ধর্ষক ধর্মগুরু রাম রহিমকে প্রণাম জানিয়েছিলেন মোদি!

রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে নাকি ভারতে ধর্ষণের দায়ে শাস্তি পাওয়া গুরু রাম রহিমকে প্রণাম করেছিলেন খোদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্রে মোদি। খবর আনন্দ বাজারের।
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় দৈনিকটির অনলাইন একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে নিজ দলকে ক্ষমতায় আনতে ডেরা সচ্চা সওদার গুরমিত রাম রহিম সিংহকে ‘প্রণাম’ জানিয়েছিলেন মোদি। উদ্দেশ্য ছিল, রাম রহিমের বিশাল ভক্তকুলকে বিজেপির ভোটব্যাংক বানানো।
এ প্রণাম রাজনীতিতে ফলও পেয়েছিলেন মোদি। ২০১৪-র অক্টোবরে হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের বদলে বিজেপি-কে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেন রাম রহিম। এর ফলে রাজ্যে প্রথম বার ক্ষমতায় আসে বিজেপি। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হন মনোহরলাল খট্টর।
অভিযোগ উঠেছে, বিজেপির পরোক্ষ সমর্থন ছিল বলেই রাম রহিমের অনুসারীরা তাকে শাস্তি দেয়ার পর রাজ্যে তাণ্ডব চালাতে পেরেছে।
তবে ঘটনা আরও স্মার্টলি হ্যান্ডেল করতে না পারায় খট্টরের ওপর খুশি নন মোদি।
এক টুইট বার্তায় মোদি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন ২৪ ঘণ্টা নিরলস কাজ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে।
এদিকে নিজেদের ফায়দার জন্য বিজেপি ধর্ষক গুরুকে সমর্থন ও তার অনুসারীদের তাণ্ডব চালাতে সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী। এছাড়া হরিয়ানার শান্তি বজায়ের আবেদন জানিয়েছেন সনিয়া গান্ধী।
বিরোধীদের অভিযোগ, পরিস্থিতি যে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে, সেটা তো বোঝাই যাচ্ছিল। তা হলে আগে থেকেই কেন ব্যবস্থা নিল না সরকার! কেন ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও ২০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে হরিয়ানার সিরসা থেকে পঞ্চকুলার আদালত পর্যন্ত আসতে দেয়া হলো রাম রহিমকে? কেন জড়ো হতে দেয়া হলো তার ভক্তকুলকে?
অনেকের মতে, এ সবই ভোটের টানে। বছর দুয়েকের মাথায় ফের হরিয়ানায় ভোট। তার আগে লোকসভা নির্বাচন। তারও আগে হিমাচল, রাজস্থানে ভোট। সর্বত্রই রাম রহিমের দলিত ভক্তদের সমর্থনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিজেপি।

No comments:

Post a Comment