ইসলা‌মের দৃ‌ষ্টি‌তে বিয়ে সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্র‌শ্নোত্তর

ইসলা‌মের দৃ‌ষ্টি‌তে বিয়ে সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ

*** গুনাহগার না হওয়ার জন্য কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করা জায়েজ হবে কি?
একই পাত্র-পাত্রী স্বামী-স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আগের বিয়ের কথা লুকিয়ে বাবা-মা, পরিবার, সমাজের মন রক্ষার জন্য পুনরায় বিয়ে করা যাবে কি?
প্রথম বার প‌রিবার‌কে না জা‌নি‌য়ে বি‌য়ে করার পর; আবার সবাই‌কে জা‌নি‌য়ে বি‌য়ে করা কি জায়েজ হবে?
দ্বিতীয়বার বি‌য়ে করলে কি কোন গুনাহ হবে?

* বিবাহ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ন বিধান। এর মাসলা-মাসায়েল ব্যপক। আপনারা যেহেতু বালেগ সুতরাং আপনারা বিবাহ করতে পারেন। ইসলামী নিয়মে বিবাহের জন্য দুটি বিষয় প্র‌য়োজন। যথাঃ
১. ইজাব (প্রস্তাব) এবং
২. কবুল (গ্রহন) ।
আপনাদের মধ্যে যে কোন একজন তার ওলী অর্থাৎ নির্ভরশীল এর মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠাবে এবং অন্যজন যদি তা গ্রহন করে; তাহলে সাক্ষী উপস্থিত থাকা শর্তে আপনাদের বিবাহ হয়ে যাবে। সরাসরি একজন আরেকজনকে প্রস্তাব পাঠাতে পারবে না। এছাড়াও বিবাহতে আরো কিছু সুন্নত রয়েছে। ইজাব ও কবুল হওয়ার পর আপনারা একজন আরেক জনের জন্য হালাল।

বিবাহে আরো কিছু শর্ত থাকতে হবেঃ
১. পাত্রী ইসলামিকভাবে যোগ্য হতে হবে। যেমনঃ অমুসলিম হওয়া যাবে না।
২. উভয়পক্ষ পরস্পরের শব্দ শ্রবণ করতে হবে।
৩. দু’জন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দু’জন স্বাধীন নারীর সাক্ষী হওয়া।

পুনরায় বিয়ে করা যাবে এতে কোন সমস্যা নেই। ইসলাম আপনার প্রথম বিয়েটাই হিসাবে নিবে, পরে কয়বার বিয়ে করলেন এতে কোন সমস্যা নেই।
প‌রিবার‌কে না জানিয়ে বিবাহ করা যাবে কোন সমস্যা নেই। যদি ছেলে মেয়ে উভয় রাজি এবং বৈধ স্বাক্ষী থা‌কে।
তাছাড়া এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এবং এটা এখন আপনাদের জন্য জরুরী। কারণ এখন বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা অনুযায়ী আপনারা বেশিদিন পবিত্র থাকতে পারবেন না, তাই আপনাদের মেলামেশাটা হালাল করে নি‌তে হ‌বে।

বিদ্রঃ বিয়েতে দেনমোহর বা কাবিননামার টাকা যা ধার্য করবেন সেটা অবশ্যই দিয়ে দিবেন। তারপর আপনার স্ত্রীকে ধরার অধিকার পাবেন। অবশ্যই আপনি দেয়ার চেষ্টা করবেন, মাফ চাইলে হ‌বে না। কিন্তু যদি সে মন থেকে আপনাকে জানায় যে, সে টাকার দাবি ছেড়ে দিয়েছে; তাহলে কোন সমস্যা নেই। তবে আপনি স্ত্রীর কাছে যাওয়ার আগে এই নিয়ত রাখবেন না যে, আমি গিয়ে মাফ চেয়ে নিব বা এখন টাকা দেয়া লাগবে না বা স্ত্রী টাকার দা‌বি কর‌বে না।

এছাড়াও বিয়ে আপনাকে কাউকে না কাউকে জানিয়ে করতেই হবে। যাদেরকে ইসলামের ভাষায় স্বাক্ষী বলে। যদি স্বাক্ষী রেখে বিয়ে করেন তাহলে ঠিক আছে।
খুবই শতর্ক থাকতে হবে, যখন আপনারা শত চেষ্টা করেও একে অন্যের হতে পারছেন না তখন। উপরন্তু যে কোন কার‌নেই হোক আপনা‌দের অনত্র বিবাহ খুব কাছাকা‌ছি এ‌সে গে‌ছে। এমতাবস্থায় বিবাহ বি‌চ্ছেদ বা তালাকের ব্যবস্থা কর‌তে হবে। কারন, তা নাহলে সে আপনার স্ত্রী হিসেবেই পরিগণিত হবে। আর অন্যত্র য‌দি বিবাহ হয়, ত‌বে তালাকের ৪ মাস ১০ দিন পর সে অন্যত্র বিয়ে বসতে পারবে। যদি এরকম না করে তাহলে কঠিন গূনাহগার হবে। এমন সময় তালাক বা বিবাহ বি‌চ্ছেদ হ‌লো; যখন তার বিয়ের কথা চলছে বা ৪ মাস ১০ দিনের ম‌ধ্যেই বিবাহ হ‌বে, তা কিন্তু কোন ক্র‌মেই হবে না। বরং এমন সময় তালাক দিতে হ‌বে যাতে করে ৪ মাস ১০ দিন পর অন্যত্র বিয়ে করা যায় বা হয়ে যায়।
আরেকটি বিষয় হল, মিথ্যে থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। কেউ যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে আপনি বিবাহিত কিনা? তখন কৌশলে উত্তর দিতে হ‌বে, মিথ্যা যেন না হয়।

* যদি গোপ‌নে বি‌য়ে করার পর আপনারা আপনাদের বিবাহ টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা না করেন, তাহলে অনেক বড় গূনাহগার হবেন। অর্থাৎ যদি আপনারা এই নিয়তে বিয়ে করেন যে, মা-বাবা রাজি না হলে বা অন্য কোন কার‌ণ ঘট‌লে আমরা নিজেদের বিয়ে ভেঙ্গে ফেলব! আপনাদের নিয়ত থাকতে হ‌বে‌যে, আপনারা এই বিয়ে করছেন এতে কোন ধোকা নেই বা শরীয়তের কারণ ছাড়া একজন আরেক জনকে সুযোগ বুঝে ছেড়ে দিবেন না। এবং আপনারা প্রাণপণে চেষ্টা করবেন আপনাদের বিবাহ টিকিয়ে রাখার জন্য।

আপনি আরো জানার জন্য কোন বিজ্ঞ আলেমের নিকট জিজ্ঞাসা করুন। তারা আরো স্পষ্ট ও বিস্তা‌রিতভা‌বে জা‌নি‌য়ে দিবেন।

*** ইসলা‌মে অমুস‌লিম‌দের বিবা‌হের বিধান জান‌তে চাই ?
* ইসলা‌মে কি অমুস‌লিম বিবাহ হালাল বা বৈধ ?
হিন্দু মে‌য়ে‌কে বিবাহ করা কি ইসলা‌মে জা‌য়েজ আ‌ছে?
এক কথায়, অমুস‌লিম‌দের বিবাহ করা ইসলা‌মে নি‌ষিদ্ধ বা নাজা‌য়েজ কাজ। ত‌বে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার তা‌কে বিবাহ করা বৈধ বা হালাল। যে কোন অমুস‌লিম নর বা নারী, মুস‌লিম হওয়ার পর তা‌কে বিবাহ করায় কোন সমস্যা নেই।

*** স্ত্রীর বোন বা ভাইয়ের মেয়ের সাথে বিবাহ কি জায়েজ ?

* স্ত্রী মারা গেলে বা স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হলে স্ত্রীর বোনের সাথে বা বোনের মেয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েজ। এমনিভাবে স্ত্রীর ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করা জায়েজ। কিন্তু স্ত্রী যদি মারা না যায়, বা তালাকপ্রাপ্তা না হয় তাহলে স্ত্রীর বোনকে বা স্ত্রীর বোনের মেয়েকে, এবং স্ত্রীর ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করা জায়েজ নয়, এটা হারাম।

*** আমি আমার বউ এর ছোট বোন অর্থাৎ আমার শ্যালিকা‌কে বিবাহ করেছি। এখন আমি তাদের দুজনকে নিয়েই ঘর করতেছি। দুজন দুই বাড়ীতে আছে। আমি জানতে চাই এভাবে কি দুজন‌কে বউ হি‌সে‌বে রাখা যা‌বে?

* আপনার প্রশ্নটির সম্পূর্ন বিস্তারীত বলেন নি! দুজন দুই বাড়িতে মানে আপনি তাদের দুজনকে দুটি ঘর বা আলাদা বা‌ড়ি করে দিয়ে দুজন‌কে আলাদা ক‌রে রাখ‌লেও বিবাহ হারাম হ‌য়ে‌ছে।
যাই হোক, ইসলামে দুই বোনকে একত্রে বিয়ে করা হারাম। প‌বিত্র কোরআনে স্পষ্ট ভাবে দুই বোনকে একত্রে বিয়ে করা হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। জাহেলী যূগে এরকম বি‌য়ের প্রচলন ছিল। আপনি আরো জানার জন্যে সুরা আলে ইমরান'র বিয়ে সংক্রান্ত আয়াতগু‌লো পড়তে পারেন।
মুল কথা হল, একসাথে দুই বোনকে বিয়ে করা হারাম ও কবীরা গূনাহ। তবে একবোন মারা যাওয়ার পর আরেক বোনকে বিয়ে করা যাবে। অর্থাৎ আপনার স্ত্রী য‌দি মারা যায়! এবং তার বিবাহ‌যোগ্য কোন বোন থা‌কে, ত‌বে তখন আপ‌নি মৃত বউ‌য়ের সেই বোন‌কে বিবাহ কর‌তে পার‌বেন।

*** সৎ বো‌নকে বি‌য়ে করা কি যা‌য়েজ?
সৎ বোন‌কে বি‌য়ে করা প্রস‌ঙ্গে ইসলা‌মের বিধান কি?
* সৎ বোনের সাথে বি‌য়ের সম্পর্ক স্থাপন অনৈতিক এবং হারাম। ইসলাম সৎ বোনের সাথে বিবাহ বন্ধনকে হারাম করেছে।

*** স্বামীর ভাই বা বোনের ছেলের সঙ্গে বিবাহ জায়েজ কি না ?
* স্বামী মারা গেলে বা স্বামী তালাক দিলে স্ত্রীর জন্য স্বামীর ভাইয়ের সাথে বা স্বামীর ভাইয়ের ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েজ। এমনিভাবে স্বামীর বোনের ছেলের সাথেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েজ আছে। কোন সমস্যা নাই।

*** ইসলাম যা‌দের সা‌থে বিবাহ হারাম ক‌রে‌ছে?
১৪ জন মাহরেম পুরুষ বা নারীর সম্পূর্ন তালিকা জান‌তে চাই?
ইসলা‌মে কা‌দের বি‌য়ে করা নি‌ষিদ্ধ করা হ‌য়ে‌ছে?

* ইসলাম কিছু নারী পুরুষ‌দের বিবাহ করা নি‌ষিদ্ধ ক‌রে‌ছে। ইসলা‌মের দৃ‌ষ্টি‌তে যে চৌদ্দজনকে বিবাহ করা জায়েজ নয়। তারা হলেন-

"আর তোমরা ঐ সমস্ত নারীকে বিবাহ করো না, যাদেরকে তোমাদের পিতারা (বাপ-দাদা-নানা) বিবাহ করেছেন। কিন্তু যা অতীত হয়েছে, নিশ্চয় তা অত্যন্ত নির্লজ্জতা ও খুব ঘৃণার বিষয় এবং খুব নিকৃষ্ট প্রথা। তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতৃগণ এবং তোমাদের কন্যাগণ এবং তোমাদের বোনগণ এবং তোমাদের ফুপুগণ, এবং তোমাদের খালাগণ এবং ভ্রাতৃ কন্যাগণ এবং বোন কন্যাগণ এবং তোমাদের ঐ বোনগণ যারা দুধ পানের দরুন (বোন) হয়েছে, এবং তোমাদের স্ত্রীদের মাতৃগণ এবং তোমাদের স্ত্রীদের কন্যাগণ, যারা তোমাদের প্রতিপালনে রয়েছে এরূপ স্ত্রী থেকে, যাদের সাথে তোমরা শারীরিক সম্পর্ক করেছো। আর যদি তোমরা ঐ স্ত্রীদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক না করে থাকো, তবে তোমাদের কোন গোনাহ হবে না। আর তোমাদের ঐ পুত্রগণের স্ত্রীগণ যারা তোমাদের ঔরসজাত। আর এটাও নিষিদ্ধ যে, দুই বোনকে একত্রে (বিবাহ ক‌রে) রাখবে। কিন্তু যা (এই হুকুমের) পূর্বে হয়েছে (তা মাফ)। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহা ক্ষমাপরায়ন, অতীব করুণাময়।" (সূরা নিসা: ২২-২৩)

১- পিতা বা মাতা
২- দাদা বা দাদি
৩- নানা বা নানি
৪-শ্বশুর বা শ্বাশুরী
৫-দুধ মাতা বা দুধ পিতা
৬-আপন বোন বা ভাই
৭- দুধ বোন বা দুধ ভাই
৮-ফুপী বা চাচা
৯- মামা বা খালা
১০- ছেলে বামেয়ে এবং তাদের স্ত্রী ও স্বামীগণ।
১১- ভাতিজা বা ভাতিজী
১২- দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা বা এমন দুই মেয়েকে একত্রে বিবাহ করা হারাম যাদের একজনকে ছেলে ধরলে অপরের সাথে তাদের বিবাহ করা হারাম হয়। যেমন, ফুপু ও ভাতিজিকে একসাথে বিবাহ করা হারাম। কারণ ভাতিজিকে ছেলে ধরলে ফুপুকে বিবাহ করা জায়েজ নয়, এমনিভাবে ফুপুকে ছেলে ধরলে ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করা জায়েজ নয়, তাই তাদের একসাথে বিবাহ করা নিষিদ্ধ।
১৩- নাতী বা নাতনী
১৪- পুতী বা পুতীনী

*** নতুন বি‌য়ের পর রোজার মা‌সে সহবাস করা যা‌বে কি না?
রমজান মা‌সে সেক্স করা যায় কি?
ইফতারের পর অর্থাৎ রোজা ভাঙ্গার পর কি স্বামী স্ত্রীর মিলন হালাল? তখন কি কোন বাধা থাকবে?

* রমজান মা‌সে সহবাস বা যৌন মিলন করা যায়। ইসলা‌মে এতে কোন রকম বাধা নেই। ত‌বে হ্যা, রোজা রাখা অবস্থায় সহবাস করা হারাম।
ইফতা‌রির পর স্বামী স্ত্রীর ম‌ধ্যে কোন সমস্যা না থাক‌লে সহবাস করায় কোন বাধা নেই।

স‌ঠিকভা‌বে দাঁত ব্রাশ করুন: ৩টি উপা‌য়

দাঁত সুস্থ্য ও সুন্দর রাখার জন্য প্রতি‌দিন স‌ঠিক উপা‌য়ে দুই বেলা ব্রাশ করা অপ‌রিহার্য।

কিভা‌বে দাঁত ব্রাশ কর‌বেন ?
মাত্র তিন উপায়ে ঠিকভা‌বে ব্রাশ করা সম্ভব। যথাঃ

১। ভেত‌রের দিকঃ
ব্রাশ ৪৫ ডি‌গ্রি কো‌ণে রে‌খে উপ‌রে নি‌চে ওঠানামা করান বা বৃত্তাকা‌রে ঘোরান।

২। বাই‌রের দিকঃ
বাই‌রের দি‌কেও উপ‌রে নি‌চে ওঠানামা ক‌রে দাঁত প‌রিষ্কার কর‌তে থাকুন। কখনই এ‌লো‌মে‌লো ভা‌বে দাঁত ব্রাশ করা উ‌চিত নয়। ধী‌রে সু‌স্থ্যে সবগু‌লো দাঁত ভা‌লোভা‌বে প‌রিষ্কার করুন।

৩। উপ‌রের দিকঃ
দাঁ‌তের উপর সোজা ক‌রে ধ‌রে ব্রাশ কর‌তে থাকুন। যা‌তে দাঁ‌তের সকল খাঁজ ও ফাঁক থে‌কে খাদ্যকণাগু‌লো বে‌রি‌য়ে আ‌সে।

** ব্রাশ কর‌তে হ‌বে সকাল ও রাত; এই দুই বেলা। অবশ্যই খাবার অাধা ঘন্টা আ‌গে বা প‌রে।

দাঁত সুষ্ঠুভা‌বে প‌রিষ্কার করার জন্য নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করার পাশাপা‌শি; মা‌ঝে ম‌ধ্যে দাঁ‌তের প্লাক তোলার জন্য দাঁত ফ্ল‌সিং কর‌তে হ‌বে।

জা‌মের পু‌ষ্টিগুন ও উপকারীতা

জা‌মের পু‌ষ্টিগুন ও উপকারীতার কথা কম বে‌শি আমরা সবাই জা‌নি। জাম গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম। জা‌মের র‌য়ে‌ছে ব্য‌তিক্রম কিছু গুনাবলী। এসব গুনাবলী ও উপকারীতা আমা‌দের কা‌ছে অজানা হ‌লেও জা‌মের এসব ব্যবহার আ‌দিকাল থে‌কেই প্রচ‌লিত। এখন তা আরও বিক‌শিত।

