বিশাল ক্যামেরা সেন্সরসহ শাওমি ১২ এবং ১২ প্রো

featured-image
ফের চমক নিয়ে এলো শাওমি। সর্বশেষ ফ্ল্যাগশিপ ফোনে আরেকটি বিশাল ক্যামেরা আনছে স্মার্টফোন নির্মাতা চীনা প্রতিষ্ঠানটি। এবার, প্রতিষ্ঠানটি ৫০ মেগাপিক্সেল মূল সেন্সর এবং এফ/১.৯ স্ট্যান্ডার্ড ওয়াইড লেন্স আনছে শাওমি ১২ প্রো ফোনে।

শাওমি ফোনে ব্যবহৃত সবচেয়ে বড় সেন্সর নয় এটি। তবে বড় অ্যাপারচারের সঙ্গে বিশাল ইমেজিং চিপের এমন সমন্ময় আগে কখনো ঘটেনি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।

ফোনটিতে শাওমি ব্যবহার করেছে সনি আইএমএক্স৭০৭ চিপ। এর মাধ্যমে আদতে ডিজিটাল ক্যামেরার বড় সেন্সরই শাওমি নিয়ে এলো মোবাইল ফোনে। গিজমোচায়না বলছে, সনির আগে বাজারে আনা আইএমএক্স৭০০ চিপের খানিকটা উন্নত সংষ্করণ ৭০৭। ফলে, এটি হয়তো একেবারে নতুন সেন্সর বলে মনে হবে না। তবে এর আকার ১/১.২৮ ইঞ্চি, যে আকার অনেক ডিএসএলআর কামেরায় ব্যবহৃত হয়। হিসেব বলছে, সেন্সরের ১.২২ মাইক্রন আকারের বড় পিক্সেল কম আলোয় ছবি তোলার বেলায় ভালো ফল দেবে।

আরও দুটি ৫০ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা সেন্সর রয়েছে ১২ প্রো সেটে। এর মধ্যে একটি আল্ট্রাওয়াইড এবং একটি টেলিফটো। আর শাওমি ১২ মডেলে রয়েছে কিছুটা ছোট ১/১.৫৬ ইঞ্চি পরিবারের সেন্সর, ১৩ মেগাপিক্সেল আল্ট্রাওয়াইড এবং ৫ মেগাপিক্সেল টেলিম্যাক্রো। হার্ডওয়্যার ছাড়াও, ১২ এবং ১২ প্রো ফোনে সফ্টওয়্যার উন্নতিও লক্ষণীয়। এর মধ্যে স্বল্প শাটার ল্যাগ, বার্স্ট শুটিং এবং মানুষ ও প্রাণীর মুখ ট্র্যাকিংয়ের বিষয় রয়েছে।

ক্যামেরা বাদ দিলে, ১২ প্রো এবং এর ‘ছোট সহোদর’ ১২ ফোনে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ চিপসেট এবং ১২০ হার্টজ ওএলইডি প্যানেলসহ একটি আধুনিক ফ্ল্যাগশিপের ফোনের প্রায় সব বৈশিষ্ট্য। শাওমি ১২-তে রয়েছে ৬.২৮ ইঞ্চি পর্দা এবং ৪,৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ১২ প্রো-তে রয়েছে ৬.৭৩ ইঞ্চি পর্দা এবং ১২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংয়ের সঙ্গে ৪,৬০০ এমএএইচ ব্যাটারি।

৩১ ডিসেম্বর চীনে বিক্রয় শুরু হবে ফোন দু’টির। ১২ প্রো ৮ জিবি র‌্যাম এবং ১২৮ জিবি স্টোরেজের দাম পড়বে প্রায় ৭৩৭ ডলার এবং একই স্বক্ষমতার ১২ ফোনের দাম পড়বে প্রায় ৫৮০ ডলার।

২০২১ সালে গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছে যে বিষয়গু‌লি

বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বেড়েছে গুগল সার্চের সংখ্যাও। ২০২১ সালে গুগলে যেসব বিষয় সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছে সেগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতের প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম গেজেটস নাউ। সার্চ তালিকায় থাকা শীর্ষ ৫টি বিষয় হলো:

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা অ্যাপ : Video Editing Software for Android

আপনার পছন্দের ভিডিওটি মোবাইলে এডিট করতে চাই‌লে সহজেই  তা করতে পারবেন এন্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহার করে। কারণ, ভিডিও এডিট করার জন্য এই এডিটিং অ্যাপসগুলি ব্যবহার করা হয়। এই  Mobile Video Editing Apps ব্যবহার করে আপনি প্রফেশনাল ভিডিও এডিট করতে পারবেন-  যা কেবল উচ্চ ক্ষমতার কম্পিউটারের সফটওয়্যার করতে পারে।

য‌দি মোবাইলে ভিডিও তৈরি করতে চান, তাহলে এই ভিডিও এডিট করার জন্য কোনো দামি এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে না। Google Play Store থে‌কে অনেক ভালো ভালো ভিডিও ই‌ডি‌টিং অ্যাপস পেয়ে যাবেন, যার মাধ্য‌মে নিজের ভিডিও মানসম্পন্নভা‌বে বানিয়ে নিতে পারবেন।

১০০ টাকার চাকরি, অত:পর কোটিপতি

মিজানুর রহমান ১৯৪৩ সালের ১২ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের কাঞ্চন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সুফি মুহাম্মদ দায়েম উদ্দিন এবং মাতা রাহাতুন নেসা। স্থানীয় ভারত চন্দ্র বিদ্যালয় থেকে ১৯৬১ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৬৩ সালে সরকারি তোলারাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তোলারাম কলেজ থেকে বিকম ডিগ্রি লাভ করেন। কলেজটি সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিলো। পরে তিনি ব্যাংকিং বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন।

সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান একজন বাংলাদেশি শিল্পপতি এবং সমাজসেবক। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান পিএইচপি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।


ব্যবসায় সাফল্যের পাশাপাশি অনেক পুরস্কার পেয়েছেন সুফি মিজানুর রহমান। ২০২০ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় শিল্পপতি হিসেবে পেয়েছেন একুশে পদক। ৭৮ বছর বয়সেও কঠোর পরিশ্রম করেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ দিনে আট ঘণ্টা পরিশ্রম করে। অসাধারণ হতে হলে ১৬ ঘণ্টা পরিশ্রম করতে হবে। না হলে সাফল্যের দেখা মিলবে না।

পান্তা ভাত খাওয়ার উপকারীতা

পান্তাভাত পুষ্টিমানে অনন্য। এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম বেশি থাকার কারণে এটি রক্তস্বল্পতা, অপুষ্টিতে ভোগা শিশু, নারী, বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য উপযুক্ত খাবার। তবে পান্তা বানাতে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদ।

টানা সাত দিন সকালে পান্তা ভাত খেলে যেসব উপকার হয়ঃ

পান্তাভাত হল ভাত সংরক্ষণের একটি পদ্ধতি, রাতের খাবারের জন্য রান্না করা ভাত বেচে গেলে একরাত জলে ডুবিয়ে রাখলেই তা পান্তাভাতে এ পরিণত হয়। গরমকালে এই পান্তা ভাত খায়না এমন মানুষ বোধহয় পাওয়া কঠিন। কিন্তু কেবল কি সুস্বাদু বলে অধিক জনপ্রিয় নাকি কোনো গুন রয়েছে পান্তাভাতে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।


১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে একশো গ্রাম পান্তাভাতের 73.91 মিলিগ্রাম আয়রন থাকে যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে আয়রনের পরিমাণ মাত্র 3.4 মিলিগ্রাম। শুধু এইটুকুই নয় প্রয়োজনীয় সমস্ত উপাদান যেমন পটাশিয়াম ক্যালসিয়ামের পরিমান বেড়ে যায় পান্তাভাবে। 100 গ্রাম পান্তাভাতে 839 মিলিগ্রাম আর ক্যালসিয়াম এর পরিমান বেড়ে হয় 850 মিলিগ্রাম।   

এছাড়াও পান্তাভাত থেকে ভিটামিন সি ভিটামিন বি 12 পাওয়া যায়। শর্করা সমৃদ্ধ খাবার গরমের দিনে যেমন শরীর ঠান্ডা রাখে তেমন সতেজ করে তোলে। শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে, তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে। 

 সাধারন ভাতের তুলনায় পান্তাভাতের গুনাগুন অনেক বেশি। এটি যেমন সহজে হজম হয়ে যায় তেমনি ভাতের থেকে সোডিয়াম কম থাকায় রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।

এটি যেহেতু ফারমেন্টেড খাবার তাই এই খাবার খেলে শরীর হালকা থাকে আর যেকোনো কাজে এনার্জি পাওয়া যায়। মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় বহু ব্যাকটেরিয়া পান্তাভাতের মধ্যেই বেড়ে ওঠে। এছাড়াও পেটের সমস্যা দূর করা কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করার শরীর সজীব রাখা অনেক উপকারে লাগে পান্তা ভাত।

দ্রুত শক্তি দেয় পান্তা

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, যেকোনো বয়সের মানুষই নিয়মিত পান্তাভাত খেতে পারে। কারণ, পান্তায় প্রচুর শর্করা আছে, যা দ্রুত শক্তি জোগায়। পান্তার সঙ্গে আলুভর্তা শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। তাই কায়িক পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

গরম আবহাওয়ায় পান্তাভাত খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে। উচ্চমাত্রায় পুষ্টির জন্য পান্তাভাত খাওয়ার পরমুহূর্তেই শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি আসবে। খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। নিয়মিত পান্তা খেলে শরীরে কোনো ক্ষতি নেই।

People also search for_ পান্তা ভাত খাওয়ার নিয়ম | গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খাওয়া যাবে কি | সকালে ভাত খাওয়ার উপকারিতা |  | প্রতিদিন পান্তা ভাত খেলে কি হয় | পান্তার উপকারিতা | সকালে পান্তা ভাত খেলে কি মোটা হয় || পান্তা ভাতের জল কে কি বলে | পান্তা ভাতের উপকারিতা প্রথম আলো || পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক || পান্তাভাতের অপকারিতা | পান্তা ভাত english meaning

করোনা প্রতিরোধক খাবার তা‌লিকা


বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, দ্বিতীয় ঢেউ গত বছরের চেয়ে শক্তিশালী। প্রতিদিন কয়েক হাজার করে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। হাসপাতালগুলোর বেড উপচে পরেছে কোভিড-১৯ এর রোগীতে। ফলে ডাক্তারদেরও সমস্যা হচ্ছে চিকিৎসা সেবা দিতে। ফলে আমাদের নিজেদের সচেতন হওয়া ছাড়া অন্য উপায় আপাতত নেই।

লকডাউনে বাড়িতে থেকেও আমরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়িয়ে নিতে পারি খানিকটা যাতে আক্রান্ত না হই।


করোনাভাইরাস প্রতিরোধের প্রথম ধাপ হলো ব্যক্তিগত সচেতনতা গড়ে তোলা এবং প্রত্যেকের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ ইমিউন সিস্টেম বাড়িয়ে তোলা। এর ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের যে মারাত্মক লক্ষ্মণ অর্থাৎ শ্বাসযন্ত্র এবং পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ, সেগুলো সহজে প্রতিরোধ করা সম্ভব। সহজভাবে বললে, যেকোনো ভাইরাস হলো প্রোটিন যুক্ত অণুজীব, যার কারণে মানুষ জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট এমনকি মারাত্মক নিউমোনিয়ায় (নতুনভাবে) আক্রান্ত হতে পারে। তা ছাড়া এই ভাইরাস ভয়ংকর প্রাণঘাতী রোগ তৈরি করতে পারে খুব সহজে। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেশি পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে প্রতিদিন।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হলো কিছু ভিটামিন, মিনারেল ও এনজাইম, যা শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিক্যালের (দেহের কোষ, প্রোটিন ও DNA ক্ষতি করে এমন কিছু) বিরুদ্ধে লড়াই করে, শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে শরীরে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। প্রধান অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলো হলো বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, ই, লাইকোপেন, লুটেইন সেলেনিয়াম ইত্যাদি।


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ যে খাবারগুলো বেশি করে খেতে হবে:

বিটা ক্যারোটিন: উজ্জ্বল রঙের ফল, সবজি। যেমন গাজর, পালংশাক, আম, ডাল ইত্যাদি।

ভিটামিন এ: গাজর, পালংশাক, মিষ্টি আলু, মিষ্টিকুমড়া, জাম্বুরা, ডিম, কলিজা, দুধজাতীয় খাবার।

