অধ্যাপক কর্নেল (অব:) ডা: জেহাদ খান: বিভিন্ন দেশের সরকার কর্তৃক করোনাভাইরাসে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য এ চেষ্টা, আর্থিক প্রণোদনা, অন্য দিকে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নানা রকম প্রচারণা। এই ভাইরাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক চীনকে দোষারোপ, আবার চীন ও রাশিয়া কর্তৃক চলছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে দোষারোপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটাকে মহামারী ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় ২২ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করেছে। ভবিষ্যতের অজানা আশঙ্কায় মানুষ খাদ্যদ্রব্য মজুদ করা শুরু করেছে এবং জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডাক্তার ও নার্সরাও আতঙ্কের শিকার হচ্ছেন। ঢাকা মেডিক্যালের ডাক্তার ও চিকিৎসা সহকারী একজন বিদেশফেরত রোগীকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেছেন এবং পরে সে রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। এক রোগী আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতাল থেকে নাকি পালিয়েছেন।
হজরত ওমর রা:-এর শাসনামলে সিরিয়ায় মুসলিম সেনাবাহিনী প্রধান হজরত আবু উবায়দা বিন জাররাসহ প্রায় ২০ হাজার সৈনিক প্লেগ রোগে মৃত্যুবরণ করেন। চতুর্দশ শতাব্দীতে (১৩৪৭-৫২) প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ একই রোগে মৃত্যুবরণ করেন। তখন এই রোগ ছড়িয়েছিল প্রধানত জাহাজ চলাচলের মাধ্যমে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রায় দুই কোটি লোক নিহত হয় আর যুদ্ধ পরবর্তী স্পেনিশ ফ্লুতে মারা যায় প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ। এই রোগ তখন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে ট্রেন ও জাহাজে ভ্রমণের মাধ্যমে।
এইচআইভি বা এইডস ১৯৮০ সালের দিকে শনাক্ত হয় এবং এর মহামারীতে ১৯১৬ সালে মারা যায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ যার বেশির ভাগ আফ্রিকায়। স্পেনিশ ফ্লুর পর গত ১০০ বছরে পৃথিবীব্যাপী আর কোনো রোগ এত আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারেনি। বর্তমানে মহামারী ছড়াচ্ছে মূলত প্লেন ভ্রমণের মাধ্যমে । ফলে কয়েক মাসের মধ্যে করোনাভাইরাস পৃথিবীর প্রায় ১৭৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে মানুষ অনেক কিছু না জেনেও আতঙ্কগ্রস্ত হচ্ছে। একজন ঐতিহাসিক লিখেছেন- "Fear & suspicion multiply more rapidly than any virus"
এমন পরিস্থিতিতে আমরা যদি মহামারীসংক্রান্ত হাদিসগুলো পর্যালোচনা করি, তা হলে সঠিক দিকনির্দেশনা পাবো এবং আতঙ্ক থেকেও নিষ্কৃতি পেতে পারি।
হজরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত। তিনি প্লেগ সম্পর্কে রাসূল সা:-কে জিজ্ঞেস করেন। নবী সা: তাকে জানান, এর সূচনা হয়েছিল আজাবরূপে। আল্লাহ যাদের ওপর চান তা পাঠান। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা একে ঈমানদারদের জন্য রহমতস্বরূপ বানিয়ে রেখেছেন। কোথাও যদি প্লেগ মহামারী ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানকার কোনো বান্দা এ কথা জেনে বুঝেই ধৈর্যসহকারে সে শহরে অবস্থান করে যে, আল্লাহ তার ভাগ্যে যা লিখে দিয়েছেন সেই বিপদ ছাড়া আর কিছুই তার ওপর আসবে না, তবে সে শহীদের অনুরূপ সওয়াব পাবে। (সহিহ বুখারি, কিতাবুত তিব্ব, হাদিস-৫৩১৪)
খলিফা ওমর রা: সিরিয়ায় প্লেগের খবর পাওয়ার পর আবু উবায়দা রা:-কে ওখান থেকে আসার জন্য একটি চিঠি দেন। জবাবে তিনি লিখেছিলেন- ‘...আমার সাথে কিছু মুসলিম বাহিনী আছে। আমার ও তাদের ব্যাপারে আল্লাহ যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁর নিয়তি কার্যকর করেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে ছেড়ে শুধু নিজেকে বাঁচাতে চাই না। মাফ করবেন, আসতে পারছি না বলে। আমিরুল মুমিনিন, আমাকে বাহিনীর সাথে থাকতে দিন।’ উল্লিখিত হাদিসটি এই মহান সাহাবি জীবন দিয়ে বাস্তবায়ন করেছিলেন। পরবর্তী সেনাপ্রধান হজরত আমর বিন আস রা: ওমর রা:-এর নির্দেশে মুসলিম সেনাবাহিনীকে উঁচু ভূমিতে স্থানান্তর করেন এবং সবাই মহামারী থেকে মুক্তি পেলেন। রাসূল সা: বলেন, প্লেগ রোগ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য শাহাদৎ। (বুখারি, কিতাবুত তিব্ব, নম্বর-৫৩১২)
রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন- ‘যখন তোমরা শোন যে, কোনো জায়গায় মহামারীর প্রাদুর্ভাব হয়েছে, তোমরা সেখানে যেও না। আর কোনো জায়গায় কোনো প্রাদুর্ভাব ঘটলে এবং তোমরা সেখানে থাকলে সেখান থেকে পালিয়ে যেও না।’ (বুখারি কিতাবুত তিব্ব, হাদিস নম্বর-৫৩১০)
ওমর রা: সিরিয়া যাত্রা করলেন। ‘সারগ’ নামক স্থানে পৌঁছে তিনি খবর পেলেন, সিরিয়ায় মহামারী দেখা দিয়েছে। তিনি বড় বড় সাহাবিদের পরামর্শে এবং এই হাদিস শুনে মদিনায় ফিরে গেলেন। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে যে কোয়ারেন্টিন চলছে, তা এই হাদিসেরই অনুরূপ। মধ্য চীনের উহান শহরে এক কোটি ১০ লাখ লোক বাস করে। গত ডিসেম্বরে এই শহরে করোনাভাইরাসের আক্রমণের সূচনা। ২৩ জানুয়ারি এই শহরের সাথে বাইরের সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এত বড় শহর বিচ্ছিন্ন করাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে অন্যথায় এই মহামারী আরো বেশি দ্রুত মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ত। চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইতালি। সেখানে আমাদের বাংলাদেশী ভাইবোনেরা আছেন। এই হাদিসটি তারা পালন করলে এ সময়ে তারা দেশে আসতেন না (অবশ্য তাদেরকে বাধ্য করা হলে অন্য কথা)। দুঃখজনক যে, এ রোগে প্রথম বাংলাদেশে মৃত্যুবরণকারী ৭০ বছর বয়সী ভদ্রলোক তার ইতালিফেরত মেয়ের মাধ্যমেই আক্রান্ত হয়েছিলেন, যদিও ওই মহিলা সুস্থ অবস্থায় ইতালি ফিরে গেছেন। বর্তমানে আমাদের আশপাশের সব দেশেই এই রোগে মানুষ কম-বেশি আক্রান্ত। কাজেই এ সময়ে বেড়ানোর জন্য দেশে আসা বা বাইরে যাওয়া সমীচীন নয়।
রাসূল সা: বলেছেন, ছোঁয়াচে বা সংক্রামক ব্যাধি বলতে কিছু নেই, অশুভ লক্ষণ বা অমঙ্গলের চিহ্ন বলতে কিছু নেই, পেঁচা সম্পর্কে অশুভ ধারণার কোনো বাস্তবতা নেই এবং সফর মাসকে অশুভ মনে করারও কোনো ভিত্তি নেই। তবে কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে সরে যাও যেরূপ বাঘ থেকে দূরে ভেগে থাকো। (বুখারি, কিতাবুত তিব্ব, ১৯ অনুচ্ছেদ)
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসরা বলেন- হাদিসের প্রথম ও শেষ বক্তব্যটি পরস্পরবিরোধী মনে হলেও আসলে তা নয়। জাহেলি যুগে মনে করা হতো ছোঁয়াচে রোগীর সংস্পর্শে গেলেই রোগ হয়। এখানে যে আল্লাহ তায়লার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে ক্রিয়াশীল, তারা এটা বিশ্বাস করত না। ইসলামের দৃষ্টিতে রোগব্যাধি আল্লাহর সৃষ্টি, তিনি যাকে ইচ্ছা দেন এবং যাকে ইচ্ছা হেফাজত করেন। করোনাভাইরাস প্রায় ৬০ বছর আগে আবিষ্কার করা হয়েছে। এত দিন কেন এই ভাইরাস নিষ্ক্রিয় ছিল বা প্রতি বছর কেন এই ছোঁয়াচে রোগ দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে না, এর জবাব বিজ্ঞানের কাছে নেই।
ইসলামে এই বিশ্বাসের একটি মানবিক দিকও রয়েছে। রাসূল সা: এক দিকে কুষ্ঠ, প্লেগ প্রভৃতি সংক্রামক রোগ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন, অন্য দিকে মানবতার হক, দায়িত্ব ও প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে সব কুসংস্কার উপেক্ষা করে আল্লাহর ওপর ভরসা করে দায়িত্ব পালনে তৎপর হতে নির্দেশ দেন।
হাদিস রয়েছে- আমর ইবনে শরিদ থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাকিফ গোত্রের প্রতিনিধি দলের সাথে একজন কুষ্ঠরোগী ছিল। নবী সা: তাকে বলে পাঠান, ‘আমরা তোমার আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেছি। অতএব, তুমি চলে যাও।’
জাবির রা: থেকে বর্ণিত অপর এক হাদিস থেকে জানা যায়, রাসূল সা: কুষ্ঠ রোগীর সাথে একত্রে বসে খেয়েছেন। তিনি আল্লাহ তায়ালার ওপর নির্ভর করেই কুষ্ঠরোগীর সাথে একত্রে বসে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। আবার যেকোনো রোগের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য তিনি লোকদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপদেশ দিয়েছেন। সাথে সাথে তিনি লোকদের এ কথাও মনে রাখতে বলেছেন, আল্লাহ তায়ালাই মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষাকারী। কারো মনে এরূপ ধারণা বদ্ধমূল হওয়া উচিত নয় যে, রোগীর সাথে মেলামেশা করলেই সে রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়বে। এরূপ ধারণা বদ্ধমূল হলে রুগ্ণ ব্যক্তির পরিচর্যা করার কেউ থাকবে না।
এই হাদিসগুলো আলোচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে ডাক্তার ও তাদের সহযোগীদের ছোঁয়াচে রোগীর চিকিৎসার ব্যাপারে উৎসাহিত করা। আর্তমানবতার সেবায় ডাক্তার ও তার সহযোগীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা পালিয়ে গিয়ে কোথাও নিরাপদ থাকতে পারব না। নিজের স্ত্রী-সন্তান, বুয়া, ড্রাইভার, প্রতিবেশী, নিকটাত্মীয়ও এ রোগের কারণ হতে পারে। কাজেই হাসপাতালে অবস্থান করে প্রতিরোধ ব্যবস্থা অবলম্বন এবং আল্লাহর ওপর ভরসা করে রোগীকে যথাসাধ্য সেবা দিতে হবে। কেউ কেউ PPE (Personal Protection Equipment) থাকা জরুরি মনে করেছেন। এটি সবার জন্য জরুরি নয়।
করোনাভাইরাসের ওপর বাংলাদেশের জাতীয় গাইডলাইন অনুযায়ী যেসব ডাক্তার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে কাজ করবেন তাদের জন্য এটা জরুরি। যেসব ডাক্তার আউটডোর, ইমার্জেন্সি বিভাগ, ওয়ার্ডে, চেম্বারে রোগী দেখবেন তাদের জন্য ঘ৯৫ মাস্ক, গ্লাভস, ক্যাপ, অ্যাপ্রোন প্রভৃতি যথেষ্ট। যে দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, নিউক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশন, সাবমেরিন, ভূ-উপগ্রহ থাকতে পারে সেখানে ডাক্তারদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস প্রভৃতি সরবরাহ করা কঠিন হতে পারে না। আর যদি পর্যাপ্ত সরবরাহ না করা হয়, তা হবে জাতির জন্য লজ্জার বিষয়। চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কারণে করোনাভাইরাস প্রায় নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। উন্নত দেশগুলো যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে কিছু দিনের মধ্যেই তা নিয়ন্ত্রণ করার আশা করছে। তাদের অর্থনীতি এত মজবুত যে, ছয় মাস সব কিছু বন্ধ থাকলেও বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা নেই। আমাদের দেশে বিপুলসংখ্যক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী রয়েছে। তাদের দীর্ঘ দিন ঘরে রাখা বা লকডাউন করে রাখা সম্ভব নয়। তাই এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিনের যুদ্ধ আমাদের জন্য বড় ধরনের আর্থিক ও সামাজিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
'Timely political decision is like Tuberculosis, early diagonosis is difficult but easy to treat, late diagonosis is easy but difficult to treat' অর্থাৎ সময়মতো রাজনৈতিক (যেকোনো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে) সিদ্ধান্ত যক্ষ্মা রোগের মতো শুরুতে এর রোগ নির্ণয় কঠিন, কিন্তু চিকিৎসা করা সহজ, আর দেরিতে এ রোগ নির্ণয় সহজ কিন্তু চিকিৎসা করা কঠিন।
এখনই আমাদের সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে হবে। বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী যেকোনো জাতীয় দুর্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এখনই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমানে স্লোগান হচ্ছে- Test, Test, Test, আর ইউরোপের ডাক্তারদের স্লোগান হচ্ছে- 'We stay for you in hospital, you stay for us at home.'
এই দুই স্লোগানকে আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে সশস্ত্রবাহিনীর মাধ্যমে যত দ্রুত কার্যকর করতে পারব, তত মঙ্গল।
২০০০ সালে সারা পৃথিবীতে HIV/AIDS রোগী ছিল চার লাখ। তার মধ্যে এক লাখ ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। যথাযথ চিকিৎসা ও প্রতিরোধের মাধ্যমে তারা এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ২০১৬ সালে এ রোগীর সংখ্যা সেখানে ০.৩ শতাংশ। অথচ আফ্রিকার অনেক দেশে এ রোগ ২১-২৭ শতাংশের। দক্ষিণ আফ্রিকায় ৭২ লাখ, নাইজেরিয়ায় ৩২ লাখ এবং ভারতে ২১ লাখ রোগী এইচআইভি বা এইডসে আক্রান্ত। এ রোগ আফ্রিকার অনেক দেশের আর্থসামাজিক অবকাঠামোর ওপর বিরাট বোঝা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
এইচআইভি বা এইডসের মতো করোনাভাইরাসের ওষুধও শিগগিরই আবিষ্কৃত হতে যাচ্ছে। ম্যালেরিয়ার একটি ওষুধ Hydroxychloroquin চীনে প্রয়োগ করে ডাক্তাররা বেশ সফলতা পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য উন্নত দেশেও এই ওষুধের পরীক্ষা চলছে। এ রোগের Vaccine বানাতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগতে পারে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো অনেক সংক্রামক ব্যাধি যেমন- টাইফয়েড, কলেরা, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ভাইরাল হেপাটাইটিস, এইচআইভি বা এইডস প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। কয়েক মাসের মধ্যেই করোনাভাইরাসকেও নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা যদি সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে দেরি করি, তা হলে আফ্রিকার অনেক দেশের এইচআইভি বা এইডসের মহামারীর মতো করোনাভাইরাসও আমাদের দেশে মহামারী আকার ধারণ করে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বিরাট বোঝা হয়ে দেখা দিতে পারে।
দৈনিক নয়া দিগন্ত অবলম্বনে
No comments:
Post a Comment