শীত এলেই ত্বক হারায় শুষ্কতা। স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ত্বকে চলে আসে শুষ্ক ভাব।
এ সময় ত্বকের যত্নে দরকার পরিপূর্ণ ময়েশ্চার। ত্বক সহজেই শুষ্ক হয়ে পড়লে নির্দিষ্ট সময় পরপর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নেওয়া ভালো। কিন্তু সেই সঙ্গে জেনে রাখা চাই ত্বকের ধরন এবং সে অনুযায়ী যত্ন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
তৈলাক্ত ত্বকে সহজেই চিটচিটে ভাব দেখা দেয়। অতিরিক্ত তেলতেলে বা চিটচিটে ভাব চলে এলে দুই-একবার ক্লিনজিং ও টোনার ব্যবহার করা প্রয়োজন। মুখে, হাতে ও পায়ে তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী ক্রিম ব্যবহার করুন। দিনে দুবার মুখের ত্বকে ফেসিয়াল তেল মালিশ করতে পারেন। ক্লিনজিং ও টোনিংয়ের পর লেটুস পাতার রস, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট বাদে ধুয়ে ফেলুন।
এ ছাড়া আনারস, আপেল ও পেঁপের সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
শুষ্ক ত্বকের জন্য
ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়লে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নেওয়া ভালো। লিপবাম ব্যবহার করুন। হাত-পায়ে লাগিয়ে নিন ময়েশ্চারাইজার লোশন। ময়েশ্চারাইজিংয়ের ক্ষেত্রে অয়েল ফ্রি প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। ভিটামিন-ই অয়েল ১/২ চামচ, ১/২ চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে প্রতিদিন লাগাতে পারেন। ত্বকে পুষ্টি জোগাতে ডিমের কুসুম, ১ চা-চামচ মধু, আধা চামচ অলিভ অয়েল ও গোলাপজল মিশিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাক ট্রাই করুন।
মিশ্র প্রকৃতির ত্বকের জন্য
মিশ্র প্রকৃতির ত্বকের ক্ষেত্রে চাই সঠিক নজরদারি। দিনে দুবার ত্বক পরিষ্কার করে টোনার ব্যবহার করুন। অবশ্যই প্রতিদিন ক্লিনজিংয়ের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এরপর ত্বক উপযোগী ক্রিম লাগিয়ে নিন। প্রয়োজনে ময়েশ্চারাইজার দিনে তিনবারও লাগানো যেতে পারে। সেদ্ধ কুমড়া চটকে তার সঙ্গে পরিমাণ মতো দুধ ও মধু মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগান। সপ্তাহে তিন দিন এই প্যাক ট্রাই করতে পারেন।
কিছু বাড়তি সচেতনতা
শীতে ত্বকের যত্নে ভালো ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। বাদাম তেল বা এভাকাডো সমৃদ্ধ ময়েশ্চার কিনুন। প্রাত্যহিক গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
No comments:
Post a Comment