ফ্রিল্যা‌ন্সিং‌য়ে ক্যা‌রিয়ার গড়ুন সহ‌জেই Outsoursing Career in Bangladesh

জনসংখ্যার চা‌পে কর্ম এখন সংকু‌চিত। দে‌শে দে‌শে বেকার‌ত্বের হার অত্য‌ধিক বৃ‌দ্ধি পে‌য়ে‌ছে। ত‌বে আশার আ‌লো হি‌সে‌বে দেখা দি‌য়ে‌ছে মুক্ত‌পেশা বা আউট‌সো‌র্সিং। পৃথিবীজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে কাজের কোনো অভাব নেই। বিভিন্ন দেশে তাই গড়ে উঠেছে ফ্রিল্যান্সার। বাংলাদেশও এর ব্য‌তিক্রম নয়। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় স্থান দখল করে আছে। প্রথম দিকে এ দেশের তরুণরা স্ব-উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং করলেও এখন সরকারের সহায়তা মিলছে। বাংলাদেশে বিদেশি ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিও নিয়োগ করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এখন অপার সম্ভাবনাময় একটি খাত।

অর্থনীতিতে  ফ্রিল্যান্সিংয়ের অবদান
২০১২ সালে ৩৬৫ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছেন বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা। ২০১৫ সালে সর্বমোট ৪৪৩ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের কাজ আউটসোর্স হবে। আমরা যদি এর ১০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিতে পারি তাহলে সেটা প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার এবং ৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিলে সেটা হবে প্রায় ২৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা কিনা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বর্তমানের সবচেয়ে বড় খাতকেও অতিক্রম করবে।

ফ্রিল্যান্সিং কী?
উন্নত বিশ্বের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো যখন ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অন্য একজনকে দিয়ে সম্পন্ন করানো হয়, তাকেই ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং হিসেবে অভিহিত করা হয়। এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট বেশ জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে। এসব ওয়েবসাইটে কয়েক লাখ লোক ফ্রিল্যান্সিং করছে বিভিন্ন কাজের। এই ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ নিয়ে যিনি কাজ করবেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করানোর ভূমিকাটি পালন করে। আর এখন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই মাসিক বেতনভুক্ত কর্মচারী রাখার চেয়ে চুক্তিভিত্তিতে কাজ করাতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। এতে করে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দিষ্ট অংকে, নির্দিষ্ট সময়ে কাঙ্ক্ষিত কাজটি আদায় করতে পারে। অন্যদিকে কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি না করেও অনলাইনের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের দেয়া কাজের ওপর আলোচনা করে ঘরে বসেই কাজটি করে দিতে সক্ষম হয় ফ্রিল্যান্সাররা। বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তাদের অধিকাংশ কাজই ফ্রিল্যান্সিং হিসেবেই করিয়ে নিচ্ছেন। আমেরিকা-ইউরোপের যেসব প্রতিষ্ঠান তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে কাজ করে, তারা তাদের প্রায় সব কাজই অনলাইনের কর্মীদের দিয়ে করিয়ে নিয়ে থাকে।

