বর্তমানে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা প্রতিকারে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নয়তো রোগ জটিল পর্যায়ে যেতে পারে। এ নিয়ে এনটিভির ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন ডা. আফসানা বেগম। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাটি কোন পর্যায়ে আছে, এটি বোঝার জন্য আপনারা কী করে থাকেন?
উত্তর : আমরা প্রথমে সাধারণত বলি, জীবনযাপনের ধরন ঠিক করতে। প্রথমে আমরা কোনো পরীক্ষায় যাই না। শুধু লক্ষণ দেখে চিকিৎসা দিই। যেমন আমরা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ রেনিডিটিন দিতে পারি। ওমিপ্রাজল দিতে পারি। আর বলি, জীবনযাপনের ধরন যদি আপনারা ঠিকমতো পালন করেন, তাহলে সমস্যাগুলো কমে যাবে। তারপরও যদি দেখা যায় সমস্যা চলতে থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা এন্ডোস্কোপি করতে বলি। তবে কিছু ক্ষেত্রে রোগী প্রথম এলেই আমরা এন্ডোস্কোপি করতে দিই। যেমন দেখা যায়, খুব বেশি ব্যথা। অথবা আমরা হাত দিয়ে যদি কোনো কিছু অনুভব করি। যদি দেখা যায় যে খুব মারাত্মক পেটে ব্যথা থাকছে, সে ক্ষেত্রে শুরুতেই এন্ডোস্কোপি করতে বলি। এন্ডোস্কোপির সঙ্গে আরেকটি কথা বলি, আলট্রাসনোগ্রাফিও আমরা করি, গলব্লাডারে পাথর আছে কি না দেখার জন্য। অনেক সময় এটিও ছাড়াও কেউ কেউ এন্ডোস্কোপি করতে অনেক ভয় পায়। এন্ডোস্কোপি করাবে চিকিৎসক—অনেকে এই ভয়েও ডাক্তারের কাছে আসে না।
উত্তর : আমরা প্রথমে সাধারণত বলি, জীবনযাপনের ধরন ঠিক করতে। প্রথমে আমরা কোনো পরীক্ষায় যাই না। শুধু লক্ষণ দেখে চিকিৎসা দিই। যেমন আমরা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ রেনিডিটিন দিতে পারি। ওমিপ্রাজল দিতে পারি। আর বলি, জীবনযাপনের ধরন যদি আপনারা ঠিকমতো পালন করেন, তাহলে সমস্যাগুলো কমে যাবে। তারপরও যদি দেখা যায় সমস্যা চলতে থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা এন্ডোস্কোপি করতে বলি। তবে কিছু ক্ষেত্রে রোগী প্রথম এলেই আমরা এন্ডোস্কোপি করতে দিই। যেমন দেখা যায়, খুব বেশি ব্যথা। অথবা আমরা হাত দিয়ে যদি কোনো কিছু অনুভব করি। যদি দেখা যায় যে খুব মারাত্মক পেটে ব্যথা থাকছে, সে ক্ষেত্রে শুরুতেই এন্ডোস্কোপি করতে বলি। এন্ডোস্কোপির সঙ্গে আরেকটি কথা বলি, আলট্রাসনোগ্রাফিও আমরা করি, গলব্লাডারে পাথর আছে কি না দেখার জন্য। অনেক সময় এটিও ছাড়াও কেউ কেউ এন্ডোস্কোপি করতে অনেক ভয় পায়। এন্ডোস্কোপি করাবে চিকিৎসক—অনেকে এই ভয়েও ডাক্তারের কাছে আসে না।
এটি ছাড়াও একটি পরীক্ষা আছে। একে বলা হয়, ইউরিয়া ব্রেথ টেস্ট। এটি আগে আমাদের দেশে হতো না। এখন অনেক হাসপাতালেই এই পরীক্ষা হচ্ছে। এই পরীক্ষায় সুবিধা হলো কিছু ওষুধপত্র বন্ধ করতে হয়। কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, গ্যাস্ট্রিকের কিছু ওষুধ বন্ধ রাখতে হবে। এটা নন-ইনভেসিভ। কোনো কিছু মুখের ভেতর ঢোকানো হবে না। শুধু কার্বন খাওয়ানো হবে এবং আধা ঘণ্টা পর নিশ্বাসের একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। দুটো পরীক্ষারই উদ্দেশ্য একটি যে পেটে কোনো জীবাণু আছে কি না দেখা। একটি ব্যাকটেরিয়া আছে—হেলিকোব্যাকটোপাইলোরি। এটা খুব প্রচলিত। তবে সবার ক্ষেত্রে এটা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা করে না। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে করে। তবে যদি পরীক্ষা করে এটি পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করে থাকি। এই চিকিৎসার পর অনেক রোগীই কিন্তু ভালো হয়ে যায়।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা অবস্থা বুঝে প্রথমেই এন্ডোস্কোপি করি। তবে রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজল এগুলো আবিষ্কারের পর গ্যাস্ট্রিক আলসারের পরিমাণ অনেক কমেছে।
এরপরও কিছু কিছু গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগী পাওয়া যায়। তবে এগুলো কিন্তু ভালো নয়। সে ক্ষেত্রে হতে পারে এটা আলাসার। অথবা সে কখনো গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খায়নি। অথবা এগুলো ক্যানসারের দিকে টার্ন নেয়। সেগুলোর ক্ষেত্রে এন্ডোস্কোপি করা ছাড়া বিকল্প নেই।
No comments:
Post a Comment