জামকে ইংরেজিতে বলা হয় Jambul / Malabar plum. এই ফ‌লের প্রধান ব্যবহার খাদ্য হিসেবে। টক মিষ্টি সুস্বাদু এই ফলটি বেশ জনপ্রিয় হি‌সে‌বে সবার কা‌ছেই সুপ‌রি‌চিত। এছাড়াও ডাক্তারী, কবিরাজী বা হেকিমী চিকিৎসায়ও এর ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ, ভারতবর্ষ, ইন্দোনেশিয়া এবং চীন -এ জাম ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
জামের বীজ দিয়ে নানান রোগের আয়ুর্বেদী চিকিৎসা করা হয়; যেমন: বহুমুত্র। ইউনানী এবং চৈনিক চিকিৎসাতেও জা‌মের ব্যবহার আছে।
হজমের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, মাড়ির প্রদাহ ইত্যাদি রোগে জামের বীজ, ছাল ও পাতা ব্যবহৃত হয়।
জাম থেকে নি‌ষিদ্ধ মদ ও সিরকা তৈরি করা যায়।

জা‌মের পু‌ষ্টিগুন ও উপকারীতাঃ

জা‌মের বি‌ভিন্ন পু‌ষ্টি উপাদান রোগ প্র‌তি‌রো‌ধের পাশাপা‌শি শরীরকে সুরক্ষা দেয় নানান রোগ বালাই থেকে। জা‌মের স্যালিসাইলেট নামক উপাদান মানবদে‌হে ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে।
জামে সন্ধান পাওয়া গেছে ইলাজিক এসিড নামের এক ধরনের এসিডের উপস্থিতি, যা ত্বককে করে শক্তিশালী। এই ইলাজিক এসিড ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
জাম ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বক ও চুলকে রক্ষা করে।
জাম স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে।
লিভারকে বিভিন্ন ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে জাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দীর্ঘদিন ধ‌রে কোষ্ঠকাঠিন্য রো‌গের ফ‌লে মলদ্বারে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা বে‌ড়ে যায়। অার জাম মলদ্বার বা কোলনের ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে। জামের বাইরের আবরণে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থা‌কে। এই আঁশ জাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর কর‌তে অত্যন্ত কার্যকর।
জামের গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ মানুষের কাজ করার শক্তি যোগায়। এছাড়াও ক্লান্তি দূর করার জন্য মস্তিষ্কে গ্লুকোজ সরবরাহ করাটা ভীষণ জরুরি। যা জামের মাধ্য‌মে হয়ে যায়।
এছাড়াও জামে পর্যাপ্ত পরিমাণে বেগুণী রঞ্জকের উপস্থিতি থাকায় মানব দেহে ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যান্ত কার্যকরী। ক্যান্সারের জীবাণু ধ্বংস করার জন্য এতে রয়েছে চমকপ্রদ শক্তি। জাম হৃৎপিণ্ডের অসুখ, জরায়ু, ডিম্বাশয়, মলদ্বার ও মুখের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই ক‌রে।
জা‌মে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ ‘সি’, এবং ‘ই’।
জামের ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তিকে করে অত্যন্ত প্রখর। বৃদ্ধ বয়সে চোখের অঙ্গ ও স্নায়ুগুলোকে কর্মক্ষম করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ‘সি’ গরমে ঠাণ্ডা, কাশি ও টনসিল প্রতিরোধ করে। শরী‌রের জ্বর জ্বর ভাব দূর ক‌রে। আর দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করতেও এর অবদান অপরিসীম।
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইব্লাড প্রেসার রোগীদের জন্য জাম অত্যন্ত উপকারী। এই ফল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
জাম অ‌ধিক বয়সে চোখের অঙ্গ ও স্নায়ুগুলোকে কর্মক্ষম করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মা, বাড়ন্ত শিশুদের জন্যও এই ফল খুবই উপকারী। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক ও কপার। ডায়রিয়া-পরবর্তী অবস্থায় বড় ও ছোট—সবার জন্য জিংক ও কপার দরকার। তবে ডায়রিয়া চলাকালে জাম খাওয়া নি‌ষিদ্ধ।
জাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। জাম ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ এবং রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য ক‌রে। গ‌বেষণায় দেখা গে‌ছে, প্রতি মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে জাম খেলে ৩০% পর্যন্ত রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব।
জাম রক্তের কোলস্টোরেলের মাত্রা কমিয়ে হৃৎপিন্ড ভালো রাখে।
এছাড়া শরীরের দূষিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌছে দেয়।

জা‌মের পু‌ষ্টিমান ও রাসায়‌নিক উপাদানঃ

প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স) জা‌মের পুষ্টিগত মান হ‌চ্ছে:
শক্তি = ২৫১ কিজু (৬০ kcal), শর্করা = 15.56 g, স্নেহ পদার্থ = 0.23 g, প্রোটিন = 0.72 g ।

জা‌মের ভিটামিনসমূহঃ

ভিটামিন এ = 3 IU, থায়ামিন (বি ) = 0.006 mg, রিবোফ্লাভিন (বি ) = 0.012 mg, ন্যায়েসেন (বি ) = 0.260 mg, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি ) = 0.160 mg, ভিটামিন বি = 0.038 mg, ভিটামিন সি = 14.3 mg ।

জা‌মের চিহ্ন ধাতু সমুহঃ

ক্যালসিয়াম = 19 mg, লোহা = 0.19 mg, ম্যাগনেসিয়াম = 15 mg, ফসফরাস = 17 mg, পটাশিয়াম = 79 mg, সোডিয়াম = 14 mg ।

জা‌মের অন্যান্য পু‌ষ্টি উপাদানসমূহঃ
পানি = 83.13 g ।

জাম পাতার পুষ্টি উপাদানঃ
শুধুমাত্র জাম নয়! জা‌মের পাতাও পু‌ষ্টি সমৃদ্ধ। জাম পাতার পুষ্টি উপাদান নিচে দেয়া হলো। জাম পাতায়ঃ
আমিষ = 9.1, স্নেহ = 4.3, আঁশ = 17.0, ছাই = 7, ক্যালসিয়াম = 1.3, ফসফরাস = 0.19 ।

^
^

জা‌মের বি‌ভিন্ন উপকা‌রিতা, কা‌লো জাম, জা‌ম পাতার গুন, জা‌মের স্বাস্থ্য উপকারীতা, জাম, জামে কি কি পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান? জা‌মের গুনাবলী, জা‌মের পু‌ষ্টিগুন, জা‌মের উপকারীতা, জামের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই ।। কা‌লো জামের পু‌ষ্টিগুন ও উপকারিতা,

আরআরএফ (RRF) নে‌বে ৫২৮ জন কর্মী

৫২৮ জন কর্মী নেবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন (RRF)। সহকারী আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক পদে ১০, মনিটরিং অফিসার পদে ৫, ডেপুটি মনিটরিং অফিসার পদে ১০ জন, শাখা ব্যবস্থাপক পদের ৫০টি, সহকারী শাখা ব্যবস্থাপকের পদে ৫০, সহকারী শাখা হিসাবরক্ষক পদে ১০০ ও ক্রেডিট অফিসার পদে নেওয়া হবে ২০০ জন।
আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর।
সহকারী আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, ডেপুটি মনিটরিং অফিসার ও শাখা ব্যবস্থাপক পদে পিকেএসএফের অধীন কোনো এনজিওতে তিন বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
মনিটরিং অফিসার পদে থাকতে হবে একই পদে কাজের পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা।
সহকারী শাখা হিসাবরক্ষক পদ ছাড়া বাকি সব পদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
সব পদে কম্পিউটার জ্ঞান থাকতে হবে।
জুনিয়র ক্রেডিট অফিসার পদে নেওয়া হবে ১০০ জন, যোগ্যতা এইচএসসি।
ক্রেডিট অফিসার ও জুনিয়র ক্রেডিট অফিসার পদের জন্য বাইসাইকেল চালনা জানতে হবে।
ড্রাইভার পদের নেওয়া হবে তিনজন। এসএসসি পাস ও ভারী গাড়ি চালনায় পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে আবেদন করা যাবে।

নির্বাহী পরিচালক—রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন বরাবর আবেদন করতে হবে নিজ হাতে লিখে। আত্মীয় নন এমন দুজন গণ্যমান্য ব্যক্তির রেফারেন্স দিতে হবে। আবেদনপত্রে প্রার্থীর মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। লিখিত পূর্ণ জীবন-বৃত্তান্ত, পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি, সব মূল সনদপত্রের সত্যায়িত কপি, অভিজ্ঞতার সনদপত্র, নাগরিকত্ব সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

১৫ জুলাই বাছাই পরীক্ষা হবে ওয়ার্ক ইন ইন্টারভিউ পদ্ধতিতে। পরীক্ষাকেন্দ্রে সকাল ৯টায় আরআরএফ ভবন, সিঅ্যান্ডবি রোড, কারবালা, যশোর—এই ঠিকানায় উপস্থিত থাকতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ নগদ ২০০ টাকা পরীক্ষাকেন্দ্রে জমা দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষার সময় সব মূল সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি এবং আগের সংস্থার ছাড়পত্র অথবা প্রত্যয়নপত্র বা এনওসি দেখাতে হবে।

সহকারী আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক পদে বেতন সর্বসাকুল্যে ২৪৭৮০ টাকা, মনিটরিং অফিসার ২২০৫৭ টাকা, ডেপুটি মনিটরিং অফিসার ২০৩৬৫ টাকা, শাখা ব্যবস্থাপক ২০৩৬৫ টাকা এবং সহকারী শাখা ব্যবস্থাপকের বেতন সর্বসাকুল্যে ১৭৩৬৮ টাকা। বেতন ছাড়াও মোটরসাইকেল ও মোবাইল ভাতা দেওয়া হবে। অভিজ্ঞ প্রার্থীদের বেলায় বেতন-ভাতা আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। সহকারী শাখা হিসাবরক্ষক পদের বেতন ১৬২২০ টাকাসহ মোবাইল ভাতা, ক্রেডিট অফিসার পদের বেতন সর্বসাকুল্যে ১৪৭৩০ ও মোবাইল ভাতা, জুনিয়র ক্রেডিট অফিসার পাবে ১২৯১২ ও সঙ্গে মোবাইলভাতা ও ড্রাইভার পদের বেতন ১২৯১২ টাকাসহ মোবাইলভাতা। এ ছাড়া উৎসবভাতা, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, চিকিৎসাসেবা, পিএফ, গ্র্যাচুয়িটি সুবিধা, দূরত্বভাতা, বৈশাাখীভাতা (মূল বেতনের ২০ শতাংশ) সিটিভাতা (মূল বেতনের ৪০ শতাংশ), কর্মস্থলে আবাসন সুবিধা বা ভাতা এবং স্টাফকল্যাণ ফান্ড সুবিধা পাওয়া যাবে। পরিচ্ছন্নতাভাতা, উৎসবভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাবে।

রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশনের মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রামের উপ-পরিচালক শামীম খান জানান, সহকারী আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, মনিটরিং অফিসার, ডেপুটি মনিটরিং অফিসার, শাখা ব্যবস্থাপক, সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক এবং সহকারী শাখা হিসাবরক্ষক পদের জন্য অংশ নিতে হবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায়। সাধারণত ৭৫ নম্বরের লিখিত এবং ২৫ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। বেশির ভাগ প্রশ্ন করা হয় সংশ্লিষ্ট পদের কাজের বিষয়ে। তা ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ের নানা বিষয়েও প্রশ্ন থাকে। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের দুই থেকে তিন দিন পর উত্তীর্ণদের ডাকা হবে মৌখিক পরীক্ষার জন্য। ক্রেডিট অফিসার, সহকারী ক্রেডিট অফিসার এবং ড্রাইভার পদগুলোর জন্য নেওয়া হবে শুধু মৌখিক পরীক্ষা। নির্বাচিতদের প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হবে।

মৌখিক পরীক্ষায়ও প্রশ্ন থাকে পদসংশ্লিষ্ট কাজের ওপর। দেখা হয় দায়িত্ব সামলানোর মানসিক দক্ষতাও। সাধারণ জ্ঞানসহ ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয়, যেমন—ঋণ বিতরণ, আদায়, সমিতি গঠন, পরিচালনা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।

© চাকরি আছে

^
^
আরআরএফ-এ চাক‌রি, rrf jobs bd

বি‌ভিন্ন বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের চাক‌রির বিজ্ঞ‌প্তি

বাংলা‌দে‌শে অ‌নেক সরকা‌রি বিশ্ব‌বিদ্যালয় গ‌ড়ে উ‌ঠে‌ছে। প্র‌তি বছর এসব বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ে বি‌ভিন্ন প‌দে বহু সংখ্যক লোক নি‌য়োগ করা হয়। তেম‌নি বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের কিছু চাক‌রির খবর জানা‌নো হ‌চ্ছে আজঃ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাক‌রি

পদ ও যোগ্যতা : অধ্যাপক, বস্তু ও ধাতব কৌশল ১টি।
বেতনক্রম : ৫৬৫০০-৭৪৪০০ টাকা।

পদ ও যোগ্যতা : সহকারী অধ্যাপক, বস্তু ও ধাতব কৌশল ১টি, গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং ১টি, পুরকৌশল ৩টি, যন্ত্রকৌশল ১টি, নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল ১টি, বুয়েট জিডপাস ১টি, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা ১টি, রসায়ন ২টি।
বেতনক্রম : ৩৫৫০০-৬৭০১০ টাকা।

পদ ও যোগ্যতা : প্রভাষক, রসায়ন; ২টি।
বেতনক্রম : ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা।
আবেদনের শেষ তারিখ : ১৩ জুলাই।

ওয়েব : www.buet.ac.bd/regoffice

সূত্র : ডেইলি স্টার, ১৬ জুন, পৃ. ১১

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাক‌রি

পদ ও যোগ্যতা : সহযোগী অধ্যাপক, তড়িৎ ও ইলেকট্রিক কৌশল, ১টি।
বেতনক্রম : ৫০০০০-৭১২০০ টাকা।

পদ ও যোগ্যতা : প্রভাষক, তড়িৎ ও ইলেকট্রিক কৌশল ১টি, যন্ত্রকৌশল ২টি, ডিজাস্টার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং ১টি, পুরকৌশল ১টি, সিএসই ৩টি, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা ১টি।
বেতনক্রম : ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা।

পদ ও যোগ্যতা : মেডিক্যাল অফিসার, ১টি।
বেতনক্রম : ২৩০০০-৫৫৪৭০ টাকা।

পদ ও যোগ্যতা : সহকারী প্রোগ্রামার (কম্পট্রোলার অফিস), ১টি। সহকারী প্রকৌশলী (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), ১টি।
বেতনক্রম : ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা।

পদ ও যোগ্যতা : উপসহকারী প্রকৌশলী (যন্ত্র), ১টি। উপসহকারী প্রকৌশলী (পুর.), ১টি। সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার, তড়িৎ ১টি, সিএসই ১টি।
বেতনক্রম : ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা।

আবেদনের শেষ তারিখ : ১৮ জুলাই।

ঠিকানা : রেজিস্ট্রার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।

ওয়েব : www.cuet.ac.bd

সূত্র : ডেইলি স্টার, ১৬ জুন, পৃ. ৯

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাক‌রি

পদ ও যোগ্যতা : অধ্যাপক, ইসিই, ১টি।
বেতনক্রম : ৫৬৫০০-৭৪৪০০ টাকা।

পদ ও যোগ্যতা : অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক, আর্কিটেকচার, ১টি।
বেতনক্রম : ৫৬৫০০-৭৪৪০০ টাকা অথবা ৫০০০০-৭১২০০ টাকা।

পদ ও যোগ্যতা : সহযোগী অধ্যাপক, পুরকৌশল ১টি, তওই কৌশল ১টি।
বেতনক্রম : ৫০০০০-৭১২০০ টাকা।

পদ ও যোগ্যতা : সহকারী অধ্যাপক, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ১টি, বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট ২টি।
বেতনক্রম : ৩৫৫০০-৬৭০১০ টাকা।

আবেদনের শেষ তারিখ : ২৪ জুলাই।

ওয়েব : www.kuet.ac.bd

সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট, ১৮ জুন, পৃ. ১৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাক‌রি

পদ ও যোগ্যতা : সহযোগী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান ২টি, উদ্ভিদবিজ্ঞান ১টি।
বেতনগ্রেড : চতুর্থ গ্রেড

পদ ও যোগ্যতা : সহকারী অধ্যাপক, উদ্ভিদবিজ্ঞান ১টি।
বেতনগ্রেড : ষষ্ঠ গ্রেড।

পদ ও যোগ্যতা : প্রভাষক, উদ্ভিদবিজ্ঞান ১টি, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান ৪টি।
বেতনগ্রেড : নবম গ্রেড

আবেদনের শেষ তারিখ : পদভেদে ১৪ ও ২১ জুলাই।

ওয়েব : www.cu.ac.bd

সূত্র : কালের কণ্ঠ, ১৫ জুন, পৃ. ৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাক‌রি

পদ ও যোগ্যতা : জুনিয়র প্রভাষক, সামাজিক বিজ্ঞান (জাবি স্কুল ও কলেজ), ১টি।
বেতনক্রম : ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা।

আবেদনের শেষ তারিখ : ১৪ জুলাই।

ঠিকানা : রেজিস্ট্রার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা।

ওয়েব : www.juniv.edu

সূত্র : কালের কণ্ঠ, ২৩ জুন, পৃ. ৯

^
^
বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ে চাক‌রি, university jobs bangladesh . বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের নি‌য়োগ বিজ্ঞ‌প্তি ।