ভোলার মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনারচর গ্রামের প্রতিমা রানী দাস। স্বামীর অকাল মৃত্যুতে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। উপজেলা বি আর ডিবি অফিসের কর্মকর্তাদের পরামর্শ কাজে লাগিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে নিজেই নিজের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন।
প্রথমে বাজার থেকে ১৫০/২০০ টাকার কাটা কাপড় এনে সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন। এরপর ২০১৩ সালে দরিদ্র মহিলাদের জন্য সম্মিলিত পল্লী সহায়তা প্রকল্প (ইরোসপো) থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ঘরে বসে কাটা কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন।
গোপালগঞ্জ টুঙ্গীপাড়ার বঙ্গবন্ধু প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বার্পাড) ১ মাসের সেলাই মেশিনের কাজের উপর প্রশিক্ষণ প্রকল্প থেকে বিনামূল্যে ১টি সেলাই মেশিন পান তিনি। কাটা কাপড়ের কাজ শিখে বাড়িতে বসে পুরোদমে ব্যবসা শুরু করেন। এর পর প্রথম কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দ্বিতীয় কিস্তিতে আবারও ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন।
ব্যবসা করে ছেলে-মেয়েদের ভালোভাবে পড়ালেখা করিয়ে যাচ্ছেন। এবছর ছেলে লিমন এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে এবং মেয়ে লিমা ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। আজ সে স্বাবলম্বী।
প্রতিমা রানী দাস বলেন, প্রতিমাসে ৫০/৬০ হাজার টাকার বেচাকেনা হয়। মাসে ১৫/১৮ হাজার টাকা লাভ হয়। এখন আমার ২ লক্ষ টাকার কাটা কাপড়, শাড়ি, লুঙ্গি এবং থ্রিপিস আছে। ঈদের সময় দোকানে আমি কারিগর দিয়ে কাজ করাই। এখন আমি খুব ভালো আছি।
মনপুরা বিআরডিবি অফিসার মো. মাহতাবউদ্দিন অপু ভুঁইয়া বলেন, গ্রামের অসহায় দরিদ্র পরিবারের পুরুষ ও মহিলারা বিআরডিবি থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। দরিদ্র ও অসহায় মহিলাদের দারিদ্র্য হ্রাস এবং তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
গ্রামীণ দরিদ্র ও অসহায় মহিলাদের নিয়ে গঠিত প্রাথমিক সমিতির মাধ্যমে কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণোত্তর সহায়তা তহবিল ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয়।
^
^
কাটা কাপড়ের ব্যবসা, কাটা কাপড়, ব্যবসা
No comments:
Post a Comment