখ দিয়ে ‘যাচাই করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর নিবন্ধনের সময় দেওয়া মুঠোফোনের নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ওটিপি (ওভার দ্য ফোন) কোড দিয়ে ‘ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড’ বাটনে ক্লিক করলে টিকা কার্ড ডাউনলোড হবে।

এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া টিকা গ্রহণের তারিখে নির্দিষ্ট টিকাকেন্দ্রে সশরীরে উপস্থিত হয়ে টিকা নেওয়া যাবে। এ সময় টিকা কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। কোভিড-১৯ টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পর সুরক্ষা ওয়েব পোর্টাল থেকে টিকা সনদ সংগ্রহ করা যাবে।

সরকারের পরিকল্পনা
আগামী ছয় মাসে তিন কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। প্রতি মাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। জনপ্রতি দুটি করে মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকার প্রয়োজন হবে।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এরই মধ্যে দেশে এসেছে। ২১ জানুয়ারি ভারত ২০ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে। আর ২৫ জানুয়ারি সোমবার, ভারত থেকে কেনা ৫০ লাখ ডোজ দেশে এসেছে।

২৭ জানুয়ারি থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে। ওই দিন বেলা সাড়ে তিনটায় টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভা শেষে প্রথম আলোকে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, প্রথম দিন মোট ২০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে অনুষ্ঠানটি বিটিভি সরাসরি প্রচার করবে।



#surokkhaapp, surokkha app registration, corona tika nibondhon, corona vaccine app registration bd

সৌদি-কাতারে চলতি বছরই বিলুপ্ত হচ্ছে ‘কফিল’ পদ্ধতি

২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসের মধ্যেইসৌদি আরবেও বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে কফিল বা কাফালা পদ্ধতি। এই ব্যবস্থা বাতিলের পর কোনো ব্যক্তি নয়, প্রবাসীদের স্পন্সর হবে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রামরুর এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার মধ্যেপ্রাচ্যের অন্যতম শ্রমবান্ধব দেশ সৌদি আরব ও কাতারে জনশক্তি প্রেরণের সাথে সম্পৃত্ত গ্রিনল্যান্ড ওভারসিসের স্বত্বাধিকারী ও বায়রার সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল হাই নয়া দিগন্তকে এ প্রসঙ্গে বলছেন, ‘কাতার এবং সৌদি আরবে কফিল বা কাফালা পদ্ধতি বাতিল করার বিষয়টি নিয়ে তাদের দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা আগে থেকেই শুরু হয়েছে। তবে এখনো এটি বাতিল করা হয়নি। যদি বাতিল করা হয় তাহলে খুবই ভালো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা হলে আমাদের কর্মীদের স্পন্সর নিয়ে আর কোনো ঝামেলাই হবে না। যার কাজ সে করবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কাফালা’ কার্যকরভাবে বাতিল করেছে কাতার। এই পদ্ধতি বাতিল হলে প্রবাসী কর্মীদের প্রয়োজনে কফিল পরিবর্তন সম্ভব হবে। চুক্তিতে নির্ধারিত শর্তানুযায়ী প্রবাসী শ্রমিকরা চলাচলের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন। এ ছাড়া ন্যূনতম মজুরি বিধির ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাদের শ্রমিকদের আবাসন ও খাবারের দায়িত্ব নিতে হবে। দেশটিতে শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি এক হাজার কাতারি রিয়াল (২৭৫ মার্কিন ডলার) নির্ধারণের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে। তবে নিয়োগকর্তারা চাইলে ‘পলাতক’ কর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। কাফালা বাতিলের সিদ্ধান্তটি সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। আইনটি কার্যকর হতে আরো অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে।
শুধু কাতার নয়, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যেই সৌদি আরবেও কফিল বা কাফালা প্রথাটি বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের আগেপরে সৌদি আরবে জনশক্তি প্রেরণ করা হয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৫১ হাজার ৭৮৬ জন কর্মী গেলেও সেটি কমে ডিসেম্বর মাসে ২৩ হাজার ৩৬২ জনে নেমে আসে।

অপর দিকে কাতারে কর্মী গেছে তিন হাজার ৬০৮ জন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ এক হাজার ৩১৯ কর্মী গেলেও করনো-পরবর্তী সময়ের পর ডিসেম্বর মাসে যেতে পারে মাত্র ৯২ জন