কি কি কাজ করা যায়?
কম্পিউটারে করা যায় এমন প্রায় সব ধরনের কাজের জন্যই তৈরি হয়েছে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এসব মার্কেটপ্লেসে যেসব কাজ পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, ইন্টারনেট মার্কেটিং, প্রেজেন্টেশন, মাল্টিমিডিয়া, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ইলাস্ট্রেশন, কার্টুন, পেইন্টিং, স্কাল্পটিং, মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন, বিক্রয়, জনসংযোগ, ইঞ্জিনিয়ার, ক্যাড, আর্কিটেকচার, নেটওয়ার্কিং, হার্ডওয়ার ডেভেলপ, লিগ্যাল সার্ভিস, ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং, কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন, প্রোগ্রামিং, ডাটাবেজ, লেখা, সম্পাদনা, অনুবাদ, টেলিমার্কেটিং, স্ট্র্যাটেজি কনসাল্টিং, ভিডিওগ্রাফি, ডকুমেন্টারি, ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং, ব্রডকাস্টিং, ভিডিও এডিটিং, মিউজিক তৈরি ইত্যাদি। এসব পেশাই অনলাইন আউটসোর্সিংয়ে উল্লেখযোগ্য পেশা। এসব পেশার ওপর বহু কাজ পাওয়া যায় অনলাইনে।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য করণীয়
সত্যিকারের ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে আপনার দরকার যে কোনো একটি কাজের দক্ষতা অর্থাৎ কাজটি এমনভাবে শিখতে হবে যাতে করে আপনি সারা বিশ্বের সব ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারেন। আর তা না হলে দু-একটা কাজ পেলেও যে কোনো সময় ছিটকে পড়বেন। ভার্সিটি পরীক্ষায় যেমন যে কোনো বিষয়ের খুঁটিনাটিসহ ভালোভাবে বুঝতে হয় ফ্রিল্যান্সিংটা তাই। কারণ ভার্সিটির মতোই এখানে প্রতিযোগিতা দিয়ে কাজ অর্জন করে নিতে হয়।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ কোথায় পাওয়া যাবে?
ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এসব সাইটকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। প্রথম সা‌রির কিছু আউটসোর্সিংয়ের ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলঃ www.upwork.com, www.freelancer.com, www.99designs.com, www.themeforest.net, www. outsourcexp.com, www. mochimedia.com,www.joomlancers.com ইত্যা‌দি। এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং লিখে সার্চ দিলেও অনেক ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া যাবে।

সত্য মিথ্যা যাচাই ছাড়া ইন্টারনেটে কোনো কিছু শেয়ার বা পোস্ট করবেন না_Stop Fake News

করোনা থেকে রক্ষায় বিজ্ঞানী ড. বিজনের ঘরোয়া চিকিৎসা Dr. Bijon Shill Advice


ড. বিজন কুমার শীল

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে পুরো মানবজাতিই এখন চরম বিপর্যয়ে। বাংলাদেশও এই মহামারির আঘাতে বিপর্যস্ত। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে আতঙ্কিত না হয়ে হাতের নাগালেই পাওয়া যায় এমন কিছু পদ্ধতি ও ওষুধ গ্রহণের উপায় জানিয়েছেন বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল।

তারাবির নামাজের নিয়ম, রাকাত, নিয়ত ও দোয়া

প‌বিত্র মা‌হে রমজান মা‌স বান্দার আত্মশু‌দ্ধি ও মহান আল্লাহর নৈকট্য লা‌ভের পথ সহজীকরণের মাস। অন্যান্য মা‌সের তুলনায় এ মা‌সে ইবাদত ব‌ন্দেগীর অ‌শেষ সওয়াব লাভ করা সম্ভব। ক‌রোনা ভাইরা‌সের কার‌ণে এ বছর অ‌নে‌কে বাসায় থে‌কে নামাজ আদায় কর‌ছেন। এর ম‌ধ্যে অন্যতম হ‌লো তারা‌বির নামাজ। তারাবির নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা। বাংলাদেশে তারাবির নামাজের দুটি পদ্ধতি প্রচলিত। একটি খতম তারাবি আর অন্যটি সূরা তারাবি। খতম তারাবির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কুরআন পাঠ করা হয়। খতম তারাবির জন্য কুরআনের হাফিযগণ ইমামতি করেন। সূরা তারাবির জন্য যেকোন সূরা বা আয়াত পাঠের মাধ্যমে সূরা তারাবি আদায় করা হয়।

করোনাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ৭ সহজ পথ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের নিয়মগুলো আমরা সবাই মোটামুটি জানি। যেমন: বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, ৩ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা, মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি। এই নির্দেশনাগুলো অবশ্যই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে মানুষ এসব নির্দেশনা কতটুকু সঠিকভাবে মানছে বা আদৌ কত দিন মেনে চলতে পারবে, তা বলা মুশকিল।

আসন্ন দিনগুলোয় আমাদের অনেকেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারি। তাই আমাদের এখন ভাবতে হবে, যদি আমরা এ রোগে আক্রান্ত হই, তাহলে আমাদের শরীরকে কীভাবে সেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করব, যেন বিশ্বের অধিকাংশ করোনায় আক্রান্ত মানুষের মতো আমরাও দ্রুত সুস্থ হতে পারি।