সবর বা ধৈর্য একটি মহাশক্তি। ধৈর্য হলো শব্দহীন নীরব প্রতিবাদ। যে কোনো বিপদ কিংবা সংকটের সময়ে ধৈর্য ধারণ করাই হলো মুমিনদের বৈশিষ্ট্য। সবরকারীদের আল্লাহ সাহায্য করেন। সবরকারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন। কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবরকারীদের সঙ্গে আছেন।’ (সূরা বাক্বারা: ১৫৩)।
প্রাকৃতিক ও সামাজিক দুর্যোগের মতো বিপদ আপদের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মুমিনের নির্ভরতা তথা তাওয়াককুলের পরীক্ষা নেন। পরীক্ষাই হলো কর্মফল পরিমাপের মাপকাঠি। এসব বিপদের সময় সবর করলে ঈমান মজবুত হয়। আল্লাহর পক্ষ হতে গায়েবী সাহায্য আসে। কুরআন শরীফে
সুখ-দুঃখ মিলে জগত-সংসার। সুখ-দুঃখ একে অপরের পরিপূরক।
কোরআনে ইরশাদ হয়েছে,‘ সুতরাং কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে সুখ। অতত্রব যখনই তুমি অবসর পাবে, তখনই কঠোর ইবাদতে রত হও। আর তোমার প্রভুর প্রতি আকৃষ্ট হও।’ (সূরা ইনশিরাহ:৫-৮)।
হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূল (স) ইরশাদ করেছেন, মুসলমানদের উপর যে সকল যাতনা, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানি আপতিত হয়, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে বিদ্ধ হয়, এসবের দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন। (সহীহ বুখারী হাদিস নং-৫২৩৯)।
তাই আমরা যদি বিপদের সময় হা-হুতাশ না করে সবর করি, তাহলে অবশ্যই সুফল মিলবে।
ফিরোজ আহমাদ
প্রাবন্ধিক ও সূফিতাত্ত্বিক গবেষক
প্রাবন্ধিক ও সূফিতাত্ত্বিক গবেষক
No comments:
Post a Comment