আপনি যোগ্যতাবলে হয়তো নিশ্চিত যে চাকরি না হয়ে যাবে কোথায়! কিন্তু আপনার অনেক যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কিছু উদ্ভট প্রশ্নের কারণে চাকরিটা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। তবে সেই প্রশ্নগুলো অফিস কর্তৃপক্ষের না, আপনার। এটা ঠিক যে কিছু বিষয় শুরুতেই পরিষ্কার করে বলে নেওয়া উচিত। তবে কিছু প্রশ্ন কর্তৃপক্ষকে না করাই ভালো। জানতে চান সেই প্রশ্নগুলো কী? তাহলে রিডার্স ডাইজেস্টের এই তালিকাটি একবার দেখে নিতে পারেন।
১. আমাকে কত টাকা বেতন দেওয়া হবে? বেতন ছাড়া আর কী কী সুবিধা পাব? আমি বছরে কয়দিন ছুটি পাব?
যতক্ষণ পর্যন্ত ইন্টারভিউ বোর্ডের লোকজন আপনার বেতনের কথা না বলবে ততক্ষণ পর্যন্ত বেতন নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবেন না। আর চাকরি হওয়ার আগেই ছুটির কথা জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ বিরক্ত হতে পারে। আর বাড়তি সুবিধার কথা শুরুতেই না ভাবলেও চলবে। এই ধরনের প্রশ্নের কারণে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আপনি চাকরিটি হারাতে পারেন।
২. আমি কখন অফিসে আসব কিংবা কখন চলে যাব- এটা কি ঠিক করে নিতে পারি?
এই প্রশ্ন কখনোই ইন্টারভিউ বোর্ডে করবেন না। অফিসই ঠিক করে দেবে আপনি কখন আসবেন আর কখন যাবেন। সময় নিয়ে খুব বেশি অসুবিধা থাকলে চাকরি করার কিছুদিন পর কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করতে পারেন। আপনার অসুবিধার কথা জানতে পেরে অফিস কর্তৃপক্ষ আপনাকে এই বিষয়ে সাহায্য করতে পারে।
৩. আপনারা কি আমার ব্যাকগ্রাউন্ডের খোঁজখবর দেবেন?
এমন প্রশ্ন কখনো ইন্টারভিউ বোর্ডে করা উচিত নয়। কারণ আপনি যখন এই প্রশ্ন করবেন, কর্তৃপক্ষ তখন ভাববে আপনি হয়তো কিছু লুকাচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সন্দেহ নিয়ে আপনাকে হ্যাঁ বলবে না।
৪. আপনাদের অফিসে সচরাচর পদন্নোতি কীভাবে পাওয়া যায়?
এই প্রশ্নটিও করা ঠিক নয়। কারণ আপনার কাজের মান ভালো হলে অফিসই আপনার পদোন্নতির কথা ভাববে। কাজ করার আগেই পদোন্নতির কথা বললে আপনাকে চাকরিটি দেওয়া ঠিক হবে কি না তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ দ্বিধায় ভুগবে।
৫. আপনাদের কোম্পানিটা কত বড়? আপনাদের প্রতিযোগিতা কার কার সঙ্গে?
এমন প্রশ্নও করবেন না। এ ধরনের প্রশ্ন না করে নিজেই অফিসটি সম্বন্ধে কিছুটা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন, যাতে এই ধরনের প্রশ্ন আপনাকে না করতে হয়। আর এই প্রশ্নগুলো কর্তৃপক্ষের জন্যও বিব্রতকর।
No comments:
Post a Comment