সুস্থ থাকাটা সব মানুষেরই প্রধান লক্ষ্য। কে না চায় সুস্থ থাকতে, ভালো থাকতে। আর আপনার দেহের শারীরিক যত্ন যদি হয় পেয়ারা পাতা দিয়ে তবে খারাপই বা কি, তাইনা? হাতের কাছে থাকা এই সাধারণ জিনিসটি আপনাকে রাখতে পারে সুস্থ, মেলাতে পারে অনেকগুলো সমস্যার সমাধান।
চুলের যত্ন থেকে শুরু করে কাশির সমস্যা সবকিছুর সমাধান মিলবে এই পেয়ারা পাতা থেকেই। তবে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক, পেয়ারা পাতার উপকারী দিকগুলো।
চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা: পেয়ারা থেকে পেয়ারার পাতাই কিন্তু আপনার চুলের জন্য বেশি উপকারী। চুল পড়া টেনশনে যাদের রাতের ঘুম হারাম তাদের জন্য আছে এক কার্যকরি উপায়।
এক লিটার পানিতে একমুঠো পেয়ারা পাতা দিয়ে ভালো করে গরম করে ফুটিয়ে নিন। এবার দ্রবণটিকে কক্ষ তাপমাত্রায় ঠান্ডা করুন। তেলের মত মাথার ত্বক থেকে শুরু করে আগা পর্যন্ত দ্রবনটি লাগান। প্রতিদিন ব্যবহারে আপনার চুলপড়ার হার অনেকাংশে কমে যাবে।
পেয়ারা পাতার রস আপনার চুলের গোড়া করবে পোক্ত আর চুল করবে আরো সতেজ।
পেটব্যাথা, আমশয় এবং ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পেতে পেয়ারা পাতা: পেয়ারা পাতাতে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। সেদ্ধ পেয়ারা পাতার দ্রবন সেবনে আপনি পেতে পারেন ডায়রিয়া বা পেট ব্যাথার মত সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি।
মুখ অভ্যন্তরের চিকিৎসায় পেয়ারা পাতা: বলা হয়ে থাকে, পেয়ারা পাতা চিবুলে মুখের ভেতরের সার্বিক সচলতা বৃদ্ধি পায়। কালশেটে মাড়ি, দাঁতের ব্যাথা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে পেয়ারা পাতার জুড়ি নেই।
অনেকের মুখ থেকে বেশ বাজে গন্ধ হয়। তারা সময় পেলে পেয়ারা পাতা চিবুতে পারেন। উপকার পাবেন।
রক্তের শর্করা কমাতে পেয়ারা পাতা: ডায়বেটিস রোগীদের জন্য পেয়ারা পাতা যেন আশির্বাদ স্বরূপ। কেননা, পেয়ারা পাতা দিয়ে বানানো চা নিয়মিত পান করলে, এই চা দেহের ইনসুলিন এর মাত্রা বৃদ্ধি ব্যাতিত ই শরীরের রক্তের শর্করার পরিমাণ কমাতে পারে।
শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে পেয়ারা পাতা: পেয়ারা পাতা শ্বসনতন্ত্রের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটা ব্রংকাইটিস এবং কাশির জন্য একটি চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
এবার তো বুঝলেন! আশেপাশে থাকা সাধারণ পেয়ারা পাতা আসলে কত উপকারী! আপনি যদি সতেজ এবং সুস্থ থাকতে চান তবে আজকে থেকেই শারীরিক যত্নে পেয়ারা পাতার ব্যবহার শুরু করুন।
No comments:
Post a Comment