ইয়াবা : ভয়ানক কিছু তথ্য

বর্তমান সমা‌জে ইয়াবা এক‌টি অ‌স্থিরতার নাম। এ‌টি মূলত ভয়ংকর নেশা জাতীয় ট্যাব‌লেট। যা সেবনকারীর ম‌স্তিষ্ক‌কে বিকৃত ক‌রে দি‌তে সাহায্য ক‌রে। ত‌বে এ‌টি যে দেশ থে‌কে উৎপা‌দিত হয়; সেই দে‌শের হা‌তে গোনা কিছু লোক ব্য‌তিত অন্য সবাই এই নেশা থে‌কে বিরত থা‌কে।
ইয়াবা মূলত মায়ানমারের শান প্রদেশে পাহাড়ে ঘোড়াদের খাওয়ানো হতো।
কেননা ঘোড়া পাহাড়ে কোন গাড়ি সহজে টানতে চাইত না, পরে ঘোড়াকে পাগলা করে দিতে বার্মিজরা এই ড্রাগ তৈরি করে।
থাইল্যান্ডে এর নাম ম্যাড ড্রাগ, ইন্ডিয়াতে নাম ভুলভুলাইয়া আর বাংলাদেশে বাবা! এছাড়াও নাজি, স্পিড, হিটলার্স ড্রাগ, চকোলি নামেও এটি পরিচিত। এই ঘোড়ার ট্যাবলেট পরবর্তীতে প্রচন্ড কায়িক শ্রম করে এমন মানুষরা নেয়া শুরু করে এবং এরপর এটা থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের প্রষ্টিটিউটরা নিতে শুরু করে। বার্মা এর মূল তৈরির স্থান হলেও তারা কেবল এক্সপোর্ট করে, সেবনকারীর সংখ্যা সেখানে কম কারন তারা জানে জিনিসটা কি ভয়ংকর ক্ষ‌তিকারক এবং কতটা খারাপ।

ইয়াবার ভয়াবহ রাসায়নিক উপকরণঃ
ইয়াবার মূল উপাদান মেথামফেটামিন ও ক্যাফেইন। মেথামফেটামিন জিনিসটা দিয়ে তৈরি একটা ট্যাবলেট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈন্যদের জাগিয়ে রাখতে ব্যবহার করা হত এবং ১৯৫০ এর দিকে জাপানে মেথামফেটামিন ব্যাপকভাবে ব্যাবহৃত হয়েছে। বর্তমানে যে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি হয় তাতে মেশানো হয় হাইড্রোক্লোরিক এসিড, এসিটোন (যা মূলত নেইল পলিশ রিমুভার), রেড ফসফরাস, ব্যাটারির লিথিয়াম ও সালফিউরিক এসিড। এসব ক্যা‌মিক্যাল মানব দেহ‌কে অ‌কেজো ক‌রে দি‌তে সর্বদা স‌চেষ্ট।

ইয়াবার কেন ভয়াবহ?
মেথামফেটামিন ও ক্যাফেইন হল দুটি মস্তিস্কের উত্তেজক পদার্থ। ইয়াবা সেবনে মুলত এই মেথামফেটামিন ও ক্যাফেইন সেবনকারীকে বেপরোয়া করে দেয়। এটা সেব‌নে তালপাতার সেপাইও নিজেকে মহাবীর আলেকজান্ডার ভাবা শুরু করে এবং যে কোন অপরাধ করার সিদ্ধান্তে যেতে তার বিবেক বাধা দেয়না।

ইয়াবার সাইড ইফেক্টঃ
বলা হয় যে একটা দুইটা ইয়াবা সেবন করলেই মস্তিস্কের কিছু ছোট রক্তনালী নষ্ট হয় এবং নিয়মিত করলে, খুব অল্প বয়সে ব্রেইন ষ্ট্রোক করে প্যারালাইজড বা চলাচলে অক্ষম হওয়ার সম্ভাবনা ৯৫%। এছাড়া ওজন কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, হ্যালুসিনেশন, উন্মাদের মত আচরন, গোয়ার্তুমি এবং পুরুষত্ব হারানো ও বন্ধ্যাত্ব হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও পা‌রিবা‌রিক কলহ-‌বি‌চ্ছেদ অবস্বাম্ভাবী। এটা সেবনে ৩৫-৪৫ বছর বয়‌সের মধ্যেই একটা ষ্ট্রোক আর তিলেতিলে নিজের দেহ নিঃশেষ হওয়া দেখার জন্য তৈরি থাক‌তে হ‌বে।

No comments:

Post a Comment