প্রতিমুহূর্তে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস, ভাইরাস আমাদের দেহ আক্রমণের চেষ্টা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এই সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হওয়া দরকারি।
বারবার ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আক্রমণের শিকার হলে এবং সুস্থ হতে বেশি সময় লাগলে বুঝতে হবে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব রয়েছে। তখন এটি বাড়ানো প্রয়োজন। কিছু পদক্ষেপ নিলে কয়েক দিনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বোল্ডস্কাই জানিয়েছে সাত দিনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু উপায়।
গ্রিন ও ব্ল্যাক টি
গ্রিন ও ব্ল্যাক টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোয় খুব কার্যকর। তবে বেশি খাবেন না। দিনে এক থেকে দুই কাপ খান। শরীর ভালো রাখতে ক্যাফেইন (চা, কফি) জাতীয় খাবারের পরিবর্তে গ্রিন টি খান।
কাঁচা রসুন
রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে এলিসিন, জিংক, সালফার, সেলিনিয়াম, ভিটামিন-এ এবং ই। এ ছাড়া রয়েছে অ্যান্টিফাংগাল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এসব বিষয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর। সাত দিনের প্রথম দিন কাঁচা রসুন খান।
দই
দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান। এটি হজমের জন্যও ভালো। তাই দই খান। তবে খালি পেটে খাবেন না।
ওটস
এতে রয়েছে আঁশ এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। প্রতিদিন খেলে রোগকে সহজে মোকাবিলা করায় সহায়তা পাবেন।
ভিটামিন-ডি
ভিটামিন-ডি হাড়ের জন্য ভালো। এটি হাড় মজবুত রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমরা জানি, ভিটামিন-ডি-এর ভালো উৎস হলো সূর্যের আলো। তবে খুব কড়া আলো ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। সকালের হালকা আলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
লেবুর শরবত
ভিটামিন-সি রোগবালাইের আক্রমণ থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। এটি দেহকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফ্রি রেডিক্যালসের হাত থেকে প্রতিরোধ করে। লেবুতে রয়েছে এই ভিটামিন-সি। তাই এই সাত দিন অবশ্যই লেবুর শরবত খান। এ ছাড়া ভিটামিন-সি পেতে কমলার রসও খেতে পারেন।
জিংক
শরীরে এনজাইমের কার্যক্রম ঠিকমতো চলার জন্য জিংক প্রয়োজন। জিংকের চাহিদা পূরণে সবুজ শাকসবজি এবং গমের আটার রুটি, শিম ইত্যাদি খেতে পারেন। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জিংক সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment