অ্যাপেনডিসাইটিস একটি অতি পরিচিত জরুরি স্বাস্থ্য সমস্যা। সাধারণ অসুস্থতা থেকে কখনো জীবন সংহারকারী সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে। পরিপাকতন্ত্রে বৃহদান্ত্রের সিকামের সাথে ঝুলন্ত তিন-চার ইঞ্চি কেঁচো কৃমির মতো একটি অঙ্গ হচ্ছে ভারমিফরম অ্যাপেনডিকস। এই অ্যাপেনডিকসের সংক্রামণ ও প্রদাহকেই বলা হয় অ্যাপেনডিসাইটিস। লিখেছেন অধ্যাপক ডা: এম খাদেমুল ইসলাম I
সাধারণত হঠাৎ করেই অ্যাপেনডিসাইটিসের প্রদাহ শুরু হয় এবং প্রদাহের তীব্রতা অনুযায়ী উপসর্গের তারতম্য লক্ষ করা যায়। হঠাৎ তীব্রভাবে এই প্রদাহ হলে একে অ্যাকিউট অ্যাপেনডিসাইটিস বলা হয়। প্রদাহ কিছুটা কম বা মাঝারি ধরনের প্রদাহে আক্রান্ত ব্যক্তি ওষুধ সেবন বা কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রাকৃতিক নিয়মে সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং কয়েক সপ্তাহ কিংবা মাসের ব্যবধানে আবার আক্রান্ত হন। এ রকম কয়েক দফায় আক্রমণের শিকার হলে সে অবস্থাকে বলা হয় রিকারেন্ট অ্যাপেনডিসাইটিস।
অ্যাপেনডিসাইটিসের কারণ জীবাণুঘটিত এবং সেই জীবাণু অন্ত্রনালীর অভ্যন্তরেই থাকে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেই জীবাণুই অ্যাপেনডিসাইটিসকে আক্রমণ করার সুযোগ পায়। সেসব কারণ উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ জীবাণুকে এই সুযোগ করে দেয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। কম তন্ত্র বা আঁশযুক্ত খাবার অর্থাৎ শাক-সবজি কম খাওয়া এবং আধুনিক Fast food-ও কম আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য বা শক্ত পায়খানা। এই শক্ত পায়খানা ছাগলের পায়খানার মতো গুটি হয়ে অ্যাপেনডিকসের মুখ বন্ধ করে দেয় এবং ভেতরকার নিঃসরণ নির্গমনে বাধা দেয়। ফলে জীবাণু সংক্রমণের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে অ্যাপেনডিকসের প্রদাহ দেখা দেয়। এ কারণে শহুরে উচ্চমধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত ছেলেমেয়েরা অ্যাপেনডিসাইটিস সমস্যায় বেশি ভুগে থাকে।
অ্যাপেনডিসাইটিসের কারণ
যে কারণে অ্যাপেনডিসাইটিসকে বলা হয় Disease of urbanization. অ্যাপেনডিসাইটিস প্রদাহের সময় একটি অ্যাপেনডিসাইটিস ফুলে বুড়ো আঙুলের মতো বা তার চেয়ে বেশি মোটা হয়ে যায় ও অভ্যন্তরীণ চাপ বৃদ্ধি পেয়ে এক সময় বেলুনের মতো ফেটে যায়।
সাধারণত কিশোর-কিশোরী কিংবা তরুণ-তরুণীরা অ্যাকিউট অ্যাপেনডিসাইটিসে আক্রান্ত হন বেশি। তবে যেকোনো বয়সে এ অসুখ হতে পারে। ব্যতিক্রমী বয়সে এবং বিশেষ অবস্থায় অ্যাপেনডিসাইটিস মারাত্মক ব্যাধি হিসেবে দেখা দিতে পারে এবং সঠিক রোগ নির্ণয়ে চিকিৎসক অনেকটা বিভ্রান্তিতে পড়ে যেতে পারেন। একসময় যখন রোগ নির্ণয় হয়, ততক্ষণে অ্যাপেনডিসাইটিস জটিল অসুখে পরিণত হয়। স্থানীয় চিকিৎসকদের রোগ নির্ণয়ে দ্বিধা ও দেরির কারণে জটিলতা ও গুরুতর অসুস্থ হয়ে রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ব্যতিক্রমী বয়স ও বিশেষ অবস্থাগুলো হলো- প্রান্তিক বয়সসীমা; যেমন : শিশু ও বৃদ্ধ বয়স, অতিরিক্ত স্থূল ব্যক্তি, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং মহিলাদের গর্ভকালীন সময়।
এ রোগ কাদের হয়
অ্যাপেনডিসাইটিসের প্রধান উপসর্গ হচ্ছে- হঠাৎ করে পেটে ব্যথা। প্রথমে মাঝ পেটে কিংবা সারা পেটজুড়েই ব্যথা অনুভূত হয়। তারপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই ব্যথা তলপেটের ডান দিকে স্থানান্তরিত হয়। তারপর সেই ব্যথা সেখানেই থাকে জটিলতা সৃষ্টি কিংবা প্রাকৃতিক নিয়মে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত। ব্যথার শুরুতে বমি কিংবা বমি বমি ভাব, ক্ষুধা মন্দা ও শরীরে হালকা তাপমাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি থাকতে পারে।
অ্যাপেনডিসাইটিসের উপসর্গ
এ ছাড়া দ্রুত নাড়ির স্পন্দন ও তলপেটের ডান দিকে ব্যথার স্থানে মাংসপেশির দৃঢ়তাও লক্ষ করা যায়। অনেক রোগী বিশেষত, পূর্ণ বয়স্ক রোগীরা পেটের অস্বস্তির সাথে পায়খানা পরিষ্কার হচ্ছে না; এ রকম অনুভূতির জন্য জোলাব জাতের ওষুধ চেয়ে থাকেন বা স্বপ্রণোদিত হয়ে জেলাব সেবন করেন। অনেক সময় যা জটিলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শারীরিক তাপমাত্রা সাধারণত ১০০ ডিগ্রি ফারেন হাইটের ওপরে উঠে না। জ্বর এর থেকে বেশি হলে অ্যাপেনডিসাইটিসের জটিলতা কিংবা অন্য অসুখের কথা বিবেচনা করতে হয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় প্রায়ই সমস্যা সৃষ্টি করে। কেননা তারা ঠিকমতো তাদের সমস্যা বলতে পারে না ও চিকিৎসককে ঠিকমতো পেট পরীক্ষা করতে দেয় না। শিশুরা সাধারণত খেতে চায় না ও শুধু কান্নাকাটি করে। এরা প্রায়ই জ্বর, বমি ও পাতলা পায়খানার শিকার হয়। যার কারণে এমনকি শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরাও অনেক সময় প্রাথমিকভাবে শিশু পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে ভেবে থাকেন।
সাধারণত বাহ্যিকভাবে পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও উপসর্গের ওপর ভিত্তি করেই অ্যাপেনডিসাইটিস শনাক্ত করা হয়ে থাকে। এ জন্য বিশেষ কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেই। তবে সাধারণ কিছু পরীক্ষা করা বাঞ্ছনীয়। রক্তের টিসি-ডিসি পরীক্ষা করে শ্বেত কণিকার সংখ্যা নির্ণয় যা অ্যাকিউট অ্যাপেনডিসাইটিসে বেড়ে যায়, তা রোগ নির্ণয়ে সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়া প্রস্রাব পরীক্ষা, পেটের সাধারণত এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি ক্ষেত্রবিশেষে মূল্যবান তথ্য প্রদানে সক্ষম ও নির্ভুল রোগ নির্ণয়ে সহায়ক।
সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা না হলে অ্যাপেনডিসাইটিস থেকে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন : অ্যাপেনডিকুলার ল্যাম্প অ্যাপেনডিসাইটিস হওয়ার ৩৬-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সঠিক চিকিৎসা না হলে শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অ্যাপেনডিকসের সংক্রমণকে সীমাবদ্ধ রাখতে অ্যাপেনডিসাইটিসের চতুর্পাশে একটি প্রতিরক্ষা দেয়াল তৈরি করে। অন্ত্রের নিকটবর্তী অংশ ও ওমেনটাম (চর্বির ঝালর) এই প্রতিরক্ষা দেয়াল তৈরিতে অংশ নেয়, যা একটি চাকা বা দলা আকার নেয়। এটি অ্যাপেনডিকুলার লাম্প।
অ্যাপেনডিসাইটিসের জটিলতা
অ্যাপেনডিকুলার অ্যাবসেস বা ফোঁড়া সংক্রমণ মারাত্মক হলে অথবা অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর না হলে অ্যাপেনডিকস লাম্পের মধ্যে অ্যাপেনডিকসকে ঘিরে পুঁজ জমতে থাকে। সাধারণত অ্যাপেনডিসাইটিস শুরু হওয়ার সপ্তাহখানেকের মাথায় এই জটিলতা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে রোগীর জ্বর ও অসুস্থতা বাড়তে থাকে এবং স্থানীয়ভাবে তলপেটের ডান দিকের ব্যথা ও সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। এ অবস্থায় অ্যাপেনডিকস অ্যাবসেস বা ফোঁড়া হয়েছে তা নির্ণয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি খুবই কার্যকর পরীক্ষা। ক্ষেত্রবিশেষে সিটি স্ক্যানের সহায়তাও নেয়া যেতে পারে।
সবচেয়ে ভয়ানক জটিলতা হলো- সংক্রমণ ও প্রদাহে আক্রান্ত অ্যাপেনডিকস ফেটে যাওয়া। এই জটিলতা সাধারণত তীব্র অ্যাপেনডিসাইটিসের ক্ষেত্রে প্রথম ১২ ঘণ্টার মধ্যে হয়ে থাকে। শিশু ও বৃদ্ধরা এ জটিলতার অন্যতম শিকার। কেননা, উভয় ক্ষেত্রেই রোগ নির্ণয়ে দেরি হয়ে থাকে। অ্যাপেনডিকস ফেটে সংক্রমণ বা পেরিটোনাইটিস সৃষ্টি করে এবং রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অবস্থা আরো দীর্ঘতর হলে সংক্রমণ রক্তের মাধ্যমে (সেপটিসিমিয়া) শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং জীবনহানির আশঙ্কা দেখা দেয়।
অ্যাপেনডিসাইটিসের মূল চিকিৎসা হলো জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সংক্রমণ ও প্রদাহে আক্রান্ত অ্যাপেনডিকসের অপসারণ।
প্রাথমিকপর্যায়ে লক্ষণ ও উপসর্গ অনুযায়ী অ্যাপেনডিসাইটিস সন্দেহ হলে রোগীকে মুখে কিছু খেতে বারণ করা, এমনকি কোনো ওষুধ প্রয়োগ না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে প্রেরণ করাই শ্রেয়। যেহেতু অ্যাপেনডিকস অস্ত্রের কোনো অত্যাবশ্যক বা অপরিহার্য অংশ নয়, রোগাক্রান্ত অ্যাপেনডিকসকে অপসারণই চিকিৎসার মূলনীতি। অস্ত্রোপচার করে অ্যাপেনডিকসের অপসারণের সনাতন পদ্ধতিকে বলা হয় অ্যাপেনডিসেকটমি। সনাতন পদ্ধতিতে তলপেটের ডান দিকে তিন-চার ইঞ্চি কেটে অ্যাপেনডিকস অপসারণ করা হয় এবং দুই-তিন দিনের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করতে পারেন। বর্তমানে অনেক শাল্যবিদ নিয়মিত আধুনিক পদ্ধতিতে ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে অ্যাপেনডিকস অপসারণ করে থাকেন, যাকে বলা হয় ল্যাপারোসকপিক। অ্যাপেনডিসেকটমির পর রোগীকে তিন ঘণ্টার মধ্যে খেতে দেয়া হয় ও ছয় ঘণ্টা পর হাসপাতাল ত্যাগ করা যায়। Laparoscopic appendicectom-এর আরো সুবিধা হলো- সন্দেহাতীতভাবে রোগ নির্ণয় না হলে Laparoscopic-এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা উভয় উদ্দেশ্যই সফল করা যায় এবং বাড়তি কোনো সমস্যা চিহ্নিত হলে তাও Laparoscopic-এর মাধ্যমে সমাধান করা যায়। বিশেষ করে মহিলা রোগীদের ডিম্বাশয় কিংবা টিউবের সমস্যা।
অ্যাপেনডিসাইটিস চিকিৎসা
আগেই বলা হয়েছে অ্যাপেনডিসাইটিসের স্বীকৃত ও নিরাপদ চিকিৎসা appendicectomy, কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্র ও অবস্থায় ওষুধের চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। যেমন রোগী এমন এক অবস্থানে আছেন যেখানে অপারেশনের কোনো সুযোগ নেই কিংবা কোনো বিশেষ সামাজিক অনুষ্ঠানে রোগীর সম্পৃক্ততা বিয়ে কিংবা পরীক্ষা ইত্যাদি কারণে কেউ সাময়িক উপসম পেতে চান। সেক্ষেত্রে উপসর্গের তীব্রতা কম হলে ওষুধ দিয়ে ও পর্যবেক্ষণ করে সেটা করা যেতে পারে। কিন্তু যদি রোগের তীব্রতা বেড়ে যায় অথবা জটিলতার দিকে মোড় নেয় তাহলে কোনো রকম সময়ক্ষেপণ না করে অপারেশন করাই শ্রেয়।
ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা
রোগীর অ্যাপেনডিকুলার লাম্প হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে প্রকৃতির প্রতিরক্ষাবুহ্যকে ভেঙে না ফেলাই উত্তম এবং রোগীকে পর্যবেক্ষণ ও অ্যান্টিবায়োটিকসের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়াই সর্বজনস্বীকৃত বিধি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং অ্যাপেনডিকসের প্রদাহ ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। এ ক্ষেত্রে রোগীকে ছয়-আট সপ্তাহ পরে অস্ত্রোপচার করিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেয়া হয়। অ্যাপেনডিকুলার ল্যাম্প থাকা অবস্থায় অস্ত্রোপচার আদৌ সমীচীন নয়। বিশেষ করে, প্রতিরক্ষাবুহ্য তৈরিকারী অঙ্গগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর ছয়-আট সপ্তাহ পরে ল্যাম্প ফেটে যায় এবং সহজেই অ্যাপেনডিকস অপসারণ করা যায়। অবশ্যই নির্ধারিত সময়েই অপারেশন করিয়ে নিতে হবে। কেননা একবার অ্যাপেনডিসাইটিস হলে আবার হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।
অ্যাপেনডিকস ফেটে গিয়ে পেরিটোনাইটিস হলে অবশ্যই ল্যাপারোটমি অর্থাৎ পেটের মাঝামাঝি বড় করে কেটে অ্যাপেনডিকসের অপসারণ ও সেইসাথে ভালোভাবে উদর গহ্বর পরিষ্কার ও ধৌত করতে হবে। সেইসাথে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একাধিক অ্যান্টিবায়োটিকসও ব্যবহার করতে হবে। জীবন রক্ষা হলেও অস্ত্রোপচারের ক্ষতস্থানের সংক্রমণ তার পরেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে এবং রোগীকে পরিপূর্ণ সুস্থ হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
অ্যাপেনডিসাইটিসের জটিলতার চিকিৎসা
অ্যাপেনডিকুলার অ্যাবসেস বা ফোঁড়া এই অবস্থায় স্বীকৃত নীতিমালা হলো, পুঁজ বের করে দেয়া। সনাতন পদ্ধতির অ্যাপেনডিকসটমির মতো তলপেটের ডান দিকে ছোট করে উদর গহ্বরে দেয়াল কেটে সরাসরি পুঁজ বের করা। উদর গহ্বরের ভেতর না ঢুকে এবং কোনো অবস্থায়ই অ্যাপেনডিকস অপসারণ একসাথে করা হয় না। এ ক্ষেত্রেও ছয়-আট সপ্তাহ পরে ওপেন কিংবা Laparoscopic appendicectomy করতে হবে। বিকল্প পদ্ধতি হলো- Ultasonography-এর সহায়তায় মোটা সুঁই ঢুকিয়ে পুঁজ বের করে আনা এবং একই পথে abscess cavity-তে tube drain place-করা, যার মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে পুঁজ বেরিয়ে আসে। এ ক্ষেত্রেও ছয়-আট সপ্তাহ পরে অ্যাপেনডিকস অপসারণ করতে হবে।
অ্যাপেনডিসাইটিস একটি সাধারণ সমস্যা হলেও কখনো কখনো জীবনহানির কিংবা জীবনের হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। কাজেই অ্যাপেনডিকসাইটিসের উপসর্গ বা লক্ষণ প্রকাশ পেলে সময়ক্ষেপণ না করে শল্যবিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং সে মোতাবেক চিকিৎসা নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
অধ্যাপক ডা: এম খাদেমুল ইসলাম
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন ল্যাব এইড স্পেশালাইজ হাসপাতাল ধানমন্ডি, ঢাকা।
No comments:
Post a Comment