যারা ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করেছেন, তাদের দরকার বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞদের পরামর্শ। নয়তো বড় ধরনের হোঁচট খেতে পারেন।
সিলিকন ভ্যালির ইনভাইজন কনসালটেন্ট স্টিভ টোবাক নব্য ব্যবসায়ীদের জন্য দিয়েছে বেশ কিছু টিপস। এগুলো মেনে চললে আপনি অনেক সমস্যা ও সমূহ বিপদ এড়িয়ে যেতে পারবেন।
পরামর্শগুলো জেনে নিনঃ
০১. সবার আগে অর্থের জোগান ঠিক করুন। ব্যবসার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ব্যাংকে জমা রাখুন। ভবিষ্যতেও যেন ঘাটতি না পড়ে তার নিশ্চিত করুন। অর্থের অভাবেই সম্ভাবনাময় ব্যবসাগুলো ব্যর্থ হয়।
০২. যেকোনো ফার্ম বা ব্যবসার ৯০ শতাংশ সমস্যার উদয় ঘটে ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে। যখন ব্যবসার কাজ মনপুতঃ হচ্ছে না তখন প্রথম কাজ হলো ব্যবস্থাপনাকে আয়নার সামনে দাঁড় করানো। নিজেও আয়নার সামনে দাঁড়ান। কী ভুল হচ্ছে বুঝে নিন।
০৪. প্রত্যেক ব্যবসাকে এগিয়ে নেওয়ার প্রাণশক্তি হলো তার সেরা কর্মচারীরা। তাদের বিষয়ে মনোযোগী হোন। ভালো কর্মী পেলে আপনার ব্যবসা এগিয়ে যাবে। আর তাকে হারালে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
০৬. 'হ্যাঁ' বলাটা সহজ। এটা বলতেও ভালো লাগে। তাই বেশি বেশি 'হ্যাঁ' বলুন। তবে 'না' বলতেও শিখতে হবে। এই দুই শব্দের সঠিক ব্যবহার জানুন। এই দুই শব্দের ব্যবহারে বোঝা যায় আপনি সমস্যা চিহ্নিত করতে সক্ষম এবং এ বিষয়ে সচেতন।
০৭. বেশিরভাগ উদ্যোক্তা তার ক্রেতাদের দিকে তেমন মনোযোগ দেন না। তারা পণ্যের দিকেই পুরো ধ্যান দেন। কিন্তু পণ্যের পাশাপাশি ক্রেতাদেরও মূল্য দিতে হবে। কারণ এরাই আপনার ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখে। তারা একবার নাখোশ হয়ে ফিরে গেলে আর পাবেন না।
০৮. প্রতিষ্ঠান চালাতে অবশ্যই নিজের সামর্থ্য বিবেচনা করতে হবে। আর প্রতিষ্ঠান কীভাবে চালাতে হবে তার পদ্ধতিও মাথায় থাকতে হবে। এ দুয়ের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠান চালাতে হবে। পরিচিত মানুষদের দিয়ে কাজ করালে তাদের ভুল কথায় প্রভাবিত হবেন না।
০৯. স্বচ্ছতা কিন্তু অনেক সময়ই সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই কৌশলী হতে হবে। যেসব বিষয় খোলাসা করা দরকার তা একবারে খোলাখুলি বলবেন। আর যা শেয়ার করা যাবে না তা করতে যাবেন না।
১০. আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তিগুলো রক্ষা করুণ ও সুরক্ষিত থাকুন। বেশিরভাগ লোকই জানেন না কপিরাইট, ট্রেডমার্ক, ট্রেড সিক্রেট এবং পেটেন্টের মধ্যে পার্থক্য কী? দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদগুলো যদি আপনি রক্ষা না করে চলেন তবে দ্রুতই প্রতিযোগিতায় নামার যোগ্যতা হারাবেন।