সুস্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ডি জরুরি একটি পুষ্টি উপাদান বা ভিটামিন। সূর্যের সংস্পর্শে ও সঠিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে দেহে এর সঠিক মাত্রা বজায় রাখা খুব জরুরি। আবার খাদ্যে ভিটামিন ডি'র অপ্রতুলতা এবং সূর্যরস্মির অভাবে অনেকের শরীরেই ভিটামিন ডির ঘাটতি হয়। ফলে মানব দেহে দেখা দেয় নানান জটিলতা।
বিজ্ঞানীদের মতে, মানব শরীরে ভিটামিন ডি (D)-এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে। যেমন: হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায়, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এসব ছাড়াও ভিটামিন ডি শরীরে আরও যেসব কাজে লাগে, সেগুলোর কথা জানানো হলো।
হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায়
হাড়ের সুস্থতায় ভিটামিন ডি-এর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের রক্তে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি নেই, তাঁদের হাড়ের ক্ষয় অনেক দ্রুত হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি শরীরে থাকলে তাঁদের হাড় ভাঙার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। ভিটামিন ডি হাড়ের প্রয়োজনীয় মিনারেলস শোষণে সাহায্য করে। তাই হাড় সুগঠনে ভিটামিন ডি-এর তুলনা নেই।
হাড়ের সুস্থতায় ভিটামিন ডি-এর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের রক্তে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি নেই, তাঁদের হাড়ের ক্ষয় অনেক দ্রুত হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি শরীরে থাকলে তাঁদের হাড় ভাঙার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। ভিটামিন ডি হাড়ের প্রয়োজনীয় মিনারেলস শোষণে সাহায্য করে। তাই হাড় সুগঠনে ভিটামিন ডি-এর তুলনা নেই।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি টাইপ-ওয়ান ও টাইপ-টু উভয় প্রকার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। অল্প বয়সেই যদি পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি দেহে সরবরাহ করা যায়, তাহলে ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিসের আশঙ্কা প্রায় ২৯ ভাগ কমানো সম্ভব। ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি টাইপ-ওয়ান ও টাইপ-টু উভয় প্রকার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। অল্প বয়সেই যদি পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি দেহে সরবরাহ করা যায়, তাহলে ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিসের আশঙ্কা প্রায় ২৯ ভাগ কমানো সম্ভব। ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ভিটামিন ডি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষা করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যাঁদের রক্তে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত মাত্রায় থাকে, তাঁরা অনেক শারীরিক ব্যায়াম ও পরিশ্রম করতে পারেন। এটি হৃদরোগের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। সাম্প্রতিক দুটি গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি কোলেস্টেরল ও ব্লাড প্রেশারের ঝুঁকি অনেকখানি কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ডি শরীরে থাকলে সেটি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ডি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষা করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যাঁদের রক্তে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত মাত্রায় থাকে, তাঁরা অনেক শারীরিক ব্যায়াম ও পরিশ্রম করতে পারেন। এটি হৃদরোগের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। সাম্প্রতিক দুটি গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি কোলেস্টেরল ও ব্লাড প্রেশারের ঝুঁকি অনেকখানি কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ডি শরীরে থাকলে সেটি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
বিষণ্ণতা কমাতে জরুরি
গবেষণায় দেখা গেছে, দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির সঙ্গে মানসিক বিষণ্ণতার সম্পর্ক রয়েছে। দেহে ভিটামিন ডি কম থাকলে সেটি বিষণ্ণতা সৃষ্টি করে। ভিটামিন ডি বিষণ্ণতার প্রবণতা এবং লক্ষণগুলো কমাতে বা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির সঙ্গে মানসিক বিষণ্ণতার সম্পর্ক রয়েছে। দেহে ভিটামিন ডি কম থাকলে সেটি বিষণ্ণতা সৃষ্টি করে। ভিটামিন ডি বিষণ্ণতার প্রবণতা এবং লক্ষণগুলো কমাতে বা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
মাংসপেশিতে শক্তি বাড়ায়
মাংসপেশির বৃদ্ধি ও শক্তি জোগাতে ভিটামিন ডি অনেক জরুরি। বিশেষ করে বয়স্কদের দেহে ভিটামিন ডি কম থাকলে তাঁদের মাংসপেশি অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। অল্প বয়সে ভিটামিন ডি দেহে সুনির্দিষ্ট মাত্রায় থাকলে মাংসপেশি শক্তিশালী হয়। এটি বয়স্ক অবস্থায়ও সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
মাংসপেশির বৃদ্ধি ও শক্তি জোগাতে ভিটামিন ডি অনেক জরুরি। বিশেষ করে বয়স্কদের দেহে ভিটামিন ডি কম থাকলে তাঁদের মাংসপেশি অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। অল্প বয়সে ভিটামিন ডি দেহে সুনির্দিষ্ট মাত্রায় থাকলে মাংসপেশি শক্তিশালী হয়। এটি বয়স্ক অবস্থায়ও সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া আরো নানা ধরনের কাজে ভিটামিন ডি সাহায্য করে। যেমন:
* অ্যাজমার ঝুঁকি কমায়।
* সাধারণ সর্দি-কাশির প্রবণতা কমায়।
* অপারেশনের পর দ্রুত আরোগ্যলাভে সাহায্য করে।
* সুস্থ সন্তান জন্মদানে সাহায্য করে।
* বয়স্ক অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে।
* এ ছাড়া মেজাজ ভালো রাখতে ভিটামিন ডি জরুরি।
* অ্যাজমার ঝুঁকি কমায়।
* সাধারণ সর্দি-কাশির প্রবণতা কমায়।
* অপারেশনের পর দ্রুত আরোগ্যলাভে সাহায্য করে।
* সুস্থ সন্তান জন্মদানে সাহায্য করে।
* বয়স্ক অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে।
* এ ছাড়া মেজাজ ভালো রাখতে ভিটামিন ডি জরুরি।
কোনোরকম লক্ষণ দেখা দিলে; সবচেয়ে ভালো হয়, চিকিৎসকের পরামর্শে রক্তে এর মাত্রা পরীক্ষা করে দেখলে ও চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনীয় সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে। সেইসঙ্গে ভালো হয় ভিটামিন ডি যুক্ত তেল, মাছ, ডিমের কুসুম ও দুধ খেলে। এ ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টার পর ও দুপুর ১টার মধ্যে কিছু সময়ের জন্য রোদে গেলে।
ভিটামিন ডিয়ের ঘাটতি হয় যেসব কারণে
ভিটামিন ডি চর্বিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন। এটি সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খুব অল্প সংখ্যক খাবারই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। যেসব খাবারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সেটি আমাদের দেশের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় খুবই কম থাকে। যেমন- তৈলাক্ত মাছ, কিছু কিছু উন্নত প্রজাতির মাশরুম, কলিজা প্রভৃতি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার। তবে সূর্য থেকে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি শরীরে তৈরি হয়। অর্থাৎ সূর্যই হলো ভিটামিন ডির সবচেয়ে ভালো উৎস।
ভিটামিন ডি শরীরের বিভিন্ন কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর অভাবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে যেকোনো বয়সী মানুষ।
ভিটামিন ডি শরীরের বিভিন্ন কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর অভাবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে যেকোনো বয়সী মানুষ।
যেসব কারণে ভিটামিন ডির ঘাটতি হতে পারে, তাদের মধ্যে নিম্ন লিখিত কারণগুলো উল্ল্যেখযোগ্য। যেমন:
• শরীরের রং বেশি কালো হওয়া
• বয়স্ক হলে
• অতিরিক্ত ওজন
• পর্যাপ্ত মাছ বা দুধ না খাওয়া
• অতিরিক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা
• সবসময় ঘরে বসে থাকা ইত্যাদি অন্যতম।
তামান্না চৌধুরী
প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল।
প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল।
No comments:
Post a Comment