সকল বিশ্ব‌বিদ্যালয় ভ‌র্তি ২০২১ : University Addmission 2021

কথা ছিল গত ডিসেম্বরের মধ্যে জেএসসি, এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। কিন্তু আইনি জটিলতায় সেটি পিছিয়ে গেছে। অধ্যাদেশ জারির পর ফল ঘোষণা হবে, পরীক্ষা ছাড়া পাস করবে ১৩ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। কিন্তু উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ভর্তি কীভাবে হবে? ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কী ভাবছে? নানা জায়গার নানা খবরে শিক্ষার্থীরা যেন বিভ্রান্তিতে না পড়ে, তাই এখন পর্যন্ত পাওয়া সব হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেছেন মোশতাক আহমেদ

একসঙ্গে ভর্তির সব হালনাগাদ তথ্য

চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

পরীক্ষা পদ্ধতি

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ২০০ নম্বরের পরিবর্তে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে। এই ১০০ নম্বরের মধ্যে লিখিত ও বহুনির্বাচনী পরীক্ষার মোট নম্বর থাকবে ৮০। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ এবং বহুনির্বাচনী অংশের নম্বর থাকবে ৪০। আর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল থেকে ২০ নম্বর নেওয়া হবে। করোনার কারণে এবার সব বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার কেন্দ্র থাকবে।

  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের মতো করে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে।

  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুনির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) ভর্তি পরীক্ষা হবে। কেবল ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (এখনো ফল প্রকাশিত হয়নি) শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, নেত্রকোনার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

পরীক্ষা পদ্ধতি

বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা—তিন বিভাগের জন্য মোট তিনটি ভর্তি পরীক্ষা হবে। বিভাগ পরিবর্তনেরও সুযোগ থাকবে। একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজ নিজ বিভাগে ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্নে পরীক্ষা দেবেন। উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী প্রশ্ন করা হবে।

পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের একটি স্কোর দেওয়া হবে। এরপর গুচ্ছের মধ্যে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ শর্ত ও চাহিদা উল্লেখ করে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করবে। তারপর পরীক্ষায় পাওয়া স্কোর অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। পরে আর কোনো পরীক্ষা হবে না।

২০১৯ ও ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস শিক্ষার্থীরা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি নেবে, সেটি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করবে।

মানবিক বিভাগের পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৬ থাকতে হবে। বাণিজ্য বিভাগের জন্য মোট জিপিএ-৬ দশমিক ৫ এবং বিজ্ঞানে মোট জিপিএ-৭ থাকতে হবে। কিন্তু এসএসসি ও এইচএসসি—কোনো পরীক্ষায় জিপিএ-৩-এর নিচে থাকলে আবেদন করা যাবে না।

মেডিকেল কলেজ

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ মার্চ এবং ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা ২ এপ্রিল হওয়ার কথা থাকলেও এইচএসসির ফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় তা পিছিয়ে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষার সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (শিক্ষা) এ কে এম আহসান হাবীব বলেন, এখন ২ এপ্রিল এমবিবিএসের পরীক্ষা এবং ৩০ এপ্রিল ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তবে এখনো এটি চূড়ান্ত হয়নি। পর্যালোচনা সভা করে সিদ্ধান্ত হবে।

সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

  • গত বছরের মতো এবারও কৃষি ও কৃষির প্রাধান্য থাকা সাতটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত বা গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

  • বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লুৎফুল হাসান জানান, এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে এই সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে।

চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)

ভর্তি প্রক্রিয়া

এই চার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নীতিগতভাবে একমত থাকলেও এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে বুয়েটের শিক্ষা পরিষদ (একাডেমিক কাউন্সিল) একটি প্রস্তাব দিলেও তা নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতক (পাস) কোর্সে প্রথম বর্ষে মোট আসন আছে সাড়ে আট লাখের বেশি। এর মধ্যে সম্মান প্রথম বর্ষে আসন আছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৫টি এবং পাস কোর্সে আসন আছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯টি। স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয়, এমন কলেজ আছে ৮৬৭টি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মো. মশিউর রহমান জানান, তাঁদের মধ্যে একটি আলোচনা হয়েছে—১৩টি শতবর্ষী কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। কিন্তু এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যদি এটি না হয়, তাহলে সব কলেজে গত কয়েক বছরের মতোই এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এইচএসসির মূল্যায়নের ফল ঘোষণার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভর্তির কাজটি অনলাইনে করা হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

দেশের ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বর্তমানে ৯৭টির শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটি অভিন্ন আইনের অধীনে চললেও তারা পৃথক ব্যবস্থায় ভর্তিসহ শিক্ষা কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করে। এখন পর্যন্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। অর্থাৎ আগের মতোই শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত আছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তাদের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তির বিষয়টিও সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতির আওতায় আনার সুপারিশ করেছে।