বাংলাদেশিরা এখন থেকে ভিসা ছাড়া ৪১ টি দেশে যেতে পারবেন।
২০১৮ সালের বৈশ্বিক পাসপোর্ট র্যা ঙ্কিংয়ে তিন ধাপ পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশিরা এখন আগের চেয়ে বেশি দেশে ভিসা ছাড়াই যেতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স বিশ্বের ২০০টি দেশের ওপর গবেষণা জরিপ চালিয়ে একটি মূল্যায়ন সূচক তৈরি করেছে। যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ১০০–তে। ২০১৭ সালের প্রতিবেদন যা ছিল ৯৭তম। অর্থাৎ র্যাং কিং হিসাবে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশি পাসপোর্টের মূল্যায়ন ওজন কমেছে। ভিসা ছাড়া শুধু পাসপোর্ট দিয়ে বিদেশ গমনের ওপর জরিপের ভিত্তিতে এ র্যাংরকিং করা হয়েছে। সংস্থাটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই বিশ্বের ৪১টি দেশে ভ্রমণ সুবিধা পান। গত বছর যা ছিল ৩৮টি দেশে। সে হিসেবে ভিসা ছাড়া সুবিধা পাওয়া দেশের সংখ্যা ৩টি বেড়েছে।
কোনো দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী, তা নির্ভর করে ওই পাসপোর্ট দিয়ে কতটি দেশে ভিসা ছাড়াই যাওয়া যায় তার ওপর। ভিসা ছাড়া যাওয়া বলতে বোঝায় ‘অন এরাইভাল ভিসা’। অর্থাৎ, অগ্রিম ভিসা না করে শুধু টিকিট কেটে অন্য দেশে চলে যাওয়া যায়। সেই দেশে ভিসার যাবতীয় কাজ সারা হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে একই সূচকে আছে লেবানন, লিবিয়া ও দক্ষিণ সুদান।
র্যাংকিংয়ে শীর্ষে আছে জাপান। জাপানের পাসপোর্ট দিয়ে ১৯০টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যায়। দ্বিতীয় স্থানে আছে সিঙ্গাপুর। ভিসা ছাড়াই ১৮৯টি দেশে ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টে।
বাংলাদেশিরা যেসব দেশে ভিসামুক্ত সুবিধা পান:
এশিয়ার মধ্যে রয়েছে ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও পূর্ব তিমুর।
আফ্রিকার মধ্যে রয়েছে- কেপ ভার্দ, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গাম্বিয়া, গিনি বিসাউ, কেনিয়া, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মরিশিয়া, মোজাম্বিক, সিসিলি, সেন্ট হেলেনা, টোগো, উগান্ডা, বেনিন ও রুয়ান্ডা।
ক্যারিবীয় অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে- বাহামা, বার্বাডোজ, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, হাইতি, জামাইকা, মন্টসিরাত সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট, ত্রিনিদাদ ও ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ড।
আমেরিকার মধ্যে রয়েছে- বলিভিয়া।
এছাড়া ওশেনিয়া অঞ্চলের মধ্যে কুক আইল্যান্ডস, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিউই, সামাউ ও ভানুয়াতু।
No comments:
Post a Comment