টেলিভিশন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে পণ্যসামগ্রী কিনে হরহামেশাই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ভোক্তারা। শুধু তাই নয়, পণ্যের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরামূল্য উল্লেখ থাকার পরও দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানভেদে একই পণ্য বিভিন্ন দামে বিক্রি হতে দেখা যায়। এভাবে নানাভাবে রোজ প্রতারিত হচ্ছেন দেশের সাধারণ ভোক্তারা।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরেও ঝামেলার কথা চিন্তা করে ভোক্তারা কারো কাছে কোন কিছুর অভিযোগ করে না। অনেক ভোক্তা তো জানেই না যে এসব নিয়ে কোথাও অভিযোগ করা যায়। আর এর ফলে পার পেয়ে যায় অসাধু ব্যবসায়ীরা।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরেও ঝামেলার কথা চিন্তা করে ভোক্তারা কারো কাছে কোন কিছুর অভিযোগ করে না। অনেক ভোক্তা তো জানেই না যে এসব নিয়ে কোথাও অভিযোগ করা যায়। আর এর ফলে পার পেয়ে যায় অসাধু ব্যবসায়ীরা।
অবশ্য কিছু ক্ষেত্রে অনেক ভোক্তা অভিযোগ দায়ের করতে চাইলেও কোথায় অভিযোগ করবে তা জানে না।
এসব সমস্যা বা প্রতারণা থেকে ভোক্তাদের বাঁচাতে আছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতারণার শিকার ভোক্তাদের আইনি সহায়তা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের ফলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগের পরিমাণ দিন দিন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০১৬ সালে অধিদপ্তরের এক হাজার ৬২২টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ১০৫টি অভিযোগ ছাড়া বাকি সবই নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগগ্রহণকারী শেখ মোহাম্মদ রাসেল এনটিভিকে জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই জমা পড়েছে ২০০টি অভিযোগ। প্রায় প্রতিদিনই ৫০-৬০টি অভিযোগ জমা পড়ছে।
রাসেল জানান, এখানে মামলা করতে গেলে কোনো আইনজীবীর প্রয়োজন হয় না। নির্দিষ্ট একটি আবেদন ফরম রয়েছে। এটি পূরণ করে মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করতে হয়। তবে সঙ্গে পণ্য ক্রয়ের চালানপত্র, চালানপত্রের ছবি বা অন্য যেকোনো প্রমাণ থাকতে হয়।
অভিযোগ পাওয়ার পর তা বিচারের জন্য মহাপরিচালক বরাবর ডাকের মাধ্যমে পাঠানো হয়। মহাপরিচালক অভিযোগ পর্যবেক্ষণ করে রায় দেন। রায়ে অভিযুক্ত বিক্রেতা বা ব্যবসায়ীকে অপরাধ অনুযায়ী জরিমানা করা হয়। জরিমানা আদায়ের পর তার ২৫ শতাংশ পান অভিযোগকারী ভোক্তা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করার নিয়মঃ
ভোক্তা অধিকারবিরোধী কোনো কার্মকাণ্ড সংঘটিত হলে যেকোনো ভোক্তা, একই স্বার্থসংশ্লিষ্ট এক বা একাধিক ভোক্তা, সরকারি নিবন্ধিত কোনো ভোক্তা সংস্থা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বা তার পক্ষে অভিযোগ দায়েরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা, সরকার বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা সংশ্লিষ্ট পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।
ভোক্তা অধিকারবিরোধী কোনো কার্মকাণ্ড সংঘটিত হলে যেকোনো ভোক্তা, একই স্বার্থসংশ্লিষ্ট এক বা একাধিক ভোক্তা, সরকারি নিবন্ধিত কোনো ভোক্তা সংস্থা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বা তার পক্ষে অভিযোগ দায়েরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা, সরকার বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা সংশ্লিষ্ট পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।
অভিযোগ দায়েরের সময়সীমাঃ
কোনো ভোক্তা প্রতারণার শিকার হলে তাকে সেই দিন থেকে শুরু করে ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। অন্যথায় অভিযোগটি গ্রহণযোগ্য হবে না।
কোনো ভোক্তা প্রতারণার শিকার হলে তাকে সেই দিন থেকে শুরু করে ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। অন্যথায় অভিযোগটি গ্রহণযোগ্য হবে না।
অভিযোগকারী জরিমানার ২৫ শতাংশ পাবেঃ
দায়েরকৃত আমলযোগ্য অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত এবং জরিমানা করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগকারী ভোক্তা জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ পাবে।
দায়েরকৃত আমলযোগ্য অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত এবং জরিমানা করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগকারী ভোক্তা জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ পাবে।
অভিযোগ দায়েরের নিয়মঃ
দায়েরকৃত অভিযোগ লিখিত উপায়ে করতে হবে। তবে সেটা ফ্যাক্স, ই-মেইল, ওয়েব সাইটের মাধ্যমে বা অন্য যেকোনো উপায়ে হতে পারে। অভিযোগের সঙ্গে পণ্য ক্রয়ের রশিদ বা রশিদের ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
অভিযোগকারীকে অভিযোগে তাঁর পূর্ণাঙ্গ নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল আইডি (যদি থাকে) এবং পেশা উল্লেখ করতে হবে।
দায়েরকৃত অভিযোগ লিখিত উপায়ে করতে হবে। তবে সেটা ফ্যাক্স, ই-মেইল, ওয়েব সাইটের মাধ্যমে বা অন্য যেকোনো উপায়ে হতে পারে। অভিযোগের সঙ্গে পণ্য ক্রয়ের রশিদ বা রশিদের ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
অভিযোগকারীকে অভিযোগে তাঁর পূর্ণাঙ্গ নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল আইডি (যদি থাকে) এবং পেশা উল্লেখ করতে হবে।
অভিযোগ দায়েরের ঠিকানাঃ
** মহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,
** মহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,
১ কারওয়ান বাজার (টিসিবি ভবন-৮ম তলা), ঢাকা,
মোবাইল : ০১৭৭৭-৭৫৩৬৬৮, ফ্যাক্স : +৮৮০২ ৮১৮৯৪২৫।
অথবা ই-মেইল করতে পারেন nccc@dncrp.gov.bd এই ঠিকানায়
অথবা ই-মেইল করতে পারেন nccc@dncrp.gov.bd এই ঠিকানায়
এ ছাড়া আরো যেসব ঠিকানায় অভিযোগ করা যাবে সেগুলো হলোঃ
** জাতীয় ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র, টিসিবি ভবন- ৯ম তলা, ১ কারওয়ান বাজার ঢাকা,
ফোন : ০১৭৭৭ ৭৫৩৬৬৮।
** উপপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টিসিবি ভবন, বন্দরটিলা, চট্টগ্রাম,
ফ্যাক্স : +৮৮০৩ ১২৮৬৮৯৮৯
** উপপরিচালক, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, শ্রীরামপুর, রাজশাহী,
ফ্যাক্স : +৮৮০৭ ২১৭৭২৭৭৪
** উপপরিচালক, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টিসিবি ভবন, শিববাড়ী মোড়, খুলনা,
ফ্যাক্স : +৮৮০ ৪১৭২৪৬৮২
** উপপরিচালক, বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মহিলা ক্লাব ভবন, বরিশাল,
ফ্যাক্স : +৮৮০৪ ৩১৬২০৪২
** উপপরিচালক, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, সিলেট
ফ্যাক্স : +৮৮০৮ ২১৭২৮৬৯৫
** উপপরিচালক, রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিউ ইঞ্জিনিয়ারপাড়া, রংপুর,
ফ্যাক্স : +৮৮০৫ ২১৫৫৬৯১৯২
অধিদপ্তরের এসব কার্যালয় ছাড়াও প্রত্যেক জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও অভিযোগ দায়ের করা যাবে।
@ভোক্তা , #অধিকার , #ভোক্তার , #অভিযোগ
No comments:
Post a Comment