ভিটামিন ই: কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, পেস্তাবাদাম, বাদাম তেল, বিচিজাতীয় ও ভেজিটেবল অয়েল, জলপাইয়ের আচার, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি।

ভিটামিন সি: আমলকী, লেবু, কমলা, সবুজ মরিচ, করলা ইত্যাদি।

এ ছাড়া যে খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, সেগুলোর একটি তালিকা দেওয়া হলো। এ খাবারগুলো আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে তো বাড়িয়ে তুলবেই, সেই সঙ্গে আরও বিভিন্নভাবে আপনার শরীরকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে।

সামগ্রিকভাবে উদ্ভিজ্জ খাবারই হলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সবচেয়ে ভালো উৎস, বিশেষ করে বেগুনি, নীল, কমলা ও হলুদ রঙের শাকসবজি ও ফল।


প্রয়োজনীয় খাবারের তালিকা:

এ সময় যে ফলগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো খেতে হবে যেমন আনারস।
এ সময় যে ফলগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো খেতে হবে যেমন আনারস।
ছবি: আলাইজি মার্চাঁদ, পেকজেলস ডট কম
  • সবজি: করলা (বিটা ক্যারোটিনসমৃদ্ধ), পারপেল/লাল পাতা কপি, বিট, ব্রোকলি, গাজর, টমেটো, মিষ্টি আলু, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি।

  • শাক: যেকোনো ধরনের ও রঙের শাক।

  • ফল: কমলালেবু, মালটা, পেঁপে, আঙুর, আম, কিউই, আনার, তরমুজ, বেরি, জলপাই, আনারস ইত্যাদি।

  • মসলা: আদা, রসুন, হলুদ, দারুচিনি, গোলমরিচ।

  • অন্যান্য: শিম বিচি, মটরশুঁটি, বিচিজাতীয় খাবার, বার্লি, ওটস, লাল চাল ও আটা, বাদাম।

  • টক দই: এটি প্রোবায়োটিকস, যা শ্বাসযন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্র সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে। অন্যদিকে শাকসবজি, ফল, বাদামজাতীয় খাবার শরীরে নিউটোভ্যাক্স ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডি প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, যা স্টেপটোকোক্কাস নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।

  • চা: গ্রিন টি, লাল চায়ে এল-থেনিন এবং ইজিসিজি নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা আমাদের শরীরে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনেক যৌগ তৈরি করে শরীরে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।

  • এ ছাড়া ভিটামিন বি-৬, জিংক-জাতীয় খাবার (বিচিজাতীয়, বাদাম, সামুদ্রিক খাবার, দুধ ইত্যাদি) শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির কোষ বৃদ্ধি করে। তাই এ ধরনের খাবার বেশি খেতে হবে।

  • উচ্চ মানের আমিষজাতীয় খাবার (ডিম, মুরগির মাংস ইত্যাদি) বেশি করে খেতে হবে।

  • অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের খুব ভালো কাজ পেতে হলে খাবার রান্নার সময় অতিরিক্ত তাপে বা দীর্ঘ সময় রান্না না করে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে।

ওপরের খাবারগুলো ছাড়াও নিউমোনিয়া প্রতিরোধে উচ্চ আমিষযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কোষ ও টিস্যু দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে এবং পাশাপাশি নতুন টিস্যু তৈরি হবে। এর সঙ্গে দরকার পর্যাপ্ত ঘুম। অপর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম শরীরে কর্টিসল হরমোনের চাপ বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, তাই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।


যে খাবার বাদ দিতে হবে

সব ধরনের কার্বনেটেড ড্রিংকস, বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, তামাক, সাদাপাতা, খয়ের ইত্যাদি। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বাধা দিয়ে ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়, ঠান্ডা খাবার, আইসক্রিম, চিনি ও চিনির তৈরি খাবার (যা ভাইরাসের সংক্রমণে সহায়তা করে)।

এ লেখার উদ্দেশ্য সঠিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে প্রত্যেকের শরীরে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা উন্নত করতে সহায়তা করা, যাতে শুধু করোনাভাইরাস নয়, সব ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় আপনি শারীরিকভাবে সক্ষম থাকতে পারেন।


শামসুন্নাহার নাহিদ,

 প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান, পুষ্টি বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।

করোনার টিকা পেতে নিবন্ধন করার নিয়ম Corona App Registration in Bangladesh

‘সুরক্ষা’ ওয়েব পোর্টালে প্রকাশিত সহায়িকা বলছে, করোনার টিকা ও সনদ পেতে পেরোতে হবে ছয়টি ধাপ।

দেশের মানুষকে অ্যাপের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। আজ সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে করোনার টিকাদান কর্মোদ্যোগের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো হয়। সেখানে অনলাইন নিবন্ধন করার জন্য তৈরি করা অ্যাপ কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, তা দেখানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস), তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআই কর্মসূচি যৌথভাবে এই অ্যাপ তৈরি করেছে। তবে এখনই এই অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, ২৭ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর নিবন্ধনের জন্য অ্যাপ উন্মুক্ত করা হতে পারে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর অবশ্যই দরকার হবে। যাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তিনি নিবন্ধন করতে পারবেন না, আপাতত করোনার টিকাও পাবেন না। অ্যাপ ব্যবহার করে নিবন্ধন শেষ হলে একটি কার্ড ইস্যু হবে নিবন্ধনকারীর নামে। এই কার্ড সুবিধামতো জায়গা থেকে নিবন্ধনকারী প্রিন্ট করতে পারবেন। টিকা গ্রহণের দিন ওই কার্ড কেন্দ্রে আনতে হবে। আর কোন দিন টিকা নিতে হবে, তা মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

তবে অনলাইনে নিবন্ধনের বিকল্প হিসেবে অগ্রাধিকার পাওয়া মানুষের তালিকা তৈরি করতে উপজেলা, জেলা ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

টিকা নিবন্ধনের নিয়ম
করোনার টিকা নিতে আগ্রহীদের নিবন্ধন করতে হবে ‘সুরক্ষা’ নামক ওয়েব পোর্টালে (www.surokkha.gov.bd)। অ্যান্ড্রয়েড বা অ্যাপল প্লে স্টোর থেকেও সুরক্ষা মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করেও করা যাবে নিবন্ধন।

সেখানে গিয়ে ‘নিবন্ধন’ বাটনে ক্লিক করে প্রথমে ধরন নির্বাচন করতে হবে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, জন্মতারিখ (এনআইডি অনুযায়ী) দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে নিবন্ধন করা যাবে না। ১৮ বছরের কম বয়সীরাও নিবন্ধন করতে পারবে না।

তথ্যগুলো ঠিকমতো দিলে বাংলায় ও ইংরেজিতে নাম দেখাবে। এরপর মোবাইল নম্বর দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি রোগ বা কো-মরবিডিটি থাকলে সেটা বলতে হবে। টিকা গ্রহণকারীর পেশা এবং কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট কোনো কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত কি না, সেটি বলতে হবে।

সবশেষে টিকা গ্রহণকারীর বর্তমান ঠিকানা ও কোন কেন্দ্রে টিকা নিতে ইচ্ছুক, সেটি দিলে নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।

টিকাকেন্দ্রে টিকা নেওয়া
প্রথমে টিকা কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। সুরক্ষা ওয়েব পোর্টাল বা অ্যাপের ‘টিকা কার্ড সংগ্রহ’ বাটনে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্মতারিখ দিয়ে ‘যাচাই করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর নিবন্ধনের সময় দেওয়া মুঠোফোনের নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ওটিপি (ওভার দ্য ফোন) কোড দিয়ে ‘ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড’ বাটনে ক্লিক করলে টিকা কার্ড ডাউনলোড হবে।

এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া টিকা গ্রহণের তারিখে নির্দিষ্ট টিকাকেন্দ্রে সশরীরে উপস্থিত হয়ে টিকা নেওয়া যাবে। এ সময় টিকা কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। কোভিড-১৯ টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পর সুরক্ষা ওয়েব পোর্টাল থেকে টিকা সনদ সংগ্রহ করা যাবে।

সরকারের পরিকল্পনা
আগামী ছয় মাসে তিন কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। প্রতি মাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। জনপ্রতি দুটি করে মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকার প্রয়োজন হবে।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এরই মধ্যে দেশে এসেছে। ২১ জানুয়ারি ভারত ২০ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে। আর ২৫ জানুয়ারি সোমবার, ভারত থেকে কেনা ৫০ লাখ ডোজ দেশে এসেছে।

২৭ জানুয়ারি থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে। ওই দিন বেলা সাড়ে তিনটায় টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভা শেষে প্রথম আলোকে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, প্রথম দিন মোট ২০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে অনুষ্ঠানটি বিটিভি সরাসরি প্রচার করবে।



#surokkhaapp, surokkha app registration, corona tika nibondhon, corona vaccine app registration bd

সৌদি-কাতারে চলতি বছরই বিলুপ্ত হচ্ছে ‘কফিল’ পদ্ধতি

২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসের মধ্যেইসৌদি আরবেও বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে কফিল বা কাফালা পদ্ধতি। এই ব্যবস্থা বাতিলের পর কোনো ব্যক্তি নয়, প্রবাসীদের স্পন্সর হবে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রামরুর এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার মধ্যেপ্রাচ্যের অন্যতম শ্রমবান্ধব দেশ সৌদি আরব ও কাতারে জনশক্তি প্রেরণের সাথে সম্পৃত্ত গ্রিনল্যান্ড ওভারসিসের স্বত্বাধিকারী ও বায়রার সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল হাই নয়া দিগন্তকে এ প্রসঙ্গে বলছেন, ‘কাতার এবং সৌদি আরবে কফিল বা কাফালা পদ্ধতি বাতিল করার বিষয়টি নিয়ে তাদের দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা আগে থেকেই শুরু হয়েছে। তবে এখনো এটি বাতিল করা হয়নি। যদি বাতিল করা হয় তাহলে খুবই ভালো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা হলে আমাদের কর্মীদের স্পন্সর নিয়ে আর কোনো ঝামেলাই হবে না। যার কাজ সে করবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কাফালা’ কার্যকরভাবে বাতিল করেছে কাতার। এই পদ্ধতি বাতিল হলে প্রবাসী কর্মীদের প্রয়োজনে কফিল পরিবর্তন সম্ভব হবে। চুক্তিতে নির্ধারিত শর্তানুযায়ী প্রবাসী শ্রমিকরা চলাচলের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন। এ ছাড়া ন্যূনতম মজুরি বিধির ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাদের শ্রমিকদের আবাসন ও খাবারের দায়িত্ব নিতে হবে। দেশটিতে শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি এক হাজার কাতারি রিয়াল (২৭৫ মার্কিন ডলার) নির্ধারণের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে। তবে নিয়োগকর্তারা চাইলে ‘পলাতক’ কর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। কাফালা বাতিলের সিদ্ধান্তটি সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। আইনটি কার্যকর হতে আরো অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে।
শুধু কাতার নয়, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যেই সৌদি আরবেও কফিল বা কাফালা প্রথাটি বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের আগেপরে সৌদি আরবে জনশক্তি প্রেরণ করা হয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৫১ হাজার ৭৮৬ জন কর্মী গেলেও সেটি কমে ডিসেম্বর মাসে ২৩ হাজার ৩৬২ জনে নেমে আসে।

অপর দিকে কাতারে কর্মী গেছে তিন হাজার ৬০৮ জন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ এক হাজার ৩১৯ কর্মী গেলেও করনো-পরবর্তী সময়ের পর ডিসেম্বর মাসে যেতে পারে মাত্র ৯২ জন

সকল বিশ্ব‌বিদ্যালয় ভ‌র্তি ২০২১ : University Addmission 2021

কথা ছিল গত ডিসেম্বরের মধ্যে জেএসসি, এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। কিন্তু আইনি জটিলতায় সেটি পিছিয়ে গেছে। অধ্যাদেশ জারির পর ফল ঘোষণা হবে, পরীক্ষা ছাড়া পাস করবে ১৩ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। কিন্তু উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ভর্তি কীভাবে হবে? ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কী ভাবছে? নানা জায়গার নানা খবরে শিক্ষার্থীরা যেন বিভ্রান্তিতে না পড়ে, তাই এখন পর্যন্ত পাওয়া সব হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেছেন মোশতাক আহমেদ

