আগামী শনিবার থেকে দেশের পাঁচ থেকে ১৬ বছর বয়সী চার কোটি ছয় লাখ শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুমোদিত এসব কৃমিনাশক নিরাপদ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
দুই ধাপে স্কুলগামী, স্কুল বহির্ভূত এবং স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া প্রতিটি শিশুকে একডোজ কৃমিনাশক (মেবেন্ডাজল) বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে।
৪ থেকে ৯ নভেম্বর দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী সব শিশুকে এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৬ থেকে ২৩ নভেম্বর দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুকে ওই ওষুধ খাওয়ানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পাঁচ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মধ্যে কৃমি সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের সহায়তায় ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদেরও কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কৃমির ওষুধ খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়া পেট ও মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এগুলো বড় ধরনের কোনো সমস্যা নয় এবং এগুলো দীর্ঘক্ষণ থাকে না।
অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজদ বলেন, কৃমি নিয়ে মানুষের মধ্যে এখনও এক ধরণের আশঙ্কা কাজ করে। কৃমিনাশক ওষুধগুলো খাওয়ানো হচ্ছে তা মানসম্মত। ওষুধের মান নিয়ে কোনো সংশয় নেই। কৃমিনাশক খাওয়ার পর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের কাছে যাবার পরামর্শ দেন তিনি।
খালি পেটে কৃমিনাশক ওষুধ না খাওয়া, ওষুধ খাওয়ার পর বেশিক্ষণ রোদে না থাকা, পিটি বা প্যারেড না করার পরামর্শ দেন ডা. সানিয়া তাহমিনা।
আগেরবার কৃমির ওষুধ খেয়ে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার বিষয়টিকে ‘গণ মনস্তাত্বিক সমস্যা’ (ম্যাস সাইকোজোনিক ইলনেস) উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেখা গেছে, মাধ্যমিক স্কুলের শিশুদের একজনের দেখাদেখি অন্যরাও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। অক্টোবর মাসে এই সপ্তাহ উদযাপন করার কথা থাকলেও পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ না থাকায় তা পিছিয়ে নভেম্বর মাসে পালিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment