অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর সৃষ্টিশীল কাজে আগ্রহ থাকলে, মাথায় ব্যর্থতার বোঝা নিয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই। সৃজনশীলতার মাধ্যমে জড়াকে সরিয়ে নিজেই হয়ে উঠতে পারেন সার্থক ব্যক্তিত্ব বা উদ্যোক্তা। আকাঙ্খা, নতুনত্ব, ব্যবসায়িক বুদ্ধি, রুচিবোধ, গ্রাহকের মানসিকতা, সৃজনশীলতা থাকলে আপনিও হতে পারেন একজন সফল কর্ণধার।
যে কোন কাজ শুরুর আগে সে কাজ সম্পর্কে ভাল ধারণা নেয়া উচিত। তাই কিসের ব্যর্থতা ? ব্যর্থতা কেন ? কি কারণে ব্যর্থতা ? ব্যর্থতার সমাধানের উপায়, এগুলো নির্বাচন বা গবেষণা করা ব্যর্থতা কাটানোর প্রাথমিক ধাপ।
ব্যর্থতা কখনই হটাৎ আসে না। একে আমরা নিজেরাই ডেকে আনি। ব্যর্থতা মেনে নেয়া সহজ নয়। বিশেষ করে অনেক পরিশ্রমের পরও যদি কাঙ্খিত ফলাফল না আসে, তখন হতাশা তো আসবেই। ব্যর্থতা মানে সব কিছু থমকে যাওয়া নয়।
তাই আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ব্যর্থতাই শেষ কথা নয়। ধৈর্য এবং চেষ্টা থাকলে সাফল্য আসতে বাধ্য। ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠার বিশেষ কিছু পরামর্শ থাকল এখানে।
ব্যর্থতার পর কিছুদিন মন খারাপ হয়ে চলতে পারে। কিন্তু নিজেকে কখনই দোষারোপ করবেন না।
যা হয়েছে তা ভোলার চেষ্টা করুন, ভুলে গিয়ে নতুনভাবে সব কিছু শুরু করুন।
ব্যর্থতার পরে বাহিরে কিছুদিন কাটিয়ে আসুন। সুন্দর ও মনভুলানো জায়গা থেকে ঘুরে আসুন।
ব্যর্থতার পর নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করুন। নিজের মাঝে নতুনত্ব আনুন।
এই দিনগুলোয় নিজেকে একটু বেশি সময় দিন। দরকার হলে ভিড়ভাট্টা থেকে সরে গিয়ে একা সময় কাটান বা ছেলেবেলার বন্ধু বা খুব আপন কারও সঙ্গে ফোনে গল্প করুন। বই পড়া, গান শোনা বা নিজের ব্যক্তিগত কোন শখ নিয়ে সময় কাটালেও মন ভাল রাখবে।
যদি মন ভাল না থাকে, তবুও নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, এক্সারসাইজ, কোনটাই বাদ দেয়া যাবে না।
মনোসংযোগের জন্য মেডিটেশন করতে পারেন। এটি খুব কাজ দেয়।
প্রথমেই ব্যর্থতার গোষ্ঠী উদ্ধারের হিসেবে না গিয়ে নিজেকে কিছুটা সময় দিন।
রাগ, ফ্রাস্ট্রেশন, দুঃখ, হতাশা- যে ধরনের অনুভূতিই মনে আনাগোনা করুক না কেনো, তা চেপে রাখবেন না। কিছুটা সময় এই অনুভূতির সঙ্গে মোকাবিলা করলে, আস্তে আস্তে মনে জোর ফিরে পাবেন।
ঠান্ডা মাথায় ভাবুন আপনি কোথায় ভুল করেছেন। সেই সঙ্গে কী করলে উন্নতি হবে সেই প্লানিংও করে ফেলুন।
পুরো ঘটনাটা ডায়েরিতে লিখে ফেলুন। কোন কথাই গোপন রাখবেন না। পুরো ব্যাপারটা লিখে ফেলার পর মন একটু হালকা হবে। তার চেয়েও বড় ব্যাপার হলো, যে বেশ কিছুদিন কেটে যাবার পর ডায়েরি পড়লে পুরো ব্যাপারটা একটু নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পাবেন। কোথায় ভুল হয়েছে, কে দায়ী, কোন কর্মপদ্ধতি মেনে চলায় সমস্যা হয়েছে ইত্যাদি খুঁটিনাটি অনেক স্বচ্ছভাবে বুঝতে পারবেন।
কাজের পরিবেশে ফিরে আসার কিছুদিন পর নিজের ভুলগুলো পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করুন। আপনার টিমের অন্যান্য সদস্য এবং অভিজ্ঞ কর্মচারীদের সঙ্গে মিটিং করেও ব্যাপারটা নিয়ে পর্যালোচনা করতে পারেন।
নিজের দোষত্রুটিগুলো স্বীকার করে নিন। আর কোথায় কী ভুল হয়েছে সেটাও ভাল করে বুঝে নিন।
খেয়াল রাখবেন মিটিংয়ে যেন একে অপরকে দোষারোপ করা না হয়। পারস্পরিক দোষারোপ করলে টিমের একতা আরও খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পুরনো ব্যর্থতা থেকে যে শিক্ষাটা পেয়েছিলেন, তা ভুলে না গিয়ে ভবিষ্যতে কাজে লাগান। নিজের ব্যক্তিগত ডায়েরিতে জরুরী তথ্যগুলো টুকে রাখুন। নতুন কাজে হাত দেয়ার আগে সেই পয়েন্টগুলো ঝালিয়ে নিন। কাজের প্রত্যেক ধাপেই এই ক্রসচেকিং করলে আপনার আরও বাড়তি সুবিধা হবে।
^
^
ব্যর্থতা কাটানোর টিপস, উপায়, ব্যর্থতা, পদ্ধতি, দূর করা, ভুল, ঠিক
No comments:
Post a Comment