তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও দিনের দৈর্ঘ্য বাড়ছেই। তাই অনেকক্ষণ সংযমের পর এমন দিনে ইফতারে চাই পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাবার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইফতারে ভাজাপোড়া না খাওয়াই ভালো। বরং বুদ্ধিমানের কাজ হবে ফলমূলে মনোযোগী হওয়া। জেনে রাখুন লেবু মামার স্বাস্থ্যগুণ:
পুষ্টি উপাদান : লেবু বলতেই আমরা ভিটামিন সি-তে ভরপুর এক ফলের কথা জানি। কিন্তু এই সাইট্রাস ফলে রয়েছে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন এ, ই, ফোলেট, নিয়াসিন, থিয়ামিন, রিবোফ্লোবিন, প্যান্টোথেনিক এসিড, কপার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিংক, ফসফরাস আর প্রোটিন।
বদহজম : লেবুর রস হজমসংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের বিরুদ্ধে লড়তে উপকারী। ইফতারে এক গ্লাস লেবুর শরবত রাখতে ভুলবেন না। অন্যান্য খাবারের পাতেও কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে দিন। রোজার দিন সাধারণত খাদ্য গ্রহণে সময়ের পরিবর্তন ও পানির অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। অন্যান্য পানীয় ও খাবারের সঙ্গে লেবুর রসের ব্যবহার আপনাকে এই অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
সর্দি-জ্বর : যখন-তখন জ্বরে পড়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। লেবু কিন্তু আপনাকে রমজান মাসে জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি বা ফ্লু থকে নিরাপদ রাখতে পারে। ঘাম ঝরানোর মাধ্যমে জ্বরকে বিদায় জানায় লেবুর রস।
দাঁত : ডেন্টাল কেয়ার বিষয়ে লেবুর ব্যবহারের তুলনাই হয় না। দাঁতের যে অংশে ব্যথা সেখানে টাটকা লেবুর রস মেখে নিন। কিছুক্ষণ বাদেই ব্যথা গায়েব হয়ে যাবে। এর রস মাড়িতে ম্যাসাজ করলে রক্তপাত বন্ধ হয়। মাড়ির আরো কিছু রোগ ও বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে সুরক্ষা দেয় লেবু। ইফতারিতে মুখের দুর্গন্ধ থাকবে না লেবু খেলে।
চুল : যদি খুশকি থাকে মাথায়, তো লেবুর রস চুলে মেখে গোসল করুন। এ ছাড়া শরবতের মাধ্যমে রস খেলেও উপকার পাবে চুল। দেখবেন চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে আর প্রাণবন্ত।
ত্বক : লেবুর রস পেটে পড়লে ত্বকও উপকৃত হয়। ত্বকে লাগালেও জাদু দেখতে পাবেন। এমনিতেই লেবুর রস প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে সুপরিচিত। ত্বকে ব্যথা থেকে শুরু হয়ে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে ঝলসে যাওয়া অংশেও লেবুর রস দিলে তা ভালো হয়ে যাবে। ইফতারে পানি ও মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ত্বকের লাবণ্য বাড়ে।
ওজন কমাতে : বলা হয়, হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরতে থাকে। বহু পুরনো আমল থেকেই ওজন কমাতে লেবুর রস রীতিমতো পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
শ্বাসযন্ত্রের যত্ন : শ্বাস গ্রহণের সমস্যা ছাড়াও অন্যান্য রেসপিরেটরি ডিসঅর্ডার সামলাতে লেবু দারুণ কাজের। অ্যাজমার আক্রমণে লেবু আপনাকে আরাম দেবে।
বাতরোগ :
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে লেবুতে। ব্যাকটেরিয়াসহ বিষাক্ত উপাদান দেহ থেকে বের করে দিতে পটু এর ভিটামিন সি। তাই বাতরোগ ও আরথ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্তদের লেবু ওষুধের মতো কাজ করতে পারে।
গলায় সংক্রমণ : গলার ভেতরে যেকোনো ধরনের সংক্রমণে প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিতে লেবু এক দারুণ জিনিস। এতে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। ইফতারে নিয়মিত লেবু ও লেবুর শরবত পান করুন, সংক্রমণ থেকে দূরে থাকুন।
No comments:
Post a Comment