আউটসোর্সিং ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনার সাথে থাকছে.. গুরুত্বপূর্ণ সফট্ওয়্যার, অনলাইন জগতের বিশেষ খবর, অতিপ্রয়োজনীয় টিপস & ট্রিকস- সহ আরও কিছু আপডেট তথ্য, যা আপনার অনলাইন জীবনকে সমৃদ্ধশালী করতে সহায়ক হবে- উন্মুক্ত ‘সংগ্রহশালা’
থানকুনি পাতার গুণাগুণ
২০১৮ সালের বহুল প্রতীক্ষিত স্মার্টফোন
২০১৭ সালে বাজারে এসেছে এমন সব স্মার্টফোন যেগুলো ডিজাইন এবং উদ্ভাবনের দিক থেকে আগের সব প্রযুক্তিকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালেও এর ব্যতিক্রম হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
এবারও নতুন নতুন সব ফিচার নিয়ে আসছেন স্মার্টফোন নির্মাতারা। আসুন জেনে নেওয়া যাক শীর্ষ মানের এমন ১৩টি স্মার্টফোনের কথা যেগুলো নতুন বছরে বাজারে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।
১. ভিভো এক্স ২০প্লাস ইউডি
চীনা স্মার্টফোন কম্পানি সম্প্রতি ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি নিয়ে এসেছিল। এবার ওই প্রযুক্তি সহ প্রথম স্মার্টফোন ভিভো এক্স ২০প্লাস ইউডিও বাজার আসছে শিগগিরই। এতে থাকবে সিনাপটিকস ক্লিয়ার আইডি ৯৫০০ ইন-স্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি স্থাপিত হবে মেইনবোর্ড এবং ওএলইডি ডিসপ্লের মধ্যে। অ্যান্ড্রয়েড ৭.১ নুগেট অপারেটিং সিস্টেম যুক্ত ফোনটির ডিসপ্লে হবে ৬.৪৩ ইঞ্চি ফুল এইইচডি প্লাস। কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৬০ প্রসেসর। সাথে ৪জিবি র্যাম এবং ১২৮জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ।
২. অ্যাপল আইফোন ২০১৮
এ বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন আইফোন বাজারে আনবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানি অ্যাপল। এই আইফোন ২০১৮-তে থাকবে ৬.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে এবং ৪জিবি র্যাম। আর আইফোন এক্স এর মতোই থাকবে ওএলইডি ডিসপ্লে।
৩. স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৯, গ্যালাক্সি এক্স
গ্যালাক্সি নোট ৮ এর পরই নতুন ফোন নিয়ে কাজ শুরু করে স্যামসাং। এ বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য এখনো ফাঁস হয়নি। তবে নোট ৯-এ এস পেন এর কাজ চেইনবদ্ধ করার জন্য স্যামসাং কাজ করছে বলে গুজব রটেছে।
এছাড়াও দক্ষিণকোরীয় এই টেক জায়ান্ট এর ফোল্ডেবল স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এক্স নিয়েও কাজ করছে বলে জানা গেছে। এতে থাকবে ৭.৩ ইঞ্চির একটি ফোল্ডেবল ডিসপ্লে।
৪. ওয়ান প্লাস ৬
চীনা স্মার্টফোন কম্পানি ওয়ান প্লাস এর পরবর্তী প্রজন্মের ফ্ল্যাগশীপ স্মার্টফোন বাজারে আনবে চলতি বছরেই। এর নাম হবে ওয়ান প্লাস ৬। এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ফোনটি বাজারে ছাড়া হবে। এতে কোয়ালকমের সেরা প্রসেসর স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ যুক্ত করা হবে।
৫. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৯ এবং এস৯ প্লাস
আগামী মাসেই মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ২০১৮-তে ফোন দুটি বাজারে আনতে চলেছে স্যামসাং। ফোনটিতে থাকবে স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ প্রসেসর। আর এস সিরিজের আগের ফোনের মতোই এতে শুধু একটি রিয়ার ক্যামেরা থাকবে।
এস ৯ এর ডিসপ্লে হবে ৫.৭ ইঞ্চি আর এস ৯ প্লাস এ থাকবে ৬.২ ইঞ্চি ডিসপ্লে। এছাড়া এতে থাকবে বিক্সবি ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্ট এবং রিয়ার মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
৬. শাওমি এমআই মিক্স ৩
চীনা কম্পানি শাওমি এবছর তাদের সবচেয়ে দামী ফোন এমআই মিক্স ২ এর পরের ফোনটি আনবে। এমআই মিক্স ৩-এ বড় দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং বেজেলহীন প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া এতে থাকবে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ প্রসেসর এবং ৬জিবি র্যাম ও ১২৮জিবি স্টোরেজ।
৭. মটো জি ৬
গত বছর মটো জি সিরিজের ৫ নাম্বার ফোনটি বাজারে এনেছিল মটোরোলা। এবার আনছে মটো জি ৬। ফোনটির দামও কম হবে। আর নতুন অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ ওরিও অপারেটিং সিস্টেম যুক্ত করা হবে। এতে ডুয়াল রিয়ার ক্যামোর সেটআপও রাখা হবে বলে জানা গেছে। আগামী মার্চে ফোনটি ভারতের বাজারে ছাড়া হতে পারে।
৮. সনি এক্সপেরিয়া এক্সজেড প্রো
কম্পানিটির শীর্ষমানের ফোনগুলির একটি এই ফোন চলতি বছরে বাজারে ছাড়া হবে। সনির এই স্মার্টফোনটিতেই প্রথম ৩.৫ মিলিমিটারের অডিও জ্যাক যুক্ত করা হবে। এছাড়া ফোনটিতে থাকবে একটি ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট যা চার্জিং এবং গান শোনার জন্য ব্যবহার করা যাবে।
এছাড়া ফোনটিতে ১৮:৯ রেশিও এবং ৪কে রেজ্যুলিউশন এর বেজেলহীন বা ফুলস্ক্রিন ডিসপ্লে থাকবে। আরও থাকবে ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ।
৯. নোকিয়া ৯
ফোনটিতে থাকবে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ প্রসেসর। ১৮:৯ রেশিওর ৫.৩০ ইঞ্চির ফুলস্ক্রিন ডিসপ্লে। আর অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ ওরিও অপারেটিং সিস্টেম।
১০. এলজি জি৭
প্রতিবছরই এলজি মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে এর একটি ফ্ল্যাগশীপ ফোন লঞ্চ করে। এপ্রিলে এলজি জি৭ ভারতের বাজারে ছাড়া হতে পারে। এলজি জি ৬ এর মতোই এই ফোনটিতেও ফুল ভিশন ডিসপ্লে থাকবে। আর অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ ওরিও অপারেটিং সিস্টেম থাকবে।
১১. শাওমি এমআই ৭
স্পেনে অনুষ্ঠেয় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ২০১৮-তে ফোনটি উম্মোচন করা হতে পারে। এতে থাকবে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ প্রসেসর। ১৮:৯ রেশিওর ফুলস্ক্রিন ডিসপ্লে এবং ফেসিয়াল রিকগনিশন। ১৬ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা যার একটির অ্যাপারচার হবে এফ/১.৭।
১২. হুয়াওয়েই পি২০
আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (MWC) ২০১৮-তে এই ফোনটি লঞ্চ করবে চীনা কম্পানি হুয়াওয়েই। এই স্মার্টফোনে থাকবে ট্রিপল ক্যামেরা। রিয়ার প্যানেলে স্থাপিত ওই ট্রিপল ক্যামেরাতে থাকবে ৪০ মেগাপিক্সেল সেন্সর, সাথে ৫x হাইব্রিড জুম। কম্পানির নিজস্ব প্রসেসর কিরিন ৯৭০ চিপসেটে চালিত হবে ফোনটি। আর ফেসিয়াল রিকগনিশন ফিচারও থাকতে পারে।
১৩. আসুস জেনফোন ৫
গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে জেনফোন ৪ বাজারে আনে আসুস। আর এবছর আনবে জেনফোন ৫। এর বেশি কিছু জানা যায়নি ফোনটি সম্পর্কে।
নিয়মিত সঞ্চয়ের সহজ কৌশল
জাহান্নামবাসী কি কখনো জান্নাতে যেতে পারবেন?
মোবাইল পানিতে পড়লে করণীয়
ছাগল পালন
- ছাগলের বাচ্চাকে কলষ্ট্রাম (শাল দুধ) খাওয়ানোঃ সাধারণত ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাচ্চার ওজন ০.৮-১.৫ কেজি (গড়ে ১.০০ কেজি) ওজন হয়। বাচ্চা জন্মের পরপরই পরিস্কার করে আধা ঘন্টার মধ্যেই মায়ের শাল দুধ খেতে দিতে হবে। ছাগলের বাচ্চার প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম শাল দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। এই পরিমাণ দুধ দিনে ৮-১০ বারে খাওয়াতে হবে। শাল দুধ বাচ্চার শরীরে এন্টিবডি তৈরী কওে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। দুই বা ততোধিক বাচ্চা হলে প্রত্যেকেই যেন শাল দুধ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ছানা সাধারণত ২-৩ মাসের মধ্যে দুধ ছাড়ে। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের দুধ উৎপাদন কম হওয়ায় ২-৩ ছানা বিশিষ্ট মা ছাগীর দুধ কখনো কখনো বাচ্চার প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারেনা। এক্ষেত্রে ছানাকে পরিমাণমত ৩৭-৩৮ সেঃ তাপমাত্রায় অন্য ছাগলের দুধ বা মিল্ক রিপ্রেসার খাওয়ানো উচিত। ছাগলের বাচ্চার দানাদার খাদ্য মিশ্রণ কম আঁশ, উচ্চ প্রোটিন, উচ্চ বিপাকীয় শক্তি সম্পন্ন হতে হয়।
- ছাগলের বাচ্চাকে দানাদার খাদ্য খাওয়ানোঃ ছাগল ছানা প্রথমে মায়ের সাথেই দানাদার খাবার খেতে অভ্যস্থ হয়। ছাগলের বাচচাকে জন্মের প্রথমে সপ্তাহ থেকে ঘাসের সাথে পরিচিত করে তুলতে হবে। সাধারণত শুরুতে মায়ের সাথেই বাচ্চা ঘাস খেতে শিখে। অভ্যস্থ করলে সাধারণত দুই সপ্তাহ থেকেই বাচচা অল্প অল্প ঘাস খায়। এ সময়ে বাচ্চাকে কচি ঘাস যেমন: দুর্বা, স্পেনডিডা, রোজী, পিকাটুলাম, সেন্টোসোমা, এন্ড্রোপোগন প্রভৃতি ঘাস খাওয়ানো যেতে পারে। তাছাড়া, ইপিল ইপিল, কাঁঠাল পাতা, ধইনচা ইত্যাদি পাতা খাওয়ানো যেতে পারে।
ছাগলের ওজন (কেজি)
|
দানাদার খাদ্য দৈনিক সরবরাহ (গ্রাম)
|
ঘাস সরবরাহ/চরানো (কেজি)
|
৪
|
১০০
|
০.৪
|
৬
|
১৫০
|
০.৬
|
৮
|
২০০
|
০.৮
|
১০
|
২৫০
|
১.৫
|
১২
|
৩০০
|
২.০
|
১৪
|
৩৫০
|
২.৫
|
১৬
|
৩৫০
|
৩.০
|
>১৮
|
৩৫০
|
৩.৫
|
গম/ভূট্টা ভাঙ্গা/চাল
|
১২.০০
|
গমের ভূষি/আটা কুড়া
|
৪৭.০০
|
খেসারী/মাসকালাই/অন্য ডালের ভূষি
|
১৬.০০
|
সয়াবিন খৈল
|
২০.০০
|
শুটকি মাছের গুড়া
|
১.৫০
|
ডাই-ক্যালসিয়াম ফসফেট
|
২.০০
|
লবণ
|
১.০০
|
ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স
|
০.৫০
|
মোট
|
১০০.০০
|
- বাচ্চা বয়সে ডায়রিয়া বাচচা মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এজন্য বাচ্চাকে সব সময় পরিচ্ছন্ন জায়গায় এবং পরিমান মত দুধ খাওয়াতে হবে। ফিডার ও অন্যান্য খাদ্য পাত্র সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
- জন্মের পর পর বাচ্চাকে পরিস্কার করে নাভি থেকে ৩-৪ সেঃ মিঃ নিচে কেটে দিতে হবে।
- যে বাচ্চার মায়ের দুধের পরিমাণ কম তাদেরকে বোতলে অন্য ছাগলের দুধ/বিকল্প দুধ (মিল্ক রিপেসার) খাওয়াতে হবে।
- শীতের সময়ে বাচ্চাকে মায়ের সাথে ব্রুডিং পেনে রেখে ২৫-২৮ সেঃ তাপমাত্রায় রাখতে হবে।
- বাচ্চা যেন অতিরিক্ত দুধ না খায় তা লক্ষ্য রাখতে হবে।
- যেসব পাঁঠা বাচ্চা প্রজনন কাজে ব্যবহৃত হবে না তাদেরকে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে খাসি করাতে হবে।