চাক‌রি পে‌তে কভার লেটারের ভূ‌মিকা

অনেক চাকরিতেই বায়োডাটা বা জীবন বৃত্তান্তের সঙ্গে একটি কভার লেটার লেখার প্র‌য়োজন হয়।অধিকাংশ উচ্চ বা মধ্যপর্যায়ের চাকরির ক্ষেত্রে এ কভার লেটার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ দূর্বল কভার লেটারের কারণেও হারাতে হয় চাকরি।

চাকরিক্ষেত্রে অনেকেই কভার লেটারের গুরুত্ব সেভাবে বোঝেন না। আর এ কারণে দুর্বলভাবে কভার লেটার লিখতে বা একেবারে গুরুত্বহীনভাবে লিখতে দেখা যায়। যদিও এ বিষয়টি চাকরিক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিয়োগকারীরা সিভি বা জীবন বৃ্ত্তান্তের ওপর একেবারেই সময় দিতে পারেন না। মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়ে তারা চাকরিপ্রার্থীর সিভি দেখেন। কিন্তু কভার লেটারের ক্ষেত্রে বিষয়টি তেমন নয়।

আপনি যদি আপনার চাকরির আবেদনকে আকর্ষণীয় করতে চান কিংবা অন্যদের থেকে কিছুটা পৃথক থাকতে চান তাহলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে কভার লেটারের ক্ষেত্রে। এতে আপনি আপনার বক্তব্য পেশ করতে পারবেন, যা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মনোযোগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ড. ডানকান কোয়েরবার বলেন, বাজেভাবে লেখা কভার লেটার ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীর ভাবমূর্তি নষ্ট করে। আর এটি আপনার স্বপ্নের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে।
এক্ষেত্রে আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে কভার লেটার লেখেন তাহলে তা চাকরির সম্ভাবনা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এজন্য কভার লেটারে কোন কোন বিষয় উল্লেখ করা উচিত? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্দিষ্ট কোনো বিষয় ঠিক করে দেওয়ার উপায় নেই। কিন্তু আপনি যে কারণে প্রতিষ্ঠানটির এ পদের বিষয়ে দক্ষ তা উল্লেখ করতে পারেন। এছাড়া আপনার বাড়তি কোনো যোগ্যতা, যা সিভিতে সেভাবে উল্লেখ করার উপায় নেই, সেগুলোও এখানে বর্ণনা করতে পারেন।

No comments:

Post a Comment