পেয়ারার পু‌ষ্টিগুণ

পেয়ারা একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। বাংলা‌দে‌শে এই ফ‌লের চা‌হিদাও ব্যাপক। পেয়ারা কাঁচা ও পাকা যে কোন অবস্থা‌তেই খাওয়া যায়। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েডস, ফোলেট, পটাশিয়াম, আঁশ এবং ক্যালসিয়াম। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় কমলার চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধক। পেয়ারা পাতার রস ক্যান্সার প্রতিরোধী এবং সংক্রমণ, প্রদাহ, ব্যথা জ্বর, বহুমূত্র, আমাশয় প্রভৃতি রোগে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

পেয়ারার পু‌ষ্টিগুন বা উপকারিতাঃ
পেয়ারাতে আছে অতিমাত্রায় ভিটামিন সি এবং আয়রণ। এই ভিটামিন সি এবং আয়রন শরীরে ঠাণ্ডা জমতে দেয় না। তাই পেয়ারা খেলে খুব সহজেই ঠাণ্ডা কাশির হাত

ফেসবুক ব্যবহারের প্র‌য়োজনীয় টিপস

১. নিউজ ফিড থেকে সেভ করে রাখুন
আপনার নিউজ ফিডে এমন কোনো বিষয় এসেছে, যা বিস্তারিত দেখা খুবই দরকার। কিন্তু সময়ের অভাবে আপনি সেটার পেছনে সময় দিতে পারছেন না? তাহলে আপনি পরবর্তীতে দেখার জন্য এটি সেভ করে রাখতে পারেন। এজন্য পোস্টের ডান পাশে যে ছোট তীর চিহ্নটি রয়েছে সেখানে যান। এরপর সেভ লিংক সিলেক্ট করুন।

২. অ্যানিমেটেড প্রোফাইল ছবি
আপনার প্রোফাইলের ছবি অ্যানিমেটেড করা

মাথাব্যথার সমাধান নি‌য়ে নিন এখনই

মাথাব্যথা বা মাই‌গ্রেন প্রায় সবারই হয়। জীবনের কখনো না কখনো মাথা ব্যথায় ভোগেন না এমন লোক পাওয়া মুশকিল। মাথা ব্যথার জন্য ওষুধ পথ্য কত কি যে খেতে হয়! অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে তো ওষুধ খেতেই হবে। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে মাথাব্যথা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুটা সমাধান পাওয়া যায়।

১. চোখ বন্ধ করুন ও গভীরভাবে দম নিনঃ
একটু নিরিবিলি ঘরে যান। ঘরকে যতটা সম্ভব অন্ধকার করুন। শান্ত হোন এবং গভীর নিশ্বাস নিন। এটি মাথাব্যথা কমাতে কাজে দেবে। সাধারণত মাইগ্রেনের কারণে মাথাব্যথা কমাতে এই

কোয়েল-টার্কি পাল‌ন ক‌রে লিটন স্বাবলম্বী

কোয়েল পাখি আর টার্কি মোরগির খামার করে সফলতা পেয়েছেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার খামারি মো. দেলোয়ার হোসেন লিটন। উপজেলার রামদি ইউনিয়নের বাজরা-মাছিমপুরের নিজ গ্রামে এ খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। শুরুতে মাত্র ৬০০ কোয়েল পাখি আর সাতটি টার্কির বাচ্চা দিয়ে খামার শুরু করলেও বর্তমানে তাঁর খামারে ১০ হাজারেরও বেশি কোয়েল পাখি আছে। প্রতিদিন ডিম উৎপাদিত হচ্ছে পাঁচ হাজার। শুধু ডিম থেকে তাঁর আয় হচ্ছে প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। অপরদিকে খামারে নিজস্ব ইনকিউবেটরের মাধ্যমে মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার বাচ্চা ফুটিয়ে বিক্রি করছেন তিনি।

এ সফলতায় বদলে গেছে লিটনের জীবনের চাকা। সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। তিনি এখন ওই অঞ্চলের সফলতার রোলমডেল। তাঁকে দেখে উৎসাহিত হয়ে প্রতিদিন

ভালোবাসার নামে যেসব কাজ কখনই করবেন না

বলা হয়ে থাকে, ভা‌লোবাসা প‌বিত্র! আবার ভালোবাসা নাকি অন্ধও। মানুষ ভালোবাসার নামে অনেক ধরনের পাগলামি করে। প্রেমকে অতি গুরুত্ব দিয়ে অনেকেই এমন সব কাজ করে বসেন যে পরে অনুতপ্ত হতে হয়। এই অনুতাপ করার আগে কিছু বিষয় না করলে আপনার জীবন আর গ্লানিময় হবে না।
জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই এমন কিছু বিষয়ের কথা জানিয়েছে, যা ভালোবাসার জন্য কখনোই করা উচিত নয়। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কী সেগুলো।

বন্ধুত্ব নষ্ট করাঃ
বন্ধুত্ব সারা জীবনের জন্য। শুধু ভালোবাসার দোহাই দিয়ে বন্ধুত্ব নষ্ট করা নেহাত ভুল সিদ্ধান্ত; বরং বিয়ের পর বন্ধুদের

জীবন বৃত্তান্ত : ‌যে বিষয়গুলো অপ্র‌য়োজনীয়

একজন নিয়োগকর্তা সাধারণত অল্প কয়েক সেকেন্ড ব্যয় করেন কারো জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি দেখতে। যদিও চাকরির জন্য জীবন বৃত্তান্ত তৈরি করতে গিয়ে অনেকেই যেন ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ গাওয়া শুরু করেন। আর এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কথার বদলে বহু অপ্রয়োজনীয় কথা চলে আসে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো এমন কিছু বিষয়, যা জীবন বৃত্তান্তে রাখার প্রয়োজন নেই। 

১. অবজেকটিভ
অনেকেই সিভিতে অবজেক্টিভ (objective) নামে একটি অংশ রাখেন। এটি রাখার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। আপনি কী চাইছেন এ বিষয়গুলো মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয় নিয়োগকর্তার কাছে। তার বদলে তারা চাইবে যেন নির্দিষ্ট পদে আপনি কাজগুলো করতে পারছেন, এ নিশ্চয়তা।

২. অন্য ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা
অপ্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা আপনার কোনো চাকরিক্ষেত্রে সুবিধা

‌জি‌পি‌তে ৫০০ এমবি ইন্টার‌নেট মাত্র ৫ টাকায়

গ্রামীন‌ফোনে এখন ৫০০ এমবি ইন্টার‌নেট মাত্র ৫ টাকাতেই পাওয়া যা‌চ্ছে!

জি‌পি ইন্টার‌নেট অফা‌রের বিস্তা‌রিত:
* গ্রামীন‌ফো‌নের সকল প্রিপেইড ও পোস্টপেইড গ্রাহকের জন্য প্রযোজ্য।
*৫ Tk ৫০০ MB ইন্টার‌নেট অফারটি চালু করতে ডায়াল করুন *5000*150#
* ৫ টাকায় (ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও সারচার্জ অন্তর্ভুক্ত) 500 MB ইন্টারনেট এর মেয়াদ ৭ দিন।
* জি‌পির যে সকল গ্রাহক ২০ জুলাই, ২০১৬ থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন‌নি; শুধুমাত্র সেসব গ্রহকদের জন্যই অফার‌টি প্রযোজ্য।
* গ্রাহকগণ ৫৳ ৫০০ MB অফারটি সর্বোচ্চ ৫ বার নিতে পারবেন (সর্বোচ্চ অপ্ট-ইন: ৫)
* পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত অফারটি চলবে।
* ইন্টারনেট ভলিউম শেষ হয়ে গেলে অতিরিক্ত ব্যবহারে .০১টাকা/10KB রেট প্রযোজ্য হবে (মেয়াদ থাকাকালীন সময়ে, সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত)
* মেয়াদ শে‌ষে অফা‌রের অব্যবহৃত ইন্টারনেট পরবর্তীতে ব্যবহার করা যাবে না।
* ইন্টারনেট ব্যালেন্স জানতে ডায়াল করুন *121*1*4#

#grameenphone   #internet   #offer   #gp-free-internet-offer   @*5000*150#   #gp-500mb-5taka #গ্রামীন‌ফোন #জি‌পি #অফার #ইন্টার‌নেট

বাড়ির ভেতর কোন গাছ লাগাবেন?

বাড়ির ভেতরটি স্বাস্থ্যকর করে তোলার জন্য গাছ লাগানো যেতে পারে। তবে কিছু পাতাবাহার গাছের বিপদের কথা আমরা অনেকেই জানি। এক্ষেত্রে কোন গাছটি বাড়ির ভেতর লাগাবেন এবং কোনটি লাগাবেন না, এ বিষয়ে কয়েকটি তথ্য থাকছে এ লেখায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

লেডি পাম
সবুজ এ গাছটি পাম গাছেরই একটি প্রজাতি। এটি আকারে ছোট এবং ঘরের ভেতর বড় করার উপযোগী।

রাবার গাছ
এ গাছটি অল্প আলোতেও ভালো বাঁচতে পারে। এ কারণে বাড়ির ভেতরে বেশ ভালোভাবেই বেঁচে থাকে এটি। বাংলাদেশের আর্দ্র আবহাওয়ায় কোনো অসুবিধা হয় না এর।

গোল্ডেন পথোস
এ গাছটি অনেকটা লতা ধরনের। এটি ঘরের ভেতর সুন্দর মানিয়ে যায়।

পিস লিলি
ঘরের ভেতর লাগানোর জন্য দারুণ গাছ এটি। যে কোনো বাড়িকে উজ্জল করে তুলতে পারে এর দারুণ ফুল।

স্নেক প্ল্যান্ট
নামে স্নেক বা সাপ থাকলেও গাছটি বিপজ্জনক নয়। এ গাছের বৈশিষ্ট্য হলো এটি অল্প আলোতেই বড় হতে পারে। আর বাড়ির ভেতরে বড় হতে কোনো অসুবিধা হয় না।

পাতাবাহারের বিপদ থেকে সাবধান
নিচের ছবির এ পাতাবাহার গাছটার নাম হলো ডিয়েফেনব্যাশিয়া (Dieffenbachia) এবং অফিস আদালতে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বারান্দা বা করিডোরে, এমনকি ফ্ল্যাটের বারান্দাতেও একে দেখা যায়। সুন্দর এই গাছটি যে আমাদের কতটা ক্ষতি করতে পারে তা আমরা কেউই জানি না। এই গাছটির একটি পাতা আপনাকে অসুস্থ করে দিতে পারে। এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে। শিশুদের বেলায় তো এটি ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে অবশ্যই সাবধান হওয়া প্রয়োজন। কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে, এই গাছের পাতায় থাকে ক্যালসিয়াম অক্সালেট নামের এক উপাদান, যা মানুষের কিংবা পোষা প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।

কা‌লেরকন্ঠ প্রদত্ত মূল প্র‌তি‌বেদন‌টি পড়ুন

চাক‌রি পে‌তে কভার লেটারের ভূ‌মিকা

অনেক চাকরিতেই বায়োডাটা বা জীবন বৃত্তান্তের সঙ্গে একটি কভার লেটার লেখার প্র‌য়োজন হয়।অধিকাংশ উচ্চ বা মধ্যপর্যায়ের চাকরির ক্ষেত্রে এ কভার লেটার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ দূর্বল কভার লেটারের কারণেও হারাতে হয় চাকরি।

চাকরিক্ষেত্রে অনেকেই কভার লেটারের গুরুত্ব সেভাবে বোঝেন না। আর এ কারণে দুর্বলভাবে কভার লেটার লিখতে বা একেবারে গুরুত্বহীনভাবে লিখতে দেখা যায়। যদিও এ বিষয়টি চাকরিক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিয়োগকারীরা সিভি বা জীবন বৃ্ত্তান্তের ওপর একেবারেই সময় দিতে পারেন না। মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়ে তারা চাকরিপ্রার্থীর সিভি দেখেন। কিন্তু কভার লেটারের ক্ষেত্রে বিষয়টি তেমন নয়।

আপনি যদি আপনার চাকরির আবেদনকে আকর্ষণীয় করতে চান কিংবা অন্যদের থেকে কিছুটা পৃথক থাকতে চান তাহলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে কভার লেটারের ক্ষেত্রে। এতে আপনি আপনার বক্তব্য পেশ করতে পারবেন, যা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মনোযোগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ড. ডানকান কোয়েরবার বলেন, বাজেভাবে লেখা কভার লেটার ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীর ভাবমূর্তি নষ্ট করে। আর এটি আপনার স্বপ্নের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে।
এক্ষেত্রে আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে কভার লেটার লেখেন তাহলে তা চাকরির সম্ভাবনা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এজন্য কভার লেটারে কোন কোন বিষয় উল্লেখ করা উচিত? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্দিষ্ট কোনো বিষয় ঠিক করে দেওয়ার উপায় নেই। কিন্তু আপনি যে কারণে প্রতিষ্ঠানটির এ পদের বিষয়ে দক্ষ তা উল্লেখ করতে পারেন। এছাড়া আপনার বাড়তি কোনো যোগ্যতা, যা সিভিতে সেভাবে উল্লেখ করার উপায় নেই, সেগুলোও এখানে বর্ণনা করতে পারেন।

নাগ‌রিক সেবায় ন্যাশনাল হেল্প‌ডেস্ক চালু

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সহায়তা দিতে জাতীয় ন্যাশনাল হেল্পডেস্ক (৯৯৯) সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে বাংলা‌দেশ সরকার।

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ পরিচালিত একটি পাইলট কর্মসূচির আওতায় এই সেবাটি পরীক্ষামূলক কাঠামোর মাধ্যমে নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে পুলিশ, ফায়ার সার্র্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদান করার জন্য চালু হয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকায় বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে ১৯-২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে উন্মোচন করা হয় ন্যাশনাল হেল্পডেস্ক এর অ্যাপ ও ওয়েবসাইট।

এই মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ৯৯৯ জরুরি সেবার কলসেন্টারে সরাসরি ফোন, লাইভ চ্যাট, বিভিন্ন তথ্য খোঁজার জন্য সার্চ অপশন ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া এই অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন তথ্য লোকেশনসহ জানা যাবে।

৯৯৯ হেল্পডেস্ক মোবাইল অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করে গ্রাহক নিজের এবং নিকটবর্তী মানুষের জরুরি প্রয়োজনে কল সেন্টারে সরাসরি কথা বলতে পারবেন। কল সেন্টারের প্রশিক্ষিত এজেন্ট সেবা গ্রহীতার চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস বিভাগের সাথে সংযোগ ঘটিয়ে দিবে এবং প্রয়োজনীয় মুহূর্তে নাগরিকদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করবে।

বর্তমানে সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালু রয়েছে যা আগামী সপ্তাহ থেকে ২৪ ঘণ্টায় চালু থাকবে।

৯৯৯ ন্যাশনাল হেল্পডেস্ক মোবাইল অ্যাপলিকেশন ডাউনলোড লিঙ্ক: http://bit.ly/2fqnhey

মুক্তিযোদ্ধা'র সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ

‘মুক্তিযোদ্ধা’ সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যেসব ব্যক্তি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তারাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার বয়স ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চে ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন ট্রেনিং/প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নাম দিয়েছিলেন; যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং যেসব বাংলাদেশি বিশিষ্ট নাগরিক বিশ্বে জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন তারা মুক্তিযোদ্ধা বলে গণ্য হবেন।

এছাড়াও যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীনে কর্মকর্তা/কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন; সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, ইপিআর, আনসার বাহিনীর সদস্য যারা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগহণ করেছেন; মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সঙ্গে সম্পৃক্ত এমএনএগণ ও এমপিএগণ (গণপরিষদ সদস্য) এই আওতায় পড়বেন।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী কর্তৃক নির্যাতিত নারী (বীরাঙ্গনা) মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে পড়বেন।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশি সাংবাদিক; স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়; মুক্তিযুদ্ধকালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী মেডিকেল টিমের ডাক্তার, নার্স ও সহকারীরা মুক্তিযোদ্ধার আওতায় থাকবেন।

নতুন সূচিতে আজ শুরু বিপিএল

কথা ছিল ৪ নভেম্বর মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে দেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় আসরটির প্রথম দুদিন কোনো বলই মাঠে গড়ায়নি। তাই বাধ্য হয়েই বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আসরটি পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই নতুন সূচিতে ৮ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বিপিএল।

বিপিএলের নতুন সূচিঃ

ঢাকা পর্ব-১
৮ নভেম্বর- চিটাগং ভাইকিংস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস
ঢাকা ডাইনামাইটস ও বরিশাল বুলস
৯ নভেম্বর-খুলনা টাইটানস ও রাজশাহী কিংস
রংপুর রাইডার্স ও চিটাগং ভাইকিংস
১০ নভেম্বর-রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইটানস
১১ নভেম্বর-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও বরিশাল বুলস
ঢাকা ডাইনামাইটস ও রাজশাহী কিংস
১২ নভেম্বর-খুলনা টাইটানস ও চিটাগং ভাইকিংস
রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ডাইনামাইটস
১৩ নভেম্বর-বরিশাল বুলস ও রাজশাহী কিংস
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও খুলনা টাইটানস
১৪ নভেম্বর- বরিশাল বুলস ও চিটাগং ভাইকিংস
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও ঢাকা ডায়নামাইটস

চট্টগ্রাম পর্ব-
১৭ নভেম্বর-চিটাগং ভাইকিংস ও ঢাকা ডাইনামাইটস
বরিশাল বুলস ও রংপুর রাইডার্স
১৮ নভেম্বর-চিটাগং ভাইকিংস ও রাজশাহী কিংস
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও রংপুর রাইডার্স
১৯ নভেম্বর-ঢাকা ডাইনামাইটস ও খুলনা টাইটানস
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও রাজশাহী কিংস
২০ নভেম্বর-বরিশাল বুলস ও খুলনা টাইটানস
২১ নভেম্বর-ঢাকা ডাইনামাইটস ও রাজশাহী কিংস
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও চিটাগং ভাইকিংস
২২ নভেম্বর-খুলনা টাইটানস ও রংপুর রাইডার্স
বরিশাল বুলস ও চিটাগং ভাইকিংস

ঢাকা পর্ব-২
২৫ নভেম্বর-রংপুর রাইডার্স ও রাজশাহী কিংস
বরিশাল বুলস ও খুলনা টাইটানস
২৬ নভেম্বর- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও ঢাকা ডাইনামাইটস
খুলনা টাইটানস ও রাজশাহী কিংস
২৭ নভেম্বর-বরিশাল বুলস ও ঢাকা ডাইনামাইটস
রংপুর রাইডার্স ও চিটাগং ভাইকিংস
২৮ নভেম্বর-রংপুর রাইডার্স ও রাজশাহী কিংস
২৯ নভেম্বর-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও বরিশাল বুলস
খুলনা টাইটানস ও চিটাগং ভাইকিংস
৩০ নভেম্বর-রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ডাইনামাইটস
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও রাজশাহী কিংস
১ ডিসেম্বর- বরিশাল বুলস ও রাজশাহী কিংস
২ ডিসেম্বর-খুলনা টাইটানস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস
ঢাকা ডাইনামাইটস ও চিটাগং ভাইকিংস
৩ ডিসেম্বর-রংপুর রাইডার্স ও বরিশাল বুলস
রাজশাহী কিংস ও চিটাগং ভাইকিংস
৪ ডিসেম্বর-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও রংপুর রাইডার্স
ঢাকা ডাইনামাইটস ও খুলনা টাইটানস

৬ ডিসেম্বর-এলিমিনেটর (তৃতীয় ও চতুর্থ দল)
প্রথম কোয়ালিফায়ার (প্রথম ও দ্বিতীয় দল)
৭ ডিসেম্বর-দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার (এলিমিনেটর জয়ী এবং প্রথম কোয়ালিফায়ার পরাজিত দল)

৯ ডিসেম্বর- ফাইনাল

*প্রথম ম্যাচটি বেলা ২টায় এবং দ্বিতীয় ম্যাচটি সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে। শুক্রবারের প্রথম ম্যাচ বেলা আড়াইটায় এবং দ্বিতীয় ম্যাচ সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় শুরু হবে। আর একটি মাত্র ম্যাচ যেদিন থাকবে সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে।

অলিভ ওয়েলের ১৫ ব্যবহার জে‌নে রাখুন

গোটা বিশ্বে যত রকম ভোজ্য তেল ব্যবহৃত হয়, তার মধ্যে স্বাস্থ্যকর তালিকার শীর্ষস্থানীয়গুলোর একটি অলিভ ওয়েল। সুস্থ ও ফিট দেহের জন্য এই তেলের চাহিদা ব্যাপক। অনেক দেশে কেবল সালাদের তেল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আবার অনেক দেশের রান্নার জরুরি উপকরণ। তবে কেবল রান্নাই নয়, বিশেষজ্ঞরা এখানে জানাচ্ছেন অলিভ ওয়েলের কিছু অনন্য ব্যবহারের কথা।

১. বাড়ির কোন দরজা খুলতে বা বন্ধ করতে গেলে ক্যাঁচ ক্যাঁচ আওয়ার করে? সে ক্ষেত্রে সংযোগ কব্জাগুলোতে কিছু অলিভ ওয়েল দিয়ে দিন। আর শব্দ করবে না।
২. ওটমিল, সামান্য ক্রিমের সঙ্গে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে তা মুখ পরিষ্কারের স্কার্ব হিসাবে ব্যবহার করুন।
৩. লোহার যন্ত্রপাতি বা গ্রিলের মরিচা প্রতিরোধে তাতে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।
৪. বাচ্চাদের ম্যাসাজের জন্য অলিভ ওয়েলকে সেরা বলে ধরা যায়।
৫. বাড়িতে শেভিং ক্রিম না থাকলে মসৃণ শেভের জন্য অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
৬. এক কাপ অলিভ ওয়েলের সঙ্গে এক কাপ ভিনেগার মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে নিন। আসবাবপত্র পরিষ্কারের কাজে একে ব্যবহার করুন।
৭. হাতের কালশিটে দূর করতে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।
৮. ওয়াক্সিংয়ের পর হাত ও পায়ের চিটচিটে ভাব দূর করতে অলিভ ওয়েল মাখুন।
৯. চুলকে স্থির করে রাখতে চাইলে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন চুলে। মনে হবে যেন জেল দিয়েছেন।
১০. মোচাক থেকে প্রাপ্ত মোমের সঙ্গে সামান্য অলিভ ওয়েল মিশিয়ে একটি কৌটায় রেখে দিন। এটি লিপজেলের কাজ করবে।
১১. চুলের কন্ডিশনার হিসাবে অলিভ ওয়েল দারুণ। চুলে মেখে একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখুন।
১২. ব্রাশগুলোকে চকচকে রাখতে এগুলো ধুয়ে অলিভ ওয়েলে পলিশ করুন।
১৩. মেকআপ মুছতে রিমোভার হিসাবে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
১৪. দাঁতের যত্নেও দারুণ উপাদান অলিভ ওয়েল।
১৫. শিশুদের নিতম্ব থেকে র্যাশ দূর করতে সামান্য অলিভ ওয়েল মাখিয়ে দিন।

ভাইভা বো‌র্ডে যে ৫ প্রশ্ন ভুলেও করবেন না

আপ‌নি যোগ্যতাব‌লে হয়‌তো নি‌শ্চিত যে চাক‌রি না হ‌য়ে যাবে কোথায়! কিন্তু আপনার অনেক যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কিছু উদ্ভট প্রশ্নের কারণে চাকরিটা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। তবে সেই প্রশ্নগুলো অফিস কর্তৃপক্ষের না, আপনার। এটা ঠিক যে কিছু বিষয় শুরুতেই পরিষ্কার করে বলে নেওয়া উচিত। তবে কিছু প্রশ্ন কর্তৃপক্ষকে না করাই ভালো। জানতে চান সেই প্রশ্নগুলো কী? তাহলে রিডার্স ডাইজেস্টের এই তালিকাটি একবার দেখে নিতে পারেন।

১. আমাকে কত টাকা বেতন দেওয়া হবে? বেতন ছাড়া আর কী কী সুবিধা পাব? আমি বছরে কয়দিন ছুটি পাব?
যতক্ষণ পর্যন্ত ইন্টারভিউ বোর্ডের লোকজন আপনার বেতনের কথা না বলবে ততক্ষণ পর্যন্ত বেতন নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবেন না। আর চাকরি হওয়ার আগেই ছুটির কথা জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ বিরক্ত হতে পারে। আর বাড়তি সুবিধার কথা শুরুতেই না ভাবলেও চলবে। এই ধরনের প্রশ্নের কারণে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আপনি চাকরিটি হারাতে পারেন।

২. আমি কখন অফিসে আসব কিংবা কখন চলে যাব- এটা কি ঠিক করে নিতে পারি?
এই প্রশ্ন কখনোই ইন্টারভিউ বোর্ডে করবেন না। অফিসই ঠিক করে দেবে আপনি কখন আসবেন আর কখন যাবেন। সময় নিয়ে খুব বেশি অসুবিধা থাকলে চাকরি করার কিছুদিন পর কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করতে পারেন। আপনার অসুবিধার কথা জানতে পেরে অফিস কর্তৃপক্ষ আপনাকে এই বিষয়ে সাহায্য করতে পারে।

৩. আপনারা কি আমার ব্যাকগ্রাউন্ডের খোঁজখবর দেবেন?
এমন প্রশ্ন কখনো ইন্টারভিউ বোর্ডে করা উচিত নয়। কারণ আপনি যখন এই প্রশ্ন করবেন, কর্তৃপক্ষ তখন ভাববে আপনি হয়তো কিছু লুকাচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সন্দেহ নিয়ে আপনাকে হ্যাঁ বলবে না।

৪. আপনাদের অফিসে সচরাচর পদন্নোতি কীভাবে পাওয়া যায়?
এই প্রশ্নটিও করা ঠিক নয়। কারণ আপনার কাজের মান ভালো হলে অফিসই আপনার পদোন্নতির কথা ভাববে। কাজ করার আগেই পদোন্নতির কথা বললে আপনাকে চাকরিটি দেওয়া ঠিক হবে কি না তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ দ্বিধায় ভুগবে।

৫. আপনাদের কোম্পানিটা কত বড়? আপনাদের প্রতিযোগিতা কার কার সঙ্গে?
এমন প্রশ্নও করবেন না। এ ধরনের প্রশ্ন না করে নিজেই অফিসটি সম্বন্ধে কিছুটা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন, যাতে এই ধরনের প্রশ্ন আপনাকে না করতে হয়। আর এই প্রশ্নগুলো কর্তৃপক্ষের জন্যও বিব্রতকর।

‌বি‌পিএল'২০১৬-এর টাইম টে‌বিল

‌বাংলা‌দেশ প্রি‌মিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০১৬" এর সময়সূ‌চিঃ



#BPL #bpl-sedule . #bpl-2016

ক্যাপ‌সিকাম বা মি‌ষ্টি ম‌রিচ চাষ পদ্ধতি

ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ (Capsicum) বেগুন পরিবারের ফসল। বাংলাদেশে এর ব্যবহার কম হলেও এ‌টি একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি। এর উৎপত্তিস্থল হলো দক্ষিণ আমেরিকার নিরক্ষীয় অঞ্চল। ধারণা করা হয়ে থাকে যে, ব্রাজিল মিষ্টি মরিচের উৎপত্তিস্থান।
বিশ্বে আবাদকৃত সব মরিচই একই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। ম‌রি‌চের ১১টি গ্রুপ রয়েছে এই ১১টি গ্রুপ‌কে ঝালবিহীন ও ঝাল মরিচ হিসেবে বিভক্ত করা হয়েছে। মিষ্টি মরিচের ফলের আকার ও আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে, তবে সাধারণত ফল গোলাকার ও ত্বক পুরু হয়। মিষ্টি মরিচ আমাদের দেশীয় প্রচলিত সবজি না হলেও অতি সম্প্রতি এর চাষ এ দেশে প্রসারিত হচ্ছে বিশেষ করে বড় বড় শহরের আশপাশে সীমিত পরিসরে কৃষকরা এর চাষ করে থাকে, যা অভিজাত হোটেল ও বিভিন্ন সুপার মার্কেটে বিক্রি হয়ে থাকে। মিষ্টি মরিচের রপ্তানি সম্ভাবনাও প্রচুর। বিশ্বে অনেক দেশেই মিষ্টি মরিচ একটি জনপ্রিয় সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশ্বে টমেটোর পরে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সবজি হচ্ছে মিষ্টি মরিচ। এর বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে; যেমন- পাতা সালাদ অথবা স্যুপ তৈরিতে ব্যবহার হয়, কাঁচা ফল সালাদ এবং রান্না করে সবজি হিসেবে অতি সুস্বাদু খাদ্য।

পুষ্টিমানের দিক থেকে মিষ্টি মরিচ একটি অত্যন্ত মূল্যবান সবজি। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে এবং টবে চাষের উপযোগী বলে দেশের জনসাধারণকে মিষ্টি মরিচ খাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে।

ক্যাপ‌সিকাম চাষাবাদ ও উৎপাদন কলাকৌশল

জলবায়ু ও মাটিঃ
ক্যাপসিকাম উৎপাদনের জন্য ১৬০-২৫০সে. তাপমাত্রা ও শুষ্ক পরিবেশ সবচেয়ে উপযোগী। রাতের তাপমাত্রা ১৬০- ২১০সে. এর কম বা বেশি হলে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ফুল ঝরে পড়ে, ফলন ও মান কমে যায়, কোন কোন ক্ষেত্রে একেবারেই ফলন হয় না।
অক্টোবর মাসে বীজ বপন করে নভেম্বরে চারা রোপণ করলে দেখা যায় যে, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে গাছের দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এ জন্য গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য পলিথিন ছাউনি, পলি হাউস, পলিভিনাইল হাউসে গাছ লাগালে রাতে ভিতরের তাপমাত্রা বাইরে অপেক্ষা বেশি থাকে।
উন্নত বিশ্বে যেমন- জাপান, আমেরিকা, বৃটেন, নেদারল্যান্ড, তাইওয়ান প্রভৃতি দেশে গ্রিন হাউস গ্লাস হাউস, পলি হাউস ইত্যাদির মাধ্যমে তাপমাত্রা ও আলো নিয়ন্ত্রণ করে বছরব্যাপী লাভজনকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করছে। এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও একই পদ্ধতি গ্রহণ করে প্রচুর ক্যাপসিকামের চাষ হচ্ছে। ফুল এবং ফল ধারণ দিবস দৈর্ঘ্য দ্বারা প্রভাবিত হয় না। কিন্তু আলোক তীব্রতা এবং আর্দ্রতা ফল ধারণে প্রভাব ফেলে।
সুনিষ্কাশিত দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি মিষ্টি মরিচ চাষের জন্য উত্তম। মিষ্টি মরিচ খরা এবং জলাবদ্ধতা কোনোটিই সহ্য করতে পারে না। মিষ্টি মরিচের জন্য মাটির অম্ল ক্ষারত্ব ৫.৫-৭.০ এর মধ্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়।

মি‌ষ্টি ম‌রি‌চের জাতঃ
আমাদের দেশে আবাদকৃত জাতগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে– California Wonder, Tender Bell (F1) এবং Yolow Wonder ইত্যাদি । প্রতি বছর এগুলোর বীজ আমদানি করতে হয়। তবে আমাদের দেশে California Wonder এর বীজ উৎপাদন করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

জীবন কালঃ জাত ও মৌসুমভেদে মিষ্টি মরিচের জীবনকাল ১২০ থেকে ১৪০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বীজ বপনের সময়ঃ অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস।
বীজের মাত্রাঃ প্রতি হেক্টরে ৩০ হাজার চারার জন্য প্রায় ২৩০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয় ।

মি‌ষ্টি ম‌রি‌চের চারা উৎপাদনঃ
প্রথমে বীজগুলো ১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সুনিষ্কাশিত উঁচু বীজতলায় মাটি মিহি করে ১০x২ সে.মি. দূরে দূরে বীজ বপন করে হালকাভাবে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। বীজতলায় প্রয়োজনানুসারে ঝাঝরি দিয়ে হালকাভাবে সেচ দিতে হবে।
বীজ গজাতে ৩-৪ দিন সময় লাগে। বীজ বপনের ৭-১০দিন পর চারা ৩-৪ পাতা বিশিষ্ট হলে ৯-১২ সে.মি. আকারের পলি ব্যাগে স্থানান্তর করতে হবে। পটিং মিডিয়াতে ৩:১:১ অনুপাতে যথাক্রমে মাটি, কম্পোস্ট এবং বালি মিশাতে হবে। পরে পলিব্যাগ ছায়াযুক্ত স্থানে স্থানান্তর করতে হবে, যাতে প্রখর সূর্যালোকে এবং ঝড় বৃষ্টি আঘাত হানতে না পারে। উল্লেখ্য যে, অক্টোবর মাস হচ্ছে বীজ বপনের উত্তম সময়।

মি‌ষ্টি ম‌রিচ চা‌ষের জমি তৈরিঃ
ভালো ভাবে চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে; যাতে জমিতে বড় বড় ঢিলা এবং আগাছা না থাকে।

মি‌ষ্টি ম‌রি‌চের জ‌মি‌তে সার প্রয়োগঃ
মিষ্টি মরিচ চাষে প্রতি শতাংশে গোবর ৪০ কেজি, ইউরিয়া ১ কেজি, টিএসপি ১.৪ কেজি, এমপি ১ কেজি, জিপসাম ৪৫০ গ্রাম এবং জিংক অক্সাইড ২০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। জমি তৈরির সময় অর্ধেক গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক গোবর, টিএসপি, জিংক অক্সাইড, জিপসাম, ১/৩ ভাগ এমপি এবং ১/৩ ভাগ ইউরিয়া চারা রোপণের গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। বাকি ২/৩ ভাগ ইউরিয়া এবং এমপি পরবর্তীতে দুই ভাগ করে চারা লাগানোর যথাক্রমে ২৫ এবং ৫০ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে।

মি‌ষ্টি ম‌রি‌চের চারা রোপণঃ
মি‌ষ্টি ম‌রিচ বা ক্যাপ‌সিকামের চারার রোপণ দূরত্ব জাতভেদে ভিন্নতর হয়। সাধারণত ৩০ দিন বয়সের চারা ৪৫x৪৫ সে. মি. দূরত্বে রোপণ করা হয়।

জ‌মি‌তে চারা লাগানোর জন্য বেড তৈরিঃ
মি‌ষ্টি ম‌রি‌চের চারা লাগা‌নোর জন্য বেড তৈরি করতে হবে। প্রতিটি বেড প্রস্থে ৭৫ সে. মি. হতে হবে এবং লম্বায় দুটি সারিতে ২০টি চারা সংকুলানের জন্য ৯ মিটার বেড হবে। দু’টি সারির মাঝখানে ৩০ সে. মি. ড্রেন করতে হবে। চারা পড়ন্ত বিকেলে রোপণ করা উত্তম । চারা রোপণের পর গাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে। প্রতিদিন মাঠ পরিদর্শন করতে হবে। যদি কোনো চারা মারা যায় তাহলে ওই জায়গায় পুনরায় চারা রোপণ করতে হবে।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ হতে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রা অনেক কমে যায় এ সময় গাছের দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় । কাজেই গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য পলিথিন ছাউনিতে গাছ লাগালে রাতে ভেতরের তাপমাত্রা বাইর অপেক্ষা বেশি থাকে এবং গাছের দৈহিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়।

অন্যান্য পরিচর্যাঃ
মিষ্টি মরিচ খরা ও জলাবদ্ধাতা কোনোটিই সহ্য করতে পারে না। জমিতে প্রয়োজন মতো সেচ দিতে হবে। আবার অতিরিক্ত সেচ দিলে ঢলে পড়া রোগ দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য সুষ্ঠু নিকাশ ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো কোনো জাতে ফল ধরা অবস্থায় খুঁটি দিতে হয়, যাতে গাছ ফলের ভারে হেলে না পড়ে। আগাছা নাশক বা হাত দিয়ে অথবা নিড়ানি দিয়ে প্রয়োজনীয় আগাছা দমন করতে হবে।

মি‌ষ্টি ম‌রি‌চের পোকামাকড় ব্যবস্থাপনাঃ
জাবপোকা (এফিড)
ক্ষতির লক্ষণঃ প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক জাবপোকা দলবদ্ধভাবে গাছের পাতার রস চুষে খায়। ফলে পাতা বিকৃত হয়ে যায়, বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও প্রায়ই নিচের দিকে কোঁকড়ানো দেখা যায়। জাবপোকার শরীরের পেছন দিকে অবস্থিত দু’টি নল দিয়ে মধুর মতো এক প্রকার রস নি:সরণ করে। এই রস পাতা ও কান্ডে আটকে গেলে তাতে সুঁটিমোল্ড নামক এক প্রকার কালো রঙের ছত্রাক জন্মায় এবং তার ফলে গাছের সবুজ অংশ ঢেকে যায় এবং সালোকসংশ্লেষণ ক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। মেঘলা, কুয়াশাচ্ছন্ন এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় এর বংশ বৃদ্ধি বেশি হয়। প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হলে এর সংখ্যা কমে যায়।
দমন ব্যবস্থাঃ প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত পাতা ও ডগার জাবপোকা হাত দিয়ে পিষে মেরে ফেলা যায়। নিম বীজের দ্রবণ (১ কেজি পরিমাণ অর্ধভাঙ্গা নিমবীজ ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে) বা সাবান গোলা পানি (প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২ চা চামচ গুঁড়া সাবান মেশাতে হবে) স্প্রে করেও এ পোকার আক্রমণ অনেকাংশে কমানো যায়। লেডি বার্ড বিটলের পূর্ণাঙ্গ ও কীড়া এবং সিরফিড্ ফ্লাই এর কীড়া জাবপোকা খেয়ে প্রাকৃতিকভাবে দমন করে।
সুতরাং উপরোক্ত বন্ধু পোকা সংরক্ষণ করলে এ পোকার আক্রমণ অনেকাংশে কম হয়। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে শুধু আক্রান্ত স্থানসমূহে কীটনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদি বিষক্রিয়া সম্পন্ন কীটনাশক, যেমন- ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মি. লি. হারে অথবা পিরিমর ৫০ ডিপি প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। মৌমাছি বা পরাগায়নে সাহায্যকারী পোকাদের জন্য অনেকটা নিরাপদ। বিষ প্রয়োগের এক সপ্তাহের মধ্যে খাওয়ার জন্য কোনো ফল সংগ্রহ করা যাবে না।

থ্রিপস পোকা
ক্ষতির লক্ষণঃ পূর্ণাঙ্গ ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক থ্রিপস পাতা থেকে রস চুষে খায়। পাতার মধ্যশিরার নিকটবর্তী এলাকা বাদামি রঙ ধারণ করে ও শুকিয়ে যায়। নৌকার খোলের পাতা ওপরের দিকে কুঁকড়িয়ে যায়। গাঢ় বাদামি রঙের পূর্ণাঙ্গ থ্রিপস পোকা খুবই ছোট, সরু ও লম্বাকৃতির। খালি চোখে কোনোমতে এদের দেখা যায়।
দমন ব্যবস্থাঃ পাঁচ গ্রাম পরিমাণ গুঁড়া সাবান প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে পাতার নিচের দিকে স্প্রে করা। ক্ষেতে সাদা রঙের ৩০ সে.মি. - ৩০ সে.মি. আকারের বোর্ডে পাতলা করে গ্রিজ বা আঠা লাগিয়ে কাঠির সাহায্যে ৩ মিটার দূরে দূরে আঠা ফাঁদ পেতে থ্রিপস পোকা আকৃষ্ট করে মারা। এক কেজি আধা ভাঙা নিমবীজ ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে উক্ত পানি স্প্রে করা। আক্রমণের হার অত্যন্ত বেশি হলে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি জাতীয় কীটনাশক (প্রতি লিটার পানিতে ২ মি. লি. পরিমাণ) স্প্রে করা।

লালমাকড় (মাইট)
ক্ষতির লক্ষণঃ লালমাকড় খাওয়া পাতায় হলুদাভ ছোপ ছোপ দাগের সৃষ্টি হয়। যখন এই ধরনের আক্রমণ পাতার নিচে দিকে মাঝখানে বেশি হয় তখন প্রায় সব ক্ষেত্রেই পাতা কুঁকড়িয়ে যেতে দেখা যায়। ব্যাপক আক্রমণের ফলে সম্পূর্ণ পাতা হলুদ ও বাদামি রঙ ধারণ করে এবং শেষ পর্যন্ত পাতা ঝরে পড়ে। লালমাকড় পাতার নিচের পৃষ্ঠদেশে অত্যন্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ডিম পাড়ে যা খালি চোখে দেখা যায় না। এই ডিম থেকে কমলা রঙের বাচ্চা বের হয়ে বেগুন পাতার নিচের পৃষ্ঠদেশ খেতে থাকে। এক সপ্তাহের মধ্যেই বাচ্চাগুলো গাঢ়-কমলা বা লাল রঙের পূর্ণ মাকড়ে পরিণত হয় যারা দেখতে ক্ষুদ্র মাকড়সার মতো। এদের পাতার নিচের পৃষ্ঠদেশে চলাফেরা করতে দেখা যায়।
দমন ব্যবস্থাঃ নিমতেল ৫ মি. লি. + ৫ গ্রাম ট্রিকস্ প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে পাতার নিচের দিকে স্প্রে করা। এক কেজি আধাভাঙা নিমবীজ ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে উক্ত পানি পাতার নিচের দিকে স্প্রে করা। আক্রমণের হার অত্যন্ত বেশি হলে নিউরন ৫০০ ইসি অথবা টর্ক ৫৫০ এস সি ২ মি.লি. হারে প্রতি লিটার পানির সাথে স্প্রে করা যেতে পারে। মাকড়নাশক ওমাইট বা টলস্টার (প্রতি লিটার পানিতে ২ মি. লি. পরিমাণ) স্প্রে করা।

মি‌ষ্টি ম‌রি‌চের রোগবালাইঃ
এ্যানথ্রাকনোজ
রোগের লক্ষণঃ পাতায় বসানো দাগ হয়। ফলেও এ দাগ দেখা যায়। পাতা ঝরে পড়ে এবং ফল পচে যায়। পাতায় গোলাকৃতি দাগ দেখা যায়। কুয়াশায় পাতার পচন লক্ষ করা যায়। প্রথমে মধ্যাংশ একটু উঁচু ছোট কালো দাগ হয়। দাগ বাড়তে থাকে এবং পুরো ফলে কালো ছোপ ছোপ দাগ হয়ে ফল পচে যায়। উক্ত ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করলে পরের বছর চারা গজায় না।
দমন ব্যবস্থাঃ ব্যাভিষ্টিন ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে গুলে ১৫ দিন পর পর স্প্রে করা। রোগমুক্ত ভালো বীজ ব্যবহার করতে হবে। ফল পুরোপুরি না পাকিয়ে তুলে নিতে হবে। ক্যাপসিকামের বীজ-ফলে অবশ্যই ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করে বীজ রোগমুক্ত রাখতে হবে।

ব্লাইট
রোগের লক্ষণঃ পাতায় দাগ হয়। পাতা ঝলসে যায়।
দমন ব্যবস্থাঃ ব্যাভিষ্টিন ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে গুলে ১৫ দিন পর পর স্প্রে করা। রোগমুক্ত ভালো বীজ ব্যবহার করতে হবে।

উইল্টিং
রোগের লক্ষণঃ গাছ আস্তে আস্তে ঢলে পড়ে এবং মারা যায়।
দমন ব্যবস্থাঃ আক্রান্ত গাছ উপড়ে ফেলা এবং জমিতে প্লাবন সেচ না দেয়া।

ফসল তোলা ও ফলনঃ
মিষ্টি মরিচ সাধারণত পরিপক্ব সবুজ অবস্থায় লালচে হওয়ার আগেই মাঠ থেকে উঠানো হয়। সাধারণত সপ্তাহে একবার গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। ফল সংগ্রহের পর ঠান্ডা অথচ ছায়াযুক্ত স্থানে বাজারজাতকরণের পূর্ব পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হয়। উল্লেখ্য যে, ফসল সংগ্রহের সময় প্রতিটি ফলে সামান্য পরিমাণে বোটা রেখে দিতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পলি হাউজের ভেতরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফার্টিগেশন পদ্ধতিতে সাফল্যজনকভাবে ক্যাপসিকাম উৎপাদন করেছেন। উত্তম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চাষাবাদ করলে California Wonder জাতে হেক্টরপ্রতি ১০-১২ টন ফলন পাওয়া সম্ভব।

@ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি, bangladesh, #Capsicum , Hybrid, #ক্যাপসিকাম, #‌মি‌ষ্টি মরিচ , #চাষাবাদ