একসঙ্গে ভর্তির সব হালনাগাদ তথ্য

চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

পরীক্ষা পদ্ধতি

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ২০০ নম্বরের পরিবর্তে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে। এই ১০০ নম্বরের মধ্যে লিখিত ও বহুনির্বাচনী পরীক্ষার মোট নম্বর থাকবে ৮০। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ এবং বহুনির্বাচনী অংশের নম্বর থাকবে ৪০। আর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল থেকে ২০ নম্বর নেওয়া হবে। করোনার কারণে এবার সব বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার কেন্দ্র থাকবে।

  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের মতো করে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে।

  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুনির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) ভর্তি পরীক্ষা হবে। কেবল ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (এখনো ফল প্রকাশিত হয়নি) শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, নেত্রকোনার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

পরীক্ষা পদ্ধতি

বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা—তিন বিভাগের জন্য মোট তিনটি ভর্তি পরীক্ষা হবে। বিভাগ পরিবর্তনেরও সুযোগ থাকবে। একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজ নিজ বিভাগে ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্নে পরীক্ষা দেবেন। উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী প্রশ্ন করা হবে।

পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের একটি স্কোর দেওয়া হবে। এরপর গুচ্ছের মধ্যে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ শর্ত ও চাহিদা উল্লেখ করে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করবে। তারপর পরীক্ষায় পাওয়া স্কোর অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। পরে আর কোনো পরীক্ষা হবে না।

২০১৯ ও ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস শিক্ষার্থীরা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি নেবে, সেটি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করবে।

মানবিক বিভাগের পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৬ থাকতে হবে। বাণিজ্য বিভাগের জন্য মোট জিপিএ-৬ দশমিক ৫ এবং বিজ্ঞানে মোট জিপিএ-৭ থাকতে হবে। কিন্তু এসএসসি ও এইচএসসি—কোনো পরীক্ষায় জিপিএ-৩-এর নিচে থাকলে আবেদন করা যাবে না।

মেডিকেল কলেজ

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ মার্চ এবং ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা ২ এপ্রিল হওয়ার কথা থাকলেও এইচএসসির ফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় তা পিছিয়ে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষার সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (শিক্ষা) এ কে এম আহসান হাবীব বলেন, এখন ২ এপ্রিল এমবিবিএসের পরীক্ষা এবং ৩০ এপ্রিল ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তবে এখনো এটি চূড়ান্ত হয়নি। পর্যালোচনা সভা করে সিদ্ধান্ত হবে।

সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

  • গত বছরের মতো এবারও কৃষি ও কৃষির প্রাধান্য থাকা সাতটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত বা গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

  • বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লুৎফুল হাসান জানান, এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে এই সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে।

চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)

ভর্তি প্রক্রিয়া

এই চার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নীতিগতভাবে একমত থাকলেও এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে বুয়েটের শিক্ষা পরিষদ (একাডেমিক কাউন্সিল) একটি প্রস্তাব দিলেও তা নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতক (পাস) কোর্সে প্রথম বর্ষে মোট আসন আছে সাড়ে আট লাখের বেশি। এর মধ্যে সম্মান প্রথম বর্ষে আসন আছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৫টি এবং পাস কোর্সে আসন আছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯টি। স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয়, এমন কলেজ আছে ৮৬৭টি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মো. মশিউর রহমান জানান, তাঁদের মধ্যে একটি আলোচনা হয়েছে—১৩টি শতবর্ষী কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। কিন্তু এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যদি এটি না হয়, তাহলে সব কলেজে গত কয়েক বছরের মতোই এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এইচএসসির মূল্যায়নের ফল ঘোষণার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভর্তির কাজটি অনলাইনে করা হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

দেশের ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বর্তমানে ৯৭টির শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটি অভিন্ন আইনের অধীনে চললেও তারা পৃথক ব্যবস্থায় ভর্তিসহ শিক্ষা কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করে। এখন পর্যন্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। অর্থাৎ আগের মতোই শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত আছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তাদের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তির বিষয়টিও সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতির আওতায় আনার সুপারিশ করেছে।