ব্লগার থেকে সফল ব্যবসায়ী এক তরুণী

মাত্র ১৪ বছর বয়সে ব্লগিং শুরু করেন সুইস তরুণী ইসাবেলা লয়েনগ্রিপ। তবে সব বিষয়ে নয়, তিনি শুধু লাইফস্টাইল বিষয়েই ব্লগিং করতেন।
২০০০ সালের দিকে শুরু করা তার সেই ব্লগিংকে সে সময় কেউই গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি।
সে সময় কেউ তাকে গুরুত্ব না দিলেও ইসাবেলা নিজের মতো করে ব্লগিং চালিয়ে যান। নিজের লাইফস্টাইল ব্লগে তিনি বিভিন্ন কনটেন্ট দিয়ে অনলাইনে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। সে সময়টিতে ব্লগিং সেভাবে জনপ্রিয় ছিল না। প্রধান মিডিয়াগুলো ব্লগারদের দেখে যেন হাসাহাসি করত।

ব্লন্ডিনবেলা নামে ব্লগে ইসাবেলা নিজের বয়সীদের জন্য রূপচর্চ্চা, লাইফস্টাইল ইত্যাদি নানা বিষয়ে আকর্ষণীয় কনটেন্ট দিতে থাকেন। ক্রমে তার ব্লগ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বেশ কয়েকটা ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশিত হয় তার ব্লগ। ইংরেজি, জার্মান, ফ্রেঞ্চ ও আরবি ভাষায় তার ব্লগ এখন পাওয়া যায়।

প্রতি সপ্তাহে প্রায় দেড় মিলিয়ন মানুষ অনলাইনে তার ব্লগ দেখতে লগইন করে। আর এ বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জিত হওয়ার পর বিষয়টিকে তিনি আর শুধু ব্লগিংয়েই সীমাবদ্ধ রাখেননি।
তিনি বলেন, ‘আমি আমাকে একজন লেখকের চেয়েও উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে পাই। ’
অল্প বয়সে তিনি যখন ব্লগিং শুরু করেন তখনই বিজ্ঞাপন ও স্পন্সরের বিষয়গুলো নিজের আয়ত্বে এনেছিলেন ইসাবেলা। এবার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একে কিভাবে আরও ব্যবসায় নিয়ে যাওয়া যায় সে সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করেন।

২০১২ সালে ইসাবেলা তার নিজের প্রসাধন সামগ্রীর ব্র্যান্ড লোয়েনগ্রিপ কেয়ার অ্যান্ড কালার (এলসিসি) প্রতিষ্ঠা করেন। এটি গত বছর সুইডেনের সবচেয়ে দ্রুত বিকাশমান প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পায়।
এ প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মধ্যে রয়েছে ফেসিয়াল ক্রিম, মাসকারা, শ্যাম্পু ও বডি লোশন। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ৩৫ মিলিয়ন সুইডিস ক্রোনার সামগ্রী বিক্রি করে।
এরপর ইসাবেলা আরও ব্যবসা করতে চান। এ বছর তিনি জুতা, পোশাক, বিনিয়োগ কোম্পানি ও পার্সোনাল ফাইন্যান্স বিষয়ে প্রতিষ্ঠান করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

কিভাবে একটি ব্লগ থেকে সফল ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা হলেন ইসাবেলা? এ প্রসঙ্গে ২৭ বছর বয়সী ইসাবেলা বলেন, ‘আমি এত বছরে বহু বিষয় শিখেছি। আমি ভুলগুলোর জন্য আনন্দিত এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়েছি। মানুষে কি চিন্তা করল তা নিয়ে না ভেবে লাফিয়ে ঘোড়ায় চড়তে হবে। ’
বর্তমানে ২৭ বছর বয়সী ইসাবেলা স্বীকার করেন যে, তার নেতৃত্বের গুণাগুণ সবচেয়ে ভালো নয়। তবে তিনি নানা আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে সবচেয়ে ভালো। আর এ কারণেই তিনি সামনে এগিয়ে যেতে পারছেন।

1